সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৩

আমার কথা প্রথম খণ্ড (৩২)



আমার কথা   প্রথম খণ্ড (৩২)
আবুলকালামআজাদবাসু
“মুমিন হইয়া পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেহ সৎকর্ম করিবে তাহাকে আমি নিশ্চয়ই আনন্দময় জীবন দান করিব এবং তাহাদিগকে তাহাদিগের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার দান করিব ৷” ১৬ (৯৭) কোরআন ৷
আল্লাহ নর ও নারীকে সমভাবে আনন্দময় জীবন দান করবেন ৷  প্রশ্ন তোলা হয় নরদের উদ্দেশ্যে কেবল হুর ও গেলমানদের কথা বলা হয়েছে, হয়তো তা ঠিক নহে ৷ যারা মুমিন পুরুষ ও নারী দুজনের নিমিত্তেই এ সব বর্ণনা সমভাবে প্রযোজ্য ৷
পাঠক সমাজ! আলোচ্য বিষয় ৩(৫৫) আয়াতের ব্যাখ্যায় এ পর্যন্ত যত তফসীরকারক দেখা যায়, তাদের মতে ইহুদি রাষ্ট্রকে তারা রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করেন না ৷ তাদের মতে এ হেন একটা রাষ্ট্র কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে গঠন হবার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ সত্য উপলব্ধি তখনি হবে যখনি উহা একটা ইহুদি রাষ্ট্র বলে জনগণ উপলব্ধি করবেন ৷ সে সময় মানুষ ভাববে প্রতীক্ষিত ঈসা মসিহ কই! কারণ পাক কোরআনের আয়াতের কাল পূর্ণ হওয়া মাত্র নির্ধারিত সময়ে যা ঘটার তা ঘটে যায় ৷
“তোমার পূর্বে আমি ওহী সহ মানুষই প্রেরণ করিয়াছিলাম, তোমরা যদি না জান তবে জ্ঞানীগণকে জিজ্ঞাসা কর –প্রেরণ করিয়াছিলাম স্পষ্ট নিদর্শন ও গ্রন্থসহ এবং তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য যাহা তাহাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হইয়াছিল, যাহাতে উহার চিন্তা করে ৷” ১৬ (৪৩ ও ৪৪) কোরআন ৷
আল্লাহ কখনো মানুষ হয়ে জন্মায় না ৷ যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনিই মানুষ সম্পর্কে ভালই জানেন ৷ কোন ইঞ্জিনিয়ার যন্ত্রাংশ তৈরীর পর তা ভালভাবে পরীক্ষা নীরিক্ষা করেই তবে তা মূল যন্ত্রে সংযোজন করে থাকেন ৷ ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কখনো যন্ত্রাংশ হন না ৷ হিন্দুদের মধ্যে এ প্রথা চালু আছে যে ‘বাসুদেব’ যদিও দুনিয়াতে এসেছিলেন প্রতিচ্ছায়া হয়ে তাঁ আসল রূপ নিরাকার ছিল ৷ তিনিই ভগবান বা আল্লাহ (নাউজুবিল্লাহ) ৷ এরূপ ধারণা খৃষ্ট সমাজেও বিদ্যমান ৷ অন্য গোত্র মাঝে এরূপ ধারণা পোষণকারী থাকলেও তাদের সংশোধনের নিমিত্তে উক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে ৷ খৃষ্টানেরা ত্রিত্ববাদ প্রথা চালু রেখেছে ৷ আসলে তা যে ভুল তা প্রমাণ করাও  এ লেখনীর  মূখ্য্ উদ্দেশ্য যেমনঃ আমিই পিতা, আমিই পুত্র, আমিই পবিত্রের ঊর্ধ্বে  এক রূহ ৷ পরবর্তীতে কেন পবিত্রর ঊর্ধ্বে বললাম উহারও বিশদ বর্ণনা পাঠক সমাজ দেখতে পাবেন বলেআশা করি ৷ সে যাই হোক, পূর্ববর্তী আলোচ্য বিষয়ের জের ধরে বলা হচ্ছে যে, জয় ও পরাজয় তাঁর হাতেই ন্যস্ত ৷ কোনটা জয় আর কোনটা পরাজয় তা সময় অতিবাহিত হহলেই বুঝা যায় ৷ যেমন হযরতের (সঃ) এর হুদাবিয়ার সন্ধি চুক্তি ৷ কুচক্রী মহল ক্ষণিকের জন্য এএ রাষ্ট্র জন্ম দিয়ে,  উহা জয় মনে করলেও  পরাজয়টা বুঝা যাবে সময়ের  ব্যবধানে ৷ উহা আল্লাহই  বাস্তবায়িত করবেন ৷ তাদের রয়েছে মানসিক যন্ত্রণা যতক্ষণ না তারা এ সত্য নিরীক্ষা করে ৷


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন