আমার কথা প্রথম
খণ্ড (৩০)
আবুলকালামআজাদবাসু
এরূপ যুক্তি ও দর্শন এবং তাদের আনীত সব অপ-ব্যখ্যা
রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন সমীচীন বলে একান্ত বিশ্বাস ৷ আদিতে যদি কোরআন নাযিল হয়ে
থাকে ঈসার (আঃ) এর আগমন প্রকৃতির বিপরীতেও বৈধ বলে মনে হয়, সেজন্য কোরআনে বাড়তি
আয়াত নাযিল হয়েছে ৩(৪৬) ও ৪৩(৬১) ৷ কোরআনের আলোকে বলা যায় এ সব আয়াতের ভুল
ব্যাখ্যা প্রদান কারীরা নিজ স্বার্থ রক্ষার্থে তা করে থাকেন ৷ পূর্ণ বয়সে কথা বলা
অলৌকিক ঘটনা নয় কিন্তু বাড়তি আয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম, সে কথার প্রতিশ্রুতি তফসীর
কারকদের মতে অলৌকিক ঘটনা ৷ সুতরাং কোরআনের উপর আস্থা রাখা সব মুসলিমদের নিতান্তই
প্রয়োজন ৷
”দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে”
“আলিফ লাম মীম আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নাই,
তিনি চিরঞ্ছীব ও স্বাধিষ্ঠ বিশ্ব বিধাতা ৷ তিনি সত্যসহ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ
করিয়াছেন, যাহা উহার পূর্রের কিতাবের সমর্থক ৷ আর তিনি অবতীর্ণ করিয়াছিলেন তাওরাত
ও ইঞ্ছিল” ৷ ৩(১—৩) কোরআন ৷
কোরআন এমন
এক কিতাব যা আল্লাহ কর্তৃক পূর্বে নাযিলকৃত সব কিতাবের সমর্থক ৷ হযরত ঈসা
(আঃ) এর আগমন বার্তা
অপ-ব্যাখ্যাকারীর দল বিকৃত করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে তাদের নাম বসিয়ে দিয়েছে
কোরআনের ব্যাখ্যায় , সেক্ষত্রে পাঠক পাঠিকার সম্মূখে রয়েছে তাওরাত ও ইঞ্ছিল; যদিও
এ কিতাব গুলিতে রদবদল করা হয়েছে, তবু হযরত ঈসার আগমন বার্তায় কোন রকম
রাজনৈতিক বা ক্ষমতা লোভের সম্ভবনা ছিল না
বলে মনে হয় ৷ ইহুদি ও খৃষ্ট সমাজ কোরআনকে আসমানী কিতাব বলে গ্রহন করতে পারে নি ৷
তাই তারা ইহাকে মিথ্যা প্রমাণিত করার অপ-চেষ্টা চালায়েছে ৷ মানুষ তার কর্মফলের
যথোপযুক্ত পুরষ্কার পেয়ে থাকেন ৷ ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের পেছনেও কুচক্রীদের এমন এক
স্বার্থ জড়িত ছিল ৷ ইহুদিরা তো চায় কোরআন মিথ্যা প্রমাণিত হোক, অন্যদিকে খৃষ্টসমাজ
চায় মানবতার খাতিরে ইহুদি রাষ্ট্র হোক এবং তারাও ইহুদিদের সাথে হাত মিলায়ে হিংসা
পরায়ণ হয়ে কোরআনকে স্বঘোষিত বাণী বলে আখ্যায়িত করতে ভুল করেনি ৷ অন্তঃজ্বালায়
দগ্ধ হয়ে উভয় জাতি মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় ৷ কিন্তু ১৪০০
বছর গত হলেও কোরআনের একটি বাণীও মিথ্যা
প্রমাণে ব্যর্থ হয় ৷ সুযোগ যখন তাদের নাগালে এসে গেল তখন বৃটিশ, ফ্রান্স ও
আমেরিকার সহায়তায় ইহুদি রাষ্ট্র গঠন করে কেবল বাইবেল বিরুদ্ধ নয় কোরআনের ৩(৫৫)
আয়াতের বিপরীতে অন্তনির্বিষ্ট অর্থে জয়ী হবার চেষ্টা করে হয়তো আল্লাহর বাণীই পূর্ণ
করেছেন ৷
“উহারা বলিল, হে যুলকারনায়ন! য়াজুজ ও মাজুজ
পৃথিবীতে অশান্ত সৃষ্টি করিতেছে আমরা কি তোমাকে কর দিব এই শর্তে যে, তুমি আমাদিগের
ও উহাদিগের মধ্যে এক প্রাচীর গড়িয়া দিবে?” ১৮(৯৪) কোরআন ৷
আল্লাহ যত কিতাব নাযল করেছেন হয়তো সব কিতাবে বর্বর
এ জাতি সম্পর্কে বলা হয়েছে বিশেষ করে তওরাত কিতাবে, তদূপরি বিশিষ্ট মসি দজ্জালের
বিবৃতি ইঞ্ছিলে ও কোরআনে কম নেই ৷ পৃথিবীতে উভয় জাতি বিশৃঙ্খলা সৃষ্ট করবে এ
ভবিষ্যত বাণী লিপিবদ্ধ করা আছে বিশদভাবে তাওরাতে ৷ কিতাবের বিবরণ অনুযায়ী সবই কাল
পরিবর্তনের সাথে সাথে সিদ্ধি লাভ করবে ৷ কিন্তু মানুষ তার বাপ দাদার রীতিনীতি
পরিবর্তনে আগ্রহী হবে না ৷ আল্লাহ তাঁর নিদর্শনাবলী প্রকাশ করে যাবেন যাতে মানুষ ও
জ্বিন জাতি সৎ পথে ফিরে আসে ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন