সোমবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৩

আমার কথা প্রথম খণ্ড (১৬)



আমার কথা   প্রথম খণ্ড (১৬)
আবুলকালামআজাদবাসু
8/1/2013
মনশ্চক্ষু দ্বারা ভাবি মর্ম-লব্ধ জ্ঞানে,
হিন্দু, অহিন্দু সবারে তরা মহাজ্ঞানী,
কি হালে কেটে গেল আটত্রিশ বৎসর!
কত অধম, জানি না কভু কাদিয়ানী,
কি তার মত অভিমত, কে বা বাহাই!
স্ব স্ব ধর্মে নাহি বিচারীর বিচরণ ৷
প্রকৃত সাধু, অলি আল্লাহ, সন্ন্যাসীদের কাছে বর্ণ, ধর্ম বড় নয় বড় হল মানব ৷ কে কোন ধর্মের তা বিবেচ্য বিষয় নয়, আল্লাহর বান্দা ইহাই তার পরিচয় ৷ এ সম্বন্ধে বলতে গেলে বলা যায় যে, হযরত ঈসার (আঃ) এর আবির্ভাব কেবল মুসলিম কিংবা খৃষ্টানদের জন্য সীমাবদ্ধ নয় কারণ তিনি (আঃ) যে কিয়ামতের নিদর্শন ৷ সুতরাং যে কেউ এ বচন উচ্চারণ করবে তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার মনে করি ৷ আটত্রিশ বৎসর যখন বিনা শ্রমে কেটে গেল, বাকী জীবনটা যদি হেলায় না কাটে তার নিশ্চয়তা দিতে না পারলেও প্রচেষ্টা চালাতে অসুবিধাটা কোথায় ? জানা ছিল না যে, কাদিয়ান সম্প্রদায় ও বাহাই সম্প্রদায়ের দর্শন, আরও অবগত ছিলাম না যে, এরূপ সম্প্রদায়ের মত ইসলামে ভিন্ন ভিন্ন মতাবলম্বীগণ রয়েছে ৷ স্বধর্মেই যখন অজ্ঞ তখন অপর কোন ধর্মের মতামত সম্পর্কে কিভাবে সংজ্ঞা থাকা সম্ভব?
“আল্লাহ তাহাদিগের সংগে আছেন যাহারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যাহারা সৎকর্ম-পরায়ণ ৷” ১৬(১২৮) কোরআন ৷
এ আয়াত থেকে এতটুকু জানা যায় যে, যারা নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে তাঁরা সৎকর্ম-পরায়ণ ৷ কিন্তু তা অর্জন করা মনে হয় কঠিন ৷ পাঠক সমাজ! আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন মসি-কাদিয়ানী সাহেব এ ধরায় আনয়ন করেছে ৮৪ খানা পুস্তক, যা রচনা করে বনিয়াদের মদদ-পুষ্টে আজও প্রচার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন ৷ নির্ণীত মসি দিয়ে মসি সম্রাটের ভিন্ন ধর্মমত, অপ-ব্যাখ্যা, নবী-দাবী এবং সেই সাথে ঈসা ও ইমাম মেহেদী ধরিত্রী থেকে মুছে ফেলার সঙ্কেত নামা প্রদর্শিত হয়েছে ৷ এ প্রকল্পের সুরাহা যতই কঠিন হোক না কেন তা খুঁজে বের করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে ৷
“কেহ ক্ষমতা চাহিলে সে জানিয়া রাখুক সকল ক্ষমতা আল্লাহরই ৷ তাঁহারই দিকে পবিত্র বাণী সমূহ আরোহণ করে এবং সৎকর্ম উহাকে উন্নীত করে আর যাহারা মন্দ কার্যের ফন্দি আঁটে তাহাদিগের জন্য আছে কঠিন শাস্তি ৷ তাহাদিগের ফন্দি ব্যর্থ হইবেই ৷ ৩৫(১০) কোরআন ৷
ক্ষমতার জন্য লড়াই করা মানে পরিণামে বিশ্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, আরও বেশী উদ্যত হয়ে মহা-গ্রন্থের বাণী ও যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করে যথাযোগ্য প্রমাণ অবতারণা করতে পারলে, হৃদয়ের মন্দ যা ফন্দি রূপে ছিল তা জনসমক্ষে চাক্ষুষ দরপনের কলঙ্ক হিসেবে আখ্যায়িত হবে ৷ আসলে যে স্বপ্নের কথা পূর্বে বর্ণিত হয়েছে উহা-তো কেবল স্বপ্নই ৷ এরূপ স্বপ্নকে ঘিরে দুর্ভেদ্য রচনা করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভবাতীত, যদি না তার পেছনে অতি সত্য নিহিত না থাকে ৷ সেদিন অজ্ঞতার কারণে তা পূরণ করা সম্ভব হয়নি ৷অধিক জ্ঞানী বা চল্লিশে উন্নীত হলে সদর দপ্তরে অদৃশ্যের জ্ঞান সংযোজিত হলে বা প্রতিপালকের ঈশারা, ইঙ্গিতে এ পুস্তক রচনা করার আশা নেহায়-ৎ কম ছিল না; কিন্তু সে আশাও গুড়ে-বালিতে পরিণত হল ৷
“কেহই জানে না জন্য নয়ন প্রীতিকর কি লুক্কায়িত রাখা হইয়াছে তাহাদিগের কৃতকর্মের পুরষ্কার স্বরূপ ৷ ৩২(১৭) কোরআন ৷
আল্লাহ রাব্বুল আলা-মিন মানুষের কোন কর্মকে ব্যর্থ হিসেবে গণ্য করেন না, সৎকর্ম হলে তার জন্য রয়েছে উপযুক্ত পুরষ্কার এবং অসৎ কর্ম হলে তার শাস্তিও সে জন ভোগ করে থাকেন ৷ বরেণ্য কোন কর্ম মানব কর্তৃক সাধিত হলে তিনি তার এমন পুরষ্কার রেখেছেন যা কল্পনাতীত ৷ সর্বজ্ঞানীর কলা কৌশল বুঝা বড়ই দুষ্কর ৷ মানুষ বাস্তব ব্যতীত অন্য সকল তাদের অনুমান-লব্ধ থেকে নিঃসৃত; তৎমধ্যে কিছু সত্য বলে প্রমাণিত, অন্য সকল সংশয় যুক্ত ৷ কোরআনে সংশয় যুক্ত বলে অভিহিত যা, তা কিয়ামত অবধি সন্দেহের মধ্যে থাকবে, উহার সঠিক ব্যাখ্যা বা স্থির মতামত পেশ করা কোরআনের প্রতিকূলে মতামত পেশ করার শামিল ৷ সে-ই অপকর্মের শাস্তি যে কি হবে তা তিনিই ভাল জানেন ৷
“আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং উহাদিগের অন্তর্বর্তী কোন কিছুই আমি অযথা সৃষ্টি করি নাই ৷ এবং কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী; সুতরাং তুমি সৌজন্যের সহিত উহাদিগের ক্ষমা কর ৷” ১৫(৮৫) কোরআন ৷
আকাশমণ্ডলীর যাবতীয় বস্তু সকল মানুষের অধীন করা হয়েছে এবং তাদের উপকারে সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ আল্লাহ-তায়ালা সৌজন্যের সাথে তাদেরকে ক্ষমা করতে বলেছেন যারা না বুঝে নবী-রসুলদের সাথে কটূক্তি করে থাকেন, অবশ্যই কিয়ামত দিবসে তাদেরকে যথাযথভাবে বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে ৷ এ কিয়ামত সঙ্ঘটিত হবার পূর্বে আল্লাহ সকল বান্দাদের তা অভিহিত করবেন এবং সংশোধনের নিমিত্তে পুনরায় আহ্বান জানাবেন ৷ এ ব্যাপারে আল্লাহ যার বক্ষ প্রসারিত করবেন তাকে ঠেকায় কে? মনে হয় এ যোজনায় তিনিই দিব্যি চক্ষু উন্মোচন করলেন ৷















কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন