শয়তানের
ডায়েরী নয় তবে (১১)
আবুলকালামআজাদবাসু
(CE0682 HUAWEI
Mobile Model E1550,
ID 558124 Support microsft.Com/ kb/ 558124
“আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইভোয়ানির রাজীম “৷ ‘অভিশপ্ত শয়তান
হইতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করিতেছি ৷’
সত্য কি? শয়তানের ডায়েরী লিখতে শয়তান হতে হয় একথা ঠিক নয় বরং
কারণ থেকেও কারণ লেখা যায় ৷ খারাপ কাজের পুরষ্কার চাইলে একহাতে টাকা অন্য হাতে কম্বল
দিয়ে বলবে যা এবার পথে পথে ঘুরে খাও ৷ সুতরাং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না ৷ ছোট বেলায়
একটা রোগ মাথায় ঢুকুছে যে দৈত্যরাজ রাখালদের গরুর পালে সবার আগের বড় গরুর শিং এ বসে
থাকে ৷ তা নিতে হয় কলসী ভেঙে তার মূখের ভিতর দিয়ে তাকালে তাজ দেখা যায় ৷ জানা শুধু
জানাই রয়ে গেল ৷ তাজের মাথায় তাজ আছে সে তাজই যখন বুঝে না তবে আর বুঝবে কে ? শয়তান
তা বুঝতে দেয় না ৷ এমন এক গল্প ইহা সম্রাট শাহজাহানের মাথায়ও একদিন তাজ ছিল ৷ যার বদৌলতে
সম্রাট হয়ে প্রেমের নিদর্শন রাখতে গিয়ে বিশ বছরে বিশ হজার লোক শ্রম দিয়ে সৃষ্টি করল
একটি তাজ ৷ সাম্রাজ্য তৈরি করে বেমালুম ভুলে গেল রাজ্যের অধিবাসীর কথা ৷ এমন কি তাদের
সামান্য ফরিয়াদও কর্ণপাত করে না এদিকে রাজকোষ খালি ৷ হাহাকার অবস্থা ৷ তাজ তো তাজের
জায়গায় রইল পুত্র ধন রাজ্য শাসন করতে লাগল ৷ তাজের অধিকারী হয়েও শয়তানের বুদ্ধিতে সেই
তাজের ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারে নি ৷ মানুষেরও এমন এক সময় আসে বুদ্ধি থাকলেও নির্বোধ
হতে হয় নতুবা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খেতে হয় ৷ আর শাহজাহানকে ঐ রুমে বসিয়ে দিল যাতে তাজমহল
বা মমতাজের স্মৃতি মনে পড়ে ৷ তার দু মেয়ে ছিল একজন তো জাহানারা আর অন্য জনের কথা খুব
একটা প্রচলিত নয় ৷ শয়তানের ডায়েরী নয় তবে তো পাঠ করতে হয় এইরূপ:
“ইয়া হাকিমু” হে মহাজ্ঞানী ৷ এই নাম মধ্য রাত্র পড়িলে আল্লাহ
তায়ালা গোপনীয় বিষয় অপ্রকাশ্য রাখিবেন এবং
এলেম বূদ্ধি করিয়া দিবেন ৷”
‘
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন