শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৩

কুহকিনীর ডঙ্কা (১)

কুহকিনীর ডঙ্কা (১)
আবুলকালামআজাদবাসু

যতই বিপদের ডাক আসুক না কেন, খবরের কাগজে যতই লেখালেখি হোক না কেন সতর্কতা অবলম্বন, উন্নয়নশীল দেশগুলির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তা শুনেও শুনে না কারণ তারা দেশপ্রেমিক বটে কিন্তু প্রেমিক নয় ৷ কিন্তু কুহকিনীর মায়া সে রকম নয়, তার চালচলন অন্যরূপ সে প্রেমিক বটে কিন্তু আত্ম-প্রেম তার কাছে বেশী প্রাধান্য পেয়ে থাকে ফলে সে আগে ভোগ করে এবং পরে কুহকিনীর ডঙ্কা বাজিয়ে সবাইকে সতর্ক করে থাকে ৷ চাঁদের গায়ে রয়েছে উঁচু পাহাড় ও নিচু ভূমি ফলে চাঁদের রয়েছে অসংখ্য কলঙ্ক ৷ তার উপর কত কলঙ্কের বোঝা তার সইতে হয় ইহার কোন ইয়ত্তা নাই ৷ সূর্য এতই প্রখর যে কোন মলিনতা তাকে স্পর্শ করতে পারে না, সে সবকিছুকে জ্বালিয়ে ছাই করে দেয় ৷ কোমল হৃদয় চাঁদ সমস্ত কলঙ্ক নিয়ে নীরবে তা সহ্য করে দৈনন্দিন সূর্যের প্রখর তাপকে হজম করে নিজে স্নিগ্ধ আলো দান করে মানুষের ভালবাসার ইন্ধন যোগায় ৷ সেই স্নিগ্ধ আভা, কোমল আলো হৃদয়ের কোণে জমাট-শক্ত পাথরকে গলিয়ে শিশিরবিন্দুতে পরিণত করে এবং মনের ভাবকে চোখে ও মুখে নিয়ে আসে ৷
কুহকিনীর অভ্যাস এবং স্বভাবগত যে কর্ম তা নেহায়-ৎ ভাল এর মধ্যে গণ্য করা না গেলেও একেবারে খারাপ বলা যায় না ৷ সে নিজে ভোগ করে, এ অভ্যাস প্রায় সবার মধ্যে রয়েছে ৷ সুতরাং ইহাকে সমাজ যুগ অনুযায়ী গ্রহণ করিয়া লয় ৷ নিজে পাপকর্ম করে খারাপ অভিজ্ঞতা অর্জন কি কম গৌরবের বিষয়! অন্যকে সতর্ক করে দেয়া মানে সমাজকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা ৷ ইহা গৌরবের বিষয় ৷ কিন্তু তা কি হয়ে থাকে ? সমাজ দুর্নীতি ও অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলে দেশও রক্ষা পায় ৷ ইহার ভেতরে শান্তি বা ইসলাম ও গণতন্ত্র পাশাপাশি শোভা পেলে মন্দ নয় ৷ উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এরূপ ঘটা অসম্ভব নয় ৷ নিজস্ব-নীতি ও খবর-দারী প্রথা দু মিলে বর্তমান চলতে থাকবে ৷
শান্তির ধর্ম কখনও নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে সাহায্য করে না ৷ ইহাই একক শান্তির নীতি বলিয়া গণতন্ত্র ছাড়া সুষ্ঠুভাবে অনেক দূর চলা কেহ মানিয়া লইতে পারে না ৷ গণতন্ত্র পাশাপাশি থাকিলে তা হয়তো পারা যায় সমানভাবে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে যতক্ষণ দুধে জলে মিশে না যায় ৷ শান্তিতে দুধে পানি মিশানো অপরাধ কিন্তু গণতন্ত্রে সমান অধিকার বলে জল মিশানো যায় ৷ (চলবে)



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন