আমার কথা প্রথম খণ্ড (৩৩)
আবুলকালামআজাদবাসু
‘যিশু তাদের বললেন, কেউ যেন তোমাদের না ঠকায় ৷ অনেকেই
আমার নাম নিয়ে এসে বলবে আমিই সে-ই এবং অনেককে ঠকাবে ৷’ (১৩:৫,৬) মার্ক, ইঞ্জিল ৷
ইঞ্জিলের এ আয়াতদ্বয় মার্ক, মথি, লুক ও যোহন কর্তৃক
বর্ণিত ৷ হযরত ঈসা (আঃ) আগমনের পূর্বেই
বহু লোক নিজেকে ঈসা মসিহ বলে দাবী করবে এবং বর্তমানে তাই ঘটেছে ৷ তাই সাবধান করা
তাদেরকে যারা না বুঝে এ পথে পা রাখবে ৷ হযরত (সঃ) এক হাদীছে বলে গেছেন যে, প্রায়
ত্রিশজনের মত লোক হযরত ঈসা মসিহ বলে দাবী করবেন ৷ এ ব্যাপারে খৃষ্ট সমাজের চেয়ে
মুসলিম সমাজই বেশী এগিয়ে রয়েছে ৷ যদি কেউ ভুল পথে পা রেখে থাকে তাহলে এ মিডিয়ার
যুগে সে নিজেই দায়ী ৷ কারণ এখন সবাই বোধশক্তি সম্পন্ন হয়ে উঠছে কেবল মিডিয়ার কারণে
৷ ইসলামে ইমাম মেহেদী ও হযরত ঈসা দাবী উত্থাপন কারীর সংখ্যা ত্রিশ এর অধিক ৷ ইমাম
প্রথা ইসলামের একাধিক গোষ্ঠি মাঝে বহু পূর্ব থেকে চালু হয়েছে যেমনঃ ইসমাঈলী
বংশধরগগণ ৷ তাদের ৪০ তম ইমাম বর্তমান ৷ উহা ছাড়াও বাহাই সম্প্রদায়ও পৃথিবী বুকে
বর্তমান ৷ তারা বাহাউদ্দীনকে ইমাম মেহেদী বলে থাকেন ৷ তদূপরি ৩১তম ব্যক্তি মির্জা
গোলাম আহমদ কাদিয়ানীও ঈসা ও ইমাম মেহেদী দাবীকারক, যার রয়েছে প্রায় ১৩০টি দেশে
মিশনারী ৷ তারা তাকে উচ্চ স্থানে উপবিষ্ট করায়েছেন ৷ তবে কতক রাষ্ট্র তার
কপালে কা ফে র শব্দ
অঙ্কিত করে দিয়েছেন ৷৷
আলল্লাহপপাক এর ৷ নিিদর্শনাবলী ব্যতীত, কেহ যদি
যুক্তিবাদীদের খপ্পরে পড়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিতে চায়, দেক ৷
‘যখন তোমরা যুদ্ধের আওয়াজ ও যুদ্ধের খবরা খবর শুনবে, তখন ভয় পেয়ো না ৷ এসব হবেই কিন্তু তখনও
শেষ নয় ৷ এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে, একরাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে
৷ অনেক জায়গায় ভুমিকম্প ও দুর্ভিক্ষ হবে ৷ কিন্তু এ সব কেবল যন্ত্রণার আরম্ভ ৷’
(১৩:৭,৮) মার্ক, ইঞ্জিল ৷
উপরোক্ত আয়াতদ্বয় ইঞ্জিলের সবর্ত্র বর্ণনা করা হয়েছে ৷
ইসলাম ধর্মের বর্ণনায় হাদিছে এ সব তথ্য যা পূর্বাভাসে বর্ণিত প্রকাশ করা হয়েছে ৷
ইঞ্জিল ও হাদিছ অনুসারে, বড় বড় মহাযুদ্ধ সংঘটিত হবে, ভূমিকম্প এবং দুর্ভিক্ষ হবে,
বর্তমানে এসব অভিজ্ঞানের আর কিছু বাকী নাই ৷ দেখা যায় যে, এসব পরিচায়কের পূর্বেই
এক ব্যক্তি নিজেকে মসিহ সম্রাট বলে পরিচয় প্রদান করতে ভুল করে নি ৷ তিনি অনেক
মানুষকে ঠকায়েছেন, বাকপটুতায় তাদের বশীভূত করেছেন ৷ আমার কথা পাঠে তাদের ভুল
ভাঙতেও পারে ৷ হযরত ঈসা (আঃ) এর উক্তি অনুযায়ী এ সব চিহ্ন কেবল শুরুর সময়
দৃষ্টিগোচরীভূত হবে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে ১৯১৪ সালই হলো তার ইঙ্গিত ৷ প্রথম
বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হয় ১৯১৪ সালে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত হয় ১৯৪৫ সালে ৷
সুতরাং উহার পূর্বে যে এক ব্যক্তি নিজেকে
ঈসা দাবীকারক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন
তিনিও কিতাব মতে এক প্রতীক্ষিত ব্যক্তি বলে মনে হয় ৷ কারণ এরূপ হবার বর্ণনা ভাবী
বাণীতে রয়েছে ৷ এ রচনায় কি প্রমাণ হয় না যে, কোরআন ব্যতীত অন্য ধর্মের প্রমাণও
উত্থাপন করা হচ্ছে, এই উক্তিটি কেবল তাদের নিমিত্তে যারা দম্ভ করে বলেছেন যে,
প্রমাণ আনয়ন করতে, যদি (কাদিয়ানীর) মোকাবিলা করতে হয় !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন