মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৪

কুহকিনীর ডঙ্কা (৮)



কুহকিনীর ডঙ্কা (৮)
আবুলকালামআজাদবাসু
(CE0682 HUAWEI  Mobile Model E1550,
ID 558124 Support microsft.Com/ kb/ 558124
Ticket # 72255 Scribed.com via Yahoo!
Ip 119.30.39.55 Isp Grameenphone Ltd )

‘কুহকিনীর ডঙ্কা লিখার আগে অল্প কয়েক লাইনের গল্প যা সত্য বলে মনে হয় ৷ এককালে গল্প শুনততে ভাল লাগত ৷ চায়ের টেবিলে বসে পরিচিত একজনকে বললাম তোমার জীবনে ঘটেছে এমন এক কাহিনী ব্যক্ত কর ৷ সে চায়ের কাপে চুমু দিয়ে বলল একদিন এমন দিন ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকুরী করতাম ৷ আমরা যে কালে ১৯৬৩/ ১৯৬৪ সালে দেশ এত উন্নত ছিল না সে কালে ছোট ছোট আড্ডায় সময় কাটাতাম ৷  বিদেশীদের অর্ধ নগ্ন লেবাছ অন্য রকম ছিল বিধায় অনেকেই দাঁড়াইয়া তামাশা দেখতো ৷ আমাদের দেশেও পাহাড়ীরা ভিন্ন পরিবেশের ছিল বিধায় ছেলে মেয়েরা সেদিকে কোন এক  নজরে দেখতো ৷ কিছুদিন অপেক্ষা বা কাল কাটাতে হলে পরিবেশের সাথে তাল মিলায়ে চলতে হয় ৷ কথায় আছে প্রেম জাত মানে না ৷ এমনি এককাল যখন এসেছিল প্রেমিক ভদ্র লোক তখন বাড়ীর চাপে অঘোর বর্ষায় সেই পাহাড়ী এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় ৷ জায়গা নীচু হলে যে প্লাবন হয় না সেটা ঠিক নয় ৷ পাহাড়ী এলাকার ঢল নিম্ন ভুমির চেয়েও মারাত্মক হয়ে থাকে ৷ রাত্রে মেয়েটি খবর পেয়ে  পলাতক প্রেমিককে বুকে বাধার আশা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে পানির ঢলে পড়ে প্রাণ হারায় ৷ চায়ের মূল্যটা দিয়ে বের হয়ে আসি ৷
আর ডাইনী বসন্তকালে তার বংশ পরিচয় ভুলে যায় ৷ পরিবেশকে শোভামণ্ডিত করে তোলে ৷ তাতে কেহ মধু আহরণ  করে আর কেহ যাদু অর্জন করে ৷ বসন্তকালে সে তার সৌন্দর্য বিকশিত করে বাতাসে সৌরভ বিস্তার করে ৷ মায়বিনী কুহকিনী পারে না এমন কি আছে সেই সৌরভে এমন এক জাতীয় তৃপ্তি মিশায়  যেটি তার পিতৃতুল্য, মাতৃতুল্য, সন্তানতুল্য, সবাইকে প্রণাম জানায় ৷ সেই প্রণামে আপনাকে মাটিতে লুটাবে পৃষ্ঠে ধূলো মাখাইয়া মাথায় জট্ পাকাইয়া ছাড়বে ৷ এমন কি কর্ম আছে যা সে পারে না ৷ প্রকৃতির মেঘ যখন ডাকে ময়ূর তার পেখম খুলে উলঙ্গ হয় না ৷ সময়ে সারমেয়ের দল এদিক সেদিক বেহায়াপনা কর্ম করে না ঠিক কিন্তু পশু পাখির ডাক নিয়মশৃঙ্খলা আর মানল বা কোথায় ৷ কবি তার গান গাহিয়া একে একে সবকিছুর শোভা বর্ধন করে তা অপস্মৃতি নয় বরং সুন্দর গান ৷ সুন্দর মনই  সুন্দর গান উপহার দিতে পারে ৷ এর নাম কিন্তু আবাদের মধ্যে অপবাদ নয় ৷’


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন