সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কর্মফল



          কর্মফল
আবুলকালামআজাদবাসু

দুনিয়ায় অবতরণ প্রথম কাঁদন
শ্বাস রুদ্ধ থলে তার আবরণ ৷
পশুপাখি কাঁদে কিনা জানি না
চীৎকার তার হয় না বারণ ৷
ঘুমে হাসে কষ্টে কাঁদন
আনন্দে অশ্রুজল, দুঃখে হাহাকার,
বিভীষিকাময় স্মৃতিতে ভারাক্রান্ত মন ৷
দুঃখে কষ্টে গড়া বাড়ীঘর সংসার
কভু হয় না আপন ৷
গোত্র বিশেষ পরিবেশে যায় ভেস্তে
রহে না কেহ কালে নিজের মতন ৷
শিশু নারী বৃদ্ধ পায় যত জ্বালাতন
রাজা যদি আসে দেশে নিপীড়ন ৷
চীৎকারে দূ-কূল ভেসে নদীর জল
উতলিয়ে আলিঙ্গন করে মরণ ৷
লালসায় যাদের জীবন
তারাই আবার চীৎকারে বলে আপন আপন ৷
দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা যখন আসে,
কেউ নাহি পারে তা ঠেকাতে সেই ধরণ ৷
প্রকৃতির দেয় লালসা তুচ্ছ তখন৷
কে বা কি কালে চিনে আপন ৷
লালসার রাজা বাহদূর ততক্ষণ,
ওপার কি বা তার পরিবর্তন !
মরার তাকে না কোন লক্ষণ
মরতে চাহিলেও হয় না মরণ ৷
ভাল্লুক তার রূপ করে গ্রাস
তথায় নাহি যায় রাজার প্রাণ ৷
উত্তপ্ত রাখে তারে উদরে
হজম বিনা বমি করণ ৷
রাজাবাবুর নাহি হয় মরণ,
সিদ্ধ রূপ তাপে এসে বলে শীতল ভূমি
আবার বাঁচার লাগি হয়ে উঠে প্রাণ পণ ৷
অদূরে দৈত্যরাজ সর্প মাথা তুলে
বলে কই যাবে এত সকালে ?
ক্ষিধায় বাঁচি না !
সাঁজ সকাল এসো না উদরে,
কুমীর রূপ মূখ তার
রাজার সতেজ দেহখানি করে গ্রাস ৷
ভক্ষণে হজমে ক্ষুধা হয় নিবৃত্ত
রাজাবাবু উদরে চীৎকার করে বলে
সবই হয়েছে শেষ
প্রান হয়নি নাশ ৷
শুনিয়া সর্প ক্ষীণ করে বমি
রাজা দেখে জন্মিছে সে
নতুন এক রূপে সেই ভবে ৷
এমনি তরে কতকাল যাবে
নাহি বুঝে ধাঁ ধাঁর রাজা
আপনারে লয়ে বিব্রত
নিজ কল্পনা সুখে ৷
পরের ঘর পরের বাড়ী
নিরীহ প্রাণ যায় বলি ৷
ধরণীর বুকে প্রথম পদার্পণ
ছিল তার ক্রন্দন ৷
নাহি ফুটে হাসি মূখে
সেই নিয়ে রাজার হয়েছে মরণ ৷




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন