রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৪

কুহকিনীর ডঙ্কা (৭)



কুহকিনীর ডঙ্কা (৭)
আবুলকালামআজাদবাসু
এ পৃথিবী এক সময় স্বর্গরূপী ভূখণ্ড ছিল ৷ যে যাই বলুক না কেন বিজ্ঞানের সুত্র কালে বদলায় ৷ যতই ঠাণ্ডা ও বসবাসের উপযোগী করা হোক কিছু মানুষ নিয়ম নীতি ছাড়াই একতরফা বলতে থাকে ৷ জমিন যখন ছিল কোটি বছর আগেও মানুষ ছিল হয়তো এই পরিণতিই মানুষের বিধানে লিখা ছিল যে পূনঃ যাত্রা করতে হবে গন্তব্য স্থানে ৷ হাজারও দুনিয়া দেখে আজ মানুষ ঠিক বুঝতে পারছে না কিভাবে কি হয়েছে ৷ আজকে যাহা সত্য বলিয়া ভাবি কাল তাহা ভিন্ন রূপ ধারণ করে ৷ আজ সবাই বিশ্বাস করছে যে বিগব্যংগ থেকে সব সৃষ্টি হয়েছে ৷ যেদিকেই যাই না কেন কোরআন সব দিকেই সমর্থন জানায় ৷ কিন্তু মায়া যাদু সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করে পরে সেই দোষ হলেও আর দোষ থাকেনা ততক্ষণে সেই মায়াবিণী যাকে যাকে বশ করার তা করে নিয়েছে বরং প্রতিবাদকারী একজন অসমাজিক কালপিষ্ঠ নোংরা ব্যক্তি ৷ পৃথিবী সৌরজগতের এক অংশ হইয়া মায়ার জাল বিস্তার করছে অন্যদিকে আমরা মাতারূপ জানিয়া থাকি ৷ এই জালে যারা আবদ্ধ হয়েছে মায়া তাদের ভিন্ন পথে চালিত করায় ৷ বসন্তকালে কুহকিনী রূপসী রূপ ধাঁ ধাঁ য় ফেলিয়া তার মনো বাসনা পূরণ করছে ৷ সেই কথা ভাবলে আজ সত্যকে অসত্য মনে হয় ৷ উহার নামই বা কি দশবার মিথ্যা বললে তা সত্য পরিণত হয় ৷ অসত্য এক্ষণে সহায় রূপ ধারণ করেছে ৷ শরীরকেও ঐ পথে বশ করে নিয়েছে নেহায়ৎ কম হলে উপঢৌকন দেয়া যাবে ৷ এমনও হচ্ছে আজকের উপঢৌকন কাল উহা পূর্ণ রূপ নিয়া দ্বিগুন হয়ে যাচ্ছে ৷
“বসন্ত পালিয়ে গেলেও কুহকিনী তখন মরূদ্যানে পরিণত হইয়া তার আশপাশ উত্তপ্ত করে কিন্তু সেই জাল থেকে কাউকে বের হতে দেয় না ৷”


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন