শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৩

দেখা দাও না



দেখা দাও না
আবুলকালামআজাদবাসু

একতারার দুতারার সুরের তালে
গহীন অরণ্য ওগো যেও না মূর্ছনা;
সুরের ঝঙ্কারে জেগে উঠ মন মনা,
তালে তালে নাচরে মন দেহের মাঝে ৷
বাজাও ঢুকঢুকি বাজাও ঢোল;
ঢোলকের ঢুকঢুকি মুরালির সূরে
মন নাচে দোলে দোলে সূর মূর্ছনায়
একতারা দুতারা আর বাজাইও না
অমন সূরে; বীণার সুরে মন রাখা
যায় না  মাটির ঘরে; কে গো তুমি দেহ
মন যে নিলে কেড়ে বাদ্য সূর ঝঙ্কারে?
তুমি দেখা দাও না মোরে বিভোর ঘুমে ৷




বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৩

শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (২)



শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (২)
আবুলকালামআজাদবাসু

কি বলতে বলতে কোথায় যে গেলাম, কারণ শয়তান কে? তার কাছে যদি এত শক্তি না থাকে সে কি পারে কথা ভুলাইয়া ফেলতে! আমি বললাম ঐ ভদ্র লোকের মত পথ অনুসরন করছি তার একটা বিবরণ দেয়া ছাড়াই আমাকে (১) লেখা শেষ করতে হল ৷ তা’আউয নামক দোয়াটা মনে পড়ল তখন সে বুঝিয়া বলল আপনি থামুন ৷ যে লোকের কথা বর্ণনায় আনবেন তিনি রীতিমত একজন মৌলানা ৷ হাজারও বক্তৃতা তাঁহার টেপ বন্দী না হলেও বাতাস-বন্দী হয়ে আছে ৷ আর বুঝতেই পারছেন বাতাস ভাসমান যে কোন কিছু আমরা আঁচ করতে পারি ৷ একবার যখন বলছেন ঐ লোকের মত তখন আমার কথায় আপনি শেষ করবেন না ৷ তবে মনে রাখবেন আমি অনুমান করে কাজটা আগে ভাগে করায়ে থাকি সেদিকে আমি একজন সাহয্যকারী ৷
কথাটা বলবেন যখন বলেই ফেলুন ৷ তুমি শয়তান হলেও আমি তোমাকে জানি যে আমার  মতন  ভিন্ন এক জাতি ৷ এই কথাটা আমি সহজে কাকেও বুঝতে দিই না ৷ আমার নাম উল্লেখ করার আগে ফেরেস্তার সর্দার বলতে হতো সাধারণ  মানুষ  কি আর তা  বুঝত যে আমি ফেরেস্তা ছিলাম না    এখনও  যা বুঝে  আমিও ফেরেস্তাদের  মধ্যে একজন ছিলাম, আল্লাহর আদেশ অমান্য করে শয়তান উপাধি প্রাপ্ত  হয়েছি ৷ আমি  ইহাকে শাস্তি মূলক কিছু মনে করি না ৷  মৌলানা  সাহহেব  অতি কষ্টে দিন যাপন  করতে দেখে আমার কষ্ট হয়েছিল ৷  দেখলাম লোকটার গলা কথাবার্তা মনমুগ্ধকর,  ভাবলাম এই বয়সে যদি লেখাপড়া শেষ করাতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমার কাজের ব্যাঘাত ঘটতে  পারে ৷  আমার বিশাল রাজ্য প্রজা ও অন্যান্য মান্য গন্য ব্যক্তিদের কথা পরে বর্ণনা করবো ৷
আপনি আগে ঐ ভদ্র্ লোকের মত কেন ব্যাখ্যা করেন ৷ মাফ করবেন  আপনাকে ঐ ট্রেকে ফেলার দুঃসাহস আমার নাই কারণ প্রথমেই আপনি আমার  পুরান পরিচিত  মৌলনা নেছার সাহেবের নাম উল্লেখ করেছেন ৷ ভদ্র লোককে আমার দূত মারফত বললাম আর লেখাপড়ার  দরকার নাই ৷ মাদ্রাসায় কিছুকাল যাওয়া আসা করলেই সবাই
কিছু না কিছু হয় ৷ ইদানিং অবশ্য একটু কড়া নজরদারী চলছে  ৷ তুমি পাস না করলেও একজন মৌলানা  কারণ তোমার মাঝে সে গুণ আছে ৷ বাকী আমি দেখব ৷ দেখবে তোমার সংসার দিব্বি  ভাল চলছে ৷ এক কাজ কর কিছু সূরা , কিছু  রেওয়াত, কিছু কিছু ভাল কিচ্ছা লোমহর্ষক জাতীয় শিখে নাও ৷ সেইমতে সে অনেক কিছু মূখস্থ করে নিল৷
একদিন কোথাও ছোটখাট অনুষ্ঠানের সংবাদ পেয়ে শয়তানের লোক ছুটে গেল এবং অর্ধ পড়া লোকটিকে দাওয়াত করার অনুরোধ করল ৷ টাকা পয়সা তেমন  লাগবে না শুনে  মালিক রাজী হয়ে গেল ৷
ভাই আমিতো এক পৃষ্ঠার বেশী লিখি না কারণ  এতে পাঠক সমাজের সময়ের ব্যাপার আছে তো  ৷ তবে সত্য এটাই, ‘অসত্যকে দমন করে সত্যকে জয় করতে হয়’৷




শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (১)



শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (১)
আবুলকালামআজাদবাসু

এদিক সেদিক কিছু ধর্মীয় পুস্তক পাঠ করে আমি ঐ ভদ্র লোকের পথ অনুসরণ করছি ৷ সাধু ও চলতি ভাষা দোষনীয় একথা শুনেছি কিন্তু এবার নিজেই দেখছি ৷ বাংলা পড়ূয়া এক নওজোয়ান তখন কিছু পান করেন নাই তবে কাল লালচে কি যেন দিয়ে পেট পূর্তি করে নিয়েছে ৷ অবশ্য লেখায় ব্যাকরণ ছিল না দেখে ছেলেটি রেগে বললেন আপনার লেখায় হাজারও ভুল রয়েছে ৷  বাবা আমিতো উপন্যাস বা কোন পাঠ্য পুস্তক লিখছি না ৷ আর সেই যোগ্যতাও নেই ৷ তবে মনে জমা রাখা কিছু স্মৃতি এঁকে যাচ্ছি ৷ যাতে তোমরা ইহাকে ভাল রূপ দিয়ে আরও সুন্দর করতে পার ৷ যেহেতু ইহা শয়তানের ডায়েরী নয় তবে উহাই যে মৌলানা নেছার সাহেবের সাথে শয়তানের ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকায় অনেক ধর্মীয় জ্ঞান তিনি লিপিবদ্ধ করেছন ৷ তাঁহার পুস্তক ছিল শয়তানের ডায়েরী ৷ যথাযথ রূপ দিতে পেরেছেন কারণ  তিনি একদিকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অন্যদিকে ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন ৷  আমার এতসব  লেখার পেছনে শয়তানের যে ভূমিকা একেবারেই নাই  তা বলা  যায় না ৷  আমার প্রথম জীবনে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ছিল ৷ সেই সাথে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে একেবারেই মুক্ত ছিলাম না ৷ শয়তানের সাথে ঘনিষ্ট পরিচয় না থাকলে এবং যথেষ্ট ধর্মীয় কাহিনী জানা না থাকলে শয়তানের ডায়েরী লেখা যায় না ৷ আল্লাহ নিজেই শিখেয়ে দিয়েছেন শয়তানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সদা তা’আউষ নামক দোয়া পাঠ করে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে হয় ৷ তা’আউয নামক দোয়াটি কোরআনের অংশ না হলেও তবে একটি অতিরিক্ত আয়াত যে দোয়া দুজাহানের আনন্দ লাভের ভূমিকা রাখে ৷ মনে মনে শয়তানকে জয় করার আশাই হয়তো ভাল ফল আশা করা যায় এ কারণে আপনার জয় শয়তানের পরাজয় যদিও আমার নিকটবর্তী লোক বিধায় জানি যে সে কখনও পরাজিত হয় না ৷
তবে দোয়াটা সদা তসবিহ্ হিসাবে নিলে শয়তান কোন ক্ষতি করতে পারে না ৷ শয়তান অতি শক্তিশালী না হলে এমন আয়াত যদিও কোরআন নয় হযরত  জিব্রাইল (আঃ) কর্তৃক হযরত (সঃ)কে শিক্ষা দেবার অর্থই হচ্ছে ইহাতে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কিছু গোপন তথ্য বিদ্যমান রয়েছে যা অর্জন করা প্রয়োজন ৷ উচ্চারণঃ আউ’যুবিল্লাহি মিনাশ্ শাইত্বোয়ানির রাজীম ৷
মৌলানা সাহেবের দাওয়াত কবুল করে কয়দিন সফরে বের হয়েছিলাম ৷ শয়তানের সাথে তেমন পরিচয়  ছিল না ৷ শয়তানকে প্রকৃত অবস্থায় দেখতে পাইনি ৷ কারণ শয়তান ও আমার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল সেই হতে তাকে আমি প্রকৃত অবস্থায় দেখতে পাই না ৷ দাওয়াতের বিস্তারিত বিবরণ পেশ করব ইনশ্ আল্লাহ ৷ তবে উক্ত দোয়াটি হামেশা পাঠ করুন ৷ কারণ শয়তানকে বিতাড়িত করার অর্থই আল্লাহকে জয় করা ৷




মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৩

বাস্তব ও অবাস্তব



        বাস্তব ও অবাস্তব
  আবুলকালামআজাদবাসু
বাস্তব যেথায় অনুপস্থিত তথায় অবাস্তব
এইতো শুদ্ধ রীতি হবে দিতি তথায় ৷
যেথায় নাহি আছে জ্ঞান তথায় কি
মূর্খতায় ভরা মানব সমাজ ৷
যেথায় নাহি কোন শব্দ তথায় কি শুনি?
মাতা তথায় কেবল কি দিতি!
দৃশ্যমান যেথায় নাই তথায় অদৃশ্য কি!
লোকে বলে খালি নীল আসমান ৷
পদ্ম দিতির নাচন কথন  বেমানান ৷
যথারীতি আছে মহা জ্ঞান ভাণ্ডার
সেই মানুষের জন্য হল পাঠাগার ৷
চলমান রীতি তিথি সবি বর্তমান ৷
যাহা খুঁজি বুঝি না তার নাই কৌশল
বুঝিতে হবে শূণ্যেরও নীচে সব আছে ৷
ধ্যানে পাবে খুঁজিয়া মিলেছে রত্ন
সকালে উঠিয়া দেখিবে এ ছিল স্বপ্ন ৷



সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৩

কোন সাড়া শব্দ নেই



কোন সাড়া শব্দ নেই
আবুলকালামআজাদবাসু

যেথায় কোন সাড়া শব্দ নেই কিন্তু
আমরা শুনি না তাহা তবে,
তথায় আছে কি তা জব্দ
মনন হয়েছে কল্প উদ্ভট ৷
যেথায় মানুষ শুনে পিঁপড়া গণনায়
ভাবি মনে কল্পনা তা সত্যি কিনা?
সর্ব রয়েছে শব্দ নাম সংঘটন,
কেহ ভাবে কাল্পনিক কেউ দার্শনিক
সবাই পায় তৃপ্তি বর্তমান ৷
মুভি দেখিলাম শুনিলাম
শব্দের পুনঃ পৌনিক সংঘটন
আছে জেনেছি বুঝিলাম না ৷
নীরব নিস্তব্ধ মনন মানসিক
কিসের শব্দ বিবেকের দ্বন্দ্ব
তোমার মাঝে তুমি শব্দ লব্ধ ৷
মৃতকে করে জিন্দা মানুষের স্কন্ধ ৷
তবেই ফিরে পায় নাভী প্রাণশক্তি
ছিলেম একা দেখে প্রেমপ্রীতি
দুজনে মিশে গেছি প্রকৃতির লীলায় ৷
সন্ধ্যাবেলায় মাকে দিবে বিসর্জন
প্রভাতে সে আসিবে ফিরে সেই অল্পক্ষণ ৷
নাভীকে স্কন্দ দ্বারা সতেজ করণ
সাবলীল পদ্ধতিতে মরে নাভী
পদ্ম যদি নাই ফুটে শব্দ নাই,
তেমনি একদিন আমিও ছিলাম না ৷
শব্দ নাই বল না তবে শুনিলাম না;
তোমারে করেছে দান এই পৃথিবী
কর্ম করণে শব্দ বাতাসে মিলায়
খোঁজে দেখ নাইয়ে শব্দের এলান,
কোথায় কি কোথায় সেই স্থান ৷


আমার কথা প্রথম খণ্ড (৩২)



আমার কথা   প্রথম খণ্ড (৩২)
আবুলকালামআজাদবাসু
“মুমিন হইয়া পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেহ সৎকর্ম করিবে তাহাকে আমি নিশ্চয়ই আনন্দময় জীবন দান করিব এবং তাহাদিগকে তাহাদিগের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার দান করিব ৷” ১৬ (৯৭) কোরআন ৷
আল্লাহ নর ও নারীকে সমভাবে আনন্দময় জীবন দান করবেন ৷  প্রশ্ন তোলা হয় নরদের উদ্দেশ্যে কেবল হুর ও গেলমানদের কথা বলা হয়েছে, হয়তো তা ঠিক নহে ৷ যারা মুমিন পুরুষ ও নারী দুজনের নিমিত্তেই এ সব বর্ণনা সমভাবে প্রযোজ্য ৷
পাঠক সমাজ! আলোচ্য বিষয় ৩(৫৫) আয়াতের ব্যাখ্যায় এ পর্যন্ত যত তফসীরকারক দেখা যায়, তাদের মতে ইহুদি রাষ্ট্রকে তারা রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করেন না ৷ তাদের মতে এ হেন একটা রাষ্ট্র কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে গঠন হবার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ সত্য উপলব্ধি তখনি হবে যখনি উহা একটা ইহুদি রাষ্ট্র বলে জনগণ উপলব্ধি করবেন ৷ সে সময় মানুষ ভাববে প্রতীক্ষিত ঈসা মসিহ কই! কারণ পাক কোরআনের আয়াতের কাল পূর্ণ হওয়া মাত্র নির্ধারিত সময়ে যা ঘটার তা ঘটে যায় ৷
“তোমার পূর্বে আমি ওহী সহ মানুষই প্রেরণ করিয়াছিলাম, তোমরা যদি না জান তবে জ্ঞানীগণকে জিজ্ঞাসা কর –প্রেরণ করিয়াছিলাম স্পষ্ট নিদর্শন ও গ্রন্থসহ এবং তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য যাহা তাহাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হইয়াছিল, যাহাতে উহার চিন্তা করে ৷” ১৬ (৪৩ ও ৪৪) কোরআন ৷
আল্লাহ কখনো মানুষ হয়ে জন্মায় না ৷ যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনিই মানুষ সম্পর্কে ভালই জানেন ৷ কোন ইঞ্জিনিয়ার যন্ত্রাংশ তৈরীর পর তা ভালভাবে পরীক্ষা নীরিক্ষা করেই তবে তা মূল যন্ত্রে সংযোজন করে থাকেন ৷ ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কখনো যন্ত্রাংশ হন না ৷ হিন্দুদের মধ্যে এ প্রথা চালু আছে যে ‘বাসুদেব’ যদিও দুনিয়াতে এসেছিলেন প্রতিচ্ছায়া হয়ে তাঁ আসল রূপ নিরাকার ছিল ৷ তিনিই ভগবান বা আল্লাহ (নাউজুবিল্লাহ) ৷ এরূপ ধারণা খৃষ্ট সমাজেও বিদ্যমান ৷ অন্য গোত্র মাঝে এরূপ ধারণা পোষণকারী থাকলেও তাদের সংশোধনের নিমিত্তে উক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে ৷ খৃষ্টানেরা ত্রিত্ববাদ প্রথা চালু রেখেছে ৷ আসলে তা যে ভুল তা প্রমাণ করাও  এ লেখনীর  মূখ্য্ উদ্দেশ্য যেমনঃ আমিই পিতা, আমিই পুত্র, আমিই পবিত্রের ঊর্ধ্বে  এক রূহ ৷ পরবর্তীতে কেন পবিত্রর ঊর্ধ্বে বললাম উহারও বিশদ বর্ণনা পাঠক সমাজ দেখতে পাবেন বলেআশা করি ৷ সে যাই হোক, পূর্ববর্তী আলোচ্য বিষয়ের জের ধরে বলা হচ্ছে যে, জয় ও পরাজয় তাঁর হাতেই ন্যস্ত ৷ কোনটা জয় আর কোনটা পরাজয় তা সময় অতিবাহিত হহলেই বুঝা যায় ৷ যেমন হযরতের (সঃ) এর হুদাবিয়ার সন্ধি চুক্তি ৷ কুচক্রী মহল ক্ষণিকের জন্য এএ রাষ্ট্র জন্ম দিয়ে,  উহা জয় মনে করলেও  পরাজয়টা বুঝা যাবে সময়ের  ব্যবধানে ৷ উহা আল্লাহই  বাস্তবায়িত করবেন ৷ তাদের রয়েছে মানসিক যন্ত্রণা যতক্ষণ না তারা এ সত্য নিরীক্ষা করে ৷


শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৩

আরবী অক্ষরের অজানা ধ্যান (৩)



আরবী অক্ষরের অজানা ধ্যান (৩)
আবুল কালাম আজাদ বাসু

‘হাহ’ অক্ষর আর ‘থোয়া’ অক্ষর এ দুমিলে
পূর্ণ হল ছয় একে একে চৌদ্দ অক্ষর গুলি
আরবী ভাষায় অধম বা উত্তম নয় ৷
কবিতার ছন্দ হলে সব অক্ষরই পেত স্থান ৷
হয়তো যিনি প্রথম করেছেন পাঠ
তিনি কেন বহু বছর গেছে চলে
তবুও হয়নি জানা যত গুণ গুণীর 
প্রথম কে বা জানল অর্ধেক অক্ষরের
হয় না প্রকাশ্য জানা অজানা অর্থ
আরও দুটো অক্ষর পর পর ‘লাম’ আর ‘ইয়া’ ৷
ভাবিলাম দশ অক্ষর পুর্ণ করিব
আরও দুটো অক্ষর যোগ করিয়া,
ভেবেছি লিখায় যোগ করিব কল্পন ৷
পাপে ডুবিয়া আমি নই সব পরীর মরন ৷
কবিতায় পরীদের কথা কেন?
অজানা অন্য  জগত তাপ ছাড়া  মরণ ৷
নফস্ কি  বুঝিলাম না একবারই  মরণ 
তবুও শান্তি পেলাম হায়রে মন বাঁচলাম,
আছি একেবারে মরিনি,
তাই ‘রা’ আর ‘আইন’ আরবী অক্ষর
মোট দশটি অক্ষর করলাম প্রকাশ,
আইন আরবী অক্ষর বাংলার আইন,
আইন ছাড়া অবাধ্যের কোথাও নাই স্থান ৷

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৩

আরবী অক্ষরের অজানা ধ্যান (২)



আরবী অক্ষরের অজানা ধ্যান (২)
আবুল কালাম আজাদ বাসু

বন্ধ হয় না নিজ মন্দ কেবল বাঁধে দ্বন্দ্ব
আরবীর অক্ষর জ্ঞান নাই আঁকি ছন্দ
রহস্য যদি নাই থাকে প্রতি সৃষ্টিতে
সুফল আর কুফল থাকত না ধরাতে ৷
আরবীর তৃতীয় অক্ষর কহিলাম
সবারে ‘কাফ’ ভুল পথে আসে মন্দ ৷
আশ্চায্য হবে কেন কারও কথায়
যদি অক্ষরগুলি কবিতার সৌন্দর্য
হত এলোমেলো সব কেন হবে অর্ধকাংশ?
বিধির বিধান বুঝা দায়
নিজেও আছি লিখন ধাঁধাঁয় ৷
চতুর্থ অক্ষর বলি সবাই ‘হা’
কিন্তু নহে তা পেতাম কেবল সুফল
থাকতাম না এই ধরায় দুর্বল
মানুষ সবল হয় সাধনায়
ধৈর্য কষ্টের অর্জনে কর্মফলে ৷

বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৩

আমার পরিচিতি



                           আমার পরিচিতি
                          আবুলকালামআজাদবাসু
আমার  ভাল নাম আবুল কালাম আজাদ, ডাক নাম বা বাল্যনাম, যে নাম গ্রামে সবাই চিনে ‘বাসু’ ৷ আমার পিতার নাম নুর মোহাম্মদ/নুর আহমদ  ছিল ৷ মাতার নাম নুরজাহান বেগম ৷ দাদা আবদুল হাকিম মুন্সী (দলিল লেখক) ছিলেন ৷ পর দাদা ফজর আলী মুন্সী (দলিল লেখক) ছিলেন ৷ ফজর আলী মুন্সীর পিতার নাম আনু ফকির ছিল ৷ আনু ফকির কোন জায়গা হইতে আগত ভবঘুরে সন্দীপের বাসিন্দা ছিল ৷ আমি তদানীন্তন নাম অনুসারে বাঁশখালী মডেল হাইস্কুল থেকে রোল ১০০ (সাত) ১৯৬৩ ইংরেজীতে ম্যাট্রিক বা এস এস সি পাস করি ৷ সনদ পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ০৫ অক্টোবর ১৯৪৭ইং জন্ম তারিখ ৷ আমার পিতা গ্রামের মান্য গণ্য এবং পেশায় দুই বছর দলিল লেখকের কাজ করেন ৷ তিনি গ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইউনিয়ন পরিষদ সহ প্রায় ছত্রিশ বছর কাল মানুষের খেদমত করেন ৷ তিনি নাটক এবং যাত্রাগান পছন্দ করতেন বলে সেই রকম একদল লোক তাহার ছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় নাটক পরিচালনা করতেন ৷ আমরা ভাই বোন চারজন সবাই প্রতিষ্ঠিত এবং বি এ পাস করি ৷ জন্ম সুত্রে আমাদের বালাম বই অনুসারে আমার জন্ম তারিখ ০৪ এপ্রিল ১৯৪৭ ইং রোজ শুক্রবার ৷ এস এস সি পাস করার পর আমি চট্টগ্রাম সিটি কলেজে লিখাপড়া করি বিজ্ঞান বিভাগে ৷ ফাইন্যাল পরীক্ষায় ১৯৬৫ সালে অকৃতকার্য হই, ইংরেজীতে রেফার্ড পাই ৷ তাই তদানীন্তন পাকিস্তান এয়ার পোর্স এ যোগদান করি ১৯৬৫ সালের ০৫ অক্টোবর ৷ ১৯৬৮ সালে পুনরায় মানবিক বিভাগে এইস এস সি পাস করি করাচী বোর্ড এর অধীনে ৷ সনদ সিরিয়াল নং এইচ এস ০৫৪৮৬৪ রোল নং ১৫৯০৭ ইস্যু তারিখ ৩০শে জুন ১৯৬৯ ইং ৷ আমি করাচী বিশ্বিদ্যালয়ের প্রথম অংশ বিএ পাস করি ১৯৭০ সালে এবং বিএ ফাইন্যাল পরীক্ষার্থী ছিলাম ৷ দেশ বিভক্ত হওয়ার পর  বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এ পাস করি, রোল নং ২০৮৩২ যাহা ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত হয় ৷ 
এই বায়োডাঢা আমার বিশেষ প্রয়োজন না থাকলেও ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে ৷ একদিন ঢাকা যাওয়ার পথে রেলওয়ে স্টেশনে সব ফাইল চুরি হয়ে যায় ৷ তখন  আমার কাছে ডিগ্রি প্রভিশনাল সনদপত্র সহ ছিল ৷ তাই আমি অন্ততঃ দরকারী সনদপত্র যোগাড় করার জন্য দৈনিক ইত্তফাকে ‘হারাইয়াছে’ বিজ্ঞপ্তি দিই ৷ বিজ্ঞপ্তটি নিম্নরূপ:
সোমবার ২৮শে আশ্বিন ১৩৮৬ সম্ভবত ১৫ই অক্টোবর ‘হারাইয়াছে’
আমার এস এস সি সার্টিফিকেট রোল – সাত, নং ১০০ (মানবিক), দ্বিতীয় বিভাগ, সন ১৯৬৩ইং, কুমিল্লা বোর্ড ৷ এইচ এস সি সার্টিফিকেট রোল ১৫৯০৭ মানবিক, দ্বিতীয় বিভাগ, সন ১৯৬৮, করাচী বোর্ড ৷ বি এ (প্রভিশনাল) সার্টিফিকেট রোল ঢাকা নং ২০৮৩২, তৃতীয় ক্লাস, সন ১৯৭১ ইং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৷ আবুল কালাম আজাদ ৷ সি-১২৫৯৭ (খবরের কাগজ) ৷  ১৮ নভেব্মর ১৯৭২ ইং সনদপত্রটি ইস্যু করা হয়েছিল ৷
ইতিমধ্যে আমার এক ঘনিষ্ট কর্মকর্তা এবং একদা সহকর্মী ছিলেন ৷ তিনি অতি কষ্টে আমার মূল সনদপত্র ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যু করান ৷
সেই সনদপত্র সহ আবারও ঢাকা যাত্রাপথে ডাকাতের হাতে হ্যান্ডব্যাগ হস্তান্তর করতে বাধ্য হই ৷ তাই আবারও ‘দৈনিক কর্ণফুলী’ খবরের কাগজে বিজ্ঞপ্তি দিই: কর্ণফুলী পত্রিকা, শক্রুবার ২৬শে ১৪০৩ বাংলা ২৬শে জমাদিউল আউয়াল ১৪১৭ হিজরী ৷ ১১ অক্টোবর ১৯৯৬ইং ৷ ‘পুড়ে গেছে’ আমার এস এস সি দ্বি নকল. এইচ এস সি, বি এ মূল সনদ রোল যথাক্রমে সাত, করাচী বোর্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নং ১০০ সাত কুমিল্লা বোর্ড ১৯৬৩ ইং, ১৫৯০৭ করাচী বোর্ড ১৯৬৮. ২০৮৩২ ঢাকা বিশ্বিদ্যালয় ১৯৭১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সার্ভিস সনদের ক্রমিক নং ০০০২৫২ ৷ আবুল কালাম আজাদ ৷ এল. ১২২৭/৯৬ (খবরের কাগজ), ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪১৭ হিজরী  ১১ অক্টোবর ১৯৯৬ইং ৷
কুমিল্লা বোর্ডের এক সহৃদয় ব্যক্তি আমার কথা শুনে ত্রি নকল এক কপি সনদপত্র ইস্যু করান এবং আমার নিকট পৌঁছান ৷ আমি তাঁর কাছে ঋণী ৷
সার্ভিস জীবনে ১১ই নভেম্ভর ১৯৬৫ সাল পাকিস্তান এয়ার ফোর্স এ যোগদান করি ৷ ১৯৭১ সালে কর্পোরাল পদবী লাভ করি ৷ জুন ১৯৭১ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান সম্পূ্র্ণ পাকিস্তানের আয়ত্তে তা উপলব্ধি করার নিমিত্তে কিছু বিমান সেনাদের দুই মাসের ছুটিতে পাঠান ৷ আমিও একজন ছিলাম তৎমধ্যে ৷ সেপ্টেম্বর মাসে পুনরায় যোগদান করার কথা থাকলেও নিজেকে কতল করে একজন পকিস্তানী সৈন্যের সংখ্যা কমিয়ে দিলাম ৷ বাংলাদেশ হয়েছে সুনির্দিষ্ট সময়ে যেভাবে আমি কিছু অভিভাবকদের বলেছিলাম ৷ ততই বচন আমরা এবং আর যারা পাকিস্তানে বন্দী ছিল তারা সবাই এক পর্যায়ভূক্ত হলাম ৷ এভাবে আল্লাহর রহমতে ১৯৯৩ সালে মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে অবসর  গ্রহন করি ৷ আমার বিশেষ আর কোন পেশা নাই তবে ইন্টারনেটে লিখে মনের সুখে দিন কাটাই ৷
  

রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৩

আত্মই আত্মা




        আত্মই আত্মা
    আবুলকালামআজাদবাসু
আত্মই আত্মা তুমি এক কায়া
বিশ্বাসে মিলে সুফল নহে বিপরীত ধরন ৷
ত্রি শব্দের কি বা বিবরণ ৷
আত্মার নেই মরন কিন্তু মরনশীল
বিশ্বাসে হও অমর দীর্ঘায়ু এপার ওপার
আত্মা নহে কেহ বরং তুমি নিজ
বিচার দিবসের যাত্রী যদি হও
অনুগামী মহানের তিনি একক একাকিনী
তমিই হবে তাঁর সঙ্গী সঙ্গীনি ৷
সে দিবসে রূহ নহে তোমার সাথী
যদি তুমি হও ভিন্ন পথের দিশারী ৷
রূহ হয় না ছোট বড়, কেবল জীবন হয়,
এক শক্তি রূহ শক্তিধরের দান ৷
ইহাতে হবে তোমার পরজীবনে কল্যাণ ৷
আত্মার কর্মফল তোমার সম্বল
জীবন নহে তত ক্ষুদ্র মরণে  হবে পার
জীবন  ফিরবে আবার মরণ নাই তার
বদলাবে কেবল কায়া উহাই হবে সাজা ৷
আত্মই আত্মা তুমি নিজ ধরন
পশুত্ব যদি হয় তোমার লেবাজ
জীবন তোমার হবে অধম
রূহ যদি কর তোমার জীবনসঙ্গী 
কেবল তবেই বুঝবে মহান শক্তিধর ৷
তুমিই আত্ম আত্মার বাহক ৷







শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৩

শব্দের কোলাহল



শব্দের কোলাহল
আবুলকালামআজাদবাসু

মন ঝরা ঝর ঝর শব্দের কোলাহল
আন্দোলিত মন সদা নড়-বড় ৷
তুমি কি সেখানে একা1
জ্বালা শব্দের ঝন ঝন
বাতাসের শো শো শন শন ৷
কে বলে, ‘তুমি সেখানে নেই?’
বৃষ্টির কন কন আওয়াজ
শীতের কুয়াশার আভাস ৷
এখনও  কি তুমি সেখানে?’
জানি তুমি একা এখানে ৷
আন্দোলিত মন পাখি সদা
আকাশে উড়ে নিরিবিলি কথা বলে ৷
আশ্বাসে ভরপূর ভরসার নাহি পাই কূল
জানি তুমি একা
বল তুমি কোথায়?’
তবু কানে আসে শো শো আওয়াজ ৷
ঘুমের ঘোরে উঠে দেখি সে নাই
আছে কেবল কিছু কথা দিবানিশি
তোমার মূখমণ্ডল এখানে ৷
কইব কথা মনের সুখে
বলিব তারে পাওয়ার চেয়ে
না পাওয়া আজি মোর আনন্দ ৷
তুমিই আমার  সুখপাখী দিও না ধরা ৷
ঝর ঝর কন কনে শীতে
তোমার আবরনে আমি নীরব নিস্তদ্ধ
অচিন পাখিরে নিয়ে ঘুমাব চিরতরে ৷

বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৩

ভজনা



         ভজনা
আবুলকালামআজাদবাসু

যত পার তত কর আল্লাহর স্তুতি,
গাও গান তাঁহারি, ভাব তাঁরে শয়নে
স্বপনে! তোঁমার তো কারও সাথে হয়
না তুলনা, প্রিয়াও রাগে কোন কারণে,
যদি কর তুলনা প্রিয়াও রাগে ভবে ৷
যত পার তত কর আল্লাহর স্তুতি ৷
তোঁমাকে ভেবে চিন্তে কেউ পায় না কূল
ইচ্ছা করেই দাও না তুঁমি ধরা ছোঁয়া,
বলবো আমি যে কি, তুঁমিই শতরূপী
যত পার তত কর আল্লাহর স্তুতি৷
তোঁমায় শুনাব সত্যি তুমি অভিমানী
তুঁমি একাধারে কত কি ! বলবো আমি
তুঁমিই মনের মাঝে রঙিন আয়না ,
প্রেমাস্পদ গো আর করিও না বাহনা !
তুঁমি যত কর না কেন চল চাতুরী,
প্রেমিক প্রেমিকা ছাড়া কেউ বুঝবে না
তোঁমার সাথে কারও হয় না তুলনা,
যত পার তত কর আল্লাহর স্তুতি৷

সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৩

সন্ন্যাসী



        সন্ন্যাসী
আবুলকালামআজাদবাসু

মানুষের অনুভূতি মন-তৃপ্তি
চিন্তাধারার লাগাম গ্রাহক
পিতার তিন সন্তান গুণী
তাঁরা পিতার অনাঢম্বর স্বাধীনতায় বিরূপ,
পরিবারের দ্বন্দ্ব আত্বকলহ 
সংসার ত্যাগী ত্রি-ভ্রাতা
কেহ জঙ্গলে কেউ  বা মঙ্গলে
অন্য ভ্রাতা ত্যাগী, করল না বাস
মঙ্গলে বা জঙ্গলে বিরূপভাবা সৈনিক ৷
পিতার অবর্তমানে ত্রি-ভ্রাতার হৃত সংসার
ফেরত পেয়ে খুশীমনে হল সংসারী আবার ৷
হল উদ্যোগী মঙ্গল বলে, আমি উত্তম ৷
এই বলে সবারে আনল টেনে
সংসার পূনঃগঠনে দিল পদ বাহাদূরী 
বিরূপভাবা, জঙ্গলবাসী ও মঙ্গলবাসী সবারে ;
সবাই একত্রে করল সম্পদ ভাগাভাগি ৷
বাকী দু-ভ্রাতার জঙ্গল ও মঙ্গলদের দিল ভাগ
কিন্তু দু-ভ্রাতার বিরূপবাসী হল নিরাশ,
বিরূপবাসী হাসিয়া কয় হে সর্বভ্রাতা
আজ তোমরা চাঁদের অধিবাসী
আমরাও পিতার অবাধ্য বিরূপবাসী
যদি না হইতাম বিরূপ বিধর্মী,
তবে কি হত না পিতার সংসার ভারী?
এরূপে করেছি কতল পিতার আড়ম্বর বাহাদূরী ৷
সমাজে তোমরাই গুণী মানি
পিতার সংসারের অধিকারী৷
আমরাতো নহি, যত ভোগ বিলাস
কেবল তোমাদেরই তোমরাই ত্যাগী ৷
আমরাও করেছি কতল  পিতার বাহাদূরী,
দম্ভে হাসিয়া উচ্চস্বরে কহিল মঙ্গল
কেবল আমরা এবং আমার অধীনস্থ যারা,
তবে তারাই হবে সুফলভোগী;
তোমরা কেবল সংসারত্যাগী সন্ন্য্যাসী ৷
তোমাদের সুফল আকাশে বাতাসে,
নহে জঙ্গলে ও মঙ্গলে ৷
আজি আমরা পরিবারের হর্তাকর্তা
আকাশ হাসিয়া কয়
গতকাল ছিলে সবাই বিরূপ পিতার অবাধ্য
পিতা যদি পেত তোমাদের কেউ একজন
দোযখ ছাড়া কি বেহেস্ত কি করত  বন্টন?
সুতরাং তোমরা তিনজনই সমান৷
সময়ে থাকতে কর সুবিচার
অন্যায়  অনাচার  চিরজীবন হয় না সুখকর ৷
সম বন্টনে পাওনা কর আদায়
আকাশ ভারী বর্ষণে দিতে পারে
হেলায় অবহেলায় কথিত সন্ন্যাস
ব্রতীদের উপযুক্ত পাওনা
ধৈর্য্যধারণ কারীদের দিয়েছ বঞ্চনা ৷
এ সংসার তোমার আমার ৷



শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৩

ভাবনা



       ভাবনা
আবুলকালামআজাদবাসু
ভাব ভাবনা কবির ভাবনা
যে যেই পেশায় রত তার
জন্মে থাকে সেই ভাবের ভাবনা ৷
মানুষের কর্ম মানুষ করে
অবান্তর চিন্তা আকাশ কুসুম ৷
শরীরের ষত যাতনা ভাবের
কুমন্ত্রণা অসীমের ব্যঞ্জনা ৷
বয়সে যা সত্য কাল পোহালে
তাহয় জঘণ্য ঘৃণিত ৷
সময় সুযোগে যে জন আপন ছেড়ে,
নিজের ললনাকে করেছে সম্মানিত ৷
তাদের বংশধর হয়েছে গর্বে গর্বিত
আপনজন ছাড়িয়া ললনারে দিয়েছে
পরের অর্জিত যত
কালে পরিশোধে হয়েছে বিজ্ঞ ৷
আজও তারা ভাবেনি মাটি
সে যে মানুষের আপন
মাটি করে না বেঈমানী
জানি তারা সমাজে জ্ঞানী ৷
দিন যখন আসিবে পরজন্ম
জানে না সে কাহিনী ৷
হতে পারেনা তারা সুখী
বংশধর থেকে যায় ললনাময়ী
পরিধান করে পরের গহণা
ভাবে তারা করে নি পাপ,
পরজনম ভাবে তাদের কীর্তি
অসীমের ব্যঞ্জনা বুঝা যায় না ৷
দালান কোটা হয় ঝর্ঝর
হিসাবের খাতা হয় শূন্য ৷
এমন যারা আপনকে দেয় না
তারা নিজ যত প্রাপ্য
ঠকায় তারা আপন আপনি ৷
ভাব ভাবনা কবির ভাবনা
যে যেই পেশায় রত তার
জন্মে থাকে সেই ভাবের ভাবনা ৷