সখীর সখ্যতা
আবুলকালামআজাদবাসু
সখির সখ্যতা
২৭শে জুন রাত্রে
এ লেখা কাগজে
কলমে
প্রচার বিশ্ব
দরবারে
জানি নাহি
তার কোন প্রতিকার ৷
দুলাল দুলালী
খেলে আপন মনে
বড় জোর জিজ্ঞাসিয়া
লয় আপন স্বাদ
স্বীকারোক্তিতে
জলাঞ্ছলি নাহি ক্ষোভ
উদারনীতি
এ যে মহৎ গুণ ৷
এ নহে আজ
নূতন
বিচারক আসিয়া
নির্জন আবদ্ধ কক্ষ থেকে,
শুনাল তোদের
কি! তারা একে অন্যের
ইচ্ছা তাদের
হবে পূর্ণ,
আজ সত্য
জেনে হলাম ধন্য ৷
দেখি নাই
কভূ বিচারক
নির্জন আবদ্ধ
কক্ষে জিজ্ঞাসিতে,
সৎ তারাই
যারা সমাজে খায় খাপ
আফ্রিকায়
কোন এক জায়গায়
পিতা করে
সতীচ্ছেদ ৷
এ প্রথা
যিনি করে ব্যতিক্রম
সেই-ই সমাজে
বদ্ধ পাগল ৷
জানিয়া শুনিয়া
নদর্মায় খায়
বেসামাল
খোঁচড় ৷
বন্দী হয়
পশুর খোঁয়াড়ে
কি বলা আপন
ঘর কানা
পরের ঘরে
আনাগোনা
নিজের সর্বস্ব
করিলাম দান,
সে শয়তান,
সে যে শয়তান;
নিজ ধন বিলাইতে
করল
যত ফন্দি,
আল্লাহর কাছে
শুকরিয়া
আছে সে সহি
ছালামতে,
অন্তঃ জ্বালায়
বিধাতা দিয়েছে
তারে সিসপ্রেনিয়া,
তাইতো শুনি
যা তা সেই নহে সত্য ৷
হে বিধাতা
দাও শক্তি
শুনিবার
তরে ৷
সেই যে বিচার
দিবসের সময় হয়েছিল সখ্যতা
নির্জন কক্ষে
তারও উপস্থিতি ছিল প্রয়োজন,
কেন তা নহে
ঘরের এক কোণায়
সে জবাব
আজ দিবে কি এই পাগল!
আবদ্ধ রুমে
জিজ্ঞাসিতে হবে
এই ছিল সুবিচারের
পণ৷
শুনিয়াছে
সেই বাণী ধারণকৃত রেকর্ডে তার কানে ৷
তবুও আসিয়া
কয় বিচার দিবসের সাক্ষীরে
করিওনা কোন
আলাপ ঐ সে যে শুনে,
কর রাত্রি
যাপন বিনা বাক্যে,
সখির সখ্যতা
২৭শে জুন রাত্রে
গত হয়ে যাক,
শুনিয়া বিচারক
সখ্যের কাছে
কপালে দিয়েছে
হাত,
ভয় নেই কোমরে
রক্ষিত চাবিগুচ্ছ
থাক কোমরে,
দ্বার খোলেছে
আপন কৃতকর্মে
বেসামাল
হইও না সত্য জেনে ৷
যেমন কর্ম
তেমন ফল
রক্ষিত চাবির
কি বা ফলাফল!
প্রশ্ন এই
যে যদি নাই-ই কর অপরাধ
তবে কেন
সখীর এই বারণ?
জিজ্ঞাসিল
আপন রক্ত আছে কি প্রমাণ?
নীরবে জানাইলাম
মিনতি আসল দিবসে,
আছে কি নাই
শীঘ্রই জানবে,
ততক্ষণ কর
অপেক্ষা,
রোগ আছে
তার করিওনা আলাপ আর
যদি থাকে
রোগ কি মতে পেয়েছ অন্যের
জবানবন্দী!
সত্য যদি নাহি হয়
কেনই বা
করলে মানা
আজ নয় কাল
হবে বিনাশ ৷
ডেকে আন
না নিজের সর্বনাশ ৷
সত্যরে দুনিয়ায়
করা যায় মিথ্যা
ক্ষণিকের
তরে, সত্য যে সত্য,
তবে মোর-জন
যদি হত সত্য
থাকিত না
কোন অপরাধ প্রবণতা
নিজ কপাল
দোষে ভূগছি ব্যথা ৷
বুকের ব্যথা
নিরসনে এ প্রকাশ ৷
সখির সখ্যতা
২৭শে জুন রাত্রে
এ লেখা কাগজে
কলমে
প্রচার বিশ্ব
দরবারে
জানি নাহি
তার কোন প্রতিকার ৷