বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১২

সূ-ফল পাবে একদিন আবাদে


সূ-ফল পাবে একদিন আবাদে
আবুলকালামআজাদবাসু
31-Oct-12

ধর্মের অনুসরণ কর মনেপ্রাণে
ও-রে সুফল পাবে একদিন আবাদে ৷
ওয়াজ নছিহত কর-রে জ্ঞানীগণ
প্রশংসা কর-রে তাঁর সবার উপর ৷
ভালবেসে করিও প্রার্থনা আরাধনা
তোমারি হৃদয়ে বসে আছেন সে-জনা ৷
যে-মতে ভজি-বা তাঁরে সে-মতে পাইবা
খালি হাতে কেহ নাহি ফির-বা; রয়েছে
তাঁর অফুরন্ত ভাণ্ডার, প্রেম বাজারে
প্রেমের লীলাখেলা; মানবের করিও
প্রশংসা যে গুণে গুণান্বিত সে-গুণের
কীর্তন মাহফিলে! যদিও সে হয় গো
ভিন পথের পথিক, ভালবেসে তারে
কাছে টান ধীরে ধীরে প্রেম আলিঙ্গনে;
তারি সূ-ফল পাবে একদিন আবাদে ৷


রবিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১২

আমার কথা প্রথম খণ্ড (৮)

আমার কথা প্রথম খণ্ড (৮)
আবুলকালামআজাদবাসু
ভাবী বাণী (২)

প্রথম শান্তির যুগে জন্ম হয় তাঁর
দ্বিতীয় শান্তির সময়কাল হাজার
হিসেবে শেষযুগ একবিংশ শতাব্দী ৷
দানিয়েলের ভাবী বাণী অবলোকনে
কাদিয়ানী! দেখি না তোমায় যথাকালে
কোন মূখে বল তুমি নবী ঈসা মসি
তুমি ঐশীবাণী প্রাপ্ত ইমাম মেহেদী?
হযরত (সঃ) পর নবীর আবির্ভাব
কোন শাস্ত্রে যে গাঁথা তেরশত বছর?
শয়তানের ফন্দিতে কর বিচরণ
লালসায় শ্রুত বাণী কর নি যাচাই
তোমার আল্লাহ আজ বড় অসহায় !

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ “তওরাত”
“ইহা এককাল (দুই) কাল ও অধর্কালে হইবে এবং পবিত্র জাতির বাহুভংগ সম্পূর্ণ হইলে এই সকল সিদ্ধ হইবে ৷ আর সে সময়ে হামেশা নজরানা নিবৃত্ত ও ধ্বংসকারী ঘৃণিত বস্তু স্থাপিত হইবে, তখন হইতে একহাজার দুইশত নব্বই দিন হইবে ৷ মোবারক সে-ই যে ধৈয-র্ধরিয়া সেই একহাজার তিনশত পঁয়ত্রিশ দিন পযর্ন্ত থাকিবে ৷
কিন্তু তুমি শেষের অপেক্ষাতে গমন কর, তাহাতে বিশ্রাম পাইবে এবং দিন সমূহের শেষে নিজ অধিকারে দণ্ডায়মান হইবে ৷ (১২ ঃ ৭, ১১-১৩) নবীদের কিতাব দানিয়েল ৷” (বায়তুল মোকাদ্দস পৃষ্ঠা ১০২০) ৷
“নবী দানিয়েলের (১২ ঃ ৭ আয়াত ) থেকে দুটো আশীবার্দের সময় বুঝায় ৷ মূসা (আঃ) থেকে হযরত (সঃ) পযর্ন্ত সময়ের ব্যবধান ১৩০০ বৎসর ৷ এক হল হযরত (সঃ) ৬২২ সালে মদিনায় পৌঁছেন এবং ৬৩১ সালে ইহজগত ত্যাগ করেন ৷ তারপর দীর্ঘ ত্রিশ বৎসর তাঁর খলিফাদের রাজত্বকাল চলে ৷ প্রথম আশীর্বাদের সময় যদি ৬৩১+৩০=৬৬১ সাল পযর্ন্ত ধরা হয় তাহলে নবী দানিয়েলের ভবিষ্যত বাণী মতে দ্বিতীয় আশীবার্দের সময় (১২ ঃ ১২ আয়াত) মতে ১৩৩৫+৬৬১=১৯৯৬ সাল হল শুরু ৷” (ডেস্টাকশন অর পিস পৃষ্টা ৭২৩ বঙ্গানুবাদঃ-লেখক)


শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১২

নাচে মন বৃন্দাবনে


নাচে মন বৃন্দাবনে
আবুলকালামআজাদবাসু
27/10/2012

রূপ দেখিয়া নাচেরে মন বৃন্দাবনে
নাচিয়া নাচিয়া সে সত্য গাহি পবনে ৷
জেরুজালেম মাতা আমার সর্বজনে
সত্য গাহিয়া পূর্ববঙ্গে অবগাহনে ৷
আমি প্রাচ্যে, রঙিন চাদর সর্ব-অঙ্গে
মন্দির মসজিদ গির্জা মঠ ভুবনে ৷
পূর্বে আসিয়া বিদ্যুৎ এর মত ছুটবো
আমি পশ্চিমে সত্য যে করছি প্রকাশ ৷
আমি গাহিব গান একমনে পবনে
রূপ দেখিয়া নাচেরে মন বৃন্দাবনে ৷

শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১২

কেন দু-জন ফেরেশতা ঈসা (আঃ)কে বহন করে আনবেন?


কেন দু-জন ফেরেশতা ঈসা (আঃ)কে বহন করে আনবেন?
আবুলকালামআজাদবাসু

সত্যি, এ প্রশ্নের সঠিক সমাধান, “কেন যে দু জন ফেরেশতা হযরত ঈসা (আঃ)কে বহন করে আনবে ?” সে সম্পর্কে নিজ নিজ মতবাদ ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই ৷ জ্ঞানীরা হয়তো বলতে পারেন যে আরবি ভাষা এমন বংশ, গোষ্ঠী ভেদে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ পায়, তবুও বলা যায় হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর প্রকাশিত প্রায় বাক্যালাপ বা কর্ম একটি ধর্ম গ্রন্থ হাদিস-রূপে যা আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া সমাধান-রূপে বিবেচিত ৷ অথবা আল্লাহর আদেশ যার দিকে অসম্মতি ৷ সূচনায় দু-জন ফেরেশতা ঈসা (আঃ) আগমনের ক্ষেত্রে যদিও (আমাদের চোখে অর্থাৎ একজনই যথেষ্ট ছিল) প্রয়োজন ছিল না তথাপি তিনি তা ব্যক্ত করেছেন (আল্লাহর হুকুমে); এখানে লেখক সম্ভাবনাময় সবকিছু বিবেচনা করে তিনি আকাশ থেকে অবতরণ অদৃশ্যে এবং হাদিসের সমস্ত শব্দাবলী যথার্থ সেই সঙ্গে প্রকৃতির অনুরূপভাবে স্বীকৃত ৷ এ ছাড়াও হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর উক্তি স্বপ্নাদিষ্ট দু-ব্যক্তির উল্লেখ সত্যি স্বর্গীয় বাণী ৷ বাইবেল অনুসারে বহু লোকের আগমন ঘটবে তারা সবাই ঈসা হবার দাবীদার হবে ৷ এই বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে আমার পরিষ্কার অভিমত এই যে, লেখক কোন দাবীদার ব্যক্তি নন; কিন্তু আমি লিখি হযরত ঈসা (আঃ) সম্পর্কে যেহেতু নিজ জীবনের একের পর এক রহস্যময় ঘটনা আমার অনুকূলে এসেছে ৷ কেহ যদি একথা অস্বীকার করে বর্ণিত ঘটনা তাতে কিছু হারাবার নাই, কিন্তু যারা যুক্তিগুলো অস্বীকৃতি জানাবে তাদের নিশ্চয় পুস্তকটি পাঠ করতে হবে যা আমার ক্ষেত্রে বহুভাবে নিজ জীবনের পক্ষে উপকারী ৷ লোকের কাছে আমার আর কি বেশী আশা করা যায় ? আমি এত এত প্রমাণ উপস্থাপন করেছি যাতে কেহ প্রতারণা করতে না পারে ৷ কেবল ইহা ঈসা (আঃ) এর কথা নয় বরং হযরত (সঃ) বাণীতেও তাঁর আগমন উপলক্ষে অনেক অনেক হাদিস পাওয়া যায়; তাতে তিনি (সঃ) বর্ণনা করেছেন যে প্রায় ত্রিশ জনের মত লোক ঈসা দাবীদার আসবেন ৷ এ লেখায় বর্ণিত মসিহ নামে বর্ণনাকারী কাদিয়ানী মতে ত্রিশ-জন নবী-দাবীদার ব্যক্তি গত হয়েছেন এবং কাদিয়ানী নিজেকে ইমাম মেহেদী ও ঈসা বলে দাবী উত্থাপন করেন একত্রিশ-তম নবী বলে দাবী করেন ৷ এইসব  ইতিহাস একজন লোকের উপস্থাপন করার প্রয়োজন ছিল না কারণ লোকটি তো দাবীদার কেহ নন,  তা  অন্যান্য গোষ্ঠীর জন্যেও কিন্তু নামটাই আমাকে যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করেছে কিছু যেন না বললেই চলে না ৷ ঐ লোকটি নিজেকে ঈসা হবার জন্যে দরকারি মনে করেছেন,  ঐ সে-ই মসিহ কাদিয়ানী লোক সম্মুখে তুলে ধরেছেন একটা তালিকা তারা কারা ছিল, এ পর্যন্ত ঈসা দাবীদার, তার সম্পর্কে বেশী কিছু বলা প্রয়োজন নেই যে ছিল স্বার্থপর এবং মিথ্যুক জনসমক্ষে, উপরন্তু কোরআন, হাদিস ও বাইবেলের অপ-ব্যাখ্যাকারী এরূপে যে,  “ঈসা বহুদিন জীবিত ছিল ক্রুশবিদ্ধ হবার পরও এবং দীর্ঘ জীবন অতিবাহিত করার পর স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন ৷” সে-ই অস্বীকার করেন আকাশ থেকে অবতরণ যা হাদিসের বাণী ৷ যদি সে পারতো এ-রকম উদাহরণ দিতে যে-ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাহলে সে যুগে জগতবাসী তাকে গ্রহণ করে নিত তখনকার দিনে ৷ কি করে ফেরেশতা দুনিয়ায় আসেন সেটা ব্যাখ্যা করা, তার জন্য প্রমাণ করা কঠিন বিধায় তা সে অস্বীকার করেন অথচ ফেরেশতা এবং শয়তান সর্বদা মানুষের সাথেই থাকেন ৷ আল্লাহ কেন বলেছেন মানুষের ভাল বা মন্দ লেখার নিমিত্তে ফেরেশতা সদা নিয়োজিত রয়েছেন (এ যুগে এসে মানুষ বুঝতে পারছে ফেরেশতা ভালমন্দ লেখার জন্য প্রয়োজন নেই কারণ কম্পিউটার যুগে এর বিশ্লেষণ নিষ্প্রয়োজন ) ৷ মানুষকে বুঝানোর জন্যে ফেরেশতাদের কথা বলা হয়েছে ৷ প্রকৃতপক্ষে এসবই তিনি পূর্ব থেকে নির্ধারিত করে রেখেছেন যা আপনাআপনি বা স্বয়ংক্রিয় ৷ যদি কেউ ইহা প্রমাণও করেন দু ফেরেশতার কথা, তার পক্ষে পিঠ বা ডানা প্রমাণ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার ৷ দাঁড়ায়ে ফেরেশতার পিঠে দু হাত দ্বারা পা স্পষ্ট করা বাতাসের মধ্যে, বা না বসে ডানায় হাত দ্বারা স্পর্শ করা এইরূপ জটিল হাদিস প্রমাণ করা সহজ ব্যাপার নয় এবং অবোধ্য ৷ এ বিষয়ে তর্ক অনর্থক ৷ সম্ভবত: দু ফেরেশতা  যেভাবে বর্ণিত হয়েছে দু-ব্যক্তির কাঁধও প্রযোজ্য ৷ অন্যদিকে বাইবেল এ উল্লেখিত শব্দাবলী ‘মেঘ’ তথা “মেঘে করে মহাশক্তি ও মহিমার সাথে মনুষ্য-পুত্র আবার আসবেন” একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না ৷ তাহলে মুসলিম এবং খৃষ্টানদের বদ্ধমূল ধারণা আকাশ থেকে অবতরণ মিথ্যে হয়ে যায় ৷ কিন্তু না আমার এ কিতাব মনোযোগ ও গভীর উপলব্ধি বোধ নিয়ে গবেষণা করলে একের পর এক কিভাবে আমার জীবন বই এর সাথে মিলে যাচ্ছে ৷ কেবল একটা বিশ্বাস পোষণ করে গবেষণা ব্যতীত আঁকড়ে থাকলে এ সমস্যার সমাধান পাওয়া দায় ৷ একদল চিন্তা করে যে যেখানে পূণার্ঙ্গ জীবন বিধান বর্তমান সেক্ষেত্রে ঈসার আগমনের হেতু কি ! মনে করি এটিই বড় ধাঁ ধাঁ তাদের জন্যে তারা কি আর কোন পরীক্ষা দিতে রাজী নন ! এটাই বিবেচকদের কাছে বা বিজ্ঞ বা আধ্যাত্মিক বা চিন্তাশীল ব্যক্তিদের চিন্তার বিষয় কিভাবে আল্লাহর প্রেমাস্পদ হওয়া যায় ৷ পূর্ণাঙ্গ আমার কথা প্রথম খণ্ড ওয়ার্ড প্রেস এ প্রকাশ করা হয়েছে ৷

বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১২

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (৭)


পিতা কালামজন্ম কালো (৭)
আবুলকালামআজাদবাসু
24-Oct-12

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷

স্রষ্টা পূর্ণ করার জন্যে মনের সাধ
যাঁর হস্তে ন্যস্ত মহাশক্তি ও মহত্ত্ব
সর্বশক্তিমান প্রথম সঙ্কল্পে মত্ত
কল্পিত-জন পবিত্র, সে প্রেম উন্মাদ
প্রথম আদেশ বলে এ-তুষ্টি স্রষ্টার,
এ বৈশিষ্ট্য মহান মহান আল্লাহর
সালাম নামের ঊর্ধ্বে কল্পিত এ-বাক্য ৷


মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১২

একটি মাত্র কাল্পনিক বিষয়


একটি মাত্র কাল্পনিক বিষয়
আবুলকালামআজাদবাসু

ইহা কিছুই না তবে একটি স্বপ্ন
ইহাকেই করতে আত্মতৃপ্ত
সাথে থাকবে অঙ্গীকার-বাক্যে
অতীব নিরাশ দেখে রঙিন হৃদয় ৷

ইহা কিছুই না তবে একটি স্বপ্ন
সারাংশ প্রকাশে প্রয়োগ চরমোৎকর্ষ
তাদের শিখা-হীন আলোক তবে পেলাম কোথায়
ওহে তুমি কখনও আস নি! তবে ইহা একটি স্বপ্ন ৷

ইহা কিছুই না তবে একটি স্বপ্ন
সবাই বলে পোষা বিড়াল ভাল দীর্ঘ প্রশ্বাসে
কেহ কেহ গর্বিত এবং সদা বলে দ্বন্দ্ব
কিছুই জানে না খালি থলে শিশু-অন্ধ ৷

যে রকম সাধারণ সে রকমই প্রভু
ইহা কিছুই না তবে স্বপ্ন
প্রভু তাদের ধৌত করে পিষ্টক দিয়ে
জ্ঞানী হও অহংকারী নয় বিবেচনা কর নিজের প্রিয়পাত্র ৷

কবুতর ছেড়েছে তার সাথী
সাময়িক গ্রহণ করেছে অন্য সঙ্গী
সেথায় জঠরে ধারণ করল কিছু
ডিম দিতে হবে তার তৃপ্তি মত ৷

যখন সে ঘরে ফিরল
সেটাই হল বাস্তবিক স্বপ্ন
তার সাথী তাপ দিতে সেই ডিম জানাল অস্বীকৃতি
কে দায়ী এই প্রাণ-ডিমের কিন্তু তুমি অক্ষম
প্রাণ-নাশে, বুঝ ছেড়ে সদৃশ,
সেটা হল অন্যের যেথায় বাস তোমার ৷

কিছুদিন অতিবাহিত কর আপোষের লাগি;
পুনরায় সেই নিয়ম তবে সব হবে দ্বিগুণ
তাকে করতে ধনে-বলবান উপকার দান 
এটাই সেই একটি বাক্য কি বলা যায় ৷

চেষ্টা কর খোঁজতে এর ভিতর কিছু
নতুবা কিছুই নহে এছাড়া একটি কাল্পনিক বিষয়
ইহা কিছুই না তবে একটি স্বপ্ন
ইহাকেই করতে আত্মতৃপ্ত
সাথে থাকবে অঙ্গীকার-বাক্যে
অতীব নিরাশ দেখে রঙিন হৃদয় ৷








সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১২

আমার কথা প্রথম খণ্ড (৭)


                             আমার কথা প্রথম খণ্ড (৭)
                             আবুলকালামআজাদবাসু
                                   ভাবী বাণী (১)
22-Oct-12
‘ঈসা তো কিয়ামতের নিদর্শন, সুতরাং তোমরা কিয়ামতে সন্দেহ পোষণ করিও না এবং আমাকে অনুসরণ কর ৷ ইহাই সরল পথ ৷” ৪৩ (৬১) কোরআন ৷
“স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলিলেন, হে ঈসা! আমি তোমার কাল পূর্ণ করিতেছি এবং আমার নিকট তোমাকে তুলিয়া লইতেছি এবং যাহারা সত্য প্রত্যাখ্যান করিয়াছে তাহাদের মধ্য হইতে তোমাকে মুক্ত করিতেছি ৷ আর তোমার অনুসারীগণকে কিয়ামত পর্যন্ত কাফিরদের উপর প্রাধান্য দিতেছি, অতঃপর আমার কাছে তোমাদের প্রত্যাবর্তন ৷” ৩ (৫৫) কোরআন ৷
(উক্ত আয়াতে দাগ দেয়া চিহ্নে ভাবী বাণী অন্তর্নিহিত) ৷
“সে দোলনায় থাক অবস্থায় ও প্রবীণ বয়সে মানুষের সহিত কথা বলিবে এবং সে হইবে পুণ্যবানদের একজন ৷” ৩(৪৬) কোরআন
কিয়ামতের আলামত
১০৫৮ ৷ হাদিস:- হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বনিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ (সঃ) ইরশাদ করেছেন, ইবনে মারয়াম অর্থাৎ হযরত ঈসা (আঃ) যে পর্যন্ত তোমাদের মাঝে ন্যায় বিচারক হয়ে না আসবেন, সে পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না ৷ তিনি ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন, শুকর হত্যা করবেন এবং জিজিরা কর তুলে দিবেন ৷ তখন ধন সম্পদ এতো হবে যে, কেউ তা গ্রহণ করবে না ৷ (বোখারী শরীফ)                                                  
হযরত ঈসা (আঃ) এর শুভাগমন
১৩১৪ ৷ হাদিস:- হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন- নবী করিম (সঃ) এর কসম সেই সত্ত্বার যাঁর হাতে আমার প্রাণ, খুব তাড়াতাড়ি হযরত মরিয়মের পুত্র হযরত ঈসা (আঃ) তোমাদের মাঝে আসমান থেকে অবতরণ করবেন, একজন  ইসলামিক শাসক ও ন্যায় বিচারক হিসেবে ৷ তিনি খৃষ্টান ধর্মের প্রতীক ক্রুশ ভাঙ্গার অভিযান চালিয়ে তা নিশ্চিহ্ন করবেন,
শুকর নিধন করবেন, জিজিরা কর তুলে নিবেন ৷ ধন সম্পদ স্ত্রোতের মত বয়ে চলবে ৷ অর্থাৎ ধন সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি দেখা দেবে, কেউ কবুল করতে চাইবে না ৷ এমন কি একটি সিজদা দেয়া সমগ্র দুনিয়া ও তার মধ্যকার সব সম্পদ থেকে অধিক বলে গণ্য হবে ৷ আহলে কিতাবের এমন কেউ বাকী থাকবে না, যে ঈসা (আঃ) এর উপর তাঁর মৃত্যুর পূর্বে ঈমান আনবে না এবং কিয়ামতের দিন তিনি তাদের ওপর সাক্ষী হবেন ৷ (বোখারী শরীফ) ৷
নবী দানিয়েলের সকল ভাবী-বাণী
কালে-পূর্ণ, ধরণীর বুকে ঘটমান
ঘটনাচক্র ভবিতব্য কি হবে শূণ্য ? 
আদি কিতাবে ব্যক্ত মুসা সদৃশ নবী
‘মুসা হতে হযরতের (সঃ) সময়কাল
নবী দানিয়েলের ভাবী বাণীতে গাঁথা
কালের ব্যবধানে তেরশত বৎসর
প্রথম শান্তির যুগে জন্ম হয় তাঁর
দ্বিতীয় শান্তির সময়কাল হাজার
হিসেবে শেষ-যুগ একবিংশ শতাব্দী ৷

রবিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১২

জীবন ঘুড়ির মত


জীবন ঘুড়ির মত
আবুলকালামআজাদবাসু
21-Oct-12

শক্ত-হাত থেকে শুরু হয় জীবন
করেছে তাকে ক্ষীণ
যা কেবল ইচ্ছা উহা যেন হয় তুচ্ছ
তবেই থাকার জন্যে সদা তৃষ্ণা ৷

বেধেছে তারে মায়া ডোরে
তা কেবল সে-ই জানে;
তুচ্ছ এ জীবন অনলে পড়ে
শুরু থেকেই করে লাফালাফি
গর্বে স্ফীত কর্মে গাফলতি
জীবন প্রাপ্ত হয়ে যা আস্ফালন
অনলে করে বাস ভাবে স্বর্গ-নিবাস
দাম্ভিক তার চলন
জয় করতে নরক-রূপ রাজ্য
দিনে দিনে হরণ করে কত প্রাণ ৷
তবুও নেই শান্তি
দূর নাহি হয় ক্লান্তি,
তুচ্ছ প্রাণ যায় উড়ে
রেখে তারে অনলে ৷

আকাশে ঘুড়ি উড়ে
আপন দোল দোলনায়
ঘুড়ি জানে না কভু
কার ডোরে সে রয়েছে বাধা
নির্মল আকাশ যেন তার স্বর্গ-ভেলা
এ যে পুতুল খেলা
রশি দিলে ছেড়ে
যাত্রা শেষে পড়ে অগ্নি-শালা ৷

তুচ্ছ এ জীবন
বন্ধন বিনা পতন
রাখিও স্মরণ
মায়া ডোরে বেধে
নিজেরে করে নাও আপন ৷




শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১২


আমার পিতামাতার নাম নূর কেন?
আবুলকালামআজাদবাসু

সর্ব প্রথম নূর কাকে বলে তা সাধারণের বুঝা উচিত ৷ কোরআন থেকে তা উল্লেখ করা যায় যা আল্লাহর বাণী: “আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর জ্যোতি, তাঁহার জ্যোতির উপমা যেন একটি দীপাধার যাহার মধ্যে আছে এক প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচের আবরণের মধ্যে স্থাপিত, কাঁচের আবরণটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ; ইহা প্রজ্বলিত করা হয় পূত পবিত্র জয়তুন বৃক্ষের তৈল দ্বারা যাহা প্রাচ্যের নয়, প্রতীচ্যেরও নয়, অগ্নি উহাকে স্পর্শ না করিলেও যেন উহার তৈল উজ্জ্বল আলো দিতেছে; জ্যোতির উপর জ্যোতি! আল্লাহ যাহাকে ইচ্ছা পথ নির্দেশ করেন তাঁহার জ্যোতির দিকে ৷ আল্লাহ মানুষের জন্য উপমা দিয়ে থাকেন এবং আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ ৷” ২৪(৩৫) কোরআন ৷
(কোরআনের আয়াত ব্যাখ্যা করার মতো ক্ষমতা আমার নাই কেবল বাংলা পাঠ করে যতটুকু বুঝি তা নিয়ে এ গবেষণা) ৷ আল্লাহ নিজেই যেন জ্যোতি, আরবি শব্দ নূর ৷ এ উপমায় বুঝা যায় তাঁর এ নূর দুনিয়া বা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নূর নয় ৷ বরং পরোক্ষভাবে সৃষ্ট জ্যোতি দ্বারা পরিচালিত ৷ (আরবি ভাষার নূর শব্দ অন্য ভাষায় তা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় এ জন্য যে জ্যোতি মানে আলোক, আলো, প্রভা, কিরণ অনেক অর্থ ৷ উপমা থেকে এটিই পরিষ্কার বলা যায় আসল জ্যোতি কোথাও নেই কেবল পরোক্ষ পর পরোক্ষভাবে সবকিছু সৃষ্টিতে আনয়ন করা হয়েছে ৷ এভাবে বলা যায় প্রতিবিম্ব কিরণ বা আলো থেকে সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ অন্যভাবে বলা যায় এ-জ্যোতি এ-আলো তাঁর জ্ঞান যদ্বারা তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন তাতে তিনি নেই ৷ সম্পূর্ণ এ-ধাঁচে তিনি সৃষ্টি করেছেন যার মধ্যে কেবল তাঁর জ্ঞান বর্তমান ৷ আলোচ্য বিষয় কোথা থেকে এ-নূর শব্দ এলো ৷ পরোক্ষ নূর থেকে ফেরেশতা এবং অন্যান্য সব পরোক্ষ পর পরোক্ষভাবে সৃষ্ট ৷ যে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে তা এটা বুঝানোর জন্য যে কিভাবে দুনিয়াবি দুটো নূর নামধারী একত্রে বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ৷ এটা হতে পারে, আশ্চর্য হবার কিছু নেই কিন্তু বিরল ৷ অজানা নয় ফেরেশতা নূরের তৈরি ৷ গবেষণালব্ধ ফল এই যে আত্মাও নুরের তৈরি কিন্তু মাটি থেকে তার জন্ম আল্লাহর ইচ্ছায় ৷ অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে আমার কি অভিপ্রায় মানুষকে অন্যকোন দিকে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করানো যে ভাবে নূর শব্দ যোগ করে পিতামাতার কথা উল্লেখ করা হয় ! প্রথমত: যারা কোরআনে বিশ্বাসী নয় তাদের এ-সত্য তোলে ধরা ৷ সত্যি এ-কিতাব আল্লাহর পক্ষ থেকে কিনা যৎসামান্য ক্ষুদ্র-জ্ঞানে তোলে ধরা ৷ হয়তো বার বার শুনতে শুনতে তা আর ভাল লাগবে না ৷ উম্মী মোহাম্মদ (সঃ) ধরে নিলাম অসাধারণ ধারণা শক্তি দ্বারা বলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞান আবিষ্কার করার পূর্বেই যে সূর্য তার আপন কক্ষপথে অন্যের চতুর্দিকে ঘুরছে ৷ তিনি এও বলতে সক্ষম হয়েছেন যে পৃথিবী কমলালেবু বা ঐ উট পাখীর ডিমের ন্যায় গোল ৷ এও ধরে নিলাম সমুদ্রের স্ত্রোত লবণাক্ত এবং মিষ্টি জল ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রবাহিত যা কিনা গভীর তলদেশে বিদ্যমান ৷ এভাবে একের পর এক সৃষ্টি রহস্যের তথ্য প্রদান অনেকের কাছে আশ্চর্য কিছু নয় ৷ মানুষকে সৃষ্টি করা তেমন কিছু থেকে নয় ৷ সূর্য কিরণ দেয় আর চন্দ্র আলো প্রদান করে একজন লোক যার সত্যতা রয়েছে তা কি বললেন! বিজ্ঞানীরা এমনতর বহু কিছু রয়েছে যা আবিষ্কার সক্ষম হননি ৷ বর্তমানে তারা বুঝতে পেরেছে পাহাড়-পর্বত পেরাগ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ৷ এ-গুলি কি নিজ থেকে গবেষণা করে আবিষ্কার করেছেন তিনি সঃ?
(দ্বিতীয়ত: একদল লোক বিশ্বাস করেন যে প্রকৃতির শক্তি আপনাআপনি তার লীলাখেলা খেলছে এবং বৃষ্টির মত ঘূর্ণায়মান ৷ যার কোন শেষ বলতে কিছু নেই ৷ তাদের নিমিত্তে আমি প্রকৃতির উদাহরণ )৷
 এ প্রবন্ধে এমন কি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা অবতারণা করা হয়েছে প্রকৃতি থেকে আনয়ন  করা হয়েছে ৷ সন্দেহের কোন কারণ নেই মোহাম্মদ (সঃ) স্বর্গীয় কিতাব মহা-গ্রন্থ পাঠ করেছেন ৷ কিন্তু একজন গবেষণা করে, অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ যা তারা গবেষণা-মূলক প্রবন্ধ লিখেছেন, এবং পূর্বে বলে গেছেন সেখান থেকে ধারণা-মূলক তথ্য অবতারণ করছে ৷ সুতরাং আমার পিতামাতা তাঁরা আর কেউ নন কেবল দু জন সাধারণ ব্যক্তি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ৷ (যে কেউ একজন যা লিখেছেন ফেরেশতা কখনো ঈসা আঃ কে নিয়ে এ ধরায় আসবেন না তারই জবাবে বলতে গিয়ে:) ফেরেশতারা অদৃশ্যে মাতৃ-জঠরে রূহ সঞ্চার এবং ভাগ্যলিপি পূর্ব নির্ধারিত যাহা তা তৈরি করে দেন ৷ উহা প্রত্যেকের বেলায় ঘটবে কেবল যদি ঈসা পুনরাগমন করেন তাঁর বেলায়ও তাই ঘটবে ৷ এতে প্রমাণ হয় যে ফেরেশতা প্রতিনিয়ত আগমন করে থাকেন ৷ যদি তা না হত তাহলে মোহাম্মদ সঃ একজন ফেরেশতার কথা বলতেন ঈসার পুনরাগমনের বেলায় যিনি অনায়াসে ক্ষুদ্র প্রাণী বহন করে দুনিয়াতে আনতে পারেন ৷ দু জন ফেরেশতা হাদিছের বর্ণন যথাযথ সম্পূর্ণ ঠিক দৃশ্যে যেমন অদৃশ্যেও তাই ৷ নবী রসুলদের স্বপ্ন ওহী সমতুল্য, তিনি (সঃ) স্বপ্নে দেখলেন দুজন ব্যক্তির কাঁধে ভর দিয়ে কাবা তওয়াফ করছেন অথচ দুজন ফেরেশতার জন্ম ক্ষমতা নেই সেক্ষেত্রে যুক্তিতে আমার পিতামাতা দু-নূর স্থান পেয়েছেন ৷ কেহ পূর্বে বর্ণিত হাদিছগুলো ভালভাবে অনুধাবন করে থাকেন তাহলে দেখবেন ফেরেশতার পিঠ বা কাঁধ বা ডানা যাহা মেরুদণ্ড সম্পর্কিত এবং সে সাথে হাত ও পা-দ্বয় একত্রিত করলে যেরূপ ধারণ করে তা মাতৃ-জঠরে শিশুর অবস্থানের মত ৷ ঈসা (আঃ) আবার দুনিয়ায় আসবেন ঠিকই তবে জটিল হাদিছকে উপেক্ষা করে নয় বরং যথাযথ প্রমাণসাপেক্ষে ৷
আমার এ রচনা কোরআন, হাদিছ এবং বাইবেল মত কিনা তা পাঠক সমাজ বিবেচনা করবেন ৷

বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১২

সংসার ধর্মী


সংসার ধর্মী
আবুলকালামআজাদবাসু
18-Oct-12

চল চল করি যে অনুসরণ তাঁরি
যিনি প্রচারই-ছে বিশ্বময় এ নীতি ৷
তুঁমি নিখিল বিশ্বের একচ্ছত্র প্রভু
আমি ক্ষুদ্র পরমাণু রূহ নামে বাস
অণু মাঝে বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের অনুভূতি,
তোঁমারি স্ত্ততি-বাদ তোঁমারি গান কে বা
জাগায় করতে প্রকাশ, তুঁমি বিধাতা,
সংসার-ধর্মী লোকেরা প্রেম-প্রীতি নীতি
মেনে নিয়ে তোঁমারি বন্দেগী করে তারা ৷
সংসার বৈরাগী নাহি মানে কোন বাধা,
ছুটে চলে তোঁমারি পানে একাগ্রচিত্তে ৷
যে-জন সংসার-ধর্মী হয় সে উত্তম,
যদি করে সংসার বৈরাগী-বেশে প্রাণে ৷
মন তার সদা থাকে প্রভু পানে মধু
আহরণে, সে-ই অতি উত্তম ৷ অধম
তা নাহি মানে সমাজে, কাল বিবর্তনে ৷
চল চল করি যে অনুসরণ তাঁরি
যিনি প্রচারই-ছে বিশ্বময় এ নীতি ৷




বুধবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১২

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (৬)


পিতা কালামজন্ম কালো (৬)
আবুলকালামআজাদবাসু

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷

আমি সংকেত, আমি মৃত্যু, আমি প্রলয়;
অরুণ বরুণ আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা
শুন মোর কথা-বার্তা মহা-গ্রন্থে গাঁথা;
হে বিশ্ব! নওজোয়ান হও আগুয়ান
শক্ত হস্তে ধারণ কর মোর এ-গান,
পুষ্পের রাজ্যে যদিও নিজ, সে প্রধান,
নিরাকারে নাহি পুষ্পের কোন সম্মান,
পুষ্পের মধ্যমণিই প্রত্যেকের যান ৷


মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১২

মন মানে না


মন মানে না
আবুলকালামআজাদবাসু
16-Oct-12

তুমি কত সুন্দর তার নাহি তুলনা
গোলাপ-রূপী তুমি, তাও কেউ মানে না
চন্দ্র-রূপী যে স্নিগ্ধ তোমার কোমলতা
ডুবন্ত সূর্য-রূপ তোমার গায়ের রং ৷

টুকটুকে দুধ-আলতা-সম এ বর্ণ
নাহি মানে যে কেউ, বলে সবাই তুমি
অনন্য, তুলনা-বিহীন একক সত্ত্বা
প্রকৃতির নরনারী তোমারই মাঝে
ভাবনায় করে আনাগোনা, তুমি
কি-রূপী তাও কেউ জানে না এ-জনমে ৷

তবুও নাহি হয় যে শেষ এ যাত্রার,
হবে কি কভু পরিশেষ? মন মানে না
কোনও বাধা, মানুষ কেন ঝোঁকে পড়ে
তোমারই সান্নিধ্য লাভে প্রবল টানে?
এ আকর্ষণ কি নহে প্রেমের কারণে!





সোমবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১২

পূর্বাভাস


                              পূর্বাভাস  
ঈসা (আঃ) এর আবির্ভাব সম্পর্কিত হাদিছ গুলোর বর্ণনা অনুযায়ী ২১টি বিশুদ্ধ হাদিছকে একত্রীকরণ করা হয়েছে ; প্রায় দু-শতেরও অধিক হাদিছ তাঁর আগমন উপলক্ষে বর্ণনা করা হয়েছে:- “হযরত ঈসা (আঃ) ফেরেশতা-দ্বয়ের পাখার উপর ভর দিয়ে অবতরণ করবেন, দুটি রঙিন চাদর পরনে থাকবে, হযরত (সঃ) স্বপ্নে দেখলেন, তিনি (ঈসা) দু-ব্যক্তির কাঁধের উপর ভর করে বায়তুল্লাহ তওয়াফ করছেন (বোখারী শরীফ হাদিছ নাম্বার ৩৫৯২); তিনি অবতরণ করবেন দামেস্ক শহরের পূর্বাংশে অবস্থিত মসজিদের পূর্বেকার সাদা মিনারের উপর ৷ নিশ্চয় জানিও ঈসার মৃত্যু হয়নি এবং কিয়ামতের নিকটবর্তী সময় ফজর (অন্য হাদিছে) বা আছরের সময়ে অবতরণ করবেন ৷ তিনি ফয়ছালাকারী-রূপে ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারী-রূপে যুদ্ধের অবসান করবেন ৷ তখন দজ্জাল চতুর্দিকে উৎপাত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, সে মতে তিনি খৃষ্টানদের কুসংস্কার মুছবার, ক্রুশ ভাঙ্গবার, শুকরকে যে গৃহপালিত পশু-রূপে গ্রহণ করেছে তা উচ্ছেদ করবার অভিযান চালাবেন ৷ পরে তিনি নামাযে দাঁড়াবেন এবং তাঁকে বলা হবে, হে আল্লাহর রূহ! আসুন ইমামতই করার জন্য, কিন্তু তিনি বলবেন, না তোমাদের ইমামের আগায়ে আসা উচিত, সে-ই নামাজ পড়াবে ৷ কিতাবিদিগের মধ্যে প্রত্যেকে তাহার মৃত্যুর পূর্বে তাহাকে (ঈসাকে) বিশ্বাস করবেই ৪(১৫৯) কোরআন, এর অর্থ হযরত ঈসা (আঃ) এর মৃত্যুর পূর্বে এ বাক্যটি তিনি হযরত (সঃ) তিনবার উচ্চারণ করেন ৷ তিনি মস্তক অবনত করলে পানির ফোঁটা পড়বে মনে হবে এখনই গোসল করে এসেছেন, মস্তক উঁচু করলে মোতির মতো স্বচ্ছ পানি বয়ে পড়বে ৷ তাঁর শ্বাস প্রশ্বাস যে কাফেরের গায়ে লাগবে সে সেখানেই মরে যাবে ৷ তাঁর সে প্রশ্বাস তাঁর দৃষ্টির সমান দূরত্বে পৌঁছবে, নামায হতে অবসর হলে মুসলমানেরা দজ্জালের সাথে মোকাবিলা করার জন্যে বের হবে ৷ সে (দজ্জাল) মিথ্যাবাদী, হযরত ঈসাকে (আঃ) দেখে লবণের মতো পানিতে গলে যাবে ৷ পরে তিনি তার দিকে অগ্রসর হয়ে তাকে হত্যা করবেন এবং দজ্জালের অনুসারীরা কেউই বাঁচবে না, তিনি সবাইকে কতল করবেন ৷ গাছ ও পাথর চিৎকার করে উঠবে, হে আল্লাহর রূহ! এ ইহুদীটা আমার পেছনে লুকায়ে আছে ৷ ঐ সময় ধন দৌলতের আধিক্য হবে, গ্রহণকারী পাওয়া যাবে না, সামান্য এবাদত যথা একটা সেজদা সমস্ত সম্পদ সামগ্রী হতে উত্তম গণ্য হবে ৷ কতই না সুন্দর হবে তোমাদের অবস্থা তোমাদের মধ্যে অবতরণ করবেন মরিয়ম পুত্র ঈসা এবং তোমাদের ইমাম তোমাদের মধ্য হতে হবে ৷

(বোখারী শরীফ ১৬৫৬ ও ১৬৫৭ নং তফসির ইবনে কাছির, রুহুল মাযানী ইবনে জবীর, মারে-ফুল কোরআন ২য় খণ্ড ৬৬-৬৭ পৃষ্ঠা, মোসলেম শরীফ ২য় খণ্ড ৪০১-৪০২ নং তফসির কুরতুবী, বোখারী শরাহ্ ফয়জুল বারী ৪র্থ খণ্ড ৪৬ পৃষ্ঠা, তাফহীমূল কোরআন ১৬৬ পৃষ্ঠা, পাক-কোরআনের আয়াত ৪(১৫৯), তফসির কুরতুবী) ৷

কলমের (মসির) সম্রাট মীর্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী তথা ‘আহমদ জামাতের’ ভিত্তি প্রস্তর যে বালির উপর প্রতিষ্ঠিত তা প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে আমি আমার নিজের জীবন বৃত্তান্ত, দিন, মাস, জন্মসাল ইত্যাদি পাক-কোরআনের আয়াতের আলোকে, ইঞ্জিলের আয়াতের দর্শনে, ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন সম্পর্কিত হাদিছের দৃষ্টি-বিজ্ঞানে, ইঞ্জিলের আয়াতের বর্ণনায়, কলি অবতার, মৈত্রেয় বুদ্ধ, যরাথ্রুষ্ট, ঈসা মসিহ, বা ইমাম মেহেদী আগমনের বার্তা স্ব স্ব ধর্ম মতে প্রকাশিত হওয়ায় নিজেকে তা কিনা; প্রশ্ন উত্থাপন করে যথা সম্ভব যুক্তির মাধ্যমে ইঞ্জিলের প্রকাশিত কালামের আদি ও অন্ত ধরে, যে রূপে বর্ণিত হয়েছে সেরূপে পাক-কোরআনের আদি ও অন্ত অক্ষর-দ্বয় দিয়ে যা কোনও কালে কোন মানবের রচনা দ্বারা সম্ভব হয় নি, তা আমার বাল্য-নাম ‘বাসু’ থেকে কৃষ্ণ, ‘স’ ও ‘ব’ থেকে সিদ্ধার্থ বুদ্ধ এর সাথে জড়িত করে এক উপমা পেশ করেছি, যেমন সাম-বেদে’ দেবতা নামের প্রথম অক্ষর ‘ম’ এবং শেষ অক্ষর ‘দ’ মোহাম্মদ (সঃ) (‘মাসিক মঈনুল ইসলাম’ মে ৯৯ইং মওলানা ওসমান গণী হাজী-পুরী) ৷ হাদিছে বর্ণিত উপরোক্ত বিবরণ মোতাবেক দৃশ্যে ও অদৃশ্যে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করতে সক্ষম হয়েছি কিনা তা গবেষণা এবং হৃদয়ঙ্গম করার জন্যে এবং সেই সঙ্গে দজ্জালের মূল উৎপাটন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি কিনা তা নিরূপণ করার জন্যে বিনীত অনুরোধ রইলো ৷
                                                    (আবুলকালামআজাদবাসু)


শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১২

দুধের কাহিনী


দুধের কাহিনী
আবুলকালামআজাদবাসু
13 October 2012

ভেবেছিলাম বসবো নির্জনে
তোমারি স্মরণে
অপেক্ষমাণ কক্ষ ভরে উঠলো
বিজ্ঞের সমাগমে
আড্ডার আসরে
কে যে কি বলে ?
নিজ মনের ব্যাকুলতা
এ দেশ নয়, দেশপ্রেম যত
দেখে তারা ওপারে
কর্ম বিনা নাহি লয় পারিশ্রমিক
বিনাশ্রমে পেতে চায় এ মানবগোষ্ঠী
তাতেও তাদের নেই তুষ্টি ৷

কেহ বলে বতর্মানে যত ফায়সালা
দিনে দিনে হয় তা সেবা আলয়
যেথায় রয়েছে অত্যাধুনিক ষষ্টি
সমাজ সেবক যারা মস্তিষ্ক
তারা কেবল যেন কিসের খুঁটি ৷

কেহ বলে নির্ধারণ প্রতীক বিনা
করিও লড়াই 
তখন দেখাইও বড়াই ৷

কেহ বলে এক যে ছিল রাজা
ছিল তার বহু প্রজা
গোহাল মশাই রোজ দিত দুধ
একদা বলে রাজা মশাই
এ-দুধে মিশিয়েছে পানি,
তদন্তে নিয়োগ পেল রাজার প্রতিনিধি
পড়লো বিপাকে গোহাল মশাই
তাই মিশাল আরও অধিক পানি
এবার দুধের ভাগ পেল সেই প্রতিনিধি,
যত বাড়ল ‘তিনি’
দুধও বাড়ল আপনাআপনি
রাজার ভাগ্যে জুটল কেবল পানি ৷








শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১২

আমার কথা প্রথম খণ্ড (৫)


                              আমার কথা প্রথম খণ্ড ()
                      আবুলকালামআজাদবাসু
(২১) মুসলমান সব নবীরাসূলদের স্বীকার করে, অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, নবী রসূলদের মাঝে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে না, কিন্তু নবীরাসূলদের মাঝে হযরত (সঃ) শ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী এবং রসূল এ কথা বিশ্বাস করে ৷
(২২) প্রত্যেক নবী রসূল এমনকি প্রত্যেক মানবের ‘জীবন বই’ রয়েছে ৷
(২৩) সব নবী রসূলদের কাছে আসমানি কিতাব, ছহিফা নাযিল বা স্বপ্ন যোগে আদেশ নির্দেশ দেয়া হয়েছে ৷ এসব আল্লাহর কালাম ৷
(২৪) পাককোরআন আল্লাহর মূলগ্রন্থ ৷ সর্বশেষ নবীর আগমনে পাককোরআনও আল্লাহর সর্বশেষ পবিত্র গ্রন্থ ৷
(২৫) ঈসা (আঃ) সর্বশেষ আগমনকারী ব্যক্তি উম্মতে মোহাম্মদী এবং সব নবীগণের উম্মত (ঈসারূহুল্লাহ) ৷
(২৬) ধরাধামে নবী (আঃ) গণ পুনর্জন্ম লাভ করে মোহাম্মদী জগতে ভ্রমণ করে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেন এবং কর্তব্য কর্ম সম্পাদন করার নিমিত্তে অবতরণ  করেন অন্যদিকে আরিফ, আম্বিয়া, অলি-আউলিয়া, বুজুগার্নেদ্বীন ও অন্যান্য ধার্মিক ব্যক্তিগণ আরোহণ করেন এবং তার মাঝে কেউ কেউ যিনি যতটুকু নৈকট্য হাসিল করতে পারেন তা নিয়ে শরীয়তের খেদমতের অনুসন্ধানে অবতরণ করে থাকেন ৷
(২৭) সঙ্কোচনের মাধ্যমে কেয়ামতের পূর্ণ আলামত শুরু হবে ৷ সে স্থানে কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে যে স্থানে আদি পিতা আদম (আঃ) ও সকল-জাতি একসাথে বাস করতো ৷ তাতে চল্লিশ দিন বা চল্লিশ হাজার বছর সময় লাগতে পারে ৷
(২৮) অণুর মৌলিক সত্তা বিদ্যমান, অণু যখন পরমাণুতে বিভাজন হয় তখন সত্তা-হীন হয়ে পড়ে, সে আরও শক্তিশালী হয়, এমনকি পৃথিবীকে ধ্বংস করার শক্তি অর্জন করে থাকে ৷ সে তখন তার আমিত্ব হারায়ে ফেলে ৷  সে কার ? সে পরিচয় থাকে না ; সাধক যখন এ অবস্থায় উপনীত হয় তখন তার আর ‘আকার-রূপ’ অস্তিত্ব থাকে না ৷ এ অস্তিত্বহীনদের মালিক আল্লাহ অস্তিত্ববান একমাত্র সত্ত্ব, তিঁনি আকার ও অস্তিত্বহীনদের মালিক বিধায় তিঁনি সদা নিরাকার ৷ সাধকগণ এরূপ স্থানে উপনীত হলে জাতিভেদ তাঁদের মধ্যে আর পরিলক্ষিত হয় না ৷
(২৯) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সব ধর্মের লোক এক আল্লাহতে বিশ্বাসী ৷ এতে কলেমার প্রথম অংশ পূরণ হয় বিধায় মানুষের ভেদাভেদ সৃষ্টি না করে জ্ঞান দিয়ে সবাইকে উপলব্ধি করা প্রয়োজন ৷
(৩০) যুদ্ধ কোনো কালে স্থায়ী সমাধান দিতে পারেনি ৷ সমঝোতার ভিত্তিতে স্থায়ী সমাধান আশা করা যায় ৷ কোনও জাতিকে নিশ্চিহ্ন করা মহান আল্লাহর কাজ, এ নিয়ে সংঘাত, হত্যা, গুপ্তহত্যা, যুদ্ধবিগ্রহ কোনাটাই আল্লাহর নির্দেশিত পথ নহে যখন পর্যন্ত এক জাতি অন্য আর এক জাতির উপর জোর করে যুদ্ধ চাপায়ে না দেয় তখন পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করাই শ্রেয় ৷ বরং যুদ্ধ হবে মুসলিম ও অমুসলিম মাঝে এ নিয়ে যে, কোরআন ও বিজ্ঞান বিষয়ক তথ্য নিয়ে এবং প্রতিটি ধর্ম সম্পর্কে প্রতিদিনের খবরের কাগজে কমপক্ষে একটি পৃষ্ঠা বিশ্বময় প্রচার করাই হবে দু দলের প্রধান কাজ৷ উহাই স্থায়ী সমাধানের পথ বের করে আনবে ৷
(৩১) প্রত্যেক ধর্মে প্রেম ভালবাসা, আল্লাহর প্রেম সৃষ্টির কথা হলেও তাঁর প্রকৃতস্বরূপ ব্যাখ্যায় কেউ আকারহীনকে ভালবেসে কেবল তাঁর বাহ্যিক দৃশ্যাবলী উপভোগ করে ৷ অন্য কেউ আকারকে স্থান প্রদান করে খেলা করতে করতে প্রেম নিবেদনের মাধ্যমে আল্লাহর প্রেম জাগিয়ে তোলে যদিও তা আল্লাহর পছন্দনীয় নয় ৷ সব ধর্ম মাঝে সত্য যে রয়েছে তা কেবল জ্ঞান দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে ৷ ইসলাম ধর্মে আকারের স্থান নেই, তবুও সূফীতত্ত্ব এদিকটা তেমন প্রাধান্য দেয় না ৷
(৩২) যে সব জাতি নিশ্চিহ্ন হবার কথা হাদিছে উল্লেখ রয়েছে, সে সব আপনা থেকে বিলুপ্ত হতে থাকবে আল্লাহর কুদরতে এবং অনেকেই বরফের মত গলে যাবে আন্তরিক প্রেম ও ভালবাসার স্পন্দনে এবং বন্ধনে ৷
(৩৩) পণ্ডিত ব্যক্তিরা যখন স্বীকার করবেন যে, প্রত্যেক ধর্মে সত্য ছিল এবং শেষ ধর্ম শান্তির ধর্ম, একব্যক্তিই আল্লাহর কুদরত বলে নিজেকে সব ধর্মমতে যুক্তি এবং সত্যসহ প্রকাশিত হয়ে পড়বে, তখন তারা বিনা দ্বন্দ্বে তা গ্রহণ করবেন ৷

বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১২

ভালবাসায় ভরে দাও মন


ভালবাসায় ভরে দাও মন
আবুলকালামআজাদবাসু

হাতের উপর হাত রাখ
স্থির কর মন
মানুষ নহে মানুষের দুশমন
যত ব্যথা মনে কর অপসারণ ৷

দৃঢ় চিত্তে কর কোলাকোলি
হাসিমুখে কর বলাবলি
হৃদয়ে প্রসারিত করে বাঁধ তারে
বিনিময় কর কেবল হাসি-মুখ মাখা বুলি ৷

মানুষ মানুষের তরে
কভু নহে কেহ কারো পর
এ ভুবনে সবাই সবার লাগি
বিপদে তারাই আপনজন ৷

হিংসা বিদ্বেষ ভুলে যাও যত
ভেবে দেখ তার ইতিকথা
খুঁজে নাও তার পুরাণ সু-বার্তা
সেই কথা ভেবে মনকে দাও সান্ত্বনা ৷

হাতের উপর হাত রাখ
ভালবাসায় ভরে দাও তার মন
তবেই দেখ সেও হবে আপনজন
শত্রু-মিত্র সবাইকে কর বরণ ৷





মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১২

আল্লাহর ঐশ্বরিক বাণী নয়


আল্লাহর ঐশ্বরিক বাণী নয়
আবুলকালামআজাদবাসু

ওহে, এই প্রথম লোকটা হাতে সুযোগ আসায় পৃথিবী-বাসীর কাছে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে লিখছে ৷ এই লেখা আমার কাছে কিছুই না তবে আংশিক অন্ধকার বলে গণ্য করা যেতে পারে ৷ যে বিষয়বস্তু পছন্দ করা হয়েছে তা ‘আল্লাহর ঐশ্বরিক বাণী নয়’ মনে হয় যে ভাবে উত্থাপন করা হয়েছে ওয়ার্ড প্রেস এ ঠিক সেভাবে উত্থাপিত প্রকৃতি থেকে  তবুও এতে রয়েছে দার্শনিক চিন্তা,ধারা ৷ একটি এড দেখে নিজস্ব এমন কিছু বিষয়ের উপর উপস্থাপন করার আহ্বানে এ ব্যক্তিকে লেখার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে ৷ তা ছিল যে এটা আমার পুস্তকের অংশ বিশেষ হতে পারে এবং দূরীভূত করবে যারা এ পুস্তক সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে ৷ সমস্ত পুস্তকটি আল্লাহর ঐশ্বরিক বাণী নয় কিন্তু কিছু শব্দাবলী হয়তো আল্লাহ প্রদত্ত অন্যথায় প্রকৃতির নিয়মানুসারে লেখা এ ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব ছিল না ৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রথম সংক্ষিপ্ত রচনায় শক্ত বক্তব্যে উপস্থাপন করেছি যে এটা কোনও ‘আল্লাহর ঐশ্বরিক বাণী নয়’ ৷

লেখার উপর ভিত্তি করে যে কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারে লোকটা কি করে আল্লাহর ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে পারলেন ৷ এটাই একটা দর্শন বিশেষ করে তা কিভাবে!

প্রবল ইচ্ছাশক্তি এবং প্রকৃতির চিহ্নাদি সত্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে ৷ সবাই জানে যে মিথ্যা সত্যের অগ্রে ধাবমান ৷ সত্য মিথ্যার পেছনে এমনভাবে ধাবিত হয় তাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে নর্দমায় নিক্ষেপ করে ৷

ইহা এমনভাবে প্রকাশ করা হয়েছে এ বর্ণনাসমূহ আল্লাহর বাণী নয় কিন্তু যা কিছু বক্তব্য পরিমিত এতে সন্দেহের অবকাশ নেই যা কিছু সত্য তা বিষয়বস্তু পাঠানতে পাঠক বলতে পারেন ৷ এটা কি সম্পূর্ণ ঐ ব্যক্তির ন্যায় যা আপনাদের হাতে বর্তমানে কোনও স্থির সিদ্ধান্তের জন্যে অপেক্ষা করছে? আমার কাছে যে বাণী ‘তুমিই সে-ই লোক’ সেই লোকটা কে উহাই সম্পূর্ণ আমার কাছে রহস্যময় ৷

যৎসামান্য উক্তি যাকে বলা হচ্ছে ঐশ্বরিক বাণী তা পৃথিবী-বাসীর কাছে হেয় প্রতিপন্ন করবে দেখে বিষয়াবলী যা নিজ স্বার্থে ব্যবহৃত ৷ সত্য প্রকাশে মন্দাভাব যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন তা তিনি কঠিন কর্ম বিনা প্রকাশ করবেন ৷

অন্যান্য সামাজিক ব্যক্তিবর্গ যেমন হিন্দু এবং বৌদ্ধ তাদের কাছ থেকে সমস্যা-জনিত কোনও কিছু আসবে না কারণ তাদর কাছে নিজস্ব জীবন বিধান রয়েছে বলে তাদের বিশ্বাস ৷ এ পৃথিবীতে অন্যান্যদের চেয়েও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সংখ্যায় অনেক ৷ কোন ধর্মীয় পুস্তক ঐশী-বাণী আর কোন ধর্মীয় পুস্তক ঐশী-বাণী নয় বর্তমান যুগ বাসীর মুখ্য বিষয় নয় ৷ তবে সব ধর্মীয় পুস্তক আল্লাহ প্রদত্ত সন্দেহ নেই কিন্তু সঠিক নয় তার বর্ণন ৷

আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তেমন কোনও কিছু থেকে নয় আর তেমনেই ছিল, না এর মধ্যে পালন করার তেমন কিছু ; এ তেমন শব্দ কোরআনে পাওয়া যায় ৷ উহাই ইসলামিক দর্শন এবং চিন্তাধারা ৷ এ বিষয়ে মানুষের জন্যে অত্যন্ত নাজুক কথা বলা বা লেখা৷ ইহা সৃষ্টি করতে পারে ভাবোদ্দীপক সংঘাত কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছাকে পূরণে এ বিষয়ের উপর লেখতে অনুপ্রাণিত হয়েছি যা দান করা হয়েছে তা থেকে অন্তত: সবাই জানুক একবার হলেও এ রচনা আল্লাহর বাণী নয় তবে আল্লাহর হয়তো নির্দেশ ঢোল পেটানো যাতে সর্বলোক শুনতে পায় ৷ ঢোলের এ-সত্য শুনতে পায় কি?