রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫

আত্মা ও তার বিবর্তন




আত্মা ও তার বিবর্তন 
আবুলকালামআজাদবাসু 
(CE0682 HUAWEI  Mobile Model E1550,
ID558124Supportmicrosft.Com/kb/558124
মানুষ নিত্য নুতন কিছু চিন্তা বা অজানাকে জানার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছেন ৷ধর্ম শাস্ত্র নিয়ে কোনরূপ বিরূপ চিন্তাধারার অবকাশ নেই ৷ কেবল জানার আকাঙ্কা নিয়ে এ লিখা ৷ ইসলাম বিবর্তনবাদ সমর্থন করে না ৷ তাই আমিও ৷ তবে মৌলানা রুমি (রাহঃ) যিনি ইসলামে সুপ্র্রসিদ্ধ তিনিও প্র্রাথমিক অবস্থায়  বিবর্তনবাদকে গ্র্রহন করেছেন ৷হয়তো কোরআনে এমন কিছু আয়াত রয়েছে যেগুলি অবলম্বন করে তিনি ঐ মতবাদ সমর্থন করেছেন ৷মুসলিম মাত্রই জানে যে এই ধর্মে কোনরকম বিবর্তনবাদ নেই ৷ আমার জ্ঞান ভাণ্ণ্ডার সীমিত ৷ যতটুকু বুঝি বাংলা ও ইংরেজী পাঠ করে বুঝে থাকি যাহা আরবী ভাষা তার ব্যখ্যা বাংলা বা ইংরেজী অনুবাদ হোক কোনটিকে শতভাগ  হিসেবে নেয়া যায় না ৷
আমি কি বুঝে বিবর্তন শব্ব্দ ব্যবহার করলাম উহা অনেকেই জানেন ৷হয়তো জানে না যে আমার এই ধারণা সম্পর্কে বিশিষ্ট জ্ঞানী ব্য্যক্তি এমন কি যেথায় এই আরবী ভাষা সেখানেও তাঁরা চিন্তা ভাবনা করছেন  ৷এক সময় তা আমি নেট এর মাধ্যমে জানতে পেরেছি ৷ কোরআন সম্পর্কে গবেষণা কেবল বাংলা এবং ইংরেজী  অনুবাদকে ধরে নিতে হবে কারণ আমি আরবী বুঝি না যাহা দেখতে পাই তা প্রথমে বলব যে আল্লাহ মহান যাঁকে কেউ দেখেনি যদিও এ সম্পর্কে অনেক মতভেদ রয়েছে ৷ তা আমার মূল বিষয় নয় ৷ যাহা কিছু ঘটেছে তা সবই আল্লাহর  দৈববাণী বা ঐশী বাণী রূপে এবং  তৎ মাধ্যমে আল্লাহ  তাঁর রাজ্য্য  বিস্তার করেছেন ৷ শত মতভেদ মাঝে একথা নিশ্চিত বলা যেতে পারে ৷ তাহলে  বিবর্তন নামক শব্দ  কোথা থেকে এলো ? পূর্ণণ্দৈর্ঘ আলোচনা সম্ভব নয় ৷ সংক্ষেপ এবং অতি সংক্ষিপ্ত দু একটা আয়াতের এবং কিছু  নিরঙ্ঙ্কুশ সমর্থন সাপেক্ষ এ আলোচনা  ৷ এখানে কোন আয়াত বা দৃষ্টান্তের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না ৷ কারণ সবাই জানে যে একদিন সমস্ত তৎসঙ্ঙ্গে জিনও ছিল, ডেকে বললেন, ‘আমি মানুষ সৃষ্টি করবো সে যখন সুঠাম হবে আমি তার ভিতর রূহ সঞ্চার করবো ৷ ইহার বাহিরে আমার তেমন ব্যাখ্যা নেই ৷ আজ পর্যন্ত যত জ্ঞ্যনী গুণী ব্যক্তি গত হয়েছেন বা রয়েছেন, আমি কেনই বা বেশী বুঝলাম তা অজানা একজন ছাত্র  হিসেবে জানার আগ্র্রহ প্র্রবল বিধায় এইরূপ উপস্থাপনা সবাইকে জানায়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা বা গবেষণায় আনীত হোক এই ধারণা পোষণ করে এ লিখা ৷ এ আয়াত সম্পর্কে বলার আগে আরও কয়েকটা আয়াত সম্পর্কে বলা যায় যে নিম্ন আকাশে আলোর পদ্ধতি তৈরী  করতে চারদিন এইরূপে সপ্ত  দিনে তিঁনি আসনে বসেন ৷আল্লাহ ইচ্ছা করলে এক সেকেণ্ড এ করতে পারেন যেমন চন্দ্র্রকে দ্বিখণ্ডিত করা ৷ কিন্তু না বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে তৈরী এ বিশ্বব্রহ্মান্ড ৷ বিজ্ঞান দেখি এবার ৷ এক মিনিট অংক কষে মানুষ দ্বারা কয়েকটটি দালান তৈরী করা যায় ৷ তাতে দেখা যাবে এক বা এক ঘন্টায় দালান তৈরী হয়নি ৷ তাই বিজ্ঞানে সময়টাও এতে গণনায় আনা হয়েছে ৷ এবার আয়াত সম্পর্কে বলি আল্লাহ মানুষ বা আত্মা সৃষ্টি করলেন বটে কিন্তু  তিনি ততক্ষনাৎ ফুঁৎকার বা আদেশ বা রূহ সঞ্চার করেন নি ৷ তাই বললেন যখন সুঠাম বা সবল বা উপযুক্ত সময় রূহ সঞ্চার করলে তোমরা সবাই তাকে সিজদা বা অর্ধনিমিত বা তাঁর ইমামতি গ্রহন পূর্ব্বক সবাই সিজদা পতিত হবে ৷ ইহার ব্যখ্যায় বুঝা যায় যে জিনিষ সুঠাম হয় বা বাড়ে তার প্রাণ থাকে তেমনি গাছপালার জীবন আছে প্রাণী মাত্র্রই জীব বা প্রাণ আছে কিন্তু তিন জাতির কেবল রূহ আছে ৷তৎমধ্যে এক জাতির নফস্ নাই বিধায় তাঁহাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে না ৷ সুতরাং আত্মার বিবর্তন হয়েছে কেবল আত্মা  হিসেবে ৷ আরও অনেক আয়াত ব্যখ্যা করা যায় ৷ অফিসে বস্ বা ঊর্ধ্বতন কর্তার নির্দ্দেশ একদিনে ভুলা যায় না ৷ সে ক্ষেত্র্রে কত সময় কোটি কি লাখো বছর আদম (আঃ) তথায় ছিলেন তা জানা নাই ৷ আদেশ অমান্য্য করলে শাস্তি রয়েছে তাই নীচে নামার আদেশ হয়তো সবার জন্য প্রজোয্য ছিল ৷ যার ফল স্বরূপ সবকিছু ঘূর্ণয়নে রত হয় এবং বিশ্ব সম্প্রসারন হতে হতে এই অবস্থায় পৌঁছেছি ৷ অল্প কথায় শেষ করা যায় না তবুও উল্লেখযোগ্য হলো ঐ মোকাবিলায় স্বর্গীয় পোষাক খসে পড়া আত্মা বা মানুষের গুপ্ত অঙ্গ প্র্রকাশ পাওয়া ইত্যাদি ৷ মূলে সবাই বিশ্বাস করে যে আত্মার আলাদা এক জগত বিদ্যমান ৷এতেও কোরআনের আয়াতের উদ্ধৃতি দেয়া যায় ৷ কর্মে কে শ্রেষ্ঠ তা পরীক্ষা করা ছাড়া গ্র্রহন করা হবে না ৷ তাই কেবল আত্মার বিবর্তন হয়তো ঠিক কিন্তু তা ডারউইন সুত্র্র এখানে অকার্যকর ৷ মোদ্দাকথা বাংলা বা ইংরেজী অনুবাদ যদি সুঠাম হলে তবে রূহ সঞ্চার করব এই রকম অর্থবোধক হলে তাহলে বলা যায়  যে আত্মা এবং রূহ সঞ্চার মাঝে এক প্র্রকার ইহাতে সময়ের ব্যবধান বুঝায় বলিয়া মনে হয়৷ সুতরাং প্রাণের ভিতর  রূহ সঞ্চার এসেছে৷ মানুষের বেলায় অনুরূপ ঘটনা গড়ছে ৷ ব্যকটরিয়া মাত্রই জীবন্ত থেকে বা বীর্য থেকে ভ্রূণ প্রাণে তৃতীয় পর্যায়ের এক পর্যায়ভূক্ত মাঝে রূহকে সঞ্চার করা হচ্ছে (এক প্রাণের ভিতর অন্য্  প্র্রাণ নয় বটে তবে আরবীতে রূহ বলা হচ্ছে) ৷ তৃতীয়  ধাপের পর পৃথিবীর আলো এবং পরিশেষে মৃত্য্বরণ অবশ্য কোরআন মতে নফস্ এর ৷ উহার পর ভিন্ন জগত কর্ম অনুযায়ী ৷ অন্য্ দিকে মাটি থেকে দেহ উত্তোলন সবই আমার মতে আত্মার বিবর্তন স্বরূপ৷
(এ লেখা গবেষণামূলক ইহাতে ভুল বুঝার অবকাশ নেই)৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন