কুহকিনীর ডঙ্কা (৫)
আবুলকালামআজাদবাসু
আইন
শৃঙ্খলা শান্তি বজায় রেখে সম্ভোগ কামনা বাসনা পূরণ হয় আর শাস্ত্রনীতি তা ধাপে ধাপে দীর্ঘ সময় ধরিয়া অসৎ হীন উদ্দেশ্য দূর করে ৷ মানুষ স্বর্গপুরী অমরা এই
উৎকর্ষপ্রাপ্ত বুদ্ধি মানুষের মাঝে সুপ্ত লুপ্ত ছিল, না ধাপে ধাপে বিবেক জাগ্রত হয়েছে
তা আজ বলা দায় ৷ সম্ভোগ কামনা বাসনা আজ যে ভাবে লিখা হচ্ছে তা হয়তো একদিন এই বিবেকের
কাছে বা বুদ্ধির কাছে জিম্মি ছিল ৷ আর এদের বিরুদ্ধে কিছু বলা হয়তো অপরাধ ছিল ৷ কারণ
ঐ সব অত্যাচারী তখন কূলিন বা অভিজাত বংশ ছিল ৷ মানুষ আজকের মত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সমাহার
নিয়ে পৃথিবীতে আসে নি ৷ তাই বলি মাটিই মানুষ, মানুষই মাটি ব্যতিক্রম কেবল বিবেক ৷ পুরাণ
থেকে প্রমাণিত মানুষ প্রকৃতির কাছে অসহায় হয়ে যুগে যুগে নিজেকে যুগান্তকারী মানুষরূপে
গড়ে তোলার সংগ্রাম করেছে ৷ পান পাতা চাষ করার মধ্যে বিবেকের কাছে যে অপরাধ সংঘটিত হয়
তা স্বামীর অজানা নয় ৷ বরং এক প্রকার অবৈধ প্রথা বৈধতা লাভ করেছে ৷ শঙ্কা নয়, কেউ শঙ্কিতও
হয় নি, না কোন অপরাধ ছিল, সেইদিন যখন পিতা
নিজের অবুঝ মেয়ের জ্ন্য গর্ত খনন করছিল ৷ তখন পিতার চোখে ধূলি ঢুকে পড়লে আদরের স্নেহময়ী
মেয়ে নিজের কাপড়ের আঁচল দিয়ে তা পরিষ্কার করে ৷ আর সেই অবুঝ মেয়েটিকে জীবন্ত ঐ গর্তে
পুঁতে কবর দেয়া প্রশ্ন জাগরিত হলে বলতে হয় মানুষ ধীর গতিতে বিবেককে জাগ্রত করেছে সময়ের
তালে তালে ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন