বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৩

অমরত্ব


অমরত্ব
আবুলকালামআজাদবাসু
31/1/2013

পুরুষ শৌর্য বীর্যে প্রকাশে বীরত্ব,
রমণী প্রকাশে ধৈর্যে;
কোমলতা তার অরূপ বৈশিষ্ট্য
অভিমান প্রকাশে সৌন্দর্য
নারীর স্বভাব সুলভ আচরণ অভিবাদ্য;
কু-আচরণ সমাজের দুঃখের কারণ;
সম তালে চলন নারীধর্ম সতীত্ব,
আধারে চলন আত্মশ্লাঘা অভিশপ্ত ৷
নারীশিক্ষায় সমাজ উন্নয়ন অপরিহার্য,
মাতার সিদ্ধান্ত পথ পদ-রপ্ত,
আদর্শ পিতার ডাক নামসঙ্কীর্তন,
জীবনাদর্শ উত্তমে অমরত্ব ৷
কালক্রমে সবই হয় ধ্বংস,
যত জন জনার কৃতিত্ব,
অসৎ কর্ম পদদলিত,
নবুয়ত বেলায়-ত থাকে শ্রদ্ধায় জীবন্ত ৷
অফুরন্ত শোভা রয় বিরাজিত
সৎকর্মে জাগরিত আত্মার অমরত্ব;
মৃত কিন্তু মৃত্যুহীন দীপ্ত
ভুল বুঝা সংস্কার কণ্ঠস্থ ৷
নরনারী উভয় সমান অংশী
শিক্ষার নাই বিকল্প;
জ্ঞান আহরণ শিরোধার্য
একক জ্ঞান কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ৷
মৃত অথচ মৃত্যু হীন সব পদার্থ,
সক্ষম ফল দানে রোশনি,
পদাঙ্ক অনুসরণে জ্ঞান বিজ্ঞানে;
সদা জাগ্রত রোশনিতে অমরত্ব ?


রবিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৩

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (১৭)


পিতা কালামজন্ম কালো (১৭)
আবুলকালামআজাদবাসু
27/1/2013

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷
মোরে শুনে ভগরে করনাতিরষ্কার,
কলি অলি সব কুমারের কুম্ভ ওরে ৷
কৃষ্ণের লাল গোলাপী চাদরের তলে
নিকৃষ্ট জীব শুকর বসবাস করে;
সব গৃহে পালিত শুকরের দংশনে,
শয়তান সমর্থনে প্রাসাদ নির্মাণে
মানব গৃহ ধ্বংস প্রাপ্ত হয় আগুনে ৷
ইঞ্জিলে মহাশক্তি ও মহিমা কে জানে,
আলিফ, লাম, মিম অসীমের ব্যঞ্জনা ৷
তা ছয়শত ছেষট্টি বলে মনে হয়,
যোগে আঠার মানব বিদ্যমান রয় ৷


বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৩

এক দিনের অপেক্ষায়


এক দিনের অপেক্ষায়
আবুলকালামআজাদবাসু
24/1/2013

এক দিনের জন্য অপেক্ষা কর লোক সকল,
কারণ সৃষ্টি করা হয়েছে পথিমধ্যে;
সব গ্রামের লোকেরা চেয়েছে
বাস করতে একত্রে
একই জাতি হিসেবে
সংস্কৃতি দেখে নয়
কিন্তু আছে দর্শন ৷

তিন গ্রাম ছিল
কেউ কারও নিকটে ছিল না
তিনের এক ছিল বহুদূরে
অন্যটি ছিল কাছে ৷

কাছের গ্রামের লোক চালাক ও ধূর্ত
তারা সব সময় সমর্থন করতো দূর গ্রামকে
সেই স্বভাবের লোক অন্য দু গ্রামে এসে বাস করত
এ সব লোকেরা জুজু করতো দুর বাসীদের ৷

কেউ ছিল না দাঁড়ানোর কথা বলার
কিন্তু বহু ছিল তাদের আবেগ প্রকাশে
এমন দিন আসল দাঁড়াল ক্রোধে
তিনি বীরত্ব-প্রকাশে আকুল অধিকারের ৷

সেই অধিকার ছিল কাগজে কলমে
ঐ বীরত্ব-প্রকাশ-অধিকার অন্যরাও করেছে প্রকটন
ঐ আদি-প্রকাশ লোকের জন্য ছিল একান্তই নির্দেশিকা ৷
আজও  জ্ঞানীরা তার ইতি টানতে পারে নি ৷
কারণ কিছু ঐ স্বভাবের লোক এখনও দূর যায় নি
তারা হাতে নিয়েছে আর এক সুযোগ
তাদের পরস্পরা ভালতে বিষ প্রয়োগ করে
ঐ সমস্ত অসৎ জন্ম দিল লালসা
সত্য দিয়ে সমস্ত মিথ্যাকে ধ্বংস করতে হবে পৃথিবী থেকে ৷

নাহয় কিভাবে স্বপ্নের দিনের জন্য অগ্রসর হওয়া যায়?
উহা কি কখনও  শুষ্ক-তৃণ পরিণত হবে না ওহে!
সব লোক চিন্তিত একটি সুন্দর দিনের জন্য
মানুষ ঐ দিনের জন্য অপেক্ষায় ৷





সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৩

আমার কথা প্রথম খণ্ড (১৭)


আমার কথা   প্রথম খণ্ড (১৭)
আবুলকালামআজাদবাসু
22/1/2013

কত অসহায় হতভাগা মোর মত
অকালে তারা ঝরে পড়ে কালের অগ্রে,
সত্যে বিশ্বাস চল্লিশে উপনীত হলে ৷
হিন্দু অহিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ, মুসলিম,
দর্শনে মানব এই তার পরিচয়
তদনিম্নে নাম ধাম বংশ জাতি ধর্ম;
সত্য উপলব্ধির পূর্বেই কত লোক মৃত্যু বরণ করেছে তার কোন ইয়াত্তা নেই ৷ আল্লাহ নিজেই বলেছেন যে, কোরআনে ব্যক্ত করা হয়েছে যে প্রকৃত দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বা তাঁর ভাবনা আসে একজন লোক চল্লিশে উপনীত হলে ৷ তবে আল্লাহ যাকে হেদায়ত করেন তারা তারও পূর্বে আল্লার কাছে আত্মসমর্পণ করেন ৷ আল্লাহর নির্দেশিত পথ একটাই, সেটা ইসলাম ৷ তবু সবাই আল্লাহর বান্দা, আল্লাহর করুণা সবার নিমিত্তে রয়েছে ৷ মানব পরিচয় বংশ পরিচয়ের চেয়ে অধিক মূল্যবান ৷ তাই মানব সেবা ধর্ম মত নির্বিশেষে মহৎ কর্ম বলে গণ্য হবে ৷ (হয়তো আল্লাহর প্রতি বা তাঁর কাছে প্রার্থনা এইজন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যে কারণে তাঁর প্রতি প্রেম ভক্তি আসক্তি জাগরিত হবে ফলে মানব প্রেম ও ভালবাসা ও মানব সেবাও জাগরিত হয়ে উঠবে, বস্তুতঃ আল্লাহ কারও এবাদতের মূখাপেক্ষী নন ৷) উহা ছাড়া সব ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে ইসলামে অন্তর্ভূক্ত করণ হয়তো বিশ্বে এ রচনা অনন্য ৷
“বল, তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে রুহুল কূদ্স জিবরাঈল সত্যসহ কোরআন অবতীর্ণ করিয়াছে, যাহারা মুমিন তাহাদিগকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য এবং হেদায়ত ও সুসংবাদস্বরূপ আত্মসমর্পণকারীদের জন্য ৷” ১৬(১০২) কোরআন ৷
কথিত এ সত্য ও সতর্ক সংকেত বাণী যা বর্ণিত হচ্ছে তা জিবরাঈল (আঃ) ফেরেশতা নিজ থেকে বহন করে আনে নি বরং তাঁকে এ ব্যাপারে নিযুক্ত করা হয়েছে ৷ ইহাতে প্রকৃত সত্য নিহিত রয়েছে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না; ইহা কেবল তাঁদের জন্য যারা মুমিন ৷ এ বাস্তবতা নিজেদেরই বিবেচনা করতে হবে ৷ সত্যের দ্বার চিরজীবন উন্মুক্ত থাকবে ৷ মানুষের যুক্তি তর্কের ঊর্ধ্বে যিনি তাঁর অসীম ক্ষমতার কথা বর্ণনা করে তা কোনরূপ যুক্তি তর্কের আওতায় আনা যায় না ৷ অধম আরবী শিক্ষায় দীক্ষিত নয় বিধায় কারও সাথে সে ভাষায় যুক্তি পেশ করার পটুতা রাখি না বলে পাঠক পঠিকার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ৷
“ইহা এই জন্য যে, তিনি সত্যকে সত্য ও অসত্য অসত্য প্রতিপন্ন করেন, যদিও অপরাধীগণ ইহা পছন্দ করে না ৷” ৮(৮) কোরআন ৷
পূর্বাপর আয়াত সমূহের অর্থ ভিন্ন খাতে ব্যক্ত হলেও সহজ অর্থে এ সব আয়াত উদ্ভুত হয়েছে যাতে মূখ্য বক্তব্য সমূহ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায় ৷ কোন কোন জ্ঞানীদের ধারণা আল্লাহ এ সব সৃষ্টি করেই কোন হিসেব ব্যতীত চুপচাপ তাঁর আসনে বসে সব অবলোকন সবকিছু অবলোকন করছেন ৷ ইহা সম্পূর্ণ ভুল কথা ৷ যিনি প্রতিপালক তাঁর হিসেবে কোন ভুল নেই বরং তিনি বসে নেই ৷ কোন কাল যখন পূর্ণ হয় তখনই তিনি তখনই তিনি আনায়ন করেন আর এক কাল, মানুষকে দিয়ে ‘মসির’ সহায়তায় রচনা করান ধারালো অস্ত্র, ‘শক্তি’ যাহা দ্বারা মিথ্যা দাবীকারকের সমস্ত দাবীই লণ্ড ভণ্ড হয়ে যায় ৷
“স্মরণ কর, যখন ফেরেশতাগণ বলিল, ‘হে মরিয়ম! আল্লাহ তোমাকে তাঁহার পক্ষ হইতে একটি কলেমার সুসংবাদ দিতেছেন ৷ তাহার নাম মসীহ মারয়ম তনয় ঈসা, সে ইহলোকে ও পরলোকে সম্মানিত’ এবং সান্নিধ্য প্রাপ্তগণের অন্যতম হইবে ৷” ৩(৪৫) কোরআন ৷

কোনআনে উল্লেখ আছে যে, মরিয়ম (আঃ) যখন পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন তখন ফেরেশতা উপস্থিত হয়ে তাঁকে ‘কলেমার’ সুসংবাদ দিলেন অর্থাৎ মসীহের আগমন বার্তা শুনালেন ৷ তাঁকে ‘কালামুল্লাহ’ নামেও অভিহিত করা হয়েছে ৷ মসীহ ও কলেমাতুল্লাহ যেমন কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে তেমনি তা ইঞ্জিলেও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ (মসীহ নামের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে যেমন বাদশা বা রাজা, যে অর্থই করা হোক না কেন তা তাঁর জীবদ্দশায় পূরণ হয় নি ৷) মসি অর্থ বাংলায় ‘কলম’ আর এই কলমের বিশেষ অর্থ ব্যতীত কোন ঘটনা শেষ করা যায় না ৷ মানুষ যা সত্য বা মিথ্যা রচনা করে তা মসি দ্বারা সম্ভব হয়ে উঠে ৷ কিছুদৃর অগ্রসর হলেই পাঠক পাঠিকা দেখতে পাবেন যে, মির্জা কাদিয়ানী নিজেকে কলমের সম্রাট বলে দাবী করেছেন, এবং তার তুল্য এ ধরায় কেউ নেই বলে মিথ্যা দাবী ছুঁড়ে দিয়েছেন ৷ (অথচ কলম শব্দটির সাথে সেই ভাষায় মসি শব্দের কোন সামঞ্জস্য নেই ৷) এক্ষণে বেশী কিছু না বলে কেবল বলা যায় মসি দ্বারা মিথ্যা বানোয়াট উপাখ্যান, রূপকথা, গল্প রচিত বলে মির্জাকে ‘কলম মির্জা’ বললে অতুক্তি হবে বলে মনে হয় না ৷ তাই তাকে মসিহ গোলাম আহমদ কাদিয়ানী বলা যায় তার উপাধি অনুসারে ৷ উহার কারণ হিসেবে বলা যায় তার যুক্তি গুলো ধর্মীয় শাস্ত্রের অনুকূলে নয় ৷ যদিও তাদের দাবী মতে সেগুলো যথাযথ ৷ বেশিরভাগ যুক্তিই তার স্বপ্রণোদিত উক্তি ছাড়া আর কিছুই নয় ৷
“তুমি কখনও মনে করিও না যে, জালিমরা যাহা করে সে বিষয়ে আল্লাহ গাফিল, তবে তিনি উহাদিগকে সেই দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন যে দিন তাহাদিগের চক্ষু হইবে স্থির ৷” ১৪(৪২) কোরআন৷
সাধারণভাবে বুঝা যায় যে, শয়তান যখন কিয়ামত অবধি অবকাশ পেয়েছেন তখন যারা জালেম সম্প্রদায় তারা যদি ওহীপ্রাপ্ত হবার কথা মিথ্যার সাথে প্রচার করতে থাকে তাহলে তাদের কেন অবকাশ দিবেন না? ইহাতে আশ্চার্য হবার কিছু নেই ৷ তবে এ সন্মন্ধে আল্লাহ সম্যক জ্ঞাত আছেন ৷ (মিথ্যা ওহী দাবীদার মির্জা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার কারণে তার ভক্তরা আশ্চার্যন্বিত হয়েছেন) এ কর্ম যতই ভাল বা খারাপ হোক না কেন সত্য যা তা বলা প্রয়োজন বোধ বলে মনে করছি ৷ পাঠক সমাজই তা বিবেচনা করবেন ৷ “হে খোদা একজন অজ্ঞ, পাপী দ্বারা তোমারই নির্ণীত মসিকে সম্মুখপানে কিভাবে পরিচালনা করি ! তুঁমি শক্তি প্রদান কর যাতে জালিম মিথ্যুকের বেমানান যুক্তিগুলোকে সত্য দিয়ে আঘাত করতে করতে চূর্ণ বিচূর্ণ করে তোঁমার সমর্থনে সত্যের ইতিহাস রচনা করতে পারি ৷ এ সামর্থ্য তুঁমি অর্পণ কর ৷ আমিন ৷



শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৩

মন বাগানে

মন বাগানে
আবুলকালামআজাদবাসু
19/1/2013

এ হালতে রাইখ্যা মোরে কইছ কথা,
আমায় জানাইয়া তোঁমার হৃদয়ের
কাকুতি মিনতি, নিবাইলে যত ব্যথা;
পরম বিশ্বাসে এঁকেছি যে ছোট বাসা ৷
আমি যে একা তোমার কি বা আমি হই!
অবুঝ বলে আমি নাহয় করেছি যে
প্রেম নিবেদন; আমায় প্রেমের সাড়া
দিয়ে বলি-ছ তুঁমি, তোমারে যে রাইখ্যা
একা, আমি এসেছি ভবে রূপ-কাননে ৷
ফুলের সুবাসে হয়েছি যে মত্ত-হারা
আমি, তাইতো বহুকাল ধরে তোঁমায়
ভুলে কাটিয়েছি জীবন এ বৃন্দাবনে ৷
তুঁমি কি আসিতে পার না মন বাগানে !



বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৩

কে আমি?


কে আমি?
আবুলকালামআজাদবাসু
18/1/2013
যদি এরূপ প্রশ্ন কেউ কারও কাছে করে তার উত্তর কি হবে ৷ প্রথমে নিজের অভিমত ব্যক্ত করি ৷ জনগণের উদ্দেশ্যে এই যে হয়তো লোকটি পাগল বা ক্ষিপ্ত ৷ কোন রকম তথ্য বা মান্য-কর কিছুই ছাড়া একজন লোক সম্পর্কে বলা অথবা এরূপ ব্যক্তির প্রশ্নের জবাব দেয়া সত্যিই বিব্রত-কর ৷ যাহা হোক দুর্বল বা এলোমেলো লেখক হিসেবে লোকে এ প্রশ্নের উত্তরে মন্দই বলবে ৷ তাদের বা জ্ঞানীদের এ বলা বা ভদ্রতা-মিকে অব-মূল্যায়ন করা আমার উচিত হবে না ৷ যতটুকু শুনেছি একজন মহৎ লোক মানুষকে সেবা করতেন, তিনি একটি ঠেলা গাড়ী চালাতেন ৷ তাঁর দৃঢ় ইচ্ছা ছিল কোন এক বড় দেশের প্রেসিডেন্ট হবেন ৷ সত্যিই এমন একদিন আসল তিনিই সে দেশের প্রেসিডেন্ট হলেন ৷ যখন তিনি নগণ্য ছিলেন তখন যদি এই ধরনের প্রশ্ন করতেন লোকে তাঁকে ইচ্ছামত যা তা বলতেন ৷ সত্যিকার অর্থে তিনি তাঁর প্রবল ইচ্ছা অনুযায়ী জীবন পরিচালিত করেছেন ধীর ও সুস্থ গতিতে যাতে সেই গন্তব্যে পৌঁছেন ৷ ভালো কর্মের ফলে জীবন গড়ে তুলতে তিনি সফলতা লাভ করেছেন ৷ প্রত্যেক মানুষ আজ তাঁকে অন্তর থেকে স্মরণ করে থাকে ৷ সেইরূপ হবার আশায় যে কেউ কেন ভাল-কর্ম করবে না যাতে লোকে ঐ লোককে স্মরণ করে ৷
আমার আশা কি ঐরূপ সেই লোকের ন্যায় বড় কোন দেশের প্রেসিডেন্ট হবার জন্যে ৷ হয়তো এরূপ কিছুই নয় তবে হঠাৎ লোকটি তার জ্ঞানহীনের কারণে অথবা আবেগ প্রবণতা থেকে সাধারণের কাছে ইহা উত্থাপন করেছেন ৷ কোন কিছু বর্ণনে বা দর্শন, লোকের কাছে তুলে ধরতে, হোক সেটা ভাল বা মন্দ, উপযুক্ত বা অনুপযুক্ত, তাতে বের হয়ে আসে মনস্তত্ত্ব, পাণ্ডিত্য, সামাজিক মর্যাদা, জাতীয়তা এবং অন্যান্য অনেক কিছু যা সাধারণ জানতে পারে ৷ এ সমস্ত এড়িয়ে কোন দৈব শক্তি বলে অন্যের কাছে তা গণনায় আনবে?
ঈসা (আঃ) জ্ঞানী-রূপে পরিচিত হয়েছেন রাতারাতি মোজেজা দেখিয়ে যে একজন মানুষ দুবার জন্মেছে দুবার মৃত্যু বরণ করেছেন ৷ যখন ঈসা (আঃ) কবরস্থানে গিয়ে কোন একব্যক্তিকে আল্লাহর হুকুমে উঠে আসতে আদেশ করলেন তখন প্রথম ডাক সেই ব্যক্তির কর্ণ গহ্বরে প্রবেশ করল দ্বিতীয় ডাকে তার সমস্ত দেহ একত্রিত করল এবং তৃতীয় ডাকে সেই ব্যক্তি জীবন লাভ করে উঠে আসল ৷ ইহা এইরূপ যে মাটি তাকে তার গর্ভ থেকে বের করে দিল বা দ্বিতীয়বার জন্ম দিল ৷ মৃত ব্যক্তি পুনরায় তার পরিবারের সাথে বসবাস করেছেন এমনটিও ইঞ্জিলে পাওয়া যায় ৷ সুতরাং ঐ ব্যক্তি আল্লাহর কুদরতে দুবার জন্মেছেন এবং দুবারই মৃত্যু বরণ করেছেন ৷ এভাবে জনপ্রিয়তা রাতারাতি তিনি অর্জন করেছেন মোজেজা বলে ৷ এই লোকটার কি সেইরূপ কোন ক্ষমতা আছে যে মানুষের কাছে প্রশ্ন করতে পারে ‘আমি কে’ ?
শয়তানের মত পেছনে একদল সৃষ্টি করে অন্যায়ভাবে মানুষের সাথে এ নিয়ে তর্কাতর্কি করতে পারে ? একদা একজন ধনী ও একজন গরীব পাশাপাশি বাস করত ৷ গরীব লোকটির চতুর্দিক ঐ ধনী লোকটির জায়গা জমি ৷ কোন কারণে সমাজের মান্য ব্যক্তির কাছে গরীব লোকটি শরণাপন্ন হয়ে ঐ ধনী ও গরীব লোকটির জায়গা মাপ দেবার আবেদন করলেন ৷ মাপে দেখা গেল গরীব লোকটির যা থাকার কথা তার চেয়েও কম জমি রয়েছে ৷ ঐ জমির লোভ ত্যাগ করে গরীব লোকটি আবেদন করল শুধু  রাস্তার জন্যে ৫ফুট বাই দেড় ফুট জায়গা ছেড়ে দেয়া হোক যাতে রাস্তাটি আরও একটু প্রশস্ত হয়ে যাতায়াতের সুবিধা হয় ৷ যেখানে কোন বাড়ী ঘর নেই কেবল জমি ৷ ঐ মান্য-কর ব্যক্তিটি উত্তরে বলল আমিতো ঐ কথা সেই ধনাঢ্য ব্যক্তিকে বলতে পারব না ৷ তার উত্তরে গরীবটি বলল দেখুন আমি উক্ত জমির দাম এবং ক্ষতিপূরণও দেব ৷ ভালো কাজ করার মানসিকতা তো দূরের কথা বরং উল্টো কিছু লোককে উস্কানি দিয়ে গরীবের ঘর ভাঙ্গার ইন্ধন দিতে লাগলো ৷ দেখা গেল পনের দিন গত হতে না হতে জনসাধারণ তাকে ঐ পদ থেকে অপসারণ করলো ৷ আমার কি সেই ক্ষমতা আছে যে ঐ রূপ শয়তানী কর্ম করি একদল লোক অসৎ পথে সৃষ্টি করার ?
সুতরাং এ প্রশ্ন আশ্চর্য যে ‘আমি কে’? যার কোন সামাজিক মর্যাদা নেই, নাই কোন ধন সম্পদ, তদুপরি না আছে কোনরূপ ঐশ্বরিক ক্ষমতা এ হেন প্রশ্ন জনসম্মুখে তুলে ধরা  নিতান্তই লজ্জাজনক ৷ আজকাল দুনিয়া এমন যে একে অপরের কাছাকাছি মিডিয়ার মাধ্যমে ৷ একে অপরের সাথে সহজেই যোগাযোগ করতে পারে ৷ ইহা বিজ্ঞানের দান এবং বিজ্ঞানীদের অবদান ৷ এমনই তরঙ্গে এ প্রশ্ন সবার কাছে উত্থাপন করা হয়েছে ৷
এটা কি এমন লোকটির পেছনে কৃষ্ণ, বুদ্ধ, ঈসা বা অন্যরা কাজ করছে এরূপ ঘটনা ব্যক্ত করার জন্য ? কোনটাই ধারণা আসে নি মনে, সেই কথাগুলি ছাড়া যে শোনা শব্দ গুলি মহান আল্লাহর ছিল ৷ সুতরাং এই গুলি মানুষের জানা দরকার যাতে ভবিষ্যতে আল্লাহর ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয় ৷ আল্লাহর ইচ্ছা কি? তা মানুষের জানা প্রয়োজন কারণ আল্লাহ সব বান্দাদের সমভাবে ভালবাসেন ৷ সুতরাং মানুষের উচিত আল্লাহকে ভালবাসা আর কাকেও আল্লাহর শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যেভাবে শান্তিতে বসবাস করা যায় ৷


মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩

কোন দেবতা নেই


কোন দেবতা নেই
আবুলকালামআজাদবাসু
15/1/2013

কোন দেবতা নেই
কিন্তু ঈশ্বর,
কোন রাঁধা নেই
কিন্তু রাধিকা,
এই সত্য প্রাপ্ত ৷
এটা সব সাহিত্যে বিদ্যমান ৷
করেছে তিনি এ সংবাদ প্রদান
 সত্য আদর্শটি আমার নয়;
ইহা সৃষ্ট ঘটিত খোদাই,
ইহা কেন কারণ আমার জন্ম ৷

আমি সত্যি বলি
মিথ্যাকে শীঘ্রই অপসারণ করতে
অনুসরণ করার কেউ নেই
তুমি কি ইহা কর না বিশ্বাস?
এ বিষয় চাঁদ থেকে
জানা নেই তাঁকে
তবুও জানি
যা পেয়েছি তা দৃশ্যত
এভাবে এই পুস্তক সংগৃহিত ৷
কে আলোকিত হতে চায় না?
এখনও জানা নেই রাঁধা কে?
কোথাও পাওয়া যায় নি
আমি কি ঐ কথা বলেছি! না,না
কারণ আমি কারণে জন্মেছি ৷

আমি সত্যি বলি
মিথ্যাকে শীঘ্রই অপসারণ করতে
আমি এসেছি গোপন করতে নয়
কিন্তু রাঁধাকে আরও উজ্জ্বল করতে
তাই আমি ৷
আমার কিছু বলার নেই
সূক এবং সারি সব বলেছে
তুমি কি তা নিয়ে করবে না তাড়াতাড়ি?
কোনও দেবতা নেই
কিন্তু ঈশ্বর,
কোনও রাঁধা নেই
কিন্তু রাধিকা,
এ শ্লোক সত্য নয়
রাঁধাকে পেয়েছি
সে কোথায়?
সে তো সে নয় ৷
ওহে তুমি দেখতে পাও নি!
আমার নাম কালাম.
এবার তমি সর্ব বৃহৎ বালাম দেখ ৷
‘ক’ অক্ষর কৃষ্ণের
‘ম’ অক্ষর আমার
মধ্যবর্তী আলা শব্দ বাকী
এখন দেখ এই শব্দ আলা-উপনিষেদ
আমি ডানে
কৃষ্ণ বামে
মধ্যবর্তী স্থানে আর একজন
এখন কি রাঁধাকে দেখতে পাও?

আমি এসেছি গোপন করতে নয়
কিন্তু রাঁধাকে আরও উজ্জ্বল করতে
এখন আমি অস্থির
কারণ আমি কারণে জন্মেছি ৷


রবিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৩

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (১৬)


পিতা কালামজন্ম কালো (১৬)
আবুলকালামআজাদবাসু
14/1/2013
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷
গুঢ়-রহস্য ছিল মানব গুপ্ত-ভেদ,
প্রজ্ঞার অন্তরের রূপ আত্মার গুণ
ভোগ করবে সুখ তাঁর নন্দন তত্ত্ব,
কে তুমি আমি শ্রেষ্ঠ বন্ধু মহিমান্বিত?
সৃষ্ট মানবের জীব হত্যা কি সাধ্য-রে,
তোমার নিকৃষ্ট জীবকে নিধন করে!
মহামানবের বাণী মিথ্যা নয় তবে,
তত্ত্ব জ্ঞানীদের কি শুধাই ভবলোকে!

বুধবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৩

অন্তঃ-নৌ-যানে


    অন্তঃ-নৌ-যানে
আবুলকালামআজাদবাসু
9/1/2013
আর কতকাল কাটাব নদীর ধারে,
কবে পার করি-বা মোরে অন্তঃ-নৌ-যানে ?
বসে রইলাম চাহিয়া প্রেমের টানে
যদি হয় দেখা বেলায় তোমার সনে ৷

আর কতকাল কাটাব নদীর ধারে,
তুমি একি শুধা-লে অজানা বুলি মোরে?
নহি আমি অন্ধ প্রেমিক প্রেমের-হাটে,
ভুলে বসাইল মোরে প্রেম আসনে ৷

প্রেম উন্মাদনা কার কারণে জন্মেছে,
প্রবাহ উপচে পড়ে নদীতট জলে ৷
আর কতকাল কাটাব নদীর ধারে,
কবে পার করি-বা মোরে অন্তঃ-নৌ-যানে ৷

দেখা যদি হয় কোনদিন মোর সনে,
পাষাণ হৃদয় গলাইব আলিঙ্গনে ৷
আর কতকাল কাটাব নদীর ধারে,
কবে পার করি-বা মোরে অন্তঃ-নৌ-যানে ৷


সোমবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৩

আমার কথা প্রথম খণ্ড (১৬)



আমার কথা   প্রথম খণ্ড (১৬)
আবুলকালামআজাদবাসু
8/1/2013
মনশ্চক্ষু দ্বারা ভাবি মর্ম-লব্ধ জ্ঞানে,
হিন্দু, অহিন্দু সবারে তরা মহাজ্ঞানী,
কি হালে কেটে গেল আটত্রিশ বৎসর!
কত অধম, জানি না কভু কাদিয়ানী,
কি তার মত অভিমত, কে বা বাহাই!
স্ব স্ব ধর্মে নাহি বিচারীর বিচরণ ৷
প্রকৃত সাধু, অলি আল্লাহ, সন্ন্যাসীদের কাছে বর্ণ, ধর্ম বড় নয় বড় হল মানব ৷ কে কোন ধর্মের তা বিবেচ্য বিষয় নয়, আল্লাহর বান্দা ইহাই তার পরিচয় ৷ এ সম্বন্ধে বলতে গেলে বলা যায় যে, হযরত ঈসার (আঃ) এর আবির্ভাব কেবল মুসলিম কিংবা খৃষ্টানদের জন্য সীমাবদ্ধ নয় কারণ তিনি (আঃ) যে কিয়ামতের নিদর্শন ৷ সুতরাং যে কেউ এ বচন উচ্চারণ করবে তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার মনে করি ৷ আটত্রিশ বৎসর যখন বিনা শ্রমে কেটে গেল, বাকী জীবনটা যদি হেলায় না কাটে তার নিশ্চয়তা দিতে না পারলেও প্রচেষ্টা চালাতে অসুবিধাটা কোথায় ? জানা ছিল না যে, কাদিয়ান সম্প্রদায় ও বাহাই সম্প্রদায়ের দর্শন, আরও অবগত ছিলাম না যে, এরূপ সম্প্রদায়ের মত ইসলামে ভিন্ন ভিন্ন মতাবলম্বীগণ রয়েছে ৷ স্বধর্মেই যখন অজ্ঞ তখন অপর কোন ধর্মের মতামত সম্পর্কে কিভাবে সংজ্ঞা থাকা সম্ভব?
“আল্লাহ তাহাদিগের সংগে আছেন যাহারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যাহারা সৎকর্ম-পরায়ণ ৷” ১৬(১২৮) কোরআন ৷
এ আয়াত থেকে এতটুকু জানা যায় যে, যারা নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে তাঁরা সৎকর্ম-পরায়ণ ৷ কিন্তু তা অর্জন করা মনে হয় কঠিন ৷ পাঠক সমাজ! আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন মসি-কাদিয়ানী সাহেব এ ধরায় আনয়ন করেছে ৮৪ খানা পুস্তক, যা রচনা করে বনিয়াদের মদদ-পুষ্টে আজও প্রচার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন ৷ নির্ণীত মসি দিয়ে মসি সম্রাটের ভিন্ন ধর্মমত, অপ-ব্যাখ্যা, নবী-দাবী এবং সেই সাথে ঈসা ও ইমাম মেহেদী ধরিত্রী থেকে মুছে ফেলার সঙ্কেত নামা প্রদর্শিত হয়েছে ৷ এ প্রকল্পের সুরাহা যতই কঠিন হোক না কেন তা খুঁজে বের করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে ৷
“কেহ ক্ষমতা চাহিলে সে জানিয়া রাখুক সকল ক্ষমতা আল্লাহরই ৷ তাঁহারই দিকে পবিত্র বাণী সমূহ আরোহণ করে এবং সৎকর্ম উহাকে উন্নীত করে আর যাহারা মন্দ কার্যের ফন্দি আঁটে তাহাদিগের জন্য আছে কঠিন শাস্তি ৷ তাহাদিগের ফন্দি ব্যর্থ হইবেই ৷ ৩৫(১০) কোরআন ৷
ক্ষমতার জন্য লড়াই করা মানে পরিণামে বিশ্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, আরও বেশী উদ্যত হয়ে মহা-গ্রন্থের বাণী ও যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করে যথাযোগ্য প্রমাণ অবতারণা করতে পারলে, হৃদয়ের মন্দ যা ফন্দি রূপে ছিল তা জনসমক্ষে চাক্ষুষ দরপনের কলঙ্ক হিসেবে আখ্যায়িত হবে ৷ আসলে যে স্বপ্নের কথা পূর্বে বর্ণিত হয়েছে উহা-তো কেবল স্বপ্নই ৷ এরূপ স্বপ্নকে ঘিরে দুর্ভেদ্য রচনা করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভবাতীত, যদি না তার পেছনে অতি সত্য নিহিত না থাকে ৷ সেদিন অজ্ঞতার কারণে তা পূরণ করা সম্ভব হয়নি ৷অধিক জ্ঞানী বা চল্লিশে উন্নীত হলে সদর দপ্তরে অদৃশ্যের জ্ঞান সংযোজিত হলে বা প্রতিপালকের ঈশারা, ইঙ্গিতে এ পুস্তক রচনা করার আশা নেহায়-ৎ কম ছিল না; কিন্তু সে আশাও গুড়ে-বালিতে পরিণত হল ৷
“কেহই জানে না জন্য নয়ন প্রীতিকর কি লুক্কায়িত রাখা হইয়াছে তাহাদিগের কৃতকর্মের পুরষ্কার স্বরূপ ৷ ৩২(১৭) কোরআন ৷
আল্লাহ রাব্বুল আলা-মিন মানুষের কোন কর্মকে ব্যর্থ হিসেবে গণ্য করেন না, সৎকর্ম হলে তার জন্য রয়েছে উপযুক্ত পুরষ্কার এবং অসৎ কর্ম হলে তার শাস্তিও সে জন ভোগ করে থাকেন ৷ বরেণ্য কোন কর্ম মানব কর্তৃক সাধিত হলে তিনি তার এমন পুরষ্কার রেখেছেন যা কল্পনাতীত ৷ সর্বজ্ঞানীর কলা কৌশল বুঝা বড়ই দুষ্কর ৷ মানুষ বাস্তব ব্যতীত অন্য সকল তাদের অনুমান-লব্ধ থেকে নিঃসৃত; তৎমধ্যে কিছু সত্য বলে প্রমাণিত, অন্য সকল সংশয় যুক্ত ৷ কোরআনে সংশয় যুক্ত বলে অভিহিত যা, তা কিয়ামত অবধি সন্দেহের মধ্যে থাকবে, উহার সঠিক ব্যাখ্যা বা স্থির মতামত পেশ করা কোরআনের প্রতিকূলে মতামত পেশ করার শামিল ৷ সে-ই অপকর্মের শাস্তি যে কি হবে তা তিনিই ভাল জানেন ৷
“আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং উহাদিগের অন্তর্বর্তী কোন কিছুই আমি অযথা সৃষ্টি করি নাই ৷ এবং কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী; সুতরাং তুমি সৌজন্যের সহিত উহাদিগের ক্ষমা কর ৷” ১৫(৮৫) কোরআন ৷
আকাশমণ্ডলীর যাবতীয় বস্তু সকল মানুষের অধীন করা হয়েছে এবং তাদের উপকারে সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ আল্লাহ-তায়ালা সৌজন্যের সাথে তাদেরকে ক্ষমা করতে বলেছেন যারা না বুঝে নবী-রসুলদের সাথে কটূক্তি করে থাকেন, অবশ্যই কিয়ামত দিবসে তাদেরকে যথাযথভাবে বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে ৷ এ কিয়ামত সঙ্ঘটিত হবার পূর্বে আল্লাহ সকল বান্দাদের তা অভিহিত করবেন এবং সংশোধনের নিমিত্তে পুনরায় আহ্বান জানাবেন ৷ এ ব্যাপারে আল্লাহ যার বক্ষ প্রসারিত করবেন তাকে ঠেকায় কে? মনে হয় এ যোজনায় তিনিই দিব্যি চক্ষু উন্মোচন করলেন ৷















শুক্রবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৩

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড


শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড
আবুলকালামআজাদবাসু
5/1/2013

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড
একথা ধ্রুব সত্য,
কর না তাতে সমাপ্ত
শিক্ষার সাথে জ্ঞান অপরিহার্য,
তাতেও নহে অন্ত
যোগ কর বিনয়
শিক্ষা নহে কেবল সনদ-প্রাপ্ত ৷

মানুষ শিক্ষা দীক্ষায় হয় শিক্ষিত
জ্ঞানের অভাবে হয়ে পড়ে ক্ষিপ্ত ৷
কেবল একদিকের জ্ঞান
মানুষকে করে না পূর্ণ
ভাবিও না কভু তুমি শিক্ষিত,
ভাব! তুমি একজন সনদ-প্রাপ্ত ৷

অল্পে যেও না বুঝিতে সর্বত্র
বাকী রয়েছে তোমার অফুরন্ত ৷
কেহ যদি বলে বড় জন শিক্ষা বিনা
হয়েছিল জ্ঞানী বুঝিয়া লও
সেও অধম পণ্ডিত মূর্খ ৷

সবার গুরু আছে জানো
অলৌকিক যাহা শিক্ষার
সর্ব জ্ঞান আহরণে কর ভ্রমণ
কোন ধর্ম নহে খাটো
নিজ ধর্ম কর পালন ৷

চরম ধৈর্য সহিষ্ণু ত্যাগ
কর অর্জন জানো বিধাতা মহান ৷
অত্যাচার অনাচার নহে ধর্মের বাণী
নিজেরে কর রক্ষা সেই উত্তম ৷

ধর্মের বাণী কর প্রচার
অমিলে যেও না বহুদূর
মনে রেখ সবাই ফিরে যাবে
একই স্থানে তা কেবল সময়ের ব্যাপার ৷

ভাল তুমি একথা ভাবিও না,
ভাল সেজন পরের করে উপকার ৷
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড
সে শিক্ষা নহে কেবল মানদণ্ড
তুমি কি রূপ তারই হবে বিচার ৷


বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৩

শিক্ষাই বিশৃঙ্খল এড়ানোর চাবি


শিক্ষাই বিশৃঙ্খল এড়ানোর চাবি
আবুলকালামআজাদবাসু
3/1/2013
দূর দূরান্তে যেথায় কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই অনেক জ্ঞানী তাদের নিমিত্তে রেখে গেছেন অনেক মূল্যবান চাবি কাঠি শিক্ষার জন্য ৷ আজকাল ভালভাবে লক্ষ্য করলে পৃথিবীর সর্বত্র অজ্ঞরা খুব তাড়াতাড়ি অন্যের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রভাবিত হয়ে পড়ে এমন কি জীবনও বিসর্জন করে দেয় ৷ স্বার্থপর ব্যক্তিরা নিজ উদ্দেশ্য আদায় করার জন্য অজ্ঞদের ছলে বলে তাদের কাজে লাগায় ৷
একজন জ্ঞানী বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে শিক্ষিতা মাতা দাও বদলে আমি তোমাদের ভাল জাতি দেব ৷’ একথা কেবল সত্য নয় শিক্ষার অভাবে বর্তমান বিশ্ব ভুগছে ৷ অজ্ঞ লোকেরাই জনবসতি জানমাল ধ্বংস করছে এই ভেবে যে তারা জীবন বিসর্জন করলে স্বর্গ লাভ করবে ৷
একজন মুসলিম শিশু জন্মলগ্নে যে আযানের ধ্বনি শুনে বা প্রার্থনা করার নিমিত্তে যে ডাক তা কর্ণগোচরই-ভূত করা হয় রীতি অনুযায়ী ৷ হয়তো অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা তাদের ধর্মমতে সব শিশুদের শান্তির বাণী শুনায়ে থাকে ৷ এখানে মানসিক আচরণ বা মনস্তত্ত্ব কাজ করে যে কেউ ভাবলে দেখতে পাবে ৷  ভবিষ্যতে শিশুটি হবে শান্তি-প্রিয় ৷ মূলে সব ধর্মই মানুষের শান্তির জন্য ৷ উপস্থিত এটায় মাথায় আনতে হবে কারা শিক্ষা গ্রহণ করে না ৷ না করার পিছনে কারণ কি ? (একটি আলোচ্য বিষয় যে, এই সব শিক্ষা কিন্তু শিক্ষা নয় যতক্ষণ না তার সাথে বিনয়ের এবং দূরদৃষ্টি যোগ না হয়, ঐ শিক্ষাকে সনদ প্রাপ্ত শিক্ষাই বলা যায় ) ৷ কোন কারণে বড় কোন এক এলাকা জুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা স্কুল কলেজে নাই যার ফলে স্কুলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বা অভাবের তাড়নায়, দারিদ্রটার কারণেও হতে পারে ৷ এমনি এলাকায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছর ধরে এ হাল অবস্থা চলতে থাকলে তাদের বয়সও পঞ্চাশের উপরে ৷ ঐ সব এলাকার লোকদিগকে সহজে মাথায় বিষ প্রয়োগ করা যায় আর স্বার্থান্বেষী মহল তাই করে ৷ এটা এরূপ কেন ?
এমন দেশ রয়েছে তার ভিতরে অনেক এলাকায় যেখানে রাষ্ট্রের কোন আইন শৃঙ্খলা বা নিয়ন্ত্রণ নাই অথচ ঐ এলাকা ঐ রাষ্ট্রের অংশ বিশেষ ৷ হয়তো তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও অনুরূপ ৷ অন্য কারণ এই যে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকে তথায় তা বহুদূর যার ফলে এমন লোক সকল বড় হয়েছে কোনরূপ শিক্ষা দীক্ষা ছাড়াই কেবল তারা শিখেছে বড়দের চাল চলন ৷ ঐ সব এলাকায় গোত্র প্রধান কর্তা ৷ তার হুকুম আদেশ ইচ্ছাই বাস্তবায়ন হয়ে আসছে ৷ প্রাচীন কালে বাংলার অবস্থাও তদ্রূপ ছিল ৷ (এখানে উল্লেখ্য যে কোন এক প্রকারে একজন লোক ঐ সমাজ থেকে বের হয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করে কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন ৷ হাজার হলেও মাতৃভূমির প্রতি সবার প্রাণের টান থাকে ৷ তাই ঐ ভদ্রলোক একদিন নিজ বাড়ীতে যান ৷ জমিদার বাবুর সাথে দেখা করা প্রয়োজন ৷ কিভাবে দেখা করবে ? ঐ পোষাকে তো দেখা করা যায় না ৷ জমিদার বলে কথা আছে না ৷ ভাল পোশাক পরিচ্ছদ যদি জমিদার বাবু দেখতে পান তাহলে পরিবারের সবার গর্দান যাবে ৷ তাই ঐ ভদ্রলোক পায়ের জুতো খুলে হাতে নিলেন এবং খালি পায়ে অতি কষ্টে  জমিদার বাবুর সাথে একবার দেখা করলেন ৷ কথিত আছে যে, একটি শিশু ঐ জমিদারের সুন্দর চেয়ার দেখে চুপে চুপে গিয়ে ঐ চেয়ার বসলেন ৷ জমিদার বাবু তা দেখে শিশুটিকে মাতার উপর তুলে মাটিতে জোরে আছাড় মেরে মৃত্যু প্রদান করেন ৷ আরও কথিত আছে যে জমিদার বাবুর বাড়ির সামনে যদি কাকেও হেটে যেতে হয় তখন তাকে জুতো খুলে হাতে নিতে হত ৷ এই সমস্ত লোক যতই পুণ্যের কাজ করুক ঘৃণিত কর্ম কভু মোছে যাবে না ) ৷ আমাদের আলোচ্য বিষয় যেথায় রাষ্ট্রের আইন চলে না তথায় গোত্র প্রধানদের এক এক এলাকা রয়েছে ঐ সীমারেখা পার হলেই তাকে শাস্তি প্রদান করা হয় ৷ তারা রাষ্ট্রকে কোন রকম কর প্রদান করে না বরং উল্টো রাষ্ট্রই তাদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন ৷ যদি কেহ মারাত্মক অপরাধ করে কোন প্রকারে ঐ স্থানে পৌঁছে তাহলে তারা সম্পূর্ণ নিরাপদ ৷ বছরের পর বছর ঐ স্থানে বাস করলেও কেহই তার খোঁজ নিবে না ৷ (বর্তমানে অনুরূপ দুর্গ গড়ে উঠেছে কিছু কিছু পুণ্যবানদের আস্তানায় যেথায় বেশ বদলে মারাত্মক অপরাধীরা ঠাঁই নেয় এবং ধারণা দিয়ে থাকে তারা প্রায়শ্চিত্তের আশায় উক্ত জায়গায় অবস্থান করছেন ) ৷ বলা হচ্ছিল ঐ সব এলাকার লোক বর্তমান বিশ্ব থেকে বহুদূরে অবস্থান করছে ৷ মূলে শুনা যায় ঐ সব এলাকার লোক নতুন শিশু জন্মে ধর্মের শান্তি বাণীর বদলে প্রথমে গুলাগুলির শব্দ বাচ্চাদের কানে দেন যাতে সে ভাল যোদ্ধা হয় ৷ আমি যেমন ব্যাকরণ হীন লিখি তদ্রূপ ঐ সব অজ্ঞদের জন্য আইন কোন কাজেই আসেনা ৷ সেথায় কিভাবে সংস্কার করা যায় তাই বিজ্ঞদের চিন্তার প্রয়োজন ৷ এ সব লোকদিগকে অন্ধকার থেকে আলোতে ফিরায়ে আনতে প্রচেষ্টা চালানো দরকার ৷ কেবল মুসলিম অধিবাসীরাই এ সব পরিস্থিতির স্বীকার ৷
কেবল মুসলিম বললে ভুল হবে যারা গভীর অরণ্যে বাস করে তারাও একই পরিস্থিতিতে বাস করে ৷ শুনতে অবাক লাগে যে তারা তাদের পিতামহ ও মাতামহীদের বলি দিয়ে ভোজ উৎসব পালন করে থাকে ৷ বৃদ্ধ বয়সে তাদের হত্যা করে এ উৎসব পালন করা হয় ৷ তারা মনে করে বুড়োদের করার কিছু নেই বরং তারা সন্তানের জন্য বোঝা স্বরূপ ৷ গর্ব করে তারা মাথার খুলি সাজিয়ে রাখে ৷ আগন্তুকদের গর্ব করে তাদের দাদা পর-দাদাদের মাথার খুলি প্রদর্শন করে তৃপ্তি পান ৷ তারা কি শিক্ষা দীক্ষায় ও সংস্কৃতি থেকে বহু পিছনে নয় ?
এখানেই এটার শেষ নয় অন্য স্বভাবের লোকও বর্তমান ৷ সভ্য দেশের কথা শুনলেও অবাক লাগে ৷ ঐ পাহাড়ি এলাকার লোকের মত বরং আরও বেশী সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় এক সমাজ ঐ সভ্য দেশে বাস করে ৷ তবে তাদের জন্য নির্ধারিত এলাকা রয়েছে ৷ শিক্ষার প্রকৃত মূল্য কোথায় ? তাদের ধারণা আদি যুগের সেই সূত্র যে পৃথিবীতে আসার সময় উলঙ্গ এসেছি এবং উলঙ্গই ফিরে যাব ৷ এই যদি সভ্য দেশের অধিবাসীদের অবস্থা হয় তাহলে উন্নয়নশীল দেশের অবস্থা কি হতে পারে ?
কাকে এ ব্যাপারে দোষারোপ করা যায় ! যারা উপযুক্ত শিক্ষা দীক্ষা পাচ্ছেন না কোন কারণে, হয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে নয়তো কোন রূপ হাঙ্গামা বিশৃঙ্খলা বা যুদ্ধ বিগ্রহের ফলে ৷ ঐ এলাকার বাসিন্দা কি ধনী বা গরীব কোন তফাত নেই ৷ যে কেউ ইচ্ছা করলে বিশেষ করে অসৎ লোক, নিজ স্বার্থ রক্ষার্থে তাদের ধ্বংসাত্মক কাজে লাগাতে পারে ৷ অজ্ঞরা মিথ্যা আশ্বাস বেশী শুনে সাথে ধর্মের বানোয়াট কিচ্ছাকে বেশী বেশী প্রাধান্য দেয় ৷ এই, এই কাজ করলে যা ইসলাম বহির্ভূত তবেই পরকালে সুখে থাকা যাবে ৷ যদিও তারা স্কুলে যাতায়াত করেছে তবুও তাদের ধর্মের গভীর তথ্য ও তত্ত্ব জানা হয়নি ফলে ঐ রূপ নেতারা কেহই হাঙ্গামায় আহত বা নিহত হন নি, কিন্তু নিহত হচ্ছেন আমার মত বুদ্ধিসম্পন্ন অজ্ঞরাই প্রতিটি ক্ষেত্রে ৷ এটা কি করে সম্ভব ! অনুশীলনই সেই পথে নিয়ে যায় ৷ অনুশীলন ছাড়া কোন এক ব্যক্তিকে যদি বলা হয় সামনে গেলেই তুমি মরবে তখন সে যাবে না ৷ অনুশীলন করা ব্যক্তি তা বিশ্বাস করলেও সে আগুনে ঝাপ দিবে ৷ যেমন অপরাধী চক্রের খাতায় নাম লিখলে সে খাতার নাম কর্তনে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয় ৷ অন্য কারণ হল মরণে পরকালে সুখ লিখা আছে এ সনদপত্র পাওয়ার ফলে ৷ এটা এক ধরণের সামরিক অনুশীলনের ন্যায় ৷ একবার এক নামী ব্যক্তি বলেছেন সামরিক বাহিনীতে বোকা এবং বলদরাই যোগদান করেন ৷ ভদ্রলোকের যুক্তিও অনুরূপ যে জেনে শুনে আগুনে পা রাখছেন ৷ আকাশ থেকে ঝাপ দিলে মৃত্যু জেনেই ঝাপ দিচ্ছেন কিন্তু অনুশীলন তাকে বুঝিয়ে দিয়েছে সহজেই নয় ৷ অনুরূপভাবে ভণ্ড শিক্ষকের পরামর্শ এবং উপদেশ নির্দেশ শুনেই স্বর্গের আশায় জীবন বিসর্জন দিচ্ছে ৷ অনুশীলনের সময় ঐ ভণ্ডরা ছোট ছোট বিপদে বুঝিয়ে দিয়েছেন সে মারা গেলেও তার পেছনে কোন চিন্তা নেই এরূপ ভাবে তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ৷ মরার পর ঐ ভণ্ডরা কি তাই করছেন ? অনুশীলনটা তারা একেবারে অল্প বয়স্কদের দিয়ে থাকেন খুব সততার সাথে আর যত ভাল কর্ম তার উদাহরণ দিয়ে তাদের সব সময় ভাল ভাল কর্ম করতে বলেন ৷ ভণ্ড-নেতাই জানেন কি অপ-কর্ম তাদেরকে দিয়ে করাবে ৷ যখন একটু জ্ঞান বুদ্ধি বাড়ে তখন তাকে পদোন্নতি দিয়ে ছোট দলের নেতাই বানানো হয় ৷ নেতা বলে কথা, কম কিছু নয় ৷ সামান্য কর্তৃত্ব দান ভণ্ডদের কৌশল, তা কিন্তু অনুশীলন-কারী বুঝার আগেই তার প্রকাশ ছড়িয়ে পড়ে ৷ এ রাস্তা থেকে বের হবার উপায় নেই ৷ ন্যায় অন্যায় বিচার করার ক্ষমতা আর থাকে না ৷ এই সমস্ত জায়গায় শিক্ষা, যে শিক্ষা বিনয় এবং দূরদৃষ্টি শেখায় অন্ধকার থেকে আলোতে প্রবেশ করায়, সেইরূপ শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন নচেৎ অজ্ঞরা নিরপরাধীদের হত্যা করবেই ৷ মনে রাখতে হবে যে জুলুম, অত্যাচার, অন্যায় ও অবিচার জন্ম দেয় সমাজ বিরোধী লোক যারা পরবর্তীতে অসৎ কর্ম করে ৷










9


মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৩

আত্মা


আত্মা
আবুলকালামআজাদবাসু
2/1/2013

মতামতে আত্মা বিদ্যমান
মানুষের জন্য একটি রেখাঙ্কন
ইহাই মানুষের প্রধান লক্ষণ
স্ব-শরীর ব্যক্তির আত্মা ধরা-হীন ৷

ধরা-হীন আত্মা ছাড়া পশুর বাস
কিন্তু তাদের আছে সময়ের প্রকৃতির আত্মা
দু আত্মা মিলে হয় একই পদ্ধতি
ঐ আত্মা মরে একবার ভৌত আত্মার সাথে ৷

ভৌত আত্মা মিশে হয় অন্য উপাদান
কিন্তু ধরা-হীন আত্মা বদলায় না রেখাঙ্কন
জীবন আল্লাহ প্রদত্ত একই পদ্ধতিতে করে অবস্থান
তাই আরবিতে বলা হয় নফস যার একবার মরণ ৷

আত্মা ছাড়া মানুষের আকার-রূপ-অস্তিত্ব অসম্ভব
কিন্তু ঐ ধরা-হীন জীবন ছাড়াও সাথে আরও এক জীবন
ঐটি ব্যতীত ধরা-হীন জীবন বজায় থাকে রেখাঙ্কন;
সে ছাড়া পরকাল যাপন বর্তমানের অর্ধেক ৷
আত্মা তেমন কিছু নয় কিন্তু মানুষের প্রাথমিক আকার ৷
মানুষকে ডাকা হয়েছে আত্মা বলে সে যেই হোক !

কিন্তু সেই আত্মার সাথে রয়েছে রূপ-হীন শক্তিধর
সম্পূর্ণ ধরা-হীন স্বাধীন যাহা আত্মা নয় কিন্তু জীবনীশক্তি
যে এসেছে সাময়িক ভ্রমণে আবার ফিরে যায় সেই আকাশে
পরবর্তীতে আরও রয়েছে পিতা কালাম’ জন্ম কালো-তে ৷