বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৩

আমার পরিচিতি



                           আমার পরিচিতি
                          আবুলকালামআজাদবাসু
আমার  ভাল নাম আবুল কালাম আজাদ, ডাক নাম বা বাল্যনাম, যে নাম গ্রামে সবাই চিনে ‘বাসু’ ৷ আমার পিতার নাম নুর মোহাম্মদ/নুর আহমদ  ছিল ৷ মাতার নাম নুরজাহান বেগম ৷ দাদা আবদুল হাকিম মুন্সী (দলিল লেখক) ছিলেন ৷ পর দাদা ফজর আলী মুন্সী (দলিল লেখক) ছিলেন ৷ ফজর আলী মুন্সীর পিতার নাম আনু ফকির ছিল ৷ আনু ফকির কোন জায়গা হইতে আগত ভবঘুরে সন্দীপের বাসিন্দা ছিল ৷ আমি তদানীন্তন নাম অনুসারে বাঁশখালী মডেল হাইস্কুল থেকে রোল ১০০ (সাত) ১৯৬৩ ইংরেজীতে ম্যাট্রিক বা এস এস সি পাস করি ৷ সনদ পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ০৫ অক্টোবর ১৯৪৭ইং জন্ম তারিখ ৷ আমার পিতা গ্রামের মান্য গণ্য এবং পেশায় দুই বছর দলিল লেখকের কাজ করেন ৷ তিনি গ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইউনিয়ন পরিষদ সহ প্রায় ছত্রিশ বছর কাল মানুষের খেদমত করেন ৷ তিনি নাটক এবং যাত্রাগান পছন্দ করতেন বলে সেই রকম একদল লোক তাহার ছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় নাটক পরিচালনা করতেন ৷ আমরা ভাই বোন চারজন সবাই প্রতিষ্ঠিত এবং বি এ পাস করি ৷ জন্ম সুত্রে আমাদের বালাম বই অনুসারে আমার জন্ম তারিখ ০৪ এপ্রিল ১৯৪৭ ইং রোজ শুক্রবার ৷ এস এস সি পাস করার পর আমি চট্টগ্রাম সিটি কলেজে লিখাপড়া করি বিজ্ঞান বিভাগে ৷ ফাইন্যাল পরীক্ষায় ১৯৬৫ সালে অকৃতকার্য হই, ইংরেজীতে রেফার্ড পাই ৷ তাই তদানীন্তন পাকিস্তান এয়ার পোর্স এ যোগদান করি ১৯৬৫ সালের ০৫ অক্টোবর ৷ ১৯৬৮ সালে পুনরায় মানবিক বিভাগে এইস এস সি পাস করি করাচী বোর্ড এর অধীনে ৷ সনদ সিরিয়াল নং এইচ এস ০৫৪৮৬৪ রোল নং ১৫৯০৭ ইস্যু তারিখ ৩০শে জুন ১৯৬৯ ইং ৷ আমি করাচী বিশ্বিদ্যালয়ের প্রথম অংশ বিএ পাস করি ১৯৭০ সালে এবং বিএ ফাইন্যাল পরীক্ষার্থী ছিলাম ৷ দেশ বিভক্ত হওয়ার পর  বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এ পাস করি, রোল নং ২০৮৩২ যাহা ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত হয় ৷ 
এই বায়োডাঢা আমার বিশেষ প্রয়োজন না থাকলেও ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে ৷ একদিন ঢাকা যাওয়ার পথে রেলওয়ে স্টেশনে সব ফাইল চুরি হয়ে যায় ৷ তখন  আমার কাছে ডিগ্রি প্রভিশনাল সনদপত্র সহ ছিল ৷ তাই আমি অন্ততঃ দরকারী সনদপত্র যোগাড় করার জন্য দৈনিক ইত্তফাকে ‘হারাইয়াছে’ বিজ্ঞপ্তি দিই ৷ বিজ্ঞপ্তটি নিম্নরূপ:
সোমবার ২৮শে আশ্বিন ১৩৮৬ সম্ভবত ১৫ই অক্টোবর ‘হারাইয়াছে’
আমার এস এস সি সার্টিফিকেট রোল – সাত, নং ১০০ (মানবিক), দ্বিতীয় বিভাগ, সন ১৯৬৩ইং, কুমিল্লা বোর্ড ৷ এইচ এস সি সার্টিফিকেট রোল ১৫৯০৭ মানবিক, দ্বিতীয় বিভাগ, সন ১৯৬৮, করাচী বোর্ড ৷ বি এ (প্রভিশনাল) সার্টিফিকেট রোল ঢাকা নং ২০৮৩২, তৃতীয় ক্লাস, সন ১৯৭১ ইং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৷ আবুল কালাম আজাদ ৷ সি-১২৫৯৭ (খবরের কাগজ) ৷  ১৮ নভেব্মর ১৯৭২ ইং সনদপত্রটি ইস্যু করা হয়েছিল ৷
ইতিমধ্যে আমার এক ঘনিষ্ট কর্মকর্তা এবং একদা সহকর্মী ছিলেন ৷ তিনি অতি কষ্টে আমার মূল সনদপত্র ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যু করান ৷
সেই সনদপত্র সহ আবারও ঢাকা যাত্রাপথে ডাকাতের হাতে হ্যান্ডব্যাগ হস্তান্তর করতে বাধ্য হই ৷ তাই আবারও ‘দৈনিক কর্ণফুলী’ খবরের কাগজে বিজ্ঞপ্তি দিই: কর্ণফুলী পত্রিকা, শক্রুবার ২৬শে ১৪০৩ বাংলা ২৬শে জমাদিউল আউয়াল ১৪১৭ হিজরী ৷ ১১ অক্টোবর ১৯৯৬ইং ৷ ‘পুড়ে গেছে’ আমার এস এস সি দ্বি নকল. এইচ এস সি, বি এ মূল সনদ রোল যথাক্রমে সাত, করাচী বোর্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নং ১০০ সাত কুমিল্লা বোর্ড ১৯৬৩ ইং, ১৫৯০৭ করাচী বোর্ড ১৯৬৮. ২০৮৩২ ঢাকা বিশ্বিদ্যালয় ১৯৭১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সার্ভিস সনদের ক্রমিক নং ০০০২৫২ ৷ আবুল কালাম আজাদ ৷ এল. ১২২৭/৯৬ (খবরের কাগজ), ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪১৭ হিজরী  ১১ অক্টোবর ১৯৯৬ইং ৷
কুমিল্লা বোর্ডের এক সহৃদয় ব্যক্তি আমার কথা শুনে ত্রি নকল এক কপি সনদপত্র ইস্যু করান এবং আমার নিকট পৌঁছান ৷ আমি তাঁর কাছে ঋণী ৷
সার্ভিস জীবনে ১১ই নভেম্ভর ১৯৬৫ সাল পাকিস্তান এয়ার ফোর্স এ যোগদান করি ৷ ১৯৭১ সালে কর্পোরাল পদবী লাভ করি ৷ জুন ১৯৭১ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান সম্পূ্র্ণ পাকিস্তানের আয়ত্তে তা উপলব্ধি করার নিমিত্তে কিছু বিমান সেনাদের দুই মাসের ছুটিতে পাঠান ৷ আমিও একজন ছিলাম তৎমধ্যে ৷ সেপ্টেম্বর মাসে পুনরায় যোগদান করার কথা থাকলেও নিজেকে কতল করে একজন পকিস্তানী সৈন্যের সংখ্যা কমিয়ে দিলাম ৷ বাংলাদেশ হয়েছে সুনির্দিষ্ট সময়ে যেভাবে আমি কিছু অভিভাবকদের বলেছিলাম ৷ ততই বচন আমরা এবং আর যারা পাকিস্তানে বন্দী ছিল তারা সবাই এক পর্যায়ভূক্ত হলাম ৷ এভাবে আল্লাহর রহমতে ১৯৯৩ সালে মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে অবসর  গ্রহন করি ৷ আমার বিশেষ আর কোন পেশা নাই তবে ইন্টারনেটে লিখে মনের সুখে দিন কাটাই ৷
  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন