আমার
কথা দ্বিতীয় খণ্ড – (৪)
আবুলকালামআজাদবাসু
রূহ স্বচ্ছ আয়না
লা ইলাহা ইলাললাহু হু আল্লাহ হু
রূহহ পুস্প মাঝে রেখে, চেতনা
শক্তি
দিলে ফুৎকারে তাই বলি যে
হুআল্লাহু,
হুআল্লাহু , ভাবেতে মজিয়া হইলাম
বিলুপ্ত, রূহ কি ভাবে রয়েছে একাকী
৷
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ডাকিয়া ডাকিয়া
তোমারই মাঝে লুকাইছে রূহ; নুর
বলে, আমি আল্লাহর গুণাবলী পুস্প,
আমা মাঝে বাস তোমার, তুমি তো
স্বচ্ছ,
আল্লাহু আকবর, আল্লাহ আকবর ৷
আমার মাঝে কর বাস তুমি তো স্বচ্ছ
আয়না, ডাক আল্লাহু আল্লাহ
রাব্বানা,
দিল যে কাহার হয়েছে গো দেওয়ানা
ডাকি তোমায় আল্লাহ আল্লাহ
রাব্বানা ৷
রূহ এক আয়না স্বরূপ ৷ সদর দপ্তরে অর্জিত ভাল ও মন্দকে পথ দেখায়
৷ রূহে কোন মন্দ নেই ৷ মন্দ দেখতে পাওয়া যায় নিজ জীব আত্মা মাঝে ৷ নুরকেও
চেতনাশক্তি প্রদান করা হয়েছে নচেৎ সে সুষম সুঠাম হত না ৷ সেই সাথে চিরদিন বাঁচায়ে
রাখার অঙ্গীকারও প্রদান করা হয়েছিল ৷ নুর আল্লাহর গুণরাজী থেকে সৃষ্ট ৷ রূহ নুরের
মধ্যমণি ৷ রূহই আল্লাহর নৈকট্য লাভে সাহার্য করে থাকে ৷ চেতনাশক্তি বা চৈতন্যলাভ
কি ভাবে সম্ভব হয়েছে ? পাক কোরআন ও হাদিছ বিশারদগণ বলেন, ‘হও’ শব্দ উচ্চারিত হবার
সাথে সাথে তাঁর কল্পিত ইচ্ছা অনুযায়ী সব কিছু চৈতন্য প্রাপ্ত হয়েছে ৷ তিনি কে আবার
৷ তিনিই ঈশ্বর ৷ চৈতন্যকে বিশ্বাস করার অর্থই আত্মার জন্ম ৷ সুতরাং অনাত্মবাদই
আত্মার কথা বলে ৷ বৌদ্ধ ধর্মে অনাত্মবাদ প্রচলিত কতক নীতি কথায় ৷ আত্মার বিনাশ হয়
পরমাত্মায়, আর পরমাত্মা বিনাশ হয় সত্তা মাঝে ৷ একমাত্র সত্তার অধিকারী হলেন
‘আল্লাহ’ ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন