কে আমি?
আবুলকালামআজাদবাসু
18/1/2013
যদি এরূপ প্রশ্ন কেউ কারও কাছে করে তার উত্তর কি হবে ৷ প্রথমে
নিজের অভিমত ব্যক্ত করি ৷ জনগণের উদ্দেশ্যে এই যে হয়তো লোকটি পাগল বা ক্ষিপ্ত ৷
কোন রকম তথ্য বা মান্য-কর কিছুই ছাড়া একজন লোক সম্পর্কে বলা অথবা এরূপ ব্যক্তির
প্রশ্নের জবাব দেয়া সত্যিই বিব্রত-কর ৷ যাহা হোক দুর্বল বা এলোমেলো লেখক হিসেবে
লোকে এ প্রশ্নের উত্তরে মন্দই বলবে ৷ তাদের বা জ্ঞানীদের এ বলা বা ভদ্রতা-মিকে
অব-মূল্যায়ন করা আমার উচিত হবে না ৷ যতটুকু শুনেছি একজন মহৎ লোক মানুষকে সেবা
করতেন, তিনি একটি ঠেলা গাড়ী চালাতেন ৷ তাঁর দৃঢ় ইচ্ছা ছিল কোন এক বড় দেশের
প্রেসিডেন্ট হবেন ৷ সত্যিই এমন একদিন আসল তিনিই সে দেশের প্রেসিডেন্ট হলেন ৷ যখন
তিনি নগণ্য ছিলেন তখন যদি এই ধরনের প্রশ্ন করতেন লোকে তাঁকে ইচ্ছামত যা তা বলতেন ৷
সত্যিকার অর্থে তিনি তাঁর প্রবল ইচ্ছা অনুযায়ী জীবন পরিচালিত করেছেন ধীর ও সুস্থ
গতিতে যাতে সেই গন্তব্যে পৌঁছেন ৷ ভালো কর্মের ফলে জীবন গড়ে তুলতে তিনি সফলতা লাভ
করেছেন ৷ প্রত্যেক মানুষ আজ তাঁকে অন্তর থেকে স্মরণ করে থাকে ৷ সেইরূপ হবার আশায়
যে কেউ কেন ভাল-কর্ম করবে না যাতে লোকে ঐ লোককে স্মরণ করে ৷
আমার আশা কি ঐরূপ সেই লোকের ন্যায় বড় কোন দেশের প্রেসিডেন্ট
হবার জন্যে ৷ হয়তো এরূপ কিছুই নয় তবে হঠাৎ লোকটি তার জ্ঞানহীনের কারণে অথবা আবেগ
প্রবণতা থেকে সাধারণের কাছে ইহা উত্থাপন করেছেন ৷ কোন কিছু বর্ণনে বা দর্শন, লোকের
কাছে তুলে ধরতে, হোক সেটা ভাল বা মন্দ, উপযুক্ত বা অনুপযুক্ত, তাতে বের হয়ে আসে
মনস্তত্ত্ব, পাণ্ডিত্য, সামাজিক মর্যাদা, জাতীয়তা এবং অন্যান্য অনেক কিছু যা
সাধারণ জানতে পারে ৷ এ সমস্ত এড়িয়ে কোন দৈব শক্তি বলে অন্যের কাছে তা গণনায় আনবে?
ঈসা (আঃ) জ্ঞানী-রূপে পরিচিত হয়েছেন রাতারাতি মোজেজা দেখিয়ে
যে একজন মানুষ দুবার জন্মেছে দুবার মৃত্যু বরণ করেছেন ৷ যখন ঈসা (আঃ) কবরস্থানে
গিয়ে কোন একব্যক্তিকে আল্লাহর হুকুমে উঠে আসতে আদেশ করলেন তখন প্রথম ডাক সেই
ব্যক্তির কর্ণ গহ্বরে প্রবেশ করল দ্বিতীয় ডাকে তার সমস্ত দেহ একত্রিত করল এবং
তৃতীয় ডাকে সেই ব্যক্তি জীবন লাভ করে উঠে আসল ৷ ইহা এইরূপ যে মাটি তাকে তার গর্ভ
থেকে বের করে দিল বা দ্বিতীয়বার জন্ম দিল ৷ মৃত ব্যক্তি পুনরায় তার পরিবারের সাথে
বসবাস করেছেন এমনটিও ইঞ্জিলে পাওয়া যায় ৷ সুতরাং ঐ ব্যক্তি আল্লাহর কুদরতে দুবার জন্মেছেন
এবং দুবারই মৃত্যু বরণ করেছেন ৷ এভাবে জনপ্রিয়তা রাতারাতি তিনি অর্জন করেছেন
মোজেজা বলে ৷ এই লোকটার কি সেইরূপ কোন ক্ষমতা আছে যে মানুষের কাছে প্রশ্ন করতে
পারে ‘আমি কে’ ?
শয়তানের মত পেছনে একদল সৃষ্টি করে অন্যায়ভাবে মানুষের সাথে এ
নিয়ে তর্কাতর্কি করতে পারে ? একদা একজন ধনী ও একজন গরীব পাশাপাশি বাস করত ৷ গরীব
লোকটির চতুর্দিক ঐ ধনী লোকটির জায়গা জমি ৷ কোন কারণে সমাজের মান্য ব্যক্তির কাছে
গরীব লোকটি শরণাপন্ন হয়ে ঐ ধনী ও গরীব লোকটির জায়গা মাপ দেবার আবেদন করলেন ৷ মাপে
দেখা গেল গরীব লোকটির যা থাকার কথা তার চেয়েও কম জমি রয়েছে ৷ ঐ জমির লোভ ত্যাগ করে
গরীব লোকটি আবেদন করল শুধু রাস্তার জন্যে
৫ফুট বাই দেড় ফুট জায়গা ছেড়ে দেয়া হোক যাতে রাস্তাটি আরও একটু প্রশস্ত হয়ে যাতায়াতের
সুবিধা হয় ৷ যেখানে কোন বাড়ী ঘর নেই কেবল জমি ৷ ঐ মান্য-কর ব্যক্তিটি উত্তরে বলল
আমিতো ঐ কথা সেই ধনাঢ্য ব্যক্তিকে বলতে পারব না ৷ তার উত্তরে গরীবটি বলল দেখুন আমি
উক্ত জমির দাম এবং ক্ষতিপূরণও দেব ৷ ভালো কাজ করার মানসিকতা তো দূরের কথা বরং
উল্টো কিছু লোককে উস্কানি দিয়ে গরীবের ঘর ভাঙ্গার ইন্ধন দিতে লাগলো ৷ দেখা গেল
পনের দিন গত হতে না হতে জনসাধারণ তাকে ঐ পদ থেকে অপসারণ করলো ৷ আমার কি সেই ক্ষমতা
আছে যে ঐ রূপ শয়তানী কর্ম করি একদল লোক অসৎ পথে সৃষ্টি করার ?
সুতরাং এ প্রশ্ন আশ্চর্য যে ‘আমি কে’? যার কোন সামাজিক
মর্যাদা নেই, নাই কোন ধন সম্পদ, তদুপরি না আছে কোনরূপ ঐশ্বরিক ক্ষমতা এ হেন প্রশ্ন
জনসম্মুখে তুলে ধরা নিতান্তই লজ্জাজনক ৷ আজকাল
দুনিয়া এমন যে একে অপরের কাছাকাছি মিডিয়ার মাধ্যমে ৷ একে অপরের সাথে সহজেই যোগাযোগ
করতে পারে ৷ ইহা বিজ্ঞানের দান এবং বিজ্ঞানীদের অবদান ৷ এমনই তরঙ্গে এ প্রশ্ন সবার
কাছে উত্থাপন করা হয়েছে ৷
এটা কি এমন লোকটির পেছনে কৃষ্ণ, বুদ্ধ, ঈসা বা অন্যরা কাজ করছে
এরূপ ঘটনা ব্যক্ত করার জন্য ? কোনটাই ধারণা আসে নি মনে, সেই কথাগুলি ছাড়া যে শোনা
শব্দ গুলি মহান আল্লাহর ছিল ৷ সুতরাং এই গুলি মানুষের জানা দরকার যাতে ভবিষ্যতে
আল্লাহর ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয় ৷ আল্লাহর ইচ্ছা কি? তা মানুষের জানা প্রয়োজন কারণ আল্লাহ
সব বান্দাদের সমভাবে ভালবাসেন ৷ সুতরাং মানুষের উচিত আল্লাহকে ভালবাসা আর কাকেও
আল্লাহর শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যেভাবে
শান্তিতে বসবাস করা যায় ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন