শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৩

আমার কথা প্রথম খণ্ড ২৫


আমার কথা   প্রথম খণ্ড ২৫
আবুলকালামআজাদবাসু
এ আয়াতে যা বর্ণিত হয়েছে তার সকল অর্থ সার্বজনীন ৷ দু বা ততোধিক আল্লাহ এ  
বিশ্বব্র্রহ্মাণ্ডে দেখা দিত বিশৃঙ্খলা, যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই থাকতো কাদিয়ানী সাহেবের উক্তি অনুসারে মনে হয় যে, তিনিও খোদার সাথে কথা বলেছেন এবং ঐ খোদা যিনি ঈসা ও মূসা নবীদের খোদা ছিলেন ৷ তাহলে ইহা সত্য যে আমার সাথে স্বপ্ন জাতীয় এক অচেতন ভাবে আল্লাহর সাথে কিঞ্চিত কথা হয়েছে এবং কাদিয়ানীর সাথে ওহী সহ নানান কথা হয়েছে এবং সে হিসাবে তিনি তার মত কোরআন সহ বহু বই রচনা করেছেন ৷ এ কথা সত্য যে আমরা দুজনই মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছি ৷ আমি কিঞ্চিৎ সত্য এ কথা বলারও অধিকার আজ আমার নাই ৷ তা কিভাবে নির্ণয় করবেন তা পাঠক সমাজের হাতে রইলো ৷ খৃষ্টানেরা তিন খোদাকে মেনে থাকেন যেমনঃ পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মা ৷ কাদিয়ান সাহেবের এমন প্রমাণ নেই যে, এ তিন খোদাকে একত্রিত কর ৷ কিন্তু আমিই পিতা, আমিই পুত্র, এবং আমিই পবিত্র আত্মার ঊর্ধ্বে রূহ ৷ অথচ আমি একজন মানুষ ৷ কাল পূর্ণ হলেই কিতাবের কথামত আর এক ঘটনা উপস্থিত হয় ৷ মানুষ দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে, কেহ কেহ হাদীছের উপর থেকে চোখ সরায়ে নিচ্ছেন ৷ কেন? কোথায় সেই অপেক্ষিত ব্যক্তি ? তিনিই তো নিজেই মসি উপাধি প্রাপ্ত ৷ তাকে বলা হয় ঈসা মসি ৷ আর মিথ্যুকের নাম হবে মসি অমূক বা মসি আহমদ বা মসি সম্রাট কাদিয়ান ৷
“মানুষের মধ্যে এমন লোক রহিয়াছে যাহারা বলে, আমারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী, কিন্তু তাহারা বিশ্বাসী নহে , আল্লাহ এবং মুমিনগণকে তাহারা বিশ্বাসী নহে, আল্লাহ এবং মুমিনগণকে তাহারা প্রভাবিত করিতে চাহে ৷ অথচ তাহারা যে নিজ দিগকে ভিন্ন কাহাকেও প্রভাবিত করে না ইহা তাহারা বুঝিতে পারে না”৷ ২(৮) কোরআন ৷

বর্ণিত আয়াতের সমকক্ষ ব্যক্তিবর্গ নিঃসন্দেহে মুনাফিক ৷ কেবল কলেমা পাঠ করলে মুসলিম হওয়া যায় না বিশেষ করে ঐ জামাতের কথাই এখানে বলা হচ্ছে ৷ তবে কলেমা পাঠ এবং একত্ববাদে মুসলিম এবং ইসলামের মূল তত্ত্ব অন্তর্নিহিত থাকলেও দু নৌকায় পা রেখে চলছে ভ্রান্ত নীতি অনুসরণের মাধ্যমে যেমন শেষ নবী বলতে প্রকৃত শেষ নবী নয় বরং শ্রেষ্ঠ নবী ৷ মোহর করা হয়েছে এমন শব্দ পূর্বেও ব্যবহৃত হয়েছে সুতরাং মোহর অর্থ আংটি বা নির্ধারিত সময়ের জন্য ৷ প্রত্যেকে একথা বিশ্বাস করেন যে সৃষ্টির শেষ আছে ৷ যদি তা থাকে তাহলে আল্লাহ প্রদত্ত সবকিছুর শেষ অনিবার্য একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত ৷ মোনাফিকেরা কেবল নবী পর নবী আনয়নে নানান আয়াত খোঁজে বেড়ায় ৷ মিথ্যার উপর ভিত্তি প্রস্তর প্রতিষ্ঠিত করে খ্যাতির উচ্চ শিখরে কারও পৌঁছা সম্ভবাতীত ৷বালির বাঁধ যেমন সাগরের ঢেউয়ে তিলয়ে যায় তেমন হটকারীর আসল উদ্দেশ্যও মানুষের কাছে অনায়সে ধরা পড়ে ৷ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন