আমার কথা প্রথম খণ্ড (৩১)
আবুলকালামআজাদবাসু
যদি হয় পূর্ণ তবে কেন হবে শূণ্য?
রক্তে ডুবান বস্ত্র পরিহিত সে কে গো!
গুপ্ত নামে তারে কে বা ডাকে ধ্যান মগ্নে?
সাদা রঙের ঘোড়ায় যে বিশ্বস্তজন,
শ্বেত বর্ণের পতাকা হয়ে এ দর্শন
কলেমাতুল্লাহ নামে খ্যাত সর্বময় ৷
কবিতাংশের সেই অনুবৃত্তি এখানে উদ্ধৃত হয়েছে এবং জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে,
যদি হযরত ঈসা (আঃ) ‘পরিণত বয়স’ পূর্বে পেয়ে থাকেন অর্থাৎ অপব্যাখ্যাকারীদের মতানুসারে, তবে কেন পাঠক
সমাজ কোন রকম ইতিহাস বা তাঁর বাকী জীবনের লিখিত বিবরণের কিছুই দেখতে পাচ্ছে না!
উহার কারণ এই যে ইহুদিরা তাঁকে শূলে চড়ায়ে হত্যা করেছেন, খৃষ্টানেরা মৃতকে জীবিত
করে ৷ কতিপয় মুসলিম গোত্র শূলে চড়ায়ে মৃতবৎ করে জিন্দা করেছেন ৷ উহাকে আল্লাহর
পরাক্রমশালীর কর্ম বলে বর্ণনা করেন ৷ কোন রকম চুড়ান্ত দলিল ব্যতীত বা ইঞ্জিলের
সাথে যুক্ত হবার মত কোন বাণী তারা আবিষ্কার করেন নি ৷ বরং একটা কবরকে হযরত ঈসার
কবর বলে প্রকাশ করায়ে দেশ বিদেশে পচার করছেন ৷ এমন শত শত মাজার বাংলাদেশে
বিদ্যমান, যাঁদের কোন রকম নাম নিশানাও বিবৃত লোকের নেই ৷ মানুষ মানুষের জন্য,
মানুষের সুখে দুখে যদি মানুষ এগিয়ে না আসে তখন তার ধর্ম বলতে কিছু নেই ৷ মানুষ এক
সময় এ অনুভূতি মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলে এবং আল্লাহকে ডাকে ৷ রক্ত ডুবান পরিহিত এ
পৃথিবীতে মাত্র একজনই যিনি ব্যাধের বস্ত্র পরিধান করেছেন ৷ কবিতাংশে যাঁকে রক্ত
ডুবান বস্ত্র পরিহিত বলা হচ্ছে তিনিই মানবসেবার ধর্মকে প্রাধান্য দিয়েছেন ৷ একমাত্র
ইসলাম ব্যতীত সব ধর্মেই সংসারত্যাগ করে সন্ন্যাসব্রত হবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ৷
তারাই সাধারণতঃ গৈরিক বস্ত্র পরিধান করে থাকেন ৷ হাদীছে তাই বলা হয়েছে দুটি রঙিন
চাদর পরিহিত ব্যক্তি, আর ইঞ্জিলে সেই ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে রক্ত ডুবান ব্যক্তি, যিনি
এ ধরায় দ্বিতীয়বার আসবেন তাঁর আর এক গুপ্ত নাম রয়েছে ৷ হয়তো সেই নামেই আবার
পরিচিতি লাভ করবেন ৷ কথিত আছে হযরত (সঃ) সাদা ঘোড়ায় ভ্রমণ এমনকি যুদ্ধও পরিচালনা
করতেন ৷ তিনিই বিশ্বস্তজনরূপে সমাদৃত ছিলেন, তিনিই সাম্য ও মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব ও
ঐক্যের উদ্দেশ্যে সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন ৷ তাঁরই (সাঃ) পদাঙ্ক অনুসরণ করে
সাদা পতাকা নিয়ে বিশ্বময় এই ঝান্ডার নীচে সমবেত হবার নিমিত্তে পূনর্বার পদার্পণ
করবেন হযরত ঈসা (আঃ) ৷