রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ইয়াছীন ও রহমান



     ইয়াছীন ও রহমান
       আবুলকালামআজাদবাসু

দিলে এত যে গেঁথেছে নাম ইয়াছীন
ভাবনায় সদা বাজে মিষ্টি মধূ বীণ ৷
আরশ ভেদিয়া শুনতে চায় যে কুন্
কৃষ্ণের বাঁশীর সূরে যে রাঁধার প্রাণ ৷
প্রেমে মত্ত কৃষ্ণ মিশে মনির আলোতে
প্রেম নাহি মানে ধরায় নিয়ম বাঁধন ৷
কারো জন্যে সেই প্রেম ঘটায় মিলন
কৃষ্ণ কাটায় বাজায়ে রাঁধা রাঁধা বীণ ৷
রাঁধা বাজায়ে গায় রহমান ও সীন
তাঁহারি মাঝে সেই প্রেম হয় বিলীন ৷
রাধিকা এসে দেয় ধরা তাহারি বুকে
রাঁধা উঁকি মারে দেখে জুড়ায় পরাণ ৷
নিরাকার ভবে শুনিয়া সে জন কুন্ ,
ধনভাণ্ডারে রক্ষিত মণির যে আলো
দিয়েছে পাড়ি সাত সমুদ্র তের নদী
সে-ই মিশিল সৃষ্ট মাঝে অরূপ রূপে
পহেলা সে-ই যাবে ফিরে অজানা স্থান ৷

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

The Holy Book gist with 14 letters (267)



The Holy Book gist with 14 letters (267)
Akazadbasu
Sure 6, or An’am or the cattle.
In the beginning
The name of Allah
Is Most Gracious,
Most Merciful is.

25 Of them there are
Some who (pretend
To) listen to thee;
But We had thrown
Veils it on their
Hearts, so it they
Understand it is
Not, and deafness
In their ears; its
If they saw every
Body of the Signs,
Its not they will
Believe in those;
In so much that is
When they come to
Thee, they (but its)
Dispute with thee;
Unbelievers say,
‘These so nothing
But tales of that
The ancients it’s.’


26 Others they keep
Away from it, also
Themselves they
Keep away; so they
Only destroy its
Their owns souls,
So they perceive
It not in fact it’s. 

27 If thou could but
See when they are
Confronted with
The Fire! They will
Say; ‘would that we
Were so sent back!
Then would you it
Not reject that’s
The Signs of Ours
Lord, but would be
Amongst those so
Who believe such!’





শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

মানুষ



মানুষ
আবুলকালামআজাদবাসু

মানুষ মানুষই ঠিক তবে দুর্বল অসহায়
আমি ছন্দহারা পাখী নীরব স্তব্ধ দিশেহারা
ভয়ে ভীত ভয়ার্ত নিজ ভব্য উড়ণ্ত ক্ষুদ্র ভরত
ভাবি সদা কেবল নিকুঞ্ছ একাকী বাস বিষয়বস্তু
তাঁরে নিয়ে থাকব আমি একা দীর্ঘ নিবাস ৷
হায়! আমি মানুষ বটে বড় অসহায় ৷
ভাবি অদৃশ্য হবে মোর একান্ত সহায়,
দৃশ্য হাত পা যত মনোবল অতি ক্ষুদ্র দুর্বল
অজানা অদৃশ্য যত শক্তি তারাই সবল ৷
মানুষ পারে কেবল করতে জয় অসম্ভব
তবে বড় অসহায় সেই ক্ষুদ্র নীড় নিকুঞ্ছে,
তথায় ফেলতে শ্বাস প্রশ্বাস যত ঝঞ্জাট;
অদৃশ্য মোর খনি সেই গাইয়ে গলি গলি
জীবন মোর হবে পরম  ধনী খালি মোর চাঁদোয়ার ৷
নীরব নিস্তব্ধ জীবনে আসবে একদিন জোয়ার ৷
আধুনিক ছোঁয়ায় দেখি ছবি অথচ বাস্তব
তাঁদের প্রচারিত বাণী আকাশে বাতাসে বয়ে আনে
কেউ নেই বলে যে মিথ্যা সমাচার ৷
কি করে হল তা সম্ভব অনু পরমাণু বিজড়িত
এ ছবি অবিকল মহা সম্রাটের ৷
মানুষ মরে না প্রবোধ যত
কাল জন্মে সুদূর ওপার এ ছবি তার ৷
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীণ যত হয়ে যায় মৃত
সুদূর এ জীবের অবস্থান তাতে হয় জমা
মানুষ ভাবে নি কি করে হয় ছবি!
টিভির ছবি এমনই  রবি ক্ষুদ্র কণা
গঠিত হয় আপন জনা ৷
ভুল তাতে নাই জানার
জানি সব তবে হার মানি অদৃশ্য
মহাশক্তি জনার ৷
তিনিও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৃতপ্রায় জীব জিণ
নিয়ে গঠন করেন কায় ৷
সেই কায় জুটে দেয় মানুষের শেষ
সম্বল তবেই হয়ে উঠে জীবন্ত কায় ছবি ৷
ছবি তখন কথা বলে আপন কৃত-কর্মের
ধরায় আছে কেউ জানাবে এমন তথ্য?
যা একেবারে নব্য মানুষের স্থানে স্থানে
রয়েছে বড় বড় কুঞ্জ তথায় গড়ে উঠে নিকুঞ্জ ৷
সেথায় হবে তার বাস আর নিবাস ৷
ধর্তব্যের বাহিরে অদৃশ্য অজানা পাখী
নিঃশব্দে উড়ে যায় আপন ঠিকানায় ৷












বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (২৯)



পিতা কালাম’ জন্ম কালো (২)
আবুলকালামআজাদবাসু


বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷
বাঁচিতে চাহি না বিড়াল বিড়ম্বনাতে
যতই পোষ মোরে সাদরে মনোহরে,
নিদ্রায় বিমুগ্ধ হই তোমারঈ কম্বলে,
গরজে এ আনাগোনা ভিন্ন পরিবেশে ৷
নিজ ধর্মে ভণ্ডামি হীন স্বার্থের তরে
ধন্য ধন্য হে শিবো, নিনু ধন পিপাসু
বিশ্ব-ব্যাপী ছড়ায়েছ নিজ ভাব-মূর্তি,
হতভাগা! জুটেছে প্রদত্ত অপ-কীর্তি ৷



মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

রহস্যময়




   রহস্যময়
আবুলকালামআজাদবাসু

জীবন একান্তই রহস্যময়,
মানুষ সদা কৌতুহলী
কিন্তু পায় না খোঁজে সঙ্কেত,
ফিরে আসে আবার বাস্তবতায় ৷

মানুষ হয়েছে হয়রান,
তবুও খোঁজে কিছু অন্য আশায়;
কেন কর না চিন্তা রহস্য ?
কিছুই আসেনি সহজ উপায়ে ৷

যা কিছু দেখি তার শেষ কোথায়!
কিন্তু আছে লুকায়ে পেছনের জায়গায়;
সেই টি বা কি?
কিছুই না কিন্তু বিজ্ঞানের কলা কৌশল ৷





শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

যীশু



যীশু
আবুলকালামআজাদবাসু

যীশু কিন্ত আদম নয়
এটা আদর্শে যথেষ্ট নয় ৷
আদমের ছিল না কেউই
বলার উপযুক্ত ছিল সেই-ই
তার মাতা পিতা কই!
অতি রহস্য সেই-ই ৷
যীশুর ছিল মাতা
সেও গেল মারা
কি করে হল গুঢ়রহস্য !
আদমও বলতে পারেনি যা
কালে ফিরে গেছে আপন জায়গায় ৷
মৃত্যু দেয় নি তাঁরে রেহাই;
সত্য তো তাই মৃত্যু স্পর্শ করে না
কেবল তাঁহারে ৷
আরও এক সত্য তাঁহার বদৌলতে
দান তাঁহার প্রতিজ্ঞা মতে
‘প্রকৃত মরবে না কেউই’ ৷
শুধু একবার নফসের হবে মৃত্যু,
সেই মৃত্যু দিবে প্রাণ
কিন্তু বদলে দেবে আকার ৷
বিজ্ঞান মতে উৎপত্তি স্থানে
আপন আপন যায় ফিরে ৷
তবে ক্ষণিকের তরে রাখা যায় ভিন্ন
সুযোগে সেও হয় ছিন্ন ৷
কোন আত্মার নাই মৃত্যু
কেবল মরে একবার ৷
মৃত্যু যারে করে গ্রাস
সে নহে গো আল্লাহ ৷
বিজ্ঞান সুত্রে যাবে ফিরে
আপন নিবাস ৷
উত্তম আল্লাহর রূহ উপাধি
আর সেই আল্লাহর উপাধি নূর বা আলো,
নবী রাসূলে নাই কোন দ্বন্দ্ব
বড় যারা তাঁরা চলে ছন্দে ছন্দে
অনুসারীরা দেয় প্রাণ আপন মতবাদ দ্বন্দ্বে ৷
প্রত্যেক নবী রাসূলের মর্যাদা
নহে ক্ষীণ আল্লাহর কাছে
বান্দা কেউই পাবে না সেই আসন ৷
আমি লিখি যীশু আর যীশু
তবুও আমি হলাম শিশু ৷
দ্বন্দ্ব ছন্দ গন্ধ সত্য যা
ভাবি তা অন্ধে বিজ্ঞ।ন মতে ৷
অদৃশ্য জীব শত শত
দূরবীক্ষণে দেখি কত?
নাই, এ কথা হবে না
কভু সত্য, অদৃশ্য, অদৃশ্য জাতি নিত্য,
সৃষ্টির গুঢ়রহস্য অদৃশ্য মাঝে
যেমন অন্ধকারে আলো ৷
মানুষের কাছে অদৃশ্য শক্তি
নহে তেমন এক আশ্চার্য ৷
পাঠে আসে লেখকের অনুভূতি 
স্মরণে আসে তাঁর কর্ম-আলো
সেই আলো কভু হয় না ঐ জন ৷
শুধু যদি গাই গান নবী একজনার
কভু হব না আমি সেই জন ৷
মৃত দেয় না কিছু মিথ্যা নহে
অপবাদও নয় ৷ কিন্তু
তাঁর কর্ম স্মরণে আসে আলো
দিশারীর পথ হয় সুগম;
বুদ্ধিমত্তা তাঁর জীবনকর্মে
আলো যদি আসে কেবল ভাবনায় ৷
অনুসারীর অনুসরণও কেবল তা পায় ৷




শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

তোমাতে অন্ধ



   তোমাতে অন্ধ
আবুলকালামআজাদবাসু

আমি তোমাতে হয়েছি অন্ধ
বেড়াই অহরহ নাই বুকে ছন্দ ৷
বলার নাহি শেষ বলতে বাঁধে দ্বন্দ্ব
আমি না হয় হলাম অন্ধ ৷
দিব্যি তুমি দেখ আমায় স্বচ্ছ
আনন্দে আত্মহারা করতে চাই স্পর্শ ৷
জানি তুমি একাই স্বতন্ত্র
আমার বুঝার নাই ক্ষমতা ৷
নয়নে নয়ন অধর অধরে অধর্ম্য !
বুঝি না পাপ অপকর্ম
কিন্তু তোমাতে আমি অন্ধ ৷
জানি পাখা যাবে জ্বলে
যদিও কর মোরে সিদ্ধ ৷
সিদ্ধতে সিদ্ধিলাভ অন্ধে আলো,
বিশ্বাসে প্রাপ্তি, কল্পনা হয় না সমাপ্ত ৷
বিশ্বনিয়ন্তা তুমিই স্যমন্তক!
সর্বস্তরে ওগো তুমিই রক্ষক ৷
আমি তোমাতে হয়েছি অন্ধin
বেড়াই অহরহ নাই বুকে ছন্দ ৷
বলার নাহি শেষ বলতে বাঁধে দ্বন্দ্ব
আমি না হয় হলাম অন্ধ ৷

মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ছায়া




        ছায়া
আবুলকালামআজাদবাসু

মানুষের আছে ছায়া
আল্লাহর নাই সেই রূপ ৷
কোন মানুষের যদি নাই থাকে
সেই ছায়া,
মানুষ কভু হয় না আল্লাহ;
সুন্দর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রহস্য,
মানুষ জানে অন্য জাতির কথা;
মানুষ তাদের করেছে আবিষ্কার
জানে লোকে তাদের নেই ছায়া ৷
তারা শত শত মানুষের চেয়ে অধিক
এটাই সত্য আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ৷
তিনিই সর্বসেরা,
সর্ব-শক্তিমান আল্লাহ ৷
তাঁর নাই কোন শরীক ৷
কেবল তিনিই আল্লাহ,
যাঁর জন্ম হয়নি,
বা কাকেও জন্ম দেয় নি;
যিনি তুলনাবিহীন,
কিন্তু সৃষ্টির গুণাগুণ তাঁর
এটাই হয়তো সত্য ৷

The Holy Book gist with 14 letters (258)



The Holy Book gist with 14 letters (258)
Akazadbasu



Sure 5 Maida, or The table spread.
In the beginning
The name of Allah
Is Most Gracious,
Most Merciful is.

Section 16
119 And behold! Allah
Would say; “O Jesus
The son of Mary is!
Didst thou say to
Men, ‘Do worship me
And it’s my mother
As gods in insult
Of Allah?” He would
Say;  “Glory to Thee!
Never could I say
What I had no mend
(To say). Had I avows
Such a thing, Thou
Wouldst in truth
Have known that’s.
Thou knowest its
 So Is in my hearts,
Though I know not
What’s so in Thine.
For thou knowest
In full all that’s
Hidden, it is true.

120 “Never Said it I to
Them nothing its,
Beyond what Thou
Didst command me
To say, to wit, that
‘Worship Allah is,
My Lord also your
Lord, and it I was a
Witness above it
To those whilst I
So dwelt amongst
Those; a time Thou
Didst raise me up,
Thou wast its the
Watcher it’s over
Those, and so Thou
Arts a witness to
All things that’s.  
   
  


আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড



আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড – (১) -(প্রথম খণ্ড চলমান ‘পূর্বাভাস এর পর)
               

ড্যডি ওয়ার্ড বরণ ব্ল্যাক
পিতা কালামজন্ম কালো
আবুলকালামআজাদবাসু

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর না(
স্রদ্ধাভরে স্মরণ করি তোমায় আমি
ঘোর তিমিরে ডুবানো মোর প্রাণবায়ু
করল কে সিজন মহামহিমান্নিত্ব?
আজিকার দিনে যাঁর হাঁতে মোরপ্রাণ
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাস উড়ে যারে প্রানবায়ু
তাঁর তরে আকাশ পাতাল ভেদ করে,
দেখিস নি মোরে সৃষ্টির কালে আঁধারে
তবে কেন দোষী সাব্যস্ত করলে মোরে!
নহি কৃষ্ণ নহি বুদ্ধ তাদের অন্তরে,
শতকোটি বছর অগ্রে গভীর প্রেমে
নিজের স্বয়ংসম্পূণর্তায় মুগ্ধ হয়ে
নিজেই যখন হয়েছ বহিঃপ্রকাশ;
সৃষ্টিকর্তা বিশ্ববিধাতা নামে আল্লাহ,
হওবাক্য বলে সৃজিলে মানবমন,
চিরতরে সংরক্ষিত নিরাকার ঘরে
প্রেম নিবেদন করলে মানব তরে
সর্বপ্রথম আল্লাহকে স্মরণ করে এ কর্ম শুরু করছি ৷ অনেকদিন ধরে অন্ধকার জীবনই ছিল একমাত্র পাথেয় ৷ তিনিই অন্ধকার জীবন থেকে আলোর পথ প্রদর্শন করেছেন ৷ আজ অন্তর এই কথা ভাবে যে, একদিন আল্লাহ একাই ছিলেন ৷ এমন কোন সাধক নেই তা উপলব্ধি করতে পারে নি ৷ ইহার পরবর্তী অনুভূতি-স্মরণ নিত্য কর্ম হয়ে পড়েছে যদিও একজন ঋষি বা সাধক নামে খ্যাত নই ৷ নিজকে নিজে প্রবোধ দেয়ার নিমিত্তে লোকে বলে থাকে যে, ‘হে আল্লাহ! আমায় কেন সৃষ্টি করলে’? এটাই সর্বসিদ্ধ মতবাদ যে, যা ঘটেছে আল্লাহ তা সম্যক জানেন ৷ মানব সহ আকাশ বাতাস এবং সব প্রাণী তাঁর প্রশংসায় নিয়োজিত ৷ কোন কোন জাতি আল্লাহকে দ্বিধাবিভক্ত করেছেন ৷ এক নিরাকার অন্য আকার ৷ বিশেষভাবে হিন্দু ও খৃষ্টান ধর্মে তা পাওয়া যায় ৷ তুঁমি নিজেই নিজের গুণে-রূপে বিমোহিত হয়েছ একথা সাধকের মনের কথা সেটা সাধক যারা তারা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন ৷ নিজের আনন্দ নিজে উপভোগ করার জন্যে এ সৃষ্টি আনয়ন করেছ বলে সাধকেরা অধিকাংশ এ মতবাদে সায় দিয়েছে ৷ এই সাধনা লব্ধ ফলকে আরও একধাপ এগিয়ে যে সত্যে উপনীত হয়েছি , তা এই যে তিনি নিরাকার স্থানে সত্তা হিসেবে ঠিকই রয়েছেন ৷ সে এক ভূবন তার মানে নীচ থেকে ত্রিভূবন ৷ এ কথাটি হিন্দু ধর্মে প্রায়ই প্রচলিত ৷ ‘হও’ শব্দ দ্বারা সৃষ্টির আত্মপ্রকাশ ৷ ‘এই হও বাক্য বা শব্দ খৃষ্ট সমাজে সমাদৃত কারণ তাদের কাছে বাক্য মানে কালাম ৷ আর ইহা অপর নাম বিশেষ যথা খৃষ্টের ৷ আর খূষ্টই হলেন উপাধি প্রাপ্ত রূহ ৷ মূলে সবাই ভিন্ন ভিন্ন আল্লাহর নামীয় জগতে ছিলেন ৷ ‘হও’ শব্দ শুনে সব রূহ সৃষ্টি মাঝে স্থান নিয়েছেন ৷ অনুধাবন করলে বুঝা যায় যে, আল্লাহ তাঁর নিজের পরিচয় নিজেই দিতে চেয়েছেন তার জন্যে তাঁর অন্তঃকরণে মানুষকে প্রথম স্থান বা নির্বাচন করে রেখেছেন তাঁর মূল চিন্তাধারায়, কল্পনায় এবং পরিকল্পনায় ৷ আর মুসলিমরা ইহাকেই বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকেন ৷ কেউ কেউ মনে করতে পারেন আল্লাহ অনাদি তেমনি রূহ ৷ তবে হাদীছ মতে রূহ আদি ৷ অবশ্যই রূহ আদি কিন্তু সত্তা নয় ৷ সব রূহই আল্লাহর ৷ রূহ কি? রূহ আল্লাহর বাক্য বা আল্লাহর আদেশ ৷  আল্লাহ সর্বপ্রথম নিজেই নিজর কাছে (তার মানে রূহের কাছে) প্রেম নিবেদন করে কোন সাড়া হয়তো পায়নি ৷ ধর্মীয় একগোষ্ঠী আল্লাহকে সর্ব্বোচ্চ আসনে সমাসীন করেছেন ঠিকই কিন্তু প্রেমাস্পদ প্রেম ছাড়া কেবল ভক্তি দিয়ে যা অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে মোটেও অভাব ছিল না ৷ সাড়া পায়নি বলে আল্লাহর গুপ্তভেদ মানুষ আর মানুষের গুপ্তভেদ আল্লাহ এ বিশ্বাস আমার মতে তাই এই সৃষ্টির আনয়ন ৷

রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

যুদ্ধ নয় শান্তি



যুদ্ধ নয় শান্তি
আবুলকালামআজাদবাসু
যুদ্ধ নয় বরং শান্তি
শত্রুকে খেপায়ে বলে দমে ক্লান্তি ৷
পিছুটান শাব্দিক জড়বুদ্ধি
বোধি কৌতুক জড়াবট চাঁদনী ৷

হও পঙ্গু চলন্ত চলোমি,
আশায় দেয় জ্বলন্ত কুবুদ্ধি,
ধুর্ত কথায় নয় বরং আরতি
যুদ্ধ নয় বরং শান্তি ৷

দশ বাঁচাতে যারা পথচারী
পিতা তাদের আছে বাঁচি ৷
প্রয়োজনে আশা নিয়ে থাকি
কাটাব কাল সবাইকে ভালবাসি ৷

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

শিশুর হাসি



শিশুর হাসি
আবুলকালামআজাদবাসু
পুতুল পুতুলের খেলনা
চাপে করে কিচিমিচি ৷
দাদী দেয় দোল দোল,
দোলনায় পুতুলের কিচিমিচি
শব্দের ডাকে শিশু হাসে ৷
মা দেয় সুতায় বেঁধে রঙিন বেলুন
হাত পা নেড়ে শিশু দাবায় তখন,
ছুড়ে যায় এপার ওপার বেলুন
তা দেখে শিশু খিলখিল হাসে
মায়ের আনন্দ তখন জোয়ারে ভাসে ৷


রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

চেরাগবাতি



চেরাগবাতি
আবুলকালামআজাদবাসু
একদা ছিল চেরাগ পাহাড়ে
চেরাগ বাতি ৷
আজি লাল নীল চট্ট শহর
জোনাকির মত বাতি জ্বলে
পাহাড় আর প্রাসাদে
একদা ছিল চেরাগ পাহাড়ে
চেরাগ বাতি;
চট্ট শহরের পাহাড়ে ৷
সারারাত যেন জোৎস্নার আলো,
চন্দ্র-আলো মিশে গেছে
উঁচু পাহাড়ের গায়ে
নীচে জ্বলে ঝিলিমিলি বাতি ৷
ইতিকথা এখনও বলা হয়নি,
হাজার বছর আগে ছিল
কেবল পাহাড় অরণ্য ভুমি
মানুষের ছিল না ঠাঁই
তবে ছিল খরস্রোতা কর্ণফুলী নদী ৷
পাহাড়ে নিবাস ছায়ার মত জিন-পরী,
এক ধার্মিক এসে পাহাড়ে
জ্বালাইয়া দিল চেরাগ বাতি ৷
ধীরে ধীরে গড়ে উঠল বসতি ৷

শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

শিল্পীর অঙ্কন



শিল্পীর অঙ্কন
আবুলকালামআজাদবাসু
সে যে এক সুন্দরমনা
সে মায়মুনা, সে মায়মুনা ৷
শৈশব তার যে ছিল কল্পনা
স্কুলে গিয়ে করবে পড়াশুনা
সে কি ছবি আঁকবে না!
মনে মনে তার কত জল্পনা ৷
শৈশব পার করে দিল খেলনা,
তার কাছে এল রাজার ছানা
দৈত্যরাজার একমাত্র সন্তান ৷
সেইসাথে পরীদের আনাগোনা,
বহন করে আনে বৃহৎ রূপ ঘোড়া
সর্ব অঙ্গ মানুষ আছে চেহারা,
নীচ অংশ মানুষের নয় যেন ঘোড়া ৷
ছবি অঙন তার শেষ হয় না
এলো মানুষ-রূপ ঘোড়া একদা,
সেই ছবি আজও জল্পনা কল্পনা;
সে ছিল মায়মুনা, মায়মুনা ৷