সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৩

আমার কথা প্রথম খণ্ড (২৮)

আমার কথা   প্রথম খণ্ড (২৮)
আবুলকালামআজাদবাসু

যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে তবে আল্লাহর স্মরণ লইবে, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ ৷” ৭(২০০) কোরআন ৷
আল্লাহ সর্বদা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজেকে রক্ষা করার নিমিত্তে আল্লাহর স্মরণ নিতে বলেছেন ৷ আল কোরআন শরীয়তের পূর্ণ রূপ এবং অবিকৃত অবস্থায় বিদ্দ্যমান ৷ এমতবস্থায় ‘উম্মতে নবী’ আগমনের ধারা কোরআনের বিপরীতে মুসলিমদের জন্য বিপর্যয় স্বরূপ ৷ অন্যদিকে এ সব আবির্ভূত ব্যক্তিরা অন্যান্য নবীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, এরূপ ধারণায় বশীভূত হয়ে একদল কলহে লিপ্ত ৷ মানুষ পারে না বিশ্বপ্রকৃতির সাথে  যুদ্ধ করতে, তারা নীরবে প্রকৃতির রায় মেনে নেয়; প্রতিবাদ করার মত ক্ষমতা মানুষের নেই ৷ এমন প্রকৃতির কথা যদি সত্য হিসেবে মেনে নেয়া না হয় তাহলে কোরআন, হাদিছ, ইঞ্জিল ও তাওরাত এর এতগুলি দর্শন ঈসার আবির্ভাব সম্পর্কে মানুষই তার পরিণতি ভোগ করবে, এ ঘোষণা প্রকৃতির ৷ ঈসা (আঃ) এর শুভাগমন সম্পর্কে যে সমস্ত আয়াত ইঞ্জিলে বর্ণিত হয়েছে তৎমধ্যে এ আয়াত যা বর্ণনা করেঃ- “এবং সূর্য চাঁদ ইত্যাদি স্থির থাকবে না ৷” (২৪ঃ১৭ মথি) ইঞ্জিল ৷
এ আয়াতের দুটো সময় বর্ণিত হয়েছেঃ (১) হযরত ঈসা (আঃ) এর আবির্ভাব কালে তারা, নক্ষত্র, সূর্য ও চাঁদ স্থির থাকবে না ৷ বস্তুতঃ তারা ও নক্ষত্র, সূর্য ও চাঁদ কোনকালে স্থির ছিল না ৷ বরং মানুষই ছিল এ ব্যাপারে অজ্ঞ ৷ সময় গড়িয়ে যখন আধূনিক যুগে মানুষ পদার্পন করল তখন ১৯২৮ সালে আবিষ্কার হল যে আকাশের তারা, নক্ষত্র, সূর্য কোনটাই স্থির নয়, বরং তারা আপন আপন কক্ষে ঘূর্ণয়ণে রত ৷ ১৯২৮ সালের পর কেউ এসে বলল না যে, তিনিই ঈসা মসি ৷ উল্লেখ্য যে দাবী কারক ব্যক্তি মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ১৯০৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন ৷ এবং (২) হযরত ঈসার আগমন  কিয়ামতের সংঘটিত হবার পূর্ব মূহুর্তে চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র কিছুই স্থির থাকবে না, সবই আল্লাহ ধূলিস্যাৎ করে দিবেন কোরআনের আলোকে ৷


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন