মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩

শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (৫)



শয়তানের ডায়েরী নয়  তবে (৫)
আবুলকালামআজাদবাসু
মৌলানা নেছার একজন পীর এবং জ্বিন পরী ভিন্ন ভিন্ন জাতি তাঁহার ভক্ত ছিল বিধায় শয়তানের ডায়েরী যথাস্থানে নবী রাসুলদের কাহিনী বর্ণনা করে এবং তোমারও তাতে কিছু হয়তো অংশ ছিল কারণ অপবাদ কে নেবে ? আমি এমন একজন লোক সময়ে বাস্তব ছাড়া কিছুই বুঝি না ৷ তাই তুমি শুধু কথা বললে হবে না, তোমাকে আরও অনেক বড় এক ভূমিকায় প্রদর্শন করাতে চাই যদি আল্লাহ সহায় হন ৷
এইতো ভুল বলেছেন আল্লাহর সাথে কি আমার ভাব কোন অংশে কম ৷ আমি যদি তাঁহার পূর্ব পরিকল্পিত সৃষ্টির কথা আন্দাজ করতে না পারতাম তাহলে আদম জাতি ও আমার জাতি ভাইদের কি কষ্ট দিতাম ৷ অবশ্য এটাতে এক ধরনের সুখ রয়েছে, কাজ শেষ হয়ে গেলে হতাশায় জড়িয়ে পড়ার আগেই আমার নিষ্ঠাবান কর্মীরা তাদের খেদমতে উপস্থিত হয় ৷ তখন তারা আর তাদের ভুল বুঝতে পারে না ৷  মানুষ সৃষ্টির ইতিহাস তোমার সামান্য হলেও মনে আছে ৷ তুমি যে মৌলানা সাহেবকে কিছু দরকারী পছন্দসই রেওয়াত শিখতে বলেছ তৎমধ্যে একটি প্রসিদ্ধ রেওয়াত রয়েছে ৷ সেটা কি খুলে না বললে বুঝব কি করে ৷ তুমি তো সবার উপরে সর্দার ছিলে ৷ হ্যাঁ ৷ কেউ কেউ বলেন তবে ঐ মৌলানা সাহেব বলেছেন কিনা জানি না হযরত আজরাঈল (আঃ) পৃথিবীর এমন কোন জায়গা নেই যে স্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করে নাই মানুষ তৈরীর উদ্দেশ্যে ৷ এ সব মানুষকে ধাপে ধাপে বুঝানোর পথ আসলে এতে কি সত্য বা কি মিথ্যা জানি না ৷ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতো এক সাথেই ছিল আর উহাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিলে তো আর রেওয়াত অনুযায়ী মাটি সংগ্রহ করতে হয় না ৷ তোমার বক্তব্যটা কি ৷
আমি জানি আজকাল মানুষের রুচি বদলে গেছে ৷ পুরান ভূত প্রেত জ্বিন পরীদের পাতাল পুরীর দৃশ্য এবং তাদের মনমাতানো নাচ গানে আর বিশ্বাসী নয় ৷ কারণ এ সমস্তই পৃথিবীবাসী সহজে আয়ত্ত করে নিয়েছে ৷ মানুষ সৃষ্টির কথোপকথন এক জঢিল ইতিহাস ৷ সেই ইতিহাস পরে বর্ণনা করার আশা রাখি, তবে আমি শয়তান হলেও মানুষের মতন এতবড় বেঈমান নই ৷ প্রথমে মানুষের স্বভাবের কথা বলি ৷ জীবনে এবাদত বন্দেগী কি কোন অংশে কম করেছি তবুও আমার পরিণতি আগুনের ইন্ধন ৷ তাই মানুষের কথা ভাবি ৷ আমি না হয় দোযখ বা আগুনে অঙ্গার হয়ে যাবো তবুও যেন কিছু মানুষ দোযখ থেকে রেহাই পায় ৷ আমি ভুল বুঝে আদমকে হিংসা এবং অহঙ্কার করে অমান্য করেছি সেই ভুল শোধরাতে না পারলেও মানুষকে আমি প্রথমে ভুল পথে চলার আয়োজন করি বটে কিন্তু তখনি স্মরণ হয় আমারতো রেহাই নেই ৷ আমি জেনে শুনে আল্লাহর হুকুম অমান্য করেছি এবং আমার জন্য ঐ আগুনই বরাদ্দ হয়ে রয়েছে ৷ তাই কিছু করতে না পারলেও অন্ততঃ আফসোস করি কিন্তু মানুষ অকৃতজ্ঞ আফসোস তো দূরের কথা উল্টো তারা  নিজেরাই দোযখ সৃষ্টি করে ৷ দীর্ঘ জীবনে অনেক মানুষের ক্ষতি করতে পারতাম কিন্তু তেমন করিনি কারণ আমার পূর্বের ঘটনা আমাকে পীড়া দেয় ৷ কি জবাব দেব আমার যে ভুল হয়েছে তার জন্য আবার এর উপর নতুন শয়তান বানালে কি জবাব দেব ৷ এই ভেবে আজও আমার মতন কাকেও বানাতে পারি নি ৷ এদিক খেয়াল করলে আমার শিষ্যরাই অধিক খ্যাত ৷ তাদরকে যারা ভক্তি ও শ্রদ্ধা করে দেখা যায় তারা প্রাণও দিতে পারে তাই দেখে মনটা শান্তই থাকে ৷ আজ আসি ৷


সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩

অসূর জ্বিন



     অসূর জ্বিন
আবুলকালামআজাদববাসু
শত প্রাণ প্রকৃতির ধর্মে আত্মারাম
আত্মীয় তারা পরস্পর মানুষ বিবেকবান ৷
রক্ত বংশ জাত সবই  নাম সংকীর্তণ
আসল  বন্ধন আত্মার মিলন      জয়কীর্তণ  ৷৷ 
অঙ্কন দীর্ঘ নিশ্বাস বাস্তবতার নাই ঠাঁই,
কল্পণায় সৃষ্ট কল্পে হবে শেষ ভাব অশেষ;
মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব সূর আর অসূর
অসূর বিবেকহীন  মানুষ পণ্ডিতি পদ্মাসন;
কোরআনে অসূর বংশ মানুষের মিলনে পদার্পণ ৷    



রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

আমার কথা প্রথম খণ্ড (৩৩)



আমার কথা   প্রথম খণ্ড (৩৩)
আবুলকালামআজাদবাসু
‘যিশু তাদের বললেন, কেউ যেন তোমাদের না ঠকায় ৷ অনেকেই আমার নাম নিয়ে এসে বলবে আমিই সে-ই এবং অনেককে ঠকাবে ৷’ (১৩:৫,৬) মার্ক, ইঞ্জিল ৷
ইঞ্জিলের এ আয়াতদ্বয় মার্ক, মথি, লুক ও যোহন কর্তৃক বর্ণিত ৷ হযরত  ঈসা (আঃ) আগমনের পূর্বেই বহু লোক নিজেকে ঈসা মসিহ বলে দাবী করবে এবং বর্তমানে তাই ঘটেছে ৷ তাই সাবধান করা তাদেরকে যারা না বুঝে এ পথে পা রাখবে ৷ হযরত (সঃ) এক হাদীছে বলে গেছেন যে, প্রায় ত্রিশজনের মত লোক হযরত ঈসা মসিহ বলে দাবী করবেন ৷ এ ব্যাপারে খৃষ্ট সমাজের চেয়ে মুসলিম সমাজই বেশী এগিয়ে রয়েছে ৷ যদি কেউ ভুল পথে পা রেখে থাকে তাহলে এ মিডিয়ার যুগে সে নিজেই দায়ী ৷ কারণ এখন সবাই বোধশক্তি সম্পন্ন হয়ে উঠছে কেবল মিডিয়ার কারণে ৷ ইসলামে ইমাম মেহেদী ও হযরত ঈসা দাবী উত্থাপন কারীর সংখ্যা ত্রিশ এর অধিক ৷ ইমাম প্রথা ইসলামের একাধিক গোষ্ঠি মাঝে বহু পূর্ব থেকে চালু হয়েছে যেমনঃ ইসমাঈলী বংশধরগগণ ৷ তাদের ৪০ তম ইমাম বর্তমান ৷ উহা ছাড়াও বাহাই সম্প্রদায়ও পৃথিবী বুকে বর্তমান ৷ তারা বাহাউদ্দীনকে ইমাম মেহেদী বলে থাকেন ৷ তদূপরি ৩১তম ব্যক্তি মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীও ঈসা ও ইমাম মেহেদী দাবীকারক, যার রয়েছে প্রায় ১৩০টি দেশে মিশনারী ৷ তারা তাকে উচ্চ স্থানে উপবিষ্ট করায়েছেন ৷ তবে কতক রাষ্ট্র তার কপালে  কা  ফে  শব্দ অঙ্কিত করে দিয়েছেন  ৷৷
আলল্লাহপপাক এর ৷ নিিদর্শনাবলী ব্যতীত, কেহ যদি যুক্তিবাদীদের খপ্পরে পড়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিতে চায়, দেক ৷
‘যখন তোমরা যুদ্ধের আওয়াজ ও যুদ্ধের খবরা খবর  শুনবে, তখন ভয় পেয়ো না ৷ এসব হবেই কিন্তু তখনও শেষ নয় ৷ এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে, একরাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে ৷ অনেক জায়গায় ভুমিকম্প ও দুর্ভিক্ষ হবে ৷ কিন্তু এ সব কেবল যন্ত্রণার আরম্ভ ৷’ (১৩:৭,৮) মার্ক, ইঞ্জিল ৷
উপরোক্ত আয়াতদ্বয় ইঞ্জিলের সবর্ত্র বর্ণনা করা হয়েছে ৷ ইসলাম ধর্মের বর্ণনায় হাদিছে এ সব তথ্য যা পূর্বাভাসে বর্ণিত প্রকাশ করা হয়েছে ৷ ইঞ্জিল ও হাদিছ অনুসারে, বড় বড় মহাযুদ্ধ সংঘটিত হবে, ভূমিকম্প এবং দুর্ভিক্ষ হবে, বর্তমানে এসব অভিজ্ঞানের আর কিছু বাকী নাই ৷ দেখা যায় যে, এসব পরিচায়কের পূর্বেই এক ব্যক্তি নিজেকে মসিহ সম্রাট বলে পরিচয় প্রদান করতে ভুল করে নি ৷ তিনি অনেক মানুষকে ঠকায়েছেন, বাকপটুতায় তাদের বশীভূত করেছেন ৷ আমার কথা পাঠে তাদের ভুল ভাঙতেও পারে ৷ হযরত ঈসা (আঃ) এর উক্তি অনুযায়ী এ সব চিহ্ন কেবল শুরুর সময় দৃষ্টিগোচরীভূত হবে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে ১৯১৪ সালই হলো তার ইঙ্গিত ৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হয় ১৯১৪ সালে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত হয় ১৯৪৫ সালে ৷ সুতরাং উহার পূর্বে যে এক ব্যক্তি নিজেকে
ঈসা দাবীকারক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন তিনিও কিতাব মতে এক প্রতীক্ষিত ব্যক্তি বলে মনে হয় ৷ কারণ এরূপ হবার বর্ণনা ভাবী বাণীতে রয়েছে ৷ এ রচনায় কি প্রমাণ হয় না যে, কোরআন ব্যতীত অন্য ধর্মের প্রমাণও উত্থাপন করা হচ্ছে, এই উক্তিটি কেবল তাদের নিমিত্তে যারা দম্ভ করে বলেছেন যে, প্রমাণ আনয়ন করতে, যদি (কাদিয়ানীর) মোকাবিলা করতে হয় ! 


মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

কুহকিনীর ডঙ্কা (৫)



কুহকিনীর ডঙ্কা (৫)
আবুলকালামআজাদবাসু

আইন শৃঙ্খলা শান্তি বজায় রেখে সম্ভোগ কামনা বাসনা পূরণ হয়  আর শাস্ত্রনীতি তা ধাপে ধাপে দীর্ঘ সময় ধরিয়া অসৎ  হীন উদ্দেশ্য দূর করে  ৷ মানুষ স্বর্গপুরী অমরা এই উৎকর্ষপ্রাপ্ত বুদ্ধি মানুষের মাঝে সুপ্ত লুপ্ত ছিল, না ধাপে ধাপে বিবেক জাগ্রত হয়েছে তা আজ বলা দায় ৷ সম্ভোগ কামনা বাসনা আজ যে ভাবে লিখা হচ্ছে তা হয়তো একদিন এই বিবেকের কাছে বা বুদ্ধির কাছে জিম্মি ছিল ৷ আর এদের বিরুদ্ধে কিছু বলা হয়তো অপরাধ ছিল ৷ কারণ ঐ সব অত্যাচারী তখন কূলিন বা অভিজাত বংশ ছিল ৷ মানুষ আজকের মত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সমাহার নিয়ে পৃথিবীতে আসে নি ৷ তাই বলি মাটিই মানুষ, মানুষই মাটি ব্যতিক্রম কেবল বিবেক ৷ পুরাণ থেকে প্রমাণিত মানুষ প্রকৃতির কাছে অসহায় হয়ে যুগে যুগে নিজেকে যুগান্তকারী মানুষরূপে গড়ে তোলার সংগ্রাম করেছে ৷ পান পাতা চাষ করার মধ্যে বিবেকের কাছে যে অপরাধ সংঘটিত হয় তা স্বামীর অজানা নয় ৷ বরং এক প্রকার অবৈধ প্রথা বৈধতা লাভ করেছে ৷ শঙ্কা নয়, কেউ শঙ্কিতও হয় নি, না কোন অপরাধ ছিল, সেইদিন যখন  পিতা নিজের অবুঝ মেয়ের জ্ন্য গর্ত খনন করছিল ৷ তখন পিতার চোখে ধূলি ঢুকে পড়লে আদরের স্নেহময়ী মেয়ে নিজের কাপড়ের আঁচল দিয়ে তা পরিষ্কার করে ৷ আর সেই অবুঝ মেয়েটিকে জীবন্ত ঐ গর্তে পুঁতে কবর দেয়া প্রশ্ন জাগরিত হলে বলতে হয় মানুষ ধীর গতিতে বিবেককে জাগ্রত করেছে সময়ের তালে তালে ৷

খুব সুখী কি



খুব সুখী কি
আবুলকালামআজাদবাসু
তুমি কি অতি সানন্দে
তাহলে তুমি আল্লাহর নিকটতম বন্ধনে ৷
তিনিই তোমাকে করেছে ঝঞ্জাট মুক্ত,
কারণ তুমি তাঁর আলোতে আবদ্ধ ৷
তুমি কঠিন বেদনায় সিক্ত
জীবনের মর্মস্পর্শী হেতু সংঘটিত,
না, তিনি তোমায় করেছে পরীক্ষণ ৷
তুমি তো তাঁহার সাথেই আবদ্ধ;
হঠাৎ চকমকি তোমার সান্নিধ্যে
তুমি নিশ্চয় পেয়েছ তাঁর শক্তি ৷
ইচ্ছা দান সবই তাঁর প্রদত্ত,
তুমি কি অতি সানন্দে
আছ তুমি তাঁর বন্ধনে ৷
দূর কারও জন্যে ভাব তারুণ্য,
তুমি নহ কিন্ত কেহ একজনা
তোমার সমস্ত মনদিল আবৃত
স্মরণ করায় তোমার সেই শক্তি,
সে অপর কেহ নয় অসীম দয়া;
আংশিক আল্লাহর শ্বাস বাণী ৷
আনন্দ আহলাদ সাথে ভাব
লীলা কর আপন দেখ৷
অনুভব কর আনন্দ  নিজকে গড়,
সুস্থ  সতেজ সবল সম্পদশালী,
ভাব আল্লাহ আছে তোমায় ঘিরে ৷





শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

১৬ই ডিসম্বরে বিজয় নিশান



 ১৬ই ডিসম্বরে বিজয় নিশান
 আবুলকালামআজজাদবাসু

হে বাংলা মায়ের কোলের সন্তান   
তোমরা পরস্পর সবাই মানব আখ্যান ৷
ঐ সেদিন এক হাঁড়ির রান্না করেছ ভক্ষন ;
ইতিহাস ভুলে আজ তোমরা হয়েছ নন্দন ৷
মানব ভেদাভেদে কেউ যে খৃষ্টান,
কেউ হিন্দু কেউ যে মুসলমান ৷
মায়ের কোল মাতৃস্নেহ প্রবন
নিরাশ কাউকে করে না জ্বলে প্রাণ ৷
তোমরা সবাই এই মাটির সন্তান ৷
দ্বন্দ্ব কলহে কর না মাকে অপমান,
কোল করে খালি কর না মোরে নিঃসন্তান ৷
যতই কর বড়াই তিনি একক মহান,
যেইই করেছে বিশ্বাস, মাটি আমি প্রমাণ 
নেই তার শেষ, ভুলো না সেও তোমার আপন,
হাজার বছর পরে হলেও মা দিবে না বিসর্জন,
তার কোলে গড়া নিজ সন্ততি পুত্র সন্তান ৷
করতে পারে তারা ভিন্ন পথ সন্ধান,
তাতে তুমি হয়ে মহৎ  দেখাও সমীক্ষণ ৷ 
যতই করিবে রব হাম হাম হাম,
ততই দেখিবে মায়ের অশেষ যাতন ৷ 
বল কোমল সুরে তোম তোম তোম,
শীতল কর যত বুলি শক্ত আখ্যান ৷
কেউ হিন্দু কেউ যে মুসলমান,
ইতিহাস জানে মা, তোম আর হাম
আমরা সবাই মানব সন্তান ৷
নাহি তাদের ক্ষয়, নাহি আছে লয়,
পরস্পর হবে দেখা কামার করবে স্পন্দন ৷
সেদিন মাকে বুকে জড়ায়ে বলবে, ‘মা আমার’,
সত্য মা তুমি বলেছ আমরা বাংলা মায়ের সন্তান ৷
এক ঈশ্বর, এক আল্লাহ, এক ভগবান
করবো না দ্বন্দ্ব মিলে মিশে করব  দিনযাপন ৷
মা তুমি ঠিক বলেছ এক ঈশ্বর যিনি তিনি মহান,
ভুলের শাস্তি যত দাও, তবুও কর না পরখ
আমরা সবাই তোমার সন্ততি মানব সন্তান ৷
অন্যায় অবিচারে কেউ পাবে না পার,
তুমি হিন্দু , তুমি খৃষ্টান কি মুসলমান ৷
মহানের সৃষ্টি পৃথিবী, মায়ের জন্মদান,
কেউ যাবে না বিফলে কেবল শয়তান ৷
জন্মদাতা মা ও তার বুলি কে ভুলতে পারে!
শত বছর পর হলেও মা তাদের কোলে দিবে ঠাঁই ৷
তুমি কেন নিষ্ঠুর হয়ে তাদের করবে হনন!
যাদের মাতৃভুমি করে দিবে স্থান ৷
হিটলার দেখায় লক্ষ ইহুদি করে কতল,
পৃথিবী তারে দিয়েছে মানচিত্রে ঠাঁই ৷
তোম আওর হাম হ্যা কোন্ যদি লিখন
তাকে এ বাংলাদেশ তোমার আমার ৷
ধর্মে দিয়ে কভু গড়ে উঠে না স্বাধীন রাষ্ট্র,
তবে জর্ডান এবং ইরান একই রাষ্ট্র হত ৷
মতবিরোধ আর অপরাধ এক নয়
রাষ্ট্র সে কথায় বার বার কয় ৷ 
মতবিরোধ নিয়ে সহ অবস্থান,
মিলে মিশে গাইব  জয়গান
নিজের বর্ণমালাকে দিতে হবে,
সবার ঊর্ধ্বে স্থান,
মহান তাহাই করেছে  প্রমাণ ৷
ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় পবিত্র বিধান ৷
সবাই এক হয়ে গাও বাংলাদেশের জয়গান
একত্রে আজি উড়াও পতাকা বিজয় নিশান ৷







সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

নাহি বাঁধ



           নাহি বাঁধ
আবুলকালামআজাদবাসু

আমি রূহের গান গাইয়ে সাম্য মৈত্রী
বন্ধনে করি আবদ্ধ বৈমাত্রেয় ভাই
বোনদের, তোমরাও মিলে মিশে গাও
এ গান, তবে হিংসা বিদ্বেষ হবে দূর ৷
রূহই একমাত্র সৎপথের পথিক
তোমা আমা মাঝে নাহি আছে বাঁধ ৷
মানুষ যে কেবল নহে যে দোযখের
ইন্ধন, একদিন সত্যিই তরাবে সে,
যখন দেখিবে তুমি রয়েছ বিপদে,
গাও সাম্য মৈত্রীর গান, কর আবাদ,
মানুষে মানুষে নাহি আছে ভেদাভেদ ৷
রূহের দিক দিয়ে ভাব আমরা সব
এক সমান কি হিন্দু কি মুসলমান!
ধরণীতে ঈসা বুদ্ধ গাহিছে এ গান ৷


রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড – (৪)



আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড – (৪)
আবুলকালামআজাদবাসু


রূহ স্বচ্ছ আয়না
লা ইলাহা ইলাললাহু হু আল্লাহ হু
রূহহ পুস্প মাঝে রেখে, চেতনা শক্তি
দিলে ফুৎকারে তাই বলি যে হুআল্লাহু,
হুআল্লাহু , ভাবেতে মজিয়া হইলাম
বিলুপ্ত, রূহ কি ভাবে রয়েছে একাকী ৷
লা ইলাহা  ইল্লাল্লাহু ডাকিয়া ডাকিয়া
তোমারই মাঝে লুকাইছে রূহ; নুর
বলে, আমি আল্লাহর গুণাবলী পুস্প,
আমা মাঝে বাস তোমার, তুমি তো স্বচ্ছ,
আল্লাহু আকবর, আল্লাহ আকবর ৷
আমার মাঝে কর বাস তুমি তো স্বচ্ছ
আয়না, ডাক আল্লাহু আল্লাহ রাব্বানা,
দিল যে কাহার হয়েছে গো দেওয়ানা
ডাকি তোমায় আল্লাহ আল্লাহ রাব্বানা ৷
রূহ এক আয়না স্বরূপ ৷ সদর দপ্তরে অর্জিত ভাল ও মন্দকে পথ দেখায় ৷ রূহে কোন মন্দ নেই ৷ মন্দ দেখতে পাওয়া যায় নিজ জীব আত্মা মাঝে ৷ নুরকেও চেতনাশক্তি প্রদান করা হয়েছে নচেৎ সে সুষম সুঠাম হত না ৷ সেই সাথে চিরদিন বাঁচায়ে রাখার অঙ্গীকারও প্রদান করা হয়েছিল ৷ নুর আল্লাহর গুণরাজী থেকে সৃষ্ট ৷ রূহ নুরের মধ্যমণি ৷ রূহই আল্লাহর নৈকট্য লাভে সাহার্য করে থাকে ৷ চেতনাশক্তি বা চৈতন্যলাভ কি ভাবে সম্ভব হয়েছে ? পাক কোরআন ও হাদিছ বিশারদগণ বলেন, ‘হও’ শব্দ উচ্চারিত হবার সাথে সাথে তাঁর কল্পিত ইচ্ছা অনুযায়ী সব কিছু চৈতন্য প্রাপ্ত হয়েছে ৷ তিনি কে আবার ৷ তিনিই ঈশ্বর ৷ চৈতন্যকে বিশ্বাস করার অর্থই আত্মার জন্ম ৷ সুতরাং অনাত্মবাদই আত্মার কথা বলে ৷ বৌদ্ধ ধর্মে অনাত্মবাদ প্রচলিত কতক নীতি কথায় ৷ আত্মার বিনাশ হয় পরমাত্মায়, আর পরমাত্মা বিনাশ হয় সত্তা মাঝে ৷ একমাত্র সত্তার অধিকারী হলেন ‘আল্লাহ’ ৷


বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

ভবিতব্য



ভবিতব্য
আবুলকালামআজাদবাসু

মানুষ আর জ্বিন দৃশ্য আর অদৃশ্য
মানুষ অসহায় গায় গান খাজা বাবা
কেন যে মানুষে মানুষে এত পরখ
তাঁরা সাধক শয়তানকে করেছে পরাজয় ৷
আমার রক্ত করেছি সম্প্রদান খাজার তরে
মোহছেন আউলিয়া বাস করে বাংলাদেশে ৷
শয়তান বলে আমিও বিশারদ ভাবি
তাইতো সবাই আমারে করে জয় ৷
এ বাণী ঠেকাবে খাপ ছাড়া বুলি
আসলে কবি যিনি লিখেন ভবিতব্য
সত্য মিথ্যা বিজড়িত কতক  নিষেধ
আবার আমার কিছু সূর এমনি ভাবসূচক ৷
কবিতার নাই কিচ্ছা মন মাথানো মর্মান্তিক
জ্ঞান পরিধির বৃত্ত তাতে ঘোরে নিত্য ৷
মহান যদি হয় সহায় বৃত্তের আকার বাড়ায়
শয়তান তখন  দূর দূরে পালায় ৷
মানুষ আর জ্বিন দৃশ্য আর অদৃশ্য
মানুষ অসহায় গায় গান খাজা বাবা
কেন যে মানুষে মানুষে এত পরখ
তাঁরা সাধক শয়তানকে করেছে পরাজয় ৷








বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (৪)



শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (৪)
আবুলকালামআজাদবাসু
তোমার নাম উচ্চারণের আগে আমাকে কি যেন পড়তে বলা হয়ে ছিল  ৷ মনে পড়েছে ‘তা’আউয’ অর্থাৎ আউ’যুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বোয়ানির্ রাজীম  ৷ অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করিতেছি ৷ জনাব, আমার কথা লিখবেন আবার আমাকে দূরে সরাইয়া দিচ্ছেন তাহলে পরশ্পর আলাপ চারিতা কি ভাবে হবে? তোমার কথা শুনে আমাকে হতবাক না হয়ে উপায় কি ৷ আগে বল তুমি কোরাআণের বাণী সমূহ বিশ্বাস কর কিনা ? সেটার জবাব দিব না তবে মিথ্যা নয় ৷ তাহলে বল তুমি আগে বিতাড়িত হয়েছ না আদম ? সেটা তো জানা কথা শয়তান আগে বিতাড়িত হয়েছে তবে আমি পরোপকারী ৷ আমি সব সময়  সত্য প্রকাশ করি ৷ আগে বল দুজন এই তোমরা আদম পরিবার এবং তুমি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে থেকে কিভাবে সখ্যতা গড়ে তোলেছ ৷ এইতো এই সব কথা বলবো না বলেই তো ওয়াদা করেছিলাম ৷ তাইতো মৌলানা সাহবকে কিছু রেওয়াত গল্প কিচ্ছা কাহিনী শিখায়ে বড় করেছিলাম ৷ এই প্রশ্নের জবাব দিলে মানুষকে আর ভুলানো যাবে না ৷ কাকেও বলেছি সর্প হয়ে নিকটে যেতাম, কাউকে বলেছি সীমানায় গিয়ে ডাক দিতাম ৷ আজ আমি এই প্রশ্নের জবাব দিলে মানুষ আমাকে আর বিশ্বাস করবে না ৷ সবচেয়ে বড় কথা আমার এক পত্নী আছে যে সর্প হতে ভালবাসে এমনকি সে সর্প থেকে মানুষের রূপ নিতে পারে ৷ সে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে অবস্থান করে ৷ আদমের সাথে আমার প্রতিনিয়ত কথা হত  ৷ তবে আদমের চেয়ে তাঁ স্ত্রীর প্রতি মোহ কম ছিল না ফলে সখ্যতা মূলতঃ তাঁর সাথে ছিল৷ আগে যদি এই প্রশ্নের জবাব জনে জনে ঠিকভাবে দিতাম তাহলে হত কি? অনেক মানুষ আছে ঐ সর্প এবং আমার বলার কৌশল সবই জেনে যেত ৷ আমি বহু আগে থেকেই চিনি যে আপনি বাস্তব ছাড়া বিশ্বাস করার লোক নন ৷ কারণ একজন এমন রোগী জিরোতে কথা শুনেন এবং মধ্যে মধ্যে লিখেন ৷ কিন্তু মানুষ জিরোতে শুনে না ৷ এই যে কথা বলছি আর কেউ কি শুনছে? আমি একটু আঁচ করতে পেরেছিলাম যখন আল্লাহর আদেশ ফেরেস্তাদের কাছে আসে ৷ পারবো না কেন? আমি কি ফেরেস্তাদের সর্দার বা ইমাম ছিলাম না ৷ তাঁরা পরিষ্কার বুঝে আর আমি অস্পষ্ট শুনতাম তবুও তখন সঠিকই শুনতাম ৷ আমার গর্ব তো ওখানেই কোরআনে আমার কথাই বেশী লেখা হয়েছে আর আপনিই বা আমার ডায়েরী লিখবেন না কেন ? আমিতো মানুষের শিরা উপশিরাই যেতে পারি ৷ কিন্তু যাব কেমনে ? অবশ্য আমাকে ধরার মত লোক নেই তবে আপনার আচার আচরণ  আমার কাছে ভাল ঠেকাচ্ছে না ৷
কেন বুঝেন না? মানুষ জ্বিন এর চেয়ে বুদ্ধিমান হল কেমনে ? বেতার যন্ত্র তো আবিষ্কার করেছেন ৷ আর আমি সেইদিন আল্লাহর কাছে এই বেতার যন্ত্র চেয়ে নিয়েছিলাম ৷ যদি বিশ্বাস না হয় কোরআন ভাল করে পড়েন ৷ আমারও সুর লহরী আছে ৷ জনে জনে গিয়ে এ সুর লহরী শুনাই না ৷ যারা শুনতে চায় কেবল তাদের ৷ আমার অনুরোধ রইলো এমন কিছু পাঠ করবেন না যা আমার সুর লহরী না পৌঁছায় ৷ তখন আদমের বেলায় একটু অসুবিধা ছিল ৷ তথায় আমার প্রতিনিধি পাঠাতে পারতাম না ৷ কেবল এই সুর লহরী দিয়ে আলাপ এবং সৎ উপদেশ দিয়ে সব কিছুকে নীচে নামাইয়া এনেছি ৷ ফলে সব মানুষের মাঝে  কেন পথে ঘাটেও আমার ভক্তের অভাব নাই ৷
কেবল ‘ইয়া হাফীজু’ এই নামটা জপ করবেন না ৷ কারণ এই নাম লিখিয়া সঙ্গে রাখিলে পানিতে ডুবিয়া মরে না, আগুনে পুড়িবে না ৷ বাঘ, ভাল্লুক, জ্বিন, ভূত-প্রেত কোন অনিষ্ট করিতে পারে না ৷ সুতরাং এই নাম আমার এবং আমার জাতির জন্য অনিষ্টকর বিধায় এই নাম জপ্ করবেন না ৷ এখানেই আজ শেষ করি ৷











সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৩

বর্ণমালায় পরিচয়



      বর্ণমালায় পরিচয়
     আবুলকালামআজাদবাসু

সব ভাষাই আপন আপন মাতৃভাষা
আপন মায়ের বুলি ভাষায় আশা
বিশ্বে নিজ ভাষায় প্রকাশ ইচ্ছায়
রচিত মন কল্প বাড়ায় ভাষার
ইতিকথা তেমনি বাংলার বর্ণমালা ৷
লিখন আমার শূণ্য বর্ণ আমার কর্ণ
বিশ্বে বর্মালার ‘ব’ না হলে লেখা অপূর্ণ ৷
হাজারও ইতি কথা বর্ণিত ভরসা
এ লেখায় করিব সম্পুর্ণ ৷
হষতো একদা ছিল মহানের
বাণী তাঁর কথা না হয় হবে কেন
মানব জাতির বর্ণমালা ‘স’
বারে বারে করি প্রচার সেই কথা ৷
বাংলার বর্ণমালা আমার ভাষা
এই ভাষাতেই আমার সব আশা ৷
ইংরেজিতে করি প্রচার প্রসার
বাৎলাকে করি ধন্য
যদিও আমি অতি এক নগন্য ৷
নিজেরে করিব ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় সিদ্ধ
প্রচার প্রসারে বাংলাকে করব প্রসিদ্ধ ৷
ভালবাসিব সবাইকে নিজকে নিয়ে বুকে,
আমার কাছে কেউ নহে গো পর ৷
রচনা রচি কবিতা লিখি ভাবি বিশ্ব
বিশ্ব জুড়ে সব কিছু মহাকাব্যের ছায়াতলে
মহানের বাণী স্ব স্ব বর্ণমালায় বানাব তরী,
সেই তরী যোগে দিব মহাসমুদ্র পাড়ি ৷