বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৩

আমার কথা প্রথম খণ্ড (৩১)



আমার কথা   প্রথম খণ্ড (৩১)
আবুলকালামআজাদবাসু

যদি হয় পূর্ণ তবে কেন হবে শূণ্য?
রক্তে ডুবান বস্ত্র পরিহিত সে কে গো!
গুপ্ত নামে তারে কে বা ডাকে ধ্যান মগ্নে?
সাদা রঙের ঘোড়ায় যে বিশ্বস্তজন,
শ্বেত বর্ণের পতাকা হয়ে এ দর্শন  
কলেমাতুল্লাহ নামে খ্যাত সর্বময় ৷
কবিতাংশের সেই অনুবৃত্তি এখানে উদ্ধৃত হয়েছে এবং জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, যদি হযরত ঈসা (আঃ) ‘পরিণত বয়স’ পূর্বে পেয়ে থাকেন অর্থাৎ  অপব্যাখ্যাকারীদের মতানুসারে, তবে কেন পাঠক সমাজ কোন রকম ইতিহাস বা তাঁর বাকী জীবনের লিখিত বিবরণের কিছুই দেখতে পাচ্ছে না! উহার কারণ এই যে ইহুদিরা তাঁকে শূলে চড়ায়ে হত্যা করেছেন, খৃষ্টানেরা মৃতকে জীবিত করে ৷ কতিপয় মুসলিম গোত্র শূলে চড়ায়ে মৃতবৎ করে জিন্দা করেছেন ৷ উহাকে আল্লাহর পরাক্রমশালীর কর্ম বলে বর্ণনা করেন ৷ কোন রকম চুড়ান্ত দলিল ব্যতীত বা ইঞ্জিলের সাথে যুক্ত হবার মত কোন বাণী তারা আবিষ্কার করেন নি ৷ বরং একটা কবরকে হযরত ঈসার কবর বলে প্রকাশ করায়ে দেশ বিদেশে পচার করছেন ৷ এমন শত শত মাজার বাংলাদেশে বিদ্যমান, যাঁদের কোন রকম নাম নিশানাও বিবৃত লোকের নেই ৷ মানুষ মানুষের জন্য, মানুষের সুখে দুখে যদি মানুষ এগিয়ে না আসে তখন তার ধর্ম বলতে কিছু নেই ৷ মানুষ এক সময় এ অনুভূতি মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলে এবং আল্লাহকে ডাকে ৷ রক্ত ডুবান পরিহিত এ পৃথিবীতে মাত্র একজনই যিনি ব্যাধের বস্ত্র পরিধান করেছেন ৷ কবিতাংশে যাঁকে রক্ত ডুবান বস্ত্র পরিহিত বলা হচ্ছে তিনিই মানবসেবার ধর্মকে প্রাধান্য দিয়েছেন ৷ একমাত্র ইসলাম ব্যতীত সব ধর্মেই সংসারত্যাগ করে সন্ন্যাসব্রত হবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ৷ তারাই সাধারণতঃ গৈরিক বস্ত্র পরিধান করে থাকেন ৷ হাদীছে তাই বলা হয়েছে দুটি রঙিন চাদর পরিহিত ব্যক্তি, আর ইঞ্জিলে সেই ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে রক্ত ডুবান ব্যক্তি, যিনি এ ধরায় দ্বিতীয়বার আসবেন তাঁর আর এক গুপ্ত নাম রয়েছে ৷ হয়তো সেই নামেই আবার পরিচিতি লাভ করবেন ৷ কথিত আছে হযরত (সঃ) সাদা ঘোড়ায় ভ্রমণ এমনকি যুদ্ধও পরিচালনা করতেন ৷ তিনিই বিশ্বস্তজনরূপে সমাদৃত ছিলেন, তিনিই সাম্য ও মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের উদ্দেশ্যে সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন ৷ তাঁরই (সাঃ) পদাঙ্ক অনুসরণ করে সাদা পতাকা নিয়ে বিশ্বময় এই ঝান্ডার নীচে সমবেত হবার নিমিত্তে পূনর্বার পদার্পণ করবেন হযরত ঈসা (আঃ) ৷



বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৩

অস্তিত্ব



অস্তিত্ব
আবুলকালামআজাদবাসু 

আল্লাহর অস্তিত্ব নাই!
তাহলে আমরা কে কার?
আঁমি নাই, আঁমি নাই ৷
কোথায় আঁমি কি জানি!
এই বৈশিষ্ট্য আঁমার আঁমি নাই ৷
চন্দ্র সূর্য তারা নক্ষত্র সব আঁমার
অথচ আঁমি নাই এ কি কারবার
ইসলামের সুন্দর এদিক একাই আঁমার ৷
আঁমি ছিলাম তুমি ছিলে না তেমন
তবুও আঁমি ব্রাহ্মণীর মত তোমায়
করেছি ধরায় প্রসব ৷
আঁমি কি করিনা প্রসব!
ইসলাম বলে করেছি সৃষ্টি
আঁমার কৃষ্টি মাঝে আছে কি ত্রুটি?
বুঝিয়া যদি না বুঝ আঁমার অস্তিত্ব,
ধরে নাও তুমি নাই আমিই অস্তিত্ব ৷
আঁমি নই একা আছে আঁমার
আরও  সম্মানিত একদল অদৃশ্য
এই বিশ্বাস আছে যার সেই কেবল আঁমার ৷
যদি বল কেবল তোমার অস্তিত্ব, তুমিই অস্তিত্ববান ৷
সৃষ্টি মাঝে আনয়ন কর জ্ঞান বিজ্ঞান
সর্বোপরি প্রত্যেক অণু পরমাণুর ধর্ম ৷
আঁমি আছি সর্বোপরি অস্তিত্ববান
অদৃশ্যের অদৃশ্য অযথা ভেব না আঁমায় ৷
প্রমাণ আঁমার আছে সকল সৃষ্টিমাঝে
তবে আঁমি নই সৃষ্টির কিছু
এ বিশ্বাসে হও অগ্রসর পাবে আঁমায় পাশে ৷
আঁমিই মহান আল্লাহ, যদি শুনতে পাও শুন তবে ৷
(হে আল্লাহ, হে আল্লাহ, হে আল্লাহ আমার ডাকে সাড়া দাও : আঁমি আছি
,আঁমিই মহান আল্লাহ, আঁমিই মহান আল্লাহ, আঁমিই মহান আল্লাহ ৷ আঁমি সদা সর্বদা মানুষের সাথে থাকি ৷)










সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩

ঘর্মাক্ত



     ঘর্মাক্ত
আবুলকালামআজাদবাসু
ওগো দয়াময় প্রেমাস্পদ তরাইও
সবারে, তুমি বিশ্ব বিধাতা প্রেমময় ৷
কিসের ভয়! কিসের ভীতি! মানবের
তরে ছড়াও তুঁমি প্রেম বিশ্ববিধাতা,
প্রেম ভালবাসায় আলিঙ্গনে জড়ায়ে
রসিক বন্ধুরে দিবানিশি প্রেমলীলা
মনের অঙ্গনে নিত্য তুমি যে খেলছ!
আমার আনন্দে তোমার মনে আনন্দ
বিশ্বজুড়ে পুস্পমাল্য বয়ে আনে তারা
পরীকূল, নিস্পাপ ধরণীর পরশ ৷
নিত্য তোমার সুখে আমিও সুখী নিত্য,
তোমারি এত মধুর স্মৃতি কল্প মাঝে 
উতলিয়ে উঠে মনে স্থিত লুকায়িত
বেদনা, উপশম  কর মোর শতক
যন্ত্রণা, কৃষ্ণ সাগর পাড়ি দিয়ে যাব
ওপার, উষ্ণ উতাল পাতাল টেউয়ে
কেড়ে নিল জীবনের সর্বস্ব আমার
হে প্রেমাস্পদ  তরাও সবারে তড়িত
ঘর্মাক্ত জীবন ভাল শ্রম বিনিময়ে
দেব তোমা উপহার প্রেম আলিঙ্গনে ৷







রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩

কুহকিনীর ডঙ্কা (৪)



কুহকিনীর ডঙ্কা (৪)
আবুলকালামআজাদবাসু

কুহকিনীর ডঙ্কা আসলে কিসের ডঙ্কা তা স্থির না করেই এলোমেলো লেখা যা বাস্তব কিন্তু শুনলে মনে হবে এই জাহা এ সব গল্পই ৷ যদি বলা হয় বাংলাদেশের পাহাড়ী অঞ্চলে এমন জায়গা রয়েছে যেখানে শশুপাখীর পা পড়েনি মানুষ তো দূরে থাক ৷ এমন অরণ্যেও পরিবেশ  ও ভাষা রয়েছে কিন্তু এমন এক জঢিল বুদ্ধি অধিবাসীদের মাথায় প্রবেশ করানো হচ্ছে যা ভিন্ন এক দেশ হবে ৷ সেখানে হিংস্র জন্তুর কবলে পড়লে স্বয়ং বড় দেবতা হাজির হলেও কেউ রক্ষা পাবে না ৷ মুহূর্ত্তে ঐ সব পরীর দেশ ঝোপ সমেত বাড়ী রাজ বাড়ীতে পরিণত হয় ৷ আমার আসল  উদ্দেশ্যের কথাতো বলা হয় নি ৷ নারীদের সমাজে সম মর্যাদা প্রদান না করলে সমাজ উন্নত হয় না ৷ আমি ইহার বিপক্ষে নহি ৷ তবে ঐ সব এলাকায় বিস্তর আধুনিক ছোঁয়ার প্রয়োজন রয়েছে ৷ পাহাড়ের ভিতরে ভিতরে রয়েছে জীবন বাঁচানোর জন্যে চাষবাস ৷ চাষবাসের সাথে স্বল্প ব্যয়ে অধিক আয়ের অর্থ যাতে আসে হয়তো সেই খাতিরে একদল  নামীদামী লোক জনসাধারণকে ভুল পথে চালিত করছেন ৷ অথচ স্বাধীন রাষ্ট্র কিভাবে চলবে তাও মাথাধারীরাও জানেন না ৷ চাষ যাতে অনায়সে সেই দুগর্ম এলাকা করতে পারে এবং পাহাড়ীরা তাদের লাট বাহাদূর বলুক এ নিয়ম নিশ্চয় তথায় রয়েছে ৷ কোন কারণে স্বামী যদি অন্যত্র বেড়াতে যায় সেদিন স্ত্রীর এমন স্বাধীনতা রয়েছে ইচ্ছা করলেই ঐ পানের চাষ জন্য নির্মিত ঘরে স্বাধীনভাবে পর পুরূষের সাথে দিন যাপন অন্যায় নয় ৷ অবৈধ পান চাষ বা অন্যকিছু চাষ শিক্ষার আলো ব্যতীত ঐ সব দুর্গম এলাকাকে আলোকিত করা হয়তো সম্ভব নয় ৷

শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৩

মনন



       মনন
 আবুলকালামআজাদবাসু
শিল্পীর অঙ্কন মাঝে রয়েছে মনন,
কূষকের হালচাষে পূর্ব ধরন
শিক্ষার্থীর পাঠে নিয়ম অনুসরণ
মাঝির নৌকার হাল ধরন
মানুষের মাঝে যে বাদ্য বাজে
টের পেয়েছে যে ঢোলক, ঢোলক ৷
যার মনে কেটেছে দাগ সেই সত্য
বল না আর সে নয় খোদা ৷
মূখে তার মিষ্টি হাসি
আকাশ মিষ্টি রোদে
বাতাসের শীতল স্পর্শে
মূখের হাসিতে কি যে
বর্ণ লিখা ছিল, বল না
আমায় শিল্পীর অঙ্কন খোদা নয় ৷
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যদি দেখা যায়
তোমার অঙ্কিত ছবি,
আমার অঙ্কনে কেন নয় প্রীতি?

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৩

সত্যের প্রতি ভক্তি নাই



সত্যের প্রতি ভক্তি নাই
আবুলকালামআজাদবাসু
‘এমন নির্দিষ্ট উপলক্ষ এবং অনুরূপ জাতক অভিজ্ঞ লোক সময়ের সাথে সাথে গত হয়ে গেছেন ৷ কথা যা রয়ে গেছে যদিও তা কোরআন নয় ৷ বলা আর লিখা মধ্যে তফাৎ পাহাড় পরিমাণ হলেও বলাটাই চলছে এখনও ৷ হয়তো এধারা চিরতর চলতেই থাকবে (যেমন খেজুর গাছের তলায় অমূল্য রতন তালাশে বসতবাটি স্থাপন) ৷ এখন আমাদের সংশ্লিষ্ট বিষয় কি এই ১৪০০ হিজরী বা ইহার পরবর্তী সময় ৷ অপেক্ষা করতে হবে কি নির্দেশ আসে মহান আল্লাহর পক্ষ হতে ৷ (পৃষ্ঠা পূর্বাভাস (V) আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী) ৷

কবিতায় তা সহজ সরল
গদ্যে ব্যথা যন্ত্রনা গলদ-মরণ ৷
না লিখা মানে ভাল অর্জন হারান
বাম লিখনে হিংসায় গর্জন 
ডানে প্রচেষ্টা আর চলন ৷
জানি না এ কি সমাধান!
নিজ তৃপ্তি সাধ ভোগন
অন্যকে নয় আঘাত হনন ৷
নিজ-ঘর চাষ করণ
কর্তার কি বলন?
পাগলের পাগলামি উচ্চারণ ৷
কেহ নাই বলার কথন
আবদুল্লাহর পদস্খলন ৷
সবাই তাঁরে জানায় সম্মান,
সেরূপ তাঁর কর্ম গণনায় ৷
অনুচিত কথা নহে তাঁর আচরণ ৷
আবার কি নতুন আদেশ নিদর্শন?
আশ্চার্য রূপ এ কি কথন!
ইহা কেন এমন?
আমরা ভুলেছি পুরাতন এই কারণ ৷
নতুন জীবন ব্যবস্থা কি সারাজীবন?
না, একদিন আসবে তাইতো সুযোগ

হারায় নি মানিক রতন কাদিয়ান ৷
বিচার বিচার্য সঠিক চলন,
বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এই তো নিয়ম ৷
ইহা নহে শেষ কভু বলন
আল্লাহ ভাল জানেন হোক ধরন ৷
আলোচ্য বিষয় কি এখন?
এইতো ছিল বলার মতন ৷ 
ইহুদি মৌলানা বলেন
আমরা আছি, আমরা মানি ৷
সত্যের পথের পথিক,
নাই কেহ অধিক জানেন ৷
আমরা জানি যাহা
অপর কেহ জানে না তাহা ৷
পরও তারা করেছিল বাস খেজুর তলায়
অন্ধ দেখতে পায় নি তথায় কে ছিল ৷
সত্যি তথায় ছিল খেজুর ফল
করতে পারে নি তা ভক্ষণ ৷
সত্য অবহেলিত হারাল বৃক্ষ-ফলন ৷ 
সময় এবং জোয়ার নহে অপেক্ষমান,
সবাই তা জানেন ৷
ঐ সমস্ত পবিত্র গ্রন্থে ছিল না কি!
বিশ্বাস ধরে রাখা নয়
বিশ্বাস করণ
নচেৎ কেন বড় চমৎকার?
বিশ্বাস করি, আছি কি যথেষ্ট!
পবিত্র গ্রন্থ হাতে ইহাই সম্বল,
ওহে খ্রিষ্টান পণ্ডিত! ওহে ইহুদি মৌলানা!
আপনারা স্ব স্ব জায়গায় মহৎ জ্ঞান বিজ্ঞান ৷
কাগজের উপর বিশ্বাস আর বলার ধরণ,
একদিন হয়তো দেখবে চোখের সামনে
দরজায় কে যেন উপস্থিত,
ইহার গন্ধ আবাস আছে জানা
কাগজেই কেবল সব ফেলনা ৷
হিসাবে নিও ভিন্ন পণ্য ৷





শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৩

আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড – (২)



আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড – (২)
আবুলকালামআজাদবাসু

    শান্তির পতাকা
আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর
সেই সুরে বাজলরে হৃদয়ের ঢোল,
আল্লহু, আল্লাহু রবে শাণিত রক্তিম
খুর! বিসমিল্লাহর বাসনার ‘ব’ তে ৷
সূরা ‘নাসে’র শেষে ‘স’ তে শেষ রূহের
খবর, আল্লাহু, আল্লাহু রবে ঝঙ্কার
আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর ৷
বাসনার ‘ব’ তে জাপান চীন শ্রীলঙ্কা,
‘স’ তে আমেরিকায় উড়াও সাদা ঝাণ্ডা ৷
আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর,
রবে উড়াও সাদা পতাকা বিশ্বময়,
তারই শাণে বাসু যে পিতা খোদা কয়,
আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর
রবে উড়াও শ্বেত পতাকা বিশ্বময় ৷
“(কবিতায় অনান্য দেশের নাম উল্লেখ করায় আমি নিজও শঙ্কিত ও লজ্জিত ৷ উহা নেহায়ৎ ধর্মকে বিশেষ করে অক্ষর গুলির স্ব স্ব ব্যাখ্যা প্রদানের উদ্দেশ্যে রচিত ৷ ‘ব’ অক্ষর গবেষণার মাধ্যমে কোরআন থেকে আনা হলেও উহা আমার নামের সাথে সম্পৃক্ত তথা কৃষ্ণ ও বুদ্ধের সাথে ফলে যেথায় তাদের বাস সেই সব বুঝাতে গিয়ে দেশের নাম উল্লেখিত হয়েছে ৷ অনুরূপভাবে ‘স’ গবেষণায় কোরআন আনা হলেও যাহা কালামের আদি ও অন্ত তাদের নিবাস সমূহ বুঝানো হয়েছে, উহা রাজ্য জয় নয় বরং হৃদয়ের সাথে বন্ধুত্বের কথাই বলা হয়েছে ৷ আশা করি এতে ভুল বুঝার অবকাশ থাকবে না ) ৷”

আল্লাহই মহান ৷ কেউ কেউ বলে যে এ নাম ‘ইসমেআযম’ ৷ এটাই সবচেয়ে সুন্দর নাম ৷ অন্য নামগুলি তাঁর নামীয় জগতের নাম ৷ (তিনি এতই মহৎ যে অন্য নাম ধরে যদি ডাকি তার সুফল পাওয়া যায় ৷ এখানে অনেকে ভুল করে থাকেন নাম এবং নামীয়ের মধ্যে)৷ নামীয় মানে গুণবাচক নাম ৷ যে নামে আত্ম প্রকাশ করার ধারণা পোষণ করে রচনা রচিত হচ্ছে তা বিসমিল্লাহির প্রথম অক্ষর ‘ব’ এবং বাংলায় বাসনার ‘বা’ দ্বারা ৷ (স্ব জাতির কাছেও অনুনয় বিনয়ের শেষ নেই ৷ ‘ব’ অক্ষর আমার আবিষ্কৃত নয় সুতরাং তাহাতে রাগ বা ক্রোধ থাকতেই পারে না )৷ ‘বাসু’ এ যে আমার বাল্যনাম, উহাই হয়তো গবেষণার প্রধান উৎস ৷ দার্শনিকদের মতে ইচ্ছার পূ্র্ব মুহূর্ত্তে বাসনা জাতীয় কিছু রয়েছে যা কেবল আল্লাহর মাঝেই ছিল ৷ ‘ব’ বা পাঠণে ‘বা’ বিসমিল্লাহির প্রথম অক্ষর, প্রায় লোকই পাক কোরআনের প্রথম অক্ষর ‘বা’ মনে করেন ৷ ‘ব’ কোরআনের প্রথম উদ্ধৃত আয়াত এবং ‘বা’ বাকারা সূরার বা শব্দের প্রথম ৷ ‘স’ সূরা নাস্ এর শেষ কোরআনেরও শেষ অক্ষর ৷ ‘স’ দ্বারা রচিত শত শত অর্থ থাকতে পারে কিন্তু আমি ভাল দিকটাই রচনা করব না কেন? ‘স’ শব্দের মূল মানবজাতির ইতিহাস নয় কেবল ‘সালাম’ শব্দে ব্যবহৃত হয়ে শান্তির কথা বলা হয়েছে ৷ ঐ অনুসারে কবিতার নামকরণ করা হয়েছে ৷ অন্য অর্থে পবিত্র তেমনি বিপরীতার্থ শব্দ বিদ্যমান থাকায় কেবল নামীয় অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ৷ দুটো অর্থ শান্তি আর পবিত্র মিলে উক্ত রচনা স্বার্থক হয়েছে কিনা জানি না ৷ ‘বাসু’ নামের দুঅক্ষরে বিশাল রচনা কতটুকু সফলতা আনয়ন করবে তা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন ৷ রচনায় সাদা পতাকা বা শ্বেত পতাকার কথা উল্লেখ থাকায় সামান্য বর্ণন ব্যতীত ইহা পূর্ণ করা সম্ভব হচ্ছেনা ৷ ভাল নামের অর্থ পিতাখোদা বা পিতা কালাম ৷ কবির অঙ্কন কবির কল্পন কোনটিই শেষ হয় না ৷  মানুষের আশারও বা শেষ কোথায়? হাদিছের কিয়দংশ এখানে বিবৃত হয়েছে ৷ আল্লাহর ইচ্ছা বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে দামেস্ক মসজিদের সাদা মিনারে যথাসময়ে হযরত ঈসা (আঃ) অবতরণ  করবেন ৷ শ্বেত পতাকা তো কেবল তার হাতে থাকবে যদি আল্লাহ তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন বিশ্বময় শান্তি আনয়নের মাধ্যমে ৷


                         পপপ                        পপপ


শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৩

আলফা ও ওমেগা



আলফা ও ওমেগা
আবুলকালামআজাদবাসু

‘নতুন টেষ্টামেন্ট গ্রীক ধর্মশাস্ত্রে, প্রথম এবং শেষ অক্ষরদ্বয় গ্রীক ভাষায় বর্ণিত রূপ ৷ ঐ ভাষায় আলফা এবং ওমেগা চিহ্ন স্বরূপ শুরু ও শেষ ৷ (উহা এরূপ যেমন আলিফ লাম ও মিম এর ব্যাখ্যার মত) ৷ উহাকে আল্লাহর উপাধি বলে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ যিনি ছিল, যিনি আছেন এবং যিনি থাকবেন, তিনিই আল্লাহ ৷ (বাণী ১, ৮) ৷ এই প্রতীক ব্যবহার তিন অক্ষরে খুব ভাল হয় ৷ (আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী পৃষ্ঠা ১৬) ৷
সুরা বাকারার আলিফ লাম মিম এর উচ্চারণ যদি ধরি আলিফ গলা থেকে আসে যা শুরু বা প্রথম, লাম জিহ্বার ভেতরে দাঁত সম্পর্ক যুক্ত অক্ষর মধ্যবর্তী, আর মিম হল ঠোঁট সম্পর্কিত ৷ আমরা কি তিনটিকে এভাবে নিতে পারি না যে প্রথম, মধ্যম ও শেষ ? যদি তা হয় উহা কি অধিক যুক্তি সঙ্গত নয় (রিভিশন নাম্বার ৮) এর সাথে যেটা জীবন, জন্ম এবং মরণ ৷ ৷ (আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী পৃষ্ঠা ১৬) ৷
(কবিতায় আমি হিন্দু নই কিন্তু আলাদাও ভাবতে পারি না তাই কৃষ্ণের ব্যক্ত ‘আমিই প্রথম, আমিই মধ্যম এবং আমিই শেষ’ তুলে ধরেছি)৷

ইহা কেন ই কররলাম পুনরুক্তি
বিচার্য এবং সংক্ষিপ্ত নিদর্শন ৷
মধ্যবর্তী স্থান দেখি ‘লাম’
না হয় হবে শুরু বা প্রথম ৷
শুরু-জন্ম আদি নন যিনি
তিনি অনাদি অনন্ত অশেষ ৷
মধ্যবর্তী স্থানে কে এল ?
কেহই জানি না আলিফ লাম মিম অর্থ ৷
কেহ বলে কবিতার সুন্দর ধরণ
কেহ বলে আলিফ মানে আল্লাহ
‘লাম’ রয়েছে গুপ্ত
‘মিম’ এ যে আপন অনুভূতি,
খ্রিষ্টান বলে আলফা যিশু
ওমেগা যিশু ইন্জিলে কয় ৷
মানুষ কি আল্লাহ হয় ?
তাইতো আমিই কালাম,
আমার পিতা হয় আবুল ৷
জন্মা-জনম আমি আজাদ ৷
বাসু আমি কৃষ্ণ নাম কার ?
নিজ ইচ্ছায় ব্যাখ্যা যত,
সেই জ্ঞান অনুমান লব্ধ ৷
ক্ষেত্র বিশেষ এ সঠিক,
ভিন্ন চিন্তায় খুবই ঠিক;
একে বারে কোন অর্থে বেঠিক ৷
কেউই চিনে না আমায়,
মুসলিম হয়ে কি করে বলি!
কৃষ্ণ বলে, ‘আমিই মধ্যম’ ৷
আল্লাহর ভাষায় আক্ষরিক অক্ষর
হবেই বা কেন ?
তাঁর না আছে শুরু, না শেষ ৷
প্রয়োজন আছে কিনা জানি না?
তিনিই তো সব ৷
সব অক্ষরই তাঁহার ৷
আলিফ নয় কোরআনের প্রথম অক্ষর,
সপ্ত তখন থাকতো না বর্ণনায় ৷
‘আলিফ’ যদি প্রথম হয় শেষ কি ?
মোহাম্মদ (সঃ) ঠিক কোরআনের মত
কিন্তু ডান হাতে আছে জীবন বই ৷
মানুষের জীবন বৃত্তান্ত,
জীবন বৃত্তান্ত বই আছে প্রত্যেক মানুষের ৷
ইহা কি সত্য নয় ?
চৌদ্দ অক্ষরের অর্থ গুপ্ত
অর্থ নাই কারও জানা,
বাকী চৌদ্দের সাথে এই চৌদ্দ
তাইতো কোরআন অর্ধেক সহজ
বাকী অর্ধেক কঠিন গুপ্ত অর্থে ৷
যিনি যতটুকু বুঝে
ততটুকুতেই টানে ইতি ৷
কেউ কি শুনেছে বাহাইয়ের নাম!
তিনিই আবিষ্কার করেন ‘ব’ হল
কোরআনের প্রথম অক্ষর ৷
তা যদি হয় গবেষণা হয় নি শেষ
হবেও না তা কখনও ৷
বোকাকে কে ই বা চিনবে ?
‘ব’ এর পরে মানব জাতির শেষ ‘স’ ৷
বৃহৎ অর্থে কালাম
তার প্রথম অক্ষর ‘ব’
শেষ অক্ষর ‘স’ ৷
শেষে জানাই কৃতজ্ঞতা তাঁরে,
যিনি কোরআন ব্যাখ্যায় শেষ করেছে জীবন,
তার উপর আল্লাহার রহমত
শান্তি বর্ষিত হোক কামনায়
তিনি অন্য কেহ নন, আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী ৷









বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৩

মানচিত্র



মানচিত্র
আবুলকালামআজাদবাসু

ভেবে চিন্তে দেখি মানচিত্র,
নহে মানমন্দির ৷
কূপে বাস করে এক কূপমণ্ডূক;
মানমন্দির বিশাল এক গবেষণাগার,
আকাশ করে পর্যবেক্ষণ
ক্ষণে ক্ষণে বদলায় রঙ ৷
কিন্তু পৃথিবীর মানচিত্র!
কেবল পাল্টায় না বার বার ৷
স্থিত স্থান পারস্য নাম তার
বদলায় আবার ৷
মুছে যায় না চিরতরে
ইহাই হিসাব নিকাশ
কূপমণ্ডূক থাকিয়া গণ্ডিতে আবদ্ধ
ভেবেছে মানমন্দির তাহার ৷
তবে যতটুকু বুঝে
ততটুকু ভাবিয়া শেষ ৷
একে একে টেনেছে ফেলিয়া দীর্ঘশ্বাস
এইতো সব নিঃশেষ ৷
বিশাল সমুদ্রের জ্ঞান বিজ্ঞান
জানা অজানা কিছুই
কূপমণ্ডূক নাহি জানে আর ৷
যিনি জানেন তিনি মহান
মানমন্দির কেবল তাঁর ৷
কে জানে,
আর কে ই বা জানে না!
মোমের আলো মিশে বার বার,
তবুও দেখি
সে যেন এক একাকার ৷
হাজারও জ্বলন্ত মোম যত নিবে
একত্রিত হয় একই আলোতে ৷without
এই হিসাব কূপমণ্ডূক বুঝে,
সমুদ্রের বিশাল দেহধারী
নিবে গেলে আলোয় মিশে
হয়ে যায় এক আবার ৷
মানচিত্র আমার দেখি বার বার ৷
আলো বিহীন এরূপ মানচিত্র, 
হয় না পার ৷
শিক্ষাদীক্ষায় দীক্ষিত জন বুঝিবে
আলো ছাড়া বিষণ্ণ বিপদ, 
গতিপথ হয়েছে অন্ধকার ৷
সবার একে একে হতে হবে পার ৷
উহাই সূক্ষ্ন চুলবিশিষ্ট সেতু,
জ্ঞান বিজ্ঞান ছাড়া
শিক্ষা দীক্ষা অপ্রতুল
তবে আলোতে শিক্ষা গ্রহণ,
আর অন্ধকারে শিখা,
কভুও হয় না এক ৷
মানচিত্র কি আবার নূতন
করে আসবে ভবে?
কূপের ব্যাঙ জানবে কিভাবে!
ভেবে চিন্তে দেখি মানচিত্র,
নহে মানমন্দির ৷
কূপে বাস করে এক কূপমণ্ডূক;
মানমন্দির বিশাল এক গবেষণাগার,
আকাশ করে পর্যবেক্ষণ
ক্ষণে ক্ষণে বদলায় রঙ ৷
কিন্তু পৃথিবীর মানচিত্র!
কেবল পাল্টায় না বার বার ৷

সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৩

পরিবেশ



    পরিবেশ
আবুলকালামআজাদবাসু

মানুষ মানুষের সাথে বাস
ধীরে গড়ে শিল্প নৈপুণ্য সমাজ ৷
কুকুর কুকুরের সাথী বাস নিবাস
একত্রে বসবাস গড়ে উঠে না সমাজ ৷
খাদ্য অভ্যাসে অভ্যস্ত ভাগ বাটোয়ার
তারা পরস্পর অপ্রবৃত্তি একে অন্যের চোটদার ৷
মানুষে মানুষে একই পরিবেশে
এহেন কখনও করে না কারবার ৷
সভ্য কর্মঠ মানুষ হয় না
সমাজের নির্জীব নিরেট চরিত্রের ৷
কুকুর একা মৃত বৃষ ভক্ষণে উন্মাদ,
শতগুণ বড় ভোজ্যদ্রব্য
একাই করে ভক্ষণ;
ততক্ষণে এসে যায় প্রতিবেশী,
খাদ্যবস্তু খাবার আশায় ৷
সেই কুকুর নিজের গ্রাস ছাড়িয়া
এক-লাফে পড়ে প্রতিবেশী কুকুরের গায় ৷
এরূপ পরিবেশ মানুষের আচরণ
সমাজ-ভুক্ত পরিবারের শোভা নাহি পায় ৷
তবুও মানুষ লোভ লালসায়
পরস্পর দ্বন্দ্বে জীবন হারায় ৷
মানুষ মানুষের সাথে বাস
ধীরে গড়ে শিল্প নৈপুণ্য সমাজ ৷
কুকুর কুকুরের সাথী বাস নিবাস
একত্রে বসবাস গড়ে উঠে না সমাজ ৷



শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৩

সমাদৃত



  সমাদৃত
আবুলকালামআজাদবাসু

নারীর সতীত্ব কবির কবিত্ব
রাজ গোষ্ঠির নৈতিক-ত্ব
সাধুর সাধু দৃষ্টান্ত
ভদ্রের ভদ্রজনোচিত উক্তি
জনসমাজ কর্তৃক সমাদৃত ৷
ভদ্রাসন পিতৃ-দম্ভ নিজ সত্তা বিলুপ্ত ৷
সেট বাংলা দফা ইংরেজি নাই জানা
না জেনে মূর্খ কটূক্তি নেই মানা
কারও কবিতা প্রীতি-জিন্দা,
কারও বদান্য বা সবিতা,
মম তব নাই কেহ জেসাস;
সে-ই মোর কবিতা কবিত্ব
আল্লাহ জানে গোপন তত্ত্ব
শেষ উহা স্বীকারোক্তি ৷
ভদ্রের ভদ্রজনোচিত উক্তি
জনসমাজ কর্তৃক সমাদৃত ৷



আমার কথা প্রথম খণ্ড (৩০)



আমার কথা   প্রথম খণ্ড (৩০)
আবুলকালামআজাদবাসু

এরূপ যুক্তি ও দর্শন এবং তাদের আনীত সব অপ-ব্যখ্যা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন সমীচীন বলে একান্ত বিশ্বাস ৷ আদিতে যদি কোরআন নাযিল হয়ে থাকে ঈসার (আঃ) এর আগমন প্রকৃতির বিপরীতেও বৈধ বলে মনে হয়, সেজন্য কোরআনে বাড়তি আয়াত নাযিল হয়েছে ৩(৪৬) ও ৪৩(৬১) ৷ কোরআনের আলোকে বলা যায় এ সব আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা প্রদান কারীরা নিজ স্বার্থ রক্ষার্থে তা করে থাকেন ৷ পূর্ণ বয়সে কথা বলা অলৌকিক ঘটনা নয় কিন্তু বাড়তি আয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম, সে কথার প্রতিশ্রুতি তফসীর কারকদের মতে অলৌকিক ঘটনা ৷ সুতরাং কোরআনের উপর আস্থা রাখা সব মুসলিমদের নিতান্তই প্রয়োজন ৷
”দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে”
“আলিফ লাম মীম আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নাই, তিনি চিরঞ্ছীব ও স্বাধিষ্ঠ বিশ্ব বিধাতা ৷ তিনি সত্যসহ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন, যাহা উহার পূর্রের কিতাবের সমর্থক ৷ আর তিনি অবতীর্ণ করিয়াছিলেন তাওরাত ও ইঞ্ছিল” ৷ ৩(১—৩) কোরআন ৷
 কোরআন এমন এক কিতাব যা আল্লাহ কর্তৃক পূর্বে নাযিলকৃত সব কিতাবের সমর্থক ৷ হযরত  ঈসা  (আঃ) এর আগমন  বার্তা অপ-ব্যাখ্যাকারীর দল বিকৃত করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে তাদের নাম বসিয়ে দিয়েছে কোরআনের ব্যাখ্যায় , সেক্ষত্রে পাঠক পাঠিকার সম্মূখে রয়েছে তাওরাত ও ইঞ্ছিল; যদিও এ কিতাব গুলিতে রদবদল করা হয়েছে, তবু হযরত ঈসার আগমন বার্তায় কোন রকম রাজনৈতিক  বা ক্ষমতা লোভের সম্ভবনা ছিল না বলে মনে হয় ৷ ইহুদি ও খৃষ্ট সমাজ কোরআনকে আসমানী কিতাব বলে গ্রহন করতে পারে নি ৷ তাই তারা ইহাকে মিথ্যা প্রমাণিত করার অপ-চেষ্টা চালায়েছে ৷ মানুষ তার কর্মফলের যথোপযুক্ত পুরষ্কার পেয়ে থাকেন ৷ ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের পেছনেও কুচক্রীদের এমন এক স্বার্থ জড়িত ছিল ৷ ইহুদিরা তো চায় কোরআন মিথ্যা প্রমাণিত হোক, অন্যদিকে খৃষ্টসমাজ চায় মানবতার খাতিরে ইহুদি রাষ্ট্র হোক এবং তারাও ইহুদিদের সাথে হাত মিলায়ে হিংসা পরায়ণ হয়ে কোরআনকে স্বঘোষিত বাণী বলে আখ্যায়িত করতে ভুল করেনি ৷  অন্তঃজ্বালায়  দগ্ধ হয়ে উভয় জাতি মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় ৷ কিন্তু ১৪০০ বছর গত হলেও  কোরআনের একটি বাণীও মিথ্যা প্রমাণে ব্যর্থ হয় ৷ সুযোগ যখন তাদের নাগালে এসে গেল তখন বৃটিশ, ফ্রান্স ও আমেরিকার সহায়তায় ইহুদি রাষ্ট্র গঠন করে কেবল বাইবেল বিরুদ্ধ নয় কোরআনের ৩(৫৫) আয়াতের বিপরীতে অন্তনির্বিষ্ট অর্থে জয়ী হবার চেষ্টা করে হয়তো আল্লাহর বাণীই পূর্ণ করেছেন ৷
“উহারা বলিল, হে যুলকারনায়ন! য়াজুজ ও মাজুজ পৃথিবীতে অশান্ত সৃষ্টি করিতেছে আমরা কি তোমাকে কর দিব এই শর্তে যে, তুমি আমাদিগের ও উহাদিগের মধ্যে এক প্রাচীর গড়িয়া দিবে?” ১৮(৯৪) কোরআন ৷
আল্লাহ যত কিতাব নাযল করেছেন হয়তো সব কিতাবে বর্বর এ জাতি সম্পর্কে বলা হয়েছে বিশেষ করে তওরাত কিতাবে, তদূপরি বিশিষ্ট মসি দজ্জালের বিবৃতি ইঞ্ছিলে ও কোরআনে কম নেই ৷ পৃথিবীতে উভয় জাতি বিশৃঙ্খলা সৃষ্ট করবে এ ভবিষ্যত বাণী লিপিবদ্ধ করা আছে বিশদভাবে তাওরাতে ৷ কিতাবের বিবরণ অনুযায়ী সবই কাল পরিবর্তনের সাথে সাথে সিদ্ধি লাভ করবে ৷ কিন্তু মানুষ তার বাপ দাদার রীতিনীতি পরিবর্তনে আগ্রহী হবে না ৷ আল্লাহ তাঁর নিদর্শনাবলী প্রকাশ করে যাবেন যাতে মানুষ ও জ্বিন জাতি সৎ পথে ফিরে আসে ৷