বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০১৪

আমার কথা প্রথম খণ্ড (৩৮)



আমার কথা   প্রথম খণ্ড (৩৮)
আবুলকালামআজাদবাসু
(CE0682 HUAWEI  Mobile Model E1550,
ID 558124 Support microsft.Com/ kb/ 558124

“তোমরা আমার এই জামাটা লইয়া যাও এবং ইহা আমার পিতার মূখমণ্ডলের উপর রাখিও; তিনি দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়া পাইবেন ৷ আর তোমাদিগের পরিবারের সকলকে আমার নিকট লইয়া আসিও ৷” ১২ (৯৩) কোরআন ৷
এই আয়াতের অর্থ ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে বলিয়া মনে হয় না ৷ যারা বাইবেল পাঠ করেছেন তারা নিশ্চয় নবী ইউসুফের ঘটনা জানেন ৷ আমাদের এমন অতি ভক্তি যে কোন নবীর দেখা মাত্র উহা ৷এমন এক জায়গায় বসায়ে নানান ব্যাখ্যা প্রদান ৷ সব নবীই আপন বৈশিষ্ট নিয়ে দুনিয়ায় এসেছেন ৷ বেশী কিছু লিখে আমি অপব্যাখ্যা করতে চাই না ৷ তবে কিছু নমুনা দেখলে পুরান স্মৃতির কথা মনে পড়ে এটিই আমার বলার ছিল ৷
“হে মুসলিম জাতি! তোমরা অনেক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছ ৷ আজ বিশ্বপ্রকৃতি তোমাদের দ্বার প্রান্তে উপস্থিত হয়ে আকুল আবেদন জানাচ্ছে যে, তোমরা অবলোকন কর, এ সব দৃষ্টান্ত যা তোমাদের কাছে আনয়ন করা হয়েছে ৷ নিশ্চয় তোমরা পূর্ববৎ একত্রিত হবে ৷ আজ তোমরা সকলে এ প্রকৃতির আহ্বানে সাড়া দাও, সত্য উপলব্ধি কর, তোমাদের মৃত্যু নেই ৷
‘সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের কাছে “মহাবিজ্ঞান” কম্পিউটার যুগে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে প্রতীক্ষিত ব্যক্তির আবির্ভাব কি উপেক্ষিত? হাদিছে বর্ণিত যে, ফজরের সময় তাঁর আবির্ভাব ঘটবে, এবং অন্য এক হাদিছে বর্ণিত যে ‘আছরের’ সময় ৷ এখানে লম্বা কিছু বলে বুঝাতে চেষ্টা করব না তবে একই ব্যক্তি দুসময়ে কি করে আসে? দুটো সময়ই প্রযোজ্য যদি প্রকৃতির নিয়মে আসতে হয় ৷ তার অর্থ মানুষ তাঁর আগমন বার্তা শুনতে পাবে ৷ (পূর্বাভাস) ৷’
‘বিশুদ্ধ চিত্ত ব্যক্তি বর্গ কখনও মহামানবের হাদিছ উপেক্ষা করে না, না তারা কখনও এসব বাক্যকে অবমাননা করে ৷’
“হে মুমিন গণ! তোমরা আল্লাহকে ষথার্থভাবে ভয় কর এবং তোমরা আত্মসমর্পণকারী না হইয়া কোন অবস্থায় মরিও না ৷” ৩ (১০২) কোরআন ৷
আল্লাহর কাছে আতমসমর্পণ করা ব্যতীত কাকও মরতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন ৷ আল্লাহর ইচ্ছা মানুষের ঐকান্তিক স্পৃহা তা আল্লাহরঅভিলাষ বলে ধরা যায় না ৷ নফসকে একমাত্র মৃত্যু বরণ করতে হবেই ৷ উহাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না ৷ তারপর নতুন জীবন রয়েছে ৷ তাতেও সংগ্রাম থাকবে ৷ তাই সব ধর্মাবলম্বীগণকে আহ্বান করা হচ্ছে, তারা যেন সৎপথে ফিরে আসে ৷ একদল বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহারান্তে, অনেক চেষ্টার মাঝেও খোঁজে পাচ্ছে না তাদের সেই প্রতীক্ষিত ব্যক্তিকে , কারণ যেথায় থাকে সন্ধান করা হচ্ছে , তিনিতো তথায় নেই ৷ তারা তাদের মিশনারীর মাধ্যমে খুঁজে রত আছেন বটে ৷ শেষ পর্যন্ত এমন না হয় যে খেজুর গাছের তলায় থেকেও তারা তা উপলব্ধি করতে হয়তো সক্ষম হবে না ৷ যেমন পারেনি সেকালের একদল ইহুদি ৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন