আমার কথা (প্রথম খণ্ড)
CE0682
HUAWEI Mobile
Model E1550,
ID 558124 Support microsft.Com/ kb/ 558124
Ticket # 72255 Scribed.com via Yahoo!
Ip 119.30.39.55 Isp Grameenphone Ltd )
Lt mno. 11677388 11748286 Dhaka
আমি কৃষ্ণ বুদ্ধ ঈসা মসিহ্
বা
মেহেদী কিনা?
বাসু
আমার কথা প্রথম খণ্ড
প্রকাশক
বাসু
সর্বস্বত্ব¡
লেখক কতৃক সং রক্ষিত
প্রকাশকাল
প্রথম সংস্করণঃ মার্চ ১৯৯৯৯ইং
দ্বিতীয় সংষ্করণঃ
প্রচ্ছদ
সাগরিকা কমম্পিউটার
(লখকের পরিকল্পনা অনুসারে)
অক্ষরবিন্যাস
আবুল কালাম আজাদ বাসু
মুদ্রণ
সাগরিকা প্রিন্টার্স©
সিরাজদ্দৌল্লা রোড়, আন্দরকিল্ললাv
চট্রগ্রাম ।ফোনঃ ৬২৪৪৯৮
উপক্রমণিকা
হযরত ঈসা (আঃ) এ জগতের মধ্যে অন্যতম ৷ যদিও তিনি কোন বিশেষের জন্যে প্রেরিত ছিলেন তবুও তাঁর পূনর্বার আগমন সকলের তরে কেয়ামতের নিদর্শন ৷ প্রায় দুহাজার বৎসর পর তাঁর জীবনের খুঁটিাটি আমার জীবন বৃত্তান্তের সাথে তুলে কাদিয়ানীদের ভুল মতবাদ এবং তাদের বিশ্বাস বামূল ভিত্ যে, বালির ওপর প্রতিষ্ঠিত তা প্রমাণ জন্যে এ প্রয়াস ৷ প্রথম খন্ড ১৯৯৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে কিছু ভুল পরিলক্ষিত হলে নতুন আঙ্গিকে মূল বিষয়াবলী কেবল পিরিচিতি এবং হযরত ঈসা (আঃ) এর আবির্ভাব সংক্রান্ত ভাবীবাণীগুলো ঈষৎব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে প্রথম খন্ডের ইতি টানা হয়েছে ৷ এতে কিছু পরিবতর্ন,
পরিবধর্ন করার প্রয়াস চালানো হয়েছে ৷ কিন্তু কলেবর বৃদ্ধি যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ৷
এ কিতাবটা ৩০তম খন্ডে বিভক্ত ৷ আমার ঘনিষ্ট সহযোগী মোহাম্মদ নূরউদ্দিন জাহাঙ্গীর (খোকন) এর সহায়তায় এবং আন্তরিক প্রচেষ্টায় ‘আমার কথা’ প্রথম খন্ড পূর্ব সংস্করণ ‘আমি কৃষ্ণ, বুদ্ধ, ঈসামসিহ বা ইমাম মেহেদী কিনা ?’ এর প্রকাশ করতে সক্ষম হই ৷ তাতে কিছু অনিয়ম ও ভুল পরিলক্ষিত হবার কারণে দ্বিতীয় সংস্করণের আয়োজন করি ৷ তার এ সৎকর্ম এবং উদ্যোগী ভূমিকা পালনের জন্যে তাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ৷ আমি বিশেষভাবে ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম (জামাল) সাহেবের কাছে ঋণী কারণ তিনি আমাকে মূল্যবান কিতাবাদি ও পরামশর্দানে অনেক সহযোগিতা করেছেন ৷ সবোর্পরি করুণাময় আল্লাহর দরবারে তাঁদের এবং হোটেল কতৃপক্ষকে যাঁরা আন্তরিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তাঁদের শান্তি ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত জীবন কামনা করছি ৷
অনেকাংশে ভুলভ্রান্তির দায়িত্ব নিজের অদক্ষতার কারণে যোজিত বলে নিজেই তা গ্রহন করে সহৃদয় পাঠক পাঠিকাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ৷ প্রথম সংস্করণ অনেকাংশে দুবোর্ধ্য ছিল বলে দ্বিতীয় খন্ডের কবিতাংশের খন্ড খন্ড পংক্তিগুলো সংযোজন, পরিবতর্ন করা হয়েছে ৷ যদি তাতে কিছুমাত্র বোধ এবং লেখকের যৎসামান্য পরিচিতি ফুটে উঠে তবেই মনে করা হবে এ শ্রম সাথর্ক হয়েছে ৷
ইতি
বাসু
শুভেচ্ছা
হোটেলে থাকার সুবাদে আমার সাথে আজাদ ভাইয়ের পরিচয় ।রাত জেগে পড়ার অভ্যাস আমার সেই ছোট বেলা থেকেই ।সিগেরেট ধরাবার জন্য্ ম্য্যাচ খুঁজতে গিয়ে ভোর ৪টার সময় তাঁকে আবিষ্কার করি হোটেল মার্টিন এর রিসিপশন ডেস্কে এ গবেষণা কর্মে ।অবাক হয়েছি তাঁর কথা শুনে । ধর্ম ননিয়ে কোনরূপ গোঁড়ামি আমার নেই একজন চিকিৎসক ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র্ হিসাবে।ভাল লেগেছে আমার কাছে ।কাদিয়ানিদের আকিদার বিষয়ে আমার যতটুকু শিক্ষারর অভাব ছিল তার সান্নিধ্যে ও উৎসাহের কারণে হয়তো বা পূরণ হয়েছে ।তাঁর এ বিশাল গবেষণা কর্ম-ধর্ম তাদের জন্যে নিশ্চয় সুফল বয়ে আনবে। মুসলমান অমুসলমান সকলের কাছে আমার অনুরোধ একবারে জন্য্ হলেও পুস্তকটি যেন তারা চোখ রাখেন।।অনেক রহস্য্ উন্মোচন হয়ে যাবে।
আমি তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি।
বিনীত
ডাঃমোহাঃতৌহিদুলইসলাম (জামাল)
কোট পাড়া, কুষ্টিয়া।
ক্রমিক কিতাবের নাম লেখকের নাম প্রেস/ প্রকাশক/ সাল
১)কিতাবুলমোকাদ্দস মঞ্জিল-ই-কিতাবূল মোকাদ্দস,
মোকাদস ঢাকা,
বাংলাদেশ
--------------------------------------------------------------------------------
২)ছহী-আলবুখারী শরীফ ইমামমুহাম্মদ ইবনে অনুবাদঃ
ইসমাঈল বুখারী
(রহঃ) মওলানা
মোঃআশরাফউজ্জামান
প্রকাশকঃ
সুলেখা প্রকাশনী
--------------------------------------------------------------------------------
(৩) আল-কুরআনুল করীম ইসলামিক ফাউন্ডেশন
বাংলাদেশ/১৯৮৭ইং--------------------------------------------------------
(৪) কতুবাত শরীফ এ,টি,খলীল-আহমদ মুদ্রাকরঃসালেহআহমদ অবলম্বনে সুলেখা ছাপাঘর
আত্মদর্শনে- ১৯৭৮ইং
সত্যদর্শন
--------------------------------------------------------------------------
(৫)
আহমদীয়াত মৌলানা এজাজ আহমদ বি,বাড়ীয়া--------------------------------------------------------------------------------
(৬) তফসীরে মারেফুল কোরান হযরত মাওলানা
মুফতী মোহাম্মদ শাফী(রাহঃ)--------------------------------------------------------------------------------
(৭) পবিত্র নতুন
নিয়ম বাইবেল। বাংলাদেশ
বাইবেল
সোসাইটি ১৯৮৪ ১৯৯০ইং
--------------------------------------------------------------------------------
(৮)তাফহীমূল কোরান মওলানা মওদুদী আহমদ
অমরবাণী
(১) আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরীক নেই ৷ তিনিই একমাত্র নূর যাঁর কোনো উপমা নেই ৷ যে নূর উপমারযোগ্য উহা তাঁরই গুণাবলী বিশেষ ৷
(২) আল্লাহ নিরাকার, নিরাকার অর্থ নেই কোনো কিছু আল্লাহ ব্যতীত, যেমন নেই কোনো উপাস্য একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত ৷ তাঁর নিরাকার রাজ্য রয়েছে যেথায় আকারহীন গুণাবলী বিশেষ বিদ্যমান ৷ আল্লাহর নিরাকার রাজ্য আল্লাহর সত্তা থেকে আলাদা নহে ৷
(৩) আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর অস্তিত্ব আছে কিন্তু আকারহীন, উপমাহীন এবং আকারের সূক্ষ্ণতমও নন ৷ আল্লাহর বলতে তিনি সৃষ্টির মত নহে এবং সব আকারের স্রষ্টা ফলে তিনি আকারহীন এবং অস্তিত্ববান সত্তা যার কোনো ব্যাখ্যা নেই যদিও কোরআনে কুদরতি কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপমা পেশ করা হয়েছে ৷
(৪) রূহ আল্লাহর প্রত্যক্ষ তুষ্টি নিরাকার, ফূকার বা আদেশ ঘটিত ৷
(৫) নুর নামীয় গুণের সমষ্টিজগত সমূহের সূক্ষ্ণতর অচেতন নিরাকার থেকে সৃষ্ট ৷
(৬) নূর ও রূহ আদি ৷ আউয়ালো মা খালাকালাহো রূহী এবং আউয়ালো মা খালাকালাহো নূরী’’ (হাদীস) ৷ রূহ নিরাকার , সৃষ্ট নূর আকার ৷ রূহ নূর এর মধ্যমণি, একা থাকতে পারে না ৷ শেষ যুগে এসে দজ্জালের ফেতনা থেকে কিভাবে রেহাই পাওয়া যাবে তাই অনুসরণ করা ধার্মিক ব্যক্তিদের কর্তব্য ৷ নিরাকার শব্দ আছে বলেই তা একমাত্র আল্লাহর জন্যে প্রযোজ্য হয়েছে ৷ তাঁর নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই, রূপও নেই কিন্তু অস্তিত্ববান ৷ (উল্লেখ্য দুটো জিনিষ একসাথে আদি হতে পারে না ৷তাই একটা নিরাকারে এবং অন্যটি আকারে আদি ৷)
(৭) বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটা বিগ্ ব্যাঙ, উপমেয় নূর দিয়ে সৃষ্ট যা থেকে সব কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে ৷
(৮) আত্মা নূর পোষাক প্রাণ ও সূক্ষ্ণ শরীর বিশিষ্ট বিশুদ্ধ নফস্ এবং পবিত্র ৷
(৯) রূহ নূর পোষাক আবৃত্ত প্রাণের মধ্যমণি, নূর জগতের বাসিন্দা সূক্ষ্ণ মানব শিশু ৷
(১০) রূহ নিরাকার আল্লাহ প্রেমে মত্ত, আত্মা পবিত্র কিন্তু ভোগ বিলাসী সূখদুঃখ অনুভবকারী ৷
(১১) বিশুদ্ধ নফস ‘নূর’ এর মাধ্যমে নূর প্রাপ্ত হয় এবং পবিত্র হয় ৷
(১২) ‘রূহ’ পবিত্র হতে ঊর্ধ্বে ‘নূর’ রূহের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে ৷
(১৩) ‘নূর গুণাবলী সমষ্টির রূপ ‘রূহ’ জাত সম্পর্কিত আকারহীন ৷
(১৪) নূরে মোহাম্মদী ও রূহে মোহাম্মদী আদি ৷
(১৫) সৃষ্টির কূলে ‘রূহ’ একমাত্র নিরাকার, রূহকে ছাড়া আল্লাহর পরিচয় দর্শন, আত্ম দর্শন, জ্ঞান লাভ করা বা আল্লাহর পরিচয়, নৈকট্য লাভ করা সম্ভব নয় ৷
(১৬) আদম এর সূরত আঁমি নহে, আঁমার মতো, এ পথে গমনের মাধ্যমে নূরে মোহাম্মদী জ্যোতি ধারায় মিশে রূহে মোহাম্মদী প্রেম ধারায় আল্লাহর জ্ঞান ও আত্ম দর্শন বোধ অর্জন করা যায় ৷
(১৭) সূক্ষ্ম মানব শিশু ত্রিবিধ কালের এককালে ফেরেশতাদের মাধ্যমে মাতৃ-জঠরে সঞ্চার করা হয় জীবাত্মা ও স্থূল শরীরে ৷
(১৮) আল্লাহর পরিচয় বিকাশের স্থল হলও ‘নূর’ মাধ্যম হলও ‘রূহ’ ৷
(১৯) আল্লাহর অস্তিত্বের প্রকাশ কুদরত আপাদমস্তক, সৃষ্ট কুরসিতে সমাসীন, জ্ঞানে সমগ্র বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড পরিবেষ্টন করে আছেন অর্থে তিনি বিলীন হন নি, তাঁর হাত পা, মুখমণ্ডল অনুরূপ ব্যক্ত (কুদরতি) যে রূপের-মধ্যে ‘রূহ’ আশ্রয় নিয়েছে, তা দৃশ্যে বা অদৃশ্যে একইভাবে ব্যক্ত ৷ এতে আল্লাহর অস্তিত্বের আকার ধারণা ভুল মতবাদ ৷ কারণ আকারের সূক্ষ্মতর বস্তু যার কোনও অস্তিত্ব নেই যেমন পরমাণু তারও আকারের গুণাবলী আছে ৷ সুতরাং আল্লাহর জ্ঞান মানুষের জ্ঞান সীমার ঊর্ধ্বে ৷
(২০) আল্লাহর পরিচয় আল্লাহ প্রেমে, ‘বিশুদ্ধ আত্মা’ নূর এর মধ্য দিয়ে রূহের মাধ্যমে তাঁকে পাওয়া ছাড়া অন্য কোনও পন্থা মানুষের জানা নেই ৷
(২১) মুসলমান সব নবীরাসূলদের স্বীকার করে, অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, নবী রসূলদের মাঝে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে না, কিন্তু নবীরাসূলদের মাঝে হযরত (সঃ) শ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী এবং রসূল এ কথা বিশ্বাস করে ৷
(২২) প্রত্যেক নবী রসূল এমনকি প্রত্যেক মানবের ‘জীবন বই’ রয়েছে ৷
(২৩) সব নবী রসূলদের কাছে আসমানি কিতাব, ছহিফা নাযিল বা স্বপ্ন যোগে আদেশ নির্দেশ দেয়া হয়েছে ৷ এসব আল্লাহর কালাম ৷
(২৪) পাককোরআন আল্লাহর মূলগ্রন্থ ৷ সর্বশেষ নবীর আগমনে পাককোরআনও আল্লাহর সর্বশেষ পবিত্র গ্রন্থ ৷
(২৫) ঈসা (আঃ) সর্বশেষ আগমনকারী ব্যক্তি উম্মতে মোহাম্মদী এবং সব নবীগণের উম্মত (ঈসারূহুল্লাহ) ৷
(২৬) ধরাধামে নবী (আঃ) গণ পুনর্জন্ম লাভ করে মোহাম্মদী জগতে ভ্রমণ করে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেন এবং কর্তব্য কর্ম সম্পাদন করার নিমিত্তে অবতরণ করেন অন্যদিকে আরিফ, আম্বিয়া, অলি-আউলিয়া,
বুজুগার্নেদ্বীন ও অন্যান্য ধার্মিক ব্যক্তিগণ আরোহণ
করেন এবং তার মাঝে কেউ কেউ যিনি যতটুকু নৈকট্য হাসিল করতে পারেন তা নিয়ে শরীয়তের
খেদমতের অনুসন্ধানে অবতরণ করে থাকেন ৷
(২৭) সঙ্কোচনের মাধ্যমে কেয়ামতের পূর্ণ আলামত
শুরু হবে ৷ সে স্থানে কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে যে স্থানে আদি পিতা আদম (আঃ) ও সকল-জাতি
একসাথে বাস করতো ৷ তাতে চল্লিশ দিন বা চল্লিশ হাজার বছর সময় লাগতে পারে ৷
(২৮) অণুর মৌলিক সত্তা বিদ্যমান, অণু
যখন পরমাণুতে বিভাজন হয় তখন সত্তা-হীন হয়ে পড়ে, সে আরও শক্তিশালী হয়, এমনকি
পৃথিবীকে ধ্বংস করার শক্তি অর্জন করে থাকে ৷ সে তখন
তার আমিত্ব হারায়ে ফেলে ৷ সে কার ? সে
পরিচয় থাকে না ; সাধক যখন এ অবস্থায় উপনীত হয় তখন তার আর ‘আকার-রূপ’ অস্তিত্ব থাকে
না ৷ এ অস্তিত্বহীনদের মালিক আল্লাহ অস্তিত্ববান একমাত্র সত্ত্ব, তিঁনি আকার ও
অস্তিত্বহীনদের মালিক বিধায় তিঁনি সদা নিরাকার ৷ সাধকগণ এরূপ স্থানে উপনীত হলে
জাতিভেদ তাঁদের মধ্যে আর পরিলক্ষিত হয় না ৷
(২৯) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সব ধর্মের লোক
এক আল্লাহতে বিশ্বাসী ৷ এতে কলেমার প্রথম অংশ পূরণ হয় বিধায় মানুষের ভেদাভেদ
সৃষ্টি না করে জ্ঞান দিয়ে সবাইকে উপলব্ধি করা প্রয়োজন ৷
(৩০) যুদ্ধ কোনো কালে স্থায়ী সমাধান দিতে
পারেনি ৷ সমঝোতার ভিত্তিতে স্থায়ী সমাধান আশা করা যায় ৷ কোনও
জাতিকে নিশ্চিহ্ন করা মহান আল্লাহর কাজ, এ নিয়ে সংঘাত, হত্যা, গুপ্তহত্যা,
যুদ্ধবিগ্রহ কোনাটাই আল্লাহর নির্দেশিত
পথ নহে যখন পর্যন্ত এক জাতি অন্য আর এক
জাতির উপর জোর করে যুদ্ধ চাপায়ে না দেয় তখন পর্যন্ত
ধৈর্য ধারণ করাই শ্রেয় ৷ বরং যুদ্ধ হবে মুসলিম ও অমুসলিম মাঝে এ নিয়ে যে, কোরআন ও
বিজ্ঞান বিষয়ক তথ্য নিয়ে এবং প্রতিটি ধর্ম সম্পর্কে প্রতিদিনের খবরের কাগজে
কমপক্ষে একটি পৃষ্ঠা বিশ্বময় প্রচার করাই হবে দু দলের প্রধান কাজ৷ উহাই স্থায়ী
সমাধানের পথ বের করে আনবে ৷
(৩১) প্রত্যেক ধর্মে প্রেম ভালবাসা, আল্লাহর
প্রেম সৃষ্টির কথা হলেও তাঁর প্রকৃতস্বরূপ ব্যাখ্যায় কেউ আকারহীনকে ভালবেসে কেবল
তাঁর বাহ্যিক দৃশ্যাবলী উপভোগ করে ৷ অন্য কেউ আকারকে স্থান প্রদান করে খেলা করতে
করতে প্রেম নিবেদনের মাধ্যমে আল্লাহর প্রেম জাগিয়ে তোলে যদিও তা আল্লাহর পছন্দনীয়
নয় ৷ সব ধর্ম মাঝে সত্য যে রয়েছে তা কেবল জ্ঞান দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে ৷ ইসলাম
ধর্মে আকারের স্থান নেই, তবুও সূফীতত্ত্ব এদিকটা তেমন
প্রাধান্য দেয় না ৷
(৩২) যে সব জাতি নিশ্চিহ্ন
হবার কথা হাদিছে উল্লেখ রয়েছে, সে সব আপনা থেকে বিলুপ্ত হতে
থাকবে আল্লাহর কুদরতে এবং অনেকেই বরফের মত গলে যাবে আন্তরিক প্রেম ও ভালবাসার
স্পন্দনে এবং বন্ধনে ৷
(৩৩) পণ্ডিত ব্যক্তিরা যখন স্বীকার করবেন যে,
প্রত্যেক ধর্মে সত্য ছিল এবং শেষ ধর্ম শান্তির ধর্ম, একব্যক্তিই আল্লাহর কুদরত বলে
নিজেকে সব ধর্মমতে যুক্তি এবং সত্যসহ প্রকাশিত হয়ে পড়বে, তখন তারা বিনা দ্বন্দ্বে
তা গ্রহণ করবেন ৷যে ব্যক্তি সাধনায় যতটুকু স্থানে পৌঁছায় উহাকে শেষ
বর্ণনা মনে করিয়া মানুষের কাছে উপস্থাপন করে থাকেন
৷ তাই ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করে
থাকেন ৷৷ একমাত্র নবী রাসুলগণ ছাড়া
গন্তব্য স্থানে কেউ পৌঁছতে পারেন না ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন