মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড



আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড – (১) -(প্রথম খণ্ড চলমান ‘পূর্বাভাস এর পর)
               

ড্যডি ওয়ার্ড বরণ ব্ল্যাক
পিতা কালামজন্ম কালো
আবুলকালামআজাদবাসু

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর না(
স্রদ্ধাভরে স্মরণ করি তোমায় আমি
ঘোর তিমিরে ডুবানো মোর প্রাণবায়ু
করল কে সিজন মহামহিমান্নিত্ব?
আজিকার দিনে যাঁর হাঁতে মোরপ্রাণ
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাস উড়ে যারে প্রানবায়ু
তাঁর তরে আকাশ পাতাল ভেদ করে,
দেখিস নি মোরে সৃষ্টির কালে আঁধারে
তবে কেন দোষী সাব্যস্ত করলে মোরে!
নহি কৃষ্ণ নহি বুদ্ধ তাদের অন্তরে,
শতকোটি বছর অগ্রে গভীর প্রেমে
নিজের স্বয়ংসম্পূণর্তায় মুগ্ধ হয়ে
নিজেই যখন হয়েছ বহিঃপ্রকাশ;
সৃষ্টিকর্তা বিশ্ববিধাতা নামে আল্লাহ,
হওবাক্য বলে সৃজিলে মানবমন,
চিরতরে সংরক্ষিত নিরাকার ঘরে
প্রেম নিবেদন করলে মানব তরে
সর্বপ্রথম আল্লাহকে স্মরণ করে এ কর্ম শুরু করছি ৷ অনেকদিন ধরে অন্ধকার জীবনই ছিল একমাত্র পাথেয় ৷ তিনিই অন্ধকার জীবন থেকে আলোর পথ প্রদর্শন করেছেন ৷ আজ অন্তর এই কথা ভাবে যে, একদিন আল্লাহ একাই ছিলেন ৷ এমন কোন সাধক নেই তা উপলব্ধি করতে পারে নি ৷ ইহার পরবর্তী অনুভূতি-স্মরণ নিত্য কর্ম হয়ে পড়েছে যদিও একজন ঋষি বা সাধক নামে খ্যাত নই ৷ নিজকে নিজে প্রবোধ দেয়ার নিমিত্তে লোকে বলে থাকে যে, ‘হে আল্লাহ! আমায় কেন সৃষ্টি করলে’? এটাই সর্বসিদ্ধ মতবাদ যে, যা ঘটেছে আল্লাহ তা সম্যক জানেন ৷ মানব সহ আকাশ বাতাস এবং সব প্রাণী তাঁর প্রশংসায় নিয়োজিত ৷ কোন কোন জাতি আল্লাহকে দ্বিধাবিভক্ত করেছেন ৷ এক নিরাকার অন্য আকার ৷ বিশেষভাবে হিন্দু ও খৃষ্টান ধর্মে তা পাওয়া যায় ৷ তুঁমি নিজেই নিজের গুণে-রূপে বিমোহিত হয়েছ একথা সাধকের মনের কথা সেটা সাধক যারা তারা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন ৷ নিজের আনন্দ নিজে উপভোগ করার জন্যে এ সৃষ্টি আনয়ন করেছ বলে সাধকেরা অধিকাংশ এ মতবাদে সায় দিয়েছে ৷ এই সাধনা লব্ধ ফলকে আরও একধাপ এগিয়ে যে সত্যে উপনীত হয়েছি , তা এই যে তিনি নিরাকার স্থানে সত্তা হিসেবে ঠিকই রয়েছেন ৷ সে এক ভূবন তার মানে নীচ থেকে ত্রিভূবন ৷ এ কথাটি হিন্দু ধর্মে প্রায়ই প্রচলিত ৷ ‘হও’ শব্দ দ্বারা সৃষ্টির আত্মপ্রকাশ ৷ ‘এই হও বাক্য বা শব্দ খৃষ্ট সমাজে সমাদৃত কারণ তাদের কাছে বাক্য মানে কালাম ৷ আর ইহা অপর নাম বিশেষ যথা খৃষ্টের ৷ আর খূষ্টই হলেন উপাধি প্রাপ্ত রূহ ৷ মূলে সবাই ভিন্ন ভিন্ন আল্লাহর নামীয় জগতে ছিলেন ৷ ‘হও’ শব্দ শুনে সব রূহ সৃষ্টি মাঝে স্থান নিয়েছেন ৷ অনুধাবন করলে বুঝা যায় যে, আল্লাহ তাঁর নিজের পরিচয় নিজেই দিতে চেয়েছেন তার জন্যে তাঁর অন্তঃকরণে মানুষকে প্রথম স্থান বা নির্বাচন করে রেখেছেন তাঁর মূল চিন্তাধারায়, কল্পনায় এবং পরিকল্পনায় ৷ আর মুসলিমরা ইহাকেই বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকেন ৷ কেউ কেউ মনে করতে পারেন আল্লাহ অনাদি তেমনি রূহ ৷ তবে হাদীছ মতে রূহ আদি ৷ অবশ্যই রূহ আদি কিন্তু সত্তা নয় ৷ সব রূহই আল্লাহর ৷ রূহ কি? রূহ আল্লাহর বাক্য বা আল্লাহর আদেশ ৷  আল্লাহ সর্বপ্রথম নিজেই নিজর কাছে (তার মানে রূহের কাছে) প্রেম নিবেদন করে কোন সাড়া হয়তো পায়নি ৷ ধর্মীয় একগোষ্ঠী আল্লাহকে সর্ব্বোচ্চ আসনে সমাসীন করেছেন ঠিকই কিন্তু প্রেমাস্পদ প্রেম ছাড়া কেবল ভক্তি দিয়ে যা অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে মোটেও অভাব ছিল না ৷ সাড়া পায়নি বলে আল্লাহর গুপ্তভেদ মানুষ আর মানুষের গুপ্তভেদ আল্লাহ এ বিশ্বাস আমার মতে তাই এই সৃষ্টির আনয়ন ৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন