শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৩

আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড – (২)



আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড – (২)
আবুলকালামআজাদবাসু

    শান্তির পতাকা
আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর
সেই সুরে বাজলরে হৃদয়ের ঢোল,
আল্লহু, আল্লাহু রবে শাণিত রক্তিম
খুর! বিসমিল্লাহর বাসনার ‘ব’ তে ৷
সূরা ‘নাসে’র শেষে ‘স’ তে শেষ রূহের
খবর, আল্লাহু, আল্লাহু রবে ঝঙ্কার
আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর ৷
বাসনার ‘ব’ তে জাপান চীন শ্রীলঙ্কা,
‘স’ তে আমেরিকায় উড়াও সাদা ঝাণ্ডা ৷
আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর,
রবে উড়াও সাদা পতাকা বিশ্বময়,
তারই শাণে বাসু যে পিতা খোদা কয়,
আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর
রবে উড়াও শ্বেত পতাকা বিশ্বময় ৷
“(কবিতায় অনান্য দেশের নাম উল্লেখ করায় আমি নিজও শঙ্কিত ও লজ্জিত ৷ উহা নেহায়ৎ ধর্মকে বিশেষ করে অক্ষর গুলির স্ব স্ব ব্যাখ্যা প্রদানের উদ্দেশ্যে রচিত ৷ ‘ব’ অক্ষর গবেষণার মাধ্যমে কোরআন থেকে আনা হলেও উহা আমার নামের সাথে সম্পৃক্ত তথা কৃষ্ণ ও বুদ্ধের সাথে ফলে যেথায় তাদের বাস সেই সব বুঝাতে গিয়ে দেশের নাম উল্লেখিত হয়েছে ৷ অনুরূপভাবে ‘স’ গবেষণায় কোরআন আনা হলেও যাহা কালামের আদি ও অন্ত তাদের নিবাস সমূহ বুঝানো হয়েছে, উহা রাজ্য জয় নয় বরং হৃদয়ের সাথে বন্ধুত্বের কথাই বলা হয়েছে ৷ আশা করি এতে ভুল বুঝার অবকাশ থাকবে না ) ৷”

আল্লাহই মহান ৷ কেউ কেউ বলে যে এ নাম ‘ইসমেআযম’ ৷ এটাই সবচেয়ে সুন্দর নাম ৷ অন্য নামগুলি তাঁর নামীয় জগতের নাম ৷ (তিনি এতই মহৎ যে অন্য নাম ধরে যদি ডাকি তার সুফল পাওয়া যায় ৷ এখানে অনেকে ভুল করে থাকেন নাম এবং নামীয়ের মধ্যে)৷ নামীয় মানে গুণবাচক নাম ৷ যে নামে আত্ম প্রকাশ করার ধারণা পোষণ করে রচনা রচিত হচ্ছে তা বিসমিল্লাহির প্রথম অক্ষর ‘ব’ এবং বাংলায় বাসনার ‘বা’ দ্বারা ৷ (স্ব জাতির কাছেও অনুনয় বিনয়ের শেষ নেই ৷ ‘ব’ অক্ষর আমার আবিষ্কৃত নয় সুতরাং তাহাতে রাগ বা ক্রোধ থাকতেই পারে না )৷ ‘বাসু’ এ যে আমার বাল্যনাম, উহাই হয়তো গবেষণার প্রধান উৎস ৷ দার্শনিকদের মতে ইচ্ছার পূ্র্ব মুহূর্ত্তে বাসনা জাতীয় কিছু রয়েছে যা কেবল আল্লাহর মাঝেই ছিল ৷ ‘ব’ বা পাঠণে ‘বা’ বিসমিল্লাহির প্রথম অক্ষর, প্রায় লোকই পাক কোরআনের প্রথম অক্ষর ‘বা’ মনে করেন ৷ ‘ব’ কোরআনের প্রথম উদ্ধৃত আয়াত এবং ‘বা’ বাকারা সূরার বা শব্দের প্রথম ৷ ‘স’ সূরা নাস্ এর শেষ কোরআনেরও শেষ অক্ষর ৷ ‘স’ দ্বারা রচিত শত শত অর্থ থাকতে পারে কিন্তু আমি ভাল দিকটাই রচনা করব না কেন? ‘স’ শব্দের মূল মানবজাতির ইতিহাস নয় কেবল ‘সালাম’ শব্দে ব্যবহৃত হয়ে শান্তির কথা বলা হয়েছে ৷ ঐ অনুসারে কবিতার নামকরণ করা হয়েছে ৷ অন্য অর্থে পবিত্র তেমনি বিপরীতার্থ শব্দ বিদ্যমান থাকায় কেবল নামীয় অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ৷ দুটো অর্থ শান্তি আর পবিত্র মিলে উক্ত রচনা স্বার্থক হয়েছে কিনা জানি না ৷ ‘বাসু’ নামের দুঅক্ষরে বিশাল রচনা কতটুকু সফলতা আনয়ন করবে তা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন ৷ রচনায় সাদা পতাকা বা শ্বেত পতাকার কথা উল্লেখ থাকায় সামান্য বর্ণন ব্যতীত ইহা পূর্ণ করা সম্ভব হচ্ছেনা ৷ ভাল নামের অর্থ পিতাখোদা বা পিতা কালাম ৷ কবির অঙ্কন কবির কল্পন কোনটিই শেষ হয় না ৷  মানুষের আশারও বা শেষ কোথায়? হাদিছের কিয়দংশ এখানে বিবৃত হয়েছে ৷ আল্লাহর ইচ্ছা বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে দামেস্ক মসজিদের সাদা মিনারে যথাসময়ে হযরত ঈসা (আঃ) অবতরণ  করবেন ৷ শ্বেত পতাকা তো কেবল তার হাতে থাকবে যদি আল্লাহ তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন বিশ্বময় শান্তি আনয়নের মাধ্যমে ৷


                         পপপ                        পপপ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন