আমার কথা প্রথম খণ্ড (৩২)
আবুলকালামআজাদবাসু
“মুমিন হইয়া পুরুষ ও
নারীর মধ্যে যে কেহ সৎকর্ম করিবে তাহাকে আমি নিশ্চয়ই আনন্দময় জীবন দান করিব এবং
তাহাদিগকে তাহাদিগের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার দান করিব ৷” ১৬ (৯৭) কোরআন ৷
আল্লাহ নর ও নারীকে
সমভাবে আনন্দময় জীবন দান করবেন ৷ প্রশ্ন
তোলা হয় নরদের উদ্দেশ্যে কেবল হুর ও গেলমানদের কথা বলা হয়েছে, হয়তো তা ঠিক নহে ৷
যারা মুমিন পুরুষ ও নারী দুজনের নিমিত্তেই এ সব বর্ণনা সমভাবে প্রযোজ্য ৷
পাঠক সমাজ! আলোচ্য
বিষয় ৩(৫৫) আয়াতের ব্যাখ্যায় এ পর্যন্ত যত তফসীরকারক দেখা যায়, তাদের মতে ইহুদি
রাষ্ট্রকে তারা রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করেন না ৷ তাদের মতে এ হেন একটা রাষ্ট্র
কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে গঠন হবার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ সত্য উপলব্ধি তখনি হবে যখনি
উহা একটা ইহুদি রাষ্ট্র বলে জনগণ উপলব্ধি করবেন ৷ সে সময় মানুষ ভাববে প্রতীক্ষিত
ঈসা মসিহ কই! কারণ পাক কোরআনের আয়াতের কাল পূর্ণ হওয়া মাত্র নির্ধারিত সময়ে যা
ঘটার তা ঘটে যায় ৷
“তোমার পূর্বে আমি ওহী
সহ মানুষই প্রেরণ করিয়াছিলাম, তোমরা যদি না জান তবে জ্ঞানীগণকে জিজ্ঞাসা কর
–প্রেরণ করিয়াছিলাম স্পষ্ট নিদর্শন ও গ্রন্থসহ এবং তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ
করিয়াছি মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য যাহা তাহাদের প্রতি অবতীর্ণ করা
হইয়াছিল, যাহাতে উহার চিন্তা করে ৷” ১৬ (৪৩ ও ৪৪) কোরআন ৷
আল্লাহ কখনো মানুষ হয়ে
জন্মায় না ৷ যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনিই মানুষ সম্পর্কে ভালই জানেন ৷ কোন ইঞ্জিনিয়ার
যন্ত্রাংশ তৈরীর পর তা ভালভাবে পরীক্ষা নীরিক্ষা করেই তবে তা মূল যন্ত্রে সংযোজন
করে থাকেন ৷ ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কখনো যন্ত্রাংশ হন না ৷ হিন্দুদের মধ্যে এ প্রথা
চালু আছে যে ‘বাসুদেব’ যদিও দুনিয়াতে এসেছিলেন প্রতিচ্ছায়া হয়ে তাঁ আসল রূপ
নিরাকার ছিল ৷ তিনিই ভগবান বা আল্লাহ (নাউজুবিল্লাহ) ৷ এরূপ ধারণা খৃষ্ট সমাজেও
বিদ্যমান ৷ অন্য গোত্র মাঝে এরূপ ধারণা পোষণকারী থাকলেও তাদের সংশোধনের নিমিত্তে
উক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে ৷ খৃষ্টানেরা ত্রিত্ববাদ প্রথা চালু রেখেছে ৷ আসলে তা যে
ভুল তা প্রমাণ করাও এ লেখনীর মূখ্য্ উদ্দেশ্য যেমনঃ আমিই পিতা, আমিই পুত্র,
আমিই পবিত্রের ঊর্ধ্বে এক রূহ ৷ পরবর্তীতে
কেন পবিত্রর ঊর্ধ্বে বললাম উহারও বিশদ বর্ণনা পাঠক সমাজ দেখতে পাবেন বলেআশা করি ৷
সে যাই হোক, পূর্ববর্তী আলোচ্য বিষয়ের জের ধরে বলা হচ্ছে যে, জয় ও পরাজয় তাঁর
হাতেই ন্যস্ত ৷ কোনটা জয় আর কোনটা পরাজয় তা সময় অতিবাহিত হহলেই বুঝা যায় ৷ যেমন
হযরতের (সঃ) এর হুদাবিয়ার সন্ধি চুক্তি ৷ কুচক্রী মহল ক্ষণিকের জন্য এএ রাষ্ট্র
জন্ম দিয়ে, উহা জয় মনে করলেও পরাজয়টা বুঝা যাবে সময়ের ব্যবধানে ৷ উহা আল্লাহই বাস্তবায়িত করবেন ৷ তাদের রয়েছে মানসিক
যন্ত্রণা যতক্ষণ না তারা এ সত্য নিরীক্ষা করে ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন