আলফা ও ওমেগা
আবুলকালামআজাদবাসু
‘নতুন টেষ্টামেন্ট গ্রীক ধর্মশাস্ত্রে, প্রথম এবং শেষ অক্ষরদ্বয় গ্রীক
ভাষায় বর্ণিত রূপ ৷ ঐ ভাষায় আলফা এবং ওমেগা চিহ্ন স্বরূপ শুরু ও শেষ ৷ (উহা এরূপ
যেমন আলিফ লাম ও মিম এর ব্যাখ্যার মত) ৷ উহাকে আল্লাহর উপাধি বলে বর্ণনা করা হয়েছে
৷ যিনি ছিল, যিনি আছেন এবং যিনি থাকবেন, তিনিই আল্লাহ ৷ (বাণী ১, ৮) ৷ এই প্রতীক
ব্যবহার তিন অক্ষরে খুব ভাল হয় ৷ (আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী পৃষ্ঠা ১৬) ৷
‘সুরা বাকারার আলিফ লাম মিম এর উচ্চারণ যদি ধরি আলিফ গলা থেকে আসে যা শুরু
বা প্রথম, লাম জিহ্বার ভেতরে দাঁত সম্পর্ক যুক্ত অক্ষর মধ্যবর্তী, আর মিম হল ঠোঁট
সম্পর্কিত ৷ আমরা কি তিনটিকে এভাবে নিতে পারি না যে প্রথম, মধ্যম ও শেষ ? যদি তা
হয় উহা কি অধিক যুক্তি সঙ্গত নয় (রিভিশন নাম্বার ৮) এর সাথে যেটা জীবন, জন্ম এবং
মরণ ৷ ৷ (আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী পৃষ্ঠা ১৬) ৷
(কবিতায় আমি হিন্দু নই কিন্তু আলাদাও ভাবতে পারি না তাই কৃষ্ণের ব্যক্ত
‘আমিই প্রথম, আমিই মধ্যম এবং আমিই শেষ’ তুলে ধরেছি)৷
ইহা কেন ই কররলাম পুনরুক্তি
বিচার্য এবং সংক্ষিপ্ত নিদর্শন ৷
মধ্যবর্তী স্থান দেখি ‘লাম’
না হয় হবে শুরু বা প্রথম ৷
শুরু-জন্ম আদি নন যিনি
তিনি অনাদি অনন্ত অশেষ ৷
মধ্যবর্তী স্থানে কে এল ?
কেহই জানি না আলিফ লাম মিম অর্থ ৷
কেহ বলে কবিতার সুন্দর ধরণ
কেহ বলে আলিফ মানে আল্লাহ
‘লাম’ রয়েছে গুপ্ত
‘মিম’ এ যে আপন অনুভূতি,
খ্রিষ্টান বলে আলফা যিশু
ওমেগা যিশু ইন্জিলে কয় ৷
মানুষ কি আল্লাহ হয় ?
তাইতো আমিই কালাম,
আমার পিতা হয় আবুল ৷
জন্মা-জনম আমি আজাদ ৷
বাসু আমি কৃষ্ণ নাম কার ?
নিজ ইচ্ছায় ব্যাখ্যা যত,
সেই জ্ঞান অনুমান লব্ধ ৷
ক্ষেত্র বিশেষ এ সঠিক,
ভিন্ন চিন্তায় খুবই ঠিক;
একে বারে কোন অর্থে বেঠিক ৷
কেউই চিনে না আমায়,
মুসলিম হয়ে কি করে বলি!
কৃষ্ণ বলে, ‘আমিই মধ্যম’ ৷
আল্লাহর ভাষায় আক্ষরিক অক্ষর
হবেই বা কেন ?
তাঁর না আছে শুরু, না শেষ ৷
প্রয়োজন আছে কিনা জানি না?
তিনিই তো সব ৷
সব অক্ষরই তাঁহার ৷
আলিফ নয় কোরআনের প্রথম অক্ষর,
সপ্ত তখন থাকতো না বর্ণনায় ৷
‘আলিফ’ যদি প্রথম হয় শেষ কি ?
মোহাম্মদ (সঃ) ঠিক কোরআনের মত
কিন্তু ডান হাতে আছে জীবন বই ৷
মানুষের জীবন বৃত্তান্ত,
জীবন বৃত্তান্ত বই আছে প্রত্যেক মানুষের ৷
ইহা কি সত্য নয় ?
চৌদ্দ অক্ষরের অর্থ গুপ্ত
অর্থ নাই কারও জানা,
বাকী চৌদ্দের সাথে এই চৌদ্দ
তাইতো কোরআন অর্ধেক সহজ
বাকী অর্ধেক কঠিন গুপ্ত অর্থে ৷
যিনি যতটুকু বুঝে
ততটুকুতেই টানে ইতি ৷
কেউ কি শুনেছে বাহাইয়ের নাম!
তিনিই আবিষ্কার করেন ‘ব’ হল
কোরআনের প্রথম অক্ষর ৷
তা যদি হয় গবেষণা হয় নি শেষ
হবেও না তা কখনও ৷
বোকাকে কে ই বা চিনবে ?
‘ব’ এর পরে মানব জাতির শেষ ‘স’ ৷
বৃহৎ অর্থে কালাম
তার প্রথম অক্ষর ‘ব’
শেষ অক্ষর ‘স’ ৷
শেষে জানাই কৃতজ্ঞতা তাঁরে,
যিনি কোরআন ব্যাখ্যায় শেষ করেছে জীবন,
তার উপর আল্লাহার রহমত
শান্তি বর্ষিত হোক কামনায়
তিনি অন্য কেহ নন, আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন