আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড – (৬)
আবুলকালামআজাদবাসু
ড্যাডি ওয়ার্ড বরণ্ ব্ল্যাক
মা
মাগো মা
আমার পরায়ে দেয় রঙিন
চাদর মা
আজ তো আমি তোমার কোলে,
আমায়
পরায়ে দেয় রঙিন চাদর,
শুভ্র
প্রভাতে রক্তিম সূর্যের আলোকে,
মা
আজিকার দিনে বাঙালী মা’র কোলে
সূর্য
উঠেছে পূর্ব দিকে অন্তিমকালে,
বাসু
কৃষ্ণেতে দীপ্ত, দেয় মা গো চাদর,
পরিধানে
তোমার রক্ত মাখা চাদর
মাগো মা
আআমায় পরায়ে দেয় রঙিন
চাদর! মা
আজতো আমি তোমার কোলে ৷
এ ধরণীকে
সম্বোধন করে বলা হচ্ছে যে, কাল প্রবাহে আজ তোমার কোলে ঠাঁই নিয়েছি, বাল্যকাল থেকে
নাম অনুসারে পিতামাতাই পরায়ে পরায়ে দিয়েছেন রঙিন চাদর ৷পূর্ব গগণে সূর্য উদিত হবার
মাঝ কি অন্তিম এর চিহনাবলী প্রকাশ পাচ্ছে ৷ ইঞ্জিলের সে-ই রক্তমাখা চাদর কি আজ যে
কার অঙ্গে? যদি তা হয় গর্বিত এ কারণে যে, হিন্দু ও বৌদ্ধ সমাজকে পাককোরআনে স্থান
করে দিতে পেরেছি আল্লাহর ইচ্ছায় ৷ বাংলার কোলে মনে হয় এ জন্ম সার্থক হয়েছে ৷
হিন্দু ধর্মের বাসু একদিন ঋষির বর পেয়ে কৃষ্ণ হয়, তেমনি দীপঙ্কর বুদ্ধের বর পেয়ে
সিদ্ধার্থ বুদ্ধরূপে পরিচিতি লাভ করেন৷ পাককোরআনে কেবল এতটুকু বর্ণিত হয়েছে যে
আল্লাহ কোন জনপদ বাকী রাখেনি যেখানে তিনি সুসংবাদদাতা প্রেরণ করেনি ৷ কেবল তাঁদের
নাম উল্লেখ করা হচ্ছে, যাঁদের সঙ্গতিপূর্ণ উক্তি সকল প্রয়োজন ৷ এছাড় বহু
সুসংবাদদাতার আবির্ভাব ঘটেছে ৷ শেষযুগে বিশেষভাবে প্রাচ্যের এবং দূরপ্রাচ্যের কথা
সবিশেষ বর্ণায় কারও সুনজর না পড়লেও জ্ঞানীগুণীদের নিকট ইহা সমাদৃত হবে বলে একান্ত
প্রত্যয় ৷
এ কথা
বিশ্বাস্য যে, কোন রকম সংকেত ব্যতীত এ বিশ্বজগত ওলট পালট করা হবে না ৷ তাই স্বভাবত
প্রশ্ন জাগে, উহা কি কেবল মুসলিমদের জন্য সত্য ? ঐ সতর্ক সংকেত বিশ্ববাসীর জন্য
সমভাবে প্রযোজ্য ৷ ফলে মধ্যপ্রাচ্য নয় কেবল প্রাচ্যের দূরদূরান্তে,পাশ্চাত্যের
নিমি্তে যা প্রয়োজন এমন সংবাদ কে দিতে পারে? সুতরাং বাংলা মায়ের কোলে জন্মে নিয়ে
সেজন গর্বিত কারণ সে-ই ব্যক্তি বাল্যকাল থেকে রক্তমাখা দুটো চাদর পরিধানকারী
৷”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন