শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সপ্তাহ কাল যাপন

  সপ্তাহ কাল যাপন
                                     আবুল কালাম আজাদ বাসু

                             এক দেশের রাজা মশাই হাল নাগাদ করেছে দেশজয়,
                             মনের আনন্দে ভোজ সভায় সর্ব পরিচিত সবারে কয়;
                             সবাই আনন্দে নতুন দেশ ভ্রমণ উদ্দেশ্যে হাজির হয়                               
                             কেহ গেল ভ্রমণে, কেহ পুরাণ আমোদ প্রমোদে এ-দৌড়মার।

                             সচল বৃদ্ধ জ্ঞানবৃক্ষ ছায়ার পরশে অচল পাপবৃক্ষ তল
                             অন্যরা ভোজ শেষে একে একে গেল আপন মন্দির ফল,
                             সচল বৃদ্ধ নানা রোগে আক্রান্ত বাঁধিতে চাহিল তাক তামাম
                             ভাঁজ তাক রেখে বিশ্রাম নিতে করল শক্তি বল এবার তারা হবে সফল।

                             ওপারের কর্মী ধনরত্নে হয়েছে পুর্ণ তাদের ভাষায় অনন্য,
                             আমি লিখি ইয়াজুজ মাজুজ দজ্জাল সোচ্চার মানব যখন
                             সঙ্কোচনে পৌঁছবে সম দূরত্বে যেথায় দেখবে পাপীদের
                             তারা এখন আশ্রয় নিয়েছে পাপীর পাপ বৃক্ষ তল পরস্পর।

                             যে যাহা বুঝে তা নিয়ে চলে স্বর্গ তাদের দ্বারে অতি নিকটে
                             সত্য যদি মনঃপুত না হয় তা ধরে না তারা তাদের কাছে সবই মৃত,
                       একমাত্র বিস্বাস কেবল দেয় না সুফল ! তবে তাদের এ বিশ্বাস সত্য,
                        বাকীরা অসত্য, একথা ভুল, সত্য নহে ধারণা কাকেও হত্যা নিষেধ ধর্মে।

                         ধর্মে নিষেধ সাধু নারী শিশু, তফসীর পাঠে জানবে তাহা,
                         তবে অপরাধ প্রবণতা আসে কোথা হতে?
                         নেপোলিয়ন বলেন, আমায় শিক্ষিত মা দাও আমি শিক্ষিত জাতি দেব,
                         মা শিক্ষিত অথচ বেআবরু দিবে কী? প্রথম বেটাকে চবক করে দান নিজ বালা ।


                        থপ থপাস তবক ধারী উজ্জ্বল বর্ণ স্বর্ণ নয়, নিজঘর বালা আপন জন,
                        বেটা ভাবে নিজেরে বুদ্ধিমান, খাবায় তারে মূল্যবান উচ্ছিষ্ট মল;
                        পরক্ষণে ভুলে গেছে নিজ স্বজন এমন কি নিজ ধাত্রী ও তার জন্মদাতা,
                        নিজ অর্ধাঙ্গিনীকে দিল সোপার্দ্দ করে তারে বিচারকের সেই ভ্রাতার দ্বার ।
                        শূকর সঙ্গমকালে অন্য শূকর, শূকরী করে আনন্দ এইতো শূকর স্বভাব।


                        জন্মদাতা দেখিয়াও দেখে নাই সেই ভাব পোশণ করিল জনসম্মূখে
                        অথচ তাদের কয়জনা মানিল না তা মনে মনে, কারণ বসা ছিল সে জন
                        দু-চরিত্রাহীনা একজন সকালে দিয়েছিল শত টাকা যে ছিল পুত্র সমতুল্য
                        ঐ বেটাকে কি করি ! বুড়ী মাতা আমাদের আপন জন মানে
                        অসুস্থ অথচ রাখিয়াছে ধরে এক রকম আবদ্ধ ঘরে।


                        কে তারে খোঁজ করে, মোর ধন দিয়েছি তোমারে
                        তুমিও তোমার ধন দান করেছ আমারে,
                        তালে আমরা সমান তাই জব্ধ কর তারে !
                        কত দিন পর চবক লেগেছে পূর্ণ কাজে।

                         বুড়ী মাতা দিল না যেতে বুদ্ধিমতী একদা দিয়েছিল মানসিক হাসপাতালে
                          আমিও সেই পাপিষ্ঠ অচল বৃদ্ধের উত্তরাধীকারী,
                          হাসিয়া হাসিয়া যে দিন সংখ্যা পর সংখ্যা বাড়িবে তখন বুঝিবে অপমান;
                           নীরব নিস্তব্ধ যে ছিল আজ, তাই বাঁচাইল প্রাণ!
                           ভাবিয়াছে রচিতজন আল্লাহর নিঃস্প্রাণ।

                           সমাজের এ অবক্ষয় আর ও কত সময়ে রচিব তাহা
                           তবে এ লিখা কার ও স র্বনাশ আবার কারও ফিরায় প্রাণ; 
                           গৃহকর্মী পরিচারিকা ফেলে বুড়ি আর নির্লজ্জ্বনী পায় ত্রাণ
                           হে নেপোলিয়ান! আল্লাহ মহান কিছু নিবেদিত মহাপ্রাণ;

                           শুকরিয়া হে মহান ! লিখা নয় তোমার প্রতি ধ্যান দিয়েছে পরিত্রাণ।                     

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন