আমার কথা প্রথম খণ্ড ২৩
আবুলকালামআজাদবাসু
21/4/2013
আল্লাহ সৃষ্টি করেছেণ সাত আসমান
ও সম
পরিমান জমিন
৷ কিন্তু তারা ব্যস্ত হয়ে
পড়েছেন যে,
ঈসা (আঃ)
কোথায় , কোন
আকাশে বাস করছেন
? যদি প্রশ্ন করা হয় মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সাহেব
কোথায় বাস
করছেন ? নিশ্চয়ই তারা বলবে বরযখে
৷ সুতরাং উপরে নীচে সর্বস্তরে জীব বসবাস করার
উপযোগী স্থানও আল্লাহ সৃষ্টি করে রেখেছেন ৷
“যাহারা কুফরি
করিযাছে ও
সীমালংঘন করিয়াছে আল্লাহ তাহাদিগকে কখনও ক্ষমা
করিবেন না এবং
তাহাদিগকে কোন
পথও দেখাইবেন না ৷” ৪(১৬৮) কোরআন
৷
এরূপ কুফরীকারী অবিশ্বাসী, ভিন্নমত পোষণকারী যুগে
যুগে আবির্ভাব হযেছে, হতে থাকবে
৷ তারা
এক আহাতের সাথে অন্য আয়াত
সংযুক্ত করে
স্বার্থ উদ্ধার করার তৎপরতা অব্যাহত রাখবে ৷ আল্লাহ তাদেরকে কখনো করবেন না
৷
তাদেরকে সুপথও দেখাবেন না ৷ তারা নিজেরাই মনে করবে কোরআনকে এত বুঝেছেন অন্যরা তাদের
সমকক্ষ নন ৷ পাঠক সমাজ! আলোচ্য বিষয় ৩ (৫৫) কোরআনের আয়াত ৷ এই আয়াতের প্রতিকূলে
রাষ্ট্র গঠন করায় কি কোরআন মিথ্যা হয়ে যাবে! না, তা কখনও নহে, বরং এখানেই পরম
কৌশলীর কৌশল তাদেরকে পরাস্ত করে দেবে ৷ আর একদল বলবে যে রোম সামাজ্য পতনের পর এ অর্থ পূর্ণ হয়ে গেছে
৷
“তাহাদিগের জন্য আছে সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পারলৌকিক জীবনে; আল্লাহর
বাণীর পরিবর্তন নাই; উহাই মহা সাফল্য”৷ ১০ (৬৭)
যারা আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের অনুসরণ করে তাদের জন্য ইহলোকে ও পরলোকে
সুসংবাদ রষেছে ৷আর যারা হযরত সঃ পর নবী দাবীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তারাতো
এরূপ সুসংবাদকে তাদের কৃতিত্ব বলে প্রচার করে ধর্মগুরু নামে অভিহিত হয়ে গেছেন এবং
ভবিষ্যতে তারা নবী রাসুলদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করেতাতে উপবিষ্ট হবেন ৷ কারণ তাযা
চায় না যে, সাধারণ নাগরিগত্ব, বরং তাদের প্রয়োজন প্রধান মন্ত্রীন্ত ৷তারা ঐ সাধকের
ন্যায় পানিচক্রের কথায় ভাবেন যার কোন ইতি নাই ৷ তবে তারা স্কীকার করেন যে, শুরু
যখন আছে তার েশষও আছে ৷ কিন্তু নবী আগমনের ধারার সমাপ্ত নেই ৷এর পেছনে কোন যুক্তি
নেই ৷ জাতিসংঘে আইন পাসের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে প্রথম ইহুদি রাষ্ট্রের বীজ বপন করা হয়
৷ এ রাষ্ট্রর কথ প্রসঙ্গক্রম বারবার কেন উল্লেখ করা হচ্ছে তাও কারও অবোধ্য নহে ৷
সাধারণের মনে এ প্রশ্নটা জাগরিত হওয়াটা স্বাভাবিক ৷ কিন্তু ইহার উদ্যক্তাআমাকে মনে করলে সামান্য ভুল হবে
বৈ কি ৷ কারণ হাদীছ কোযআন এবং অন্যান্য ধ্ম গ্রন্থ আমার নয় বরং স্বয়ং আল্লার ৷কারন
এমন হাদিছও রয়েছে যে একজন ইহুদি লুকিয়ে থাকলেওপাথরও চীৎকার করে বলে দিবে যে এই
লোকটা আমার পেছনে লুকিয়ে আছে দেখুন না এ যুগে পাথর কথা বলে কিনা ৷ তাই একথা
প্রকৃতির ভাষ্য ৷ আজ কি একটি রাষ্ট্রগঠন হল না? বিরুদ্ধবাদীরা আমার কথায় সোচ্চার
হতে পারে ৷ লাভ হবে না, মানচিত্র থেকে উহা মোচনও করাও যাব না ৷ এ আয়াতকে কেন্দ্র
করে নিজের জীবন বৃত্তান্ত টেনে আনতে অধিক যুক্তি সঙ্গত মনে হয়েছে ৷এ রাষ্ট্র
সর্ম্পকে মারেফুল কোরআন আরও অধিক বিশদভাবে তুলে ধরেছে ৷সুতরাং ইহাতে নতুনত্ব কিছু
নাই ৷ সোজা কথায় বলাহয় কুচক্রীমহল যখন ইসরাইল রাষ্ট্রগঠন সম্পর্কে দৃঢ় আস্থা পোষণ
করছে তখন আল্লাহ সর্ব কৌশলী যে পন্থা অবলম্বন করেছেন তা হলো এই যে আমাকে একখানা পুস্তক রচনা করার
অর্থাৎ আমার জন্ম সাল অনুযায়ী ১৯৪৭ ইং নির্ধারিত করে দিয়েছেন ৷ যাতে জনসমক্ষে এ
দৃষ্টান্ত তা তোলে ধরতে পারি ৷তবে ইহার প্রকৃত জবাব আল্লাহ ভাল জানেন ৷ কেবল
উপস্থাপক হিসেবে আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ব্রতী হয়েছি ৷যদি এ ব্যাপারে আরও
প্রশ্ন জাগে তবে তাঁদের প্রকৃতিকেই জিজ্ঞাসা করা সমীচীন হবে বলে মনে করি ৷ আল্লাহ
ভাল জানেন ৷ কেবল উপস্থাপক হিসেবে আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ব্রতী হয়েছি ৷যদি
এ ব্যাপারে আরও প্রশ্ন জাগে তবে তাঁদের প্রকৃতিকেই জিজ্ঞাসা করা সমীচীন হবে বলে
মনে করি ৷
“মুনাফিকগণ
তো জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে রহিবে এবং তাহাদের জন্য তুমিকখনো কোন সহায় পাইবে না
“৷ ৪(১৪৫) কোরআন ৷
অবিশ্বাসীদের
চেয়েমুনাফিকগণ অত্যধিক জালেম হয়ে থাকে ৷ তারা একদিকে নিজেদেরকে মুসলিম হিসেবে
পরিচয় দান করবে অন্যদিকে আল্লাহর আয়াত সমূহে খুঁত বের করে মানুষকে বিপদের দিকে
ঠেলে দিবে ৷তাদের মধ্যে কাদিয়ানী জামাত অন্যতম ৷
মির্জা গোলাম আহমদ
কাদিয়ানী ক্ষণে ঈসা, ক্ষণে মেহেদী, ক্ষণে মাহদী যার অর্থ ওহী প্রাপ্ত,ক্ষণে ঈসা
সদৃশ, আবার বলে ঈসা সদৃশ বলা কি অপরাধ ?ক্ষণে বলে যে ঈসার মৃত্যুব্যতীত ইসলামকে
জিন্দা করা যাবে না,তাদের এ সব ভ্রান্ত মতবাদ বিশ্বেবিশেষভাবে মিডিয়ার যুগে মারাত্মক প্রতিক্রিয়াসৃষ্টি করে চলেছে ৷আর
ইহা অবিশ্বাস্য যে যিনি নবীর তালিকায়থেকেওকোন ওহীর দাবীদার নহেন সে ক্ষেত্রে মাহদী
নাম যুক্ত করে ওহীপ্রাপ্ত বলা আল্লাহরকাছে তা কতটুকু গ্রহনযোগ্য তিনিই তা ভাল
জানেন ৷একথা অনস্বীকার্য যে স্বয়ং ঈসা (আঃ) যদি বলে তিনিই ঈসা (আঃ), তবুও লোকে তাঁকে
তাঁকে বিশ্বাস করবে না,তিনি যদি বলেন পাক কোরআন সত্য বরং আহমদিয়াত জামাত ভ্রমে
পতিত হয়েছে ৷অবশ্যই তারা
এ কথা কিছুতেই মানবে না
৷কারণ কাল শেষে মসি সম্রাট এর সংখ্যা অত্যধিক বৃদ্ধিপাবে ৷তবে ভুললে চলবে না তৃতীয়
কাল বলেও এককাল রয়েছে যখন কাকেও সময় দেয়া হবে না
(মারেফুল কোরআনের ও ইঞ্ছিলের আলোকে)৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন