কেন দু-জন ফেরেশতা ঈসা
(আঃ)কে বহন করে আনবেন?
আবুলকালামআজাদবাসু
সত্যি, এ প্রশ্নের সঠিক সমাধান, “কেন যে দু জন ফেরেশতা হযরত ঈসা (আঃ)কে
বহন করে আনবে ?” সে সম্পর্কে নিজ নিজ মতবাদ ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই ৷ জ্ঞানীরা
হয়তো বলতে পারেন যে আরবি ভাষা এমন বংশ, গোষ্ঠী ভেদে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ পায়, তবুও
বলা যায় হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর প্রকাশিত প্রায় বাক্যালাপ বা কর্ম একটি ধর্ম গ্রন্থ
হাদিস-রূপে যা আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া সমাধান-রূপে বিবেচিত ৷ অথবা আল্লাহর আদেশ
যার দিকে অসম্মতি ৷ সূচনায় দু-জন ফেরেশতা ঈসা (আঃ) আগমনের ক্ষেত্রে যদিও (আমাদের
চোখে অর্থাৎ একজনই যথেষ্ট ছিল) প্রয়োজন ছিল না তথাপি তিনি তা ব্যক্ত করেছেন
(আল্লাহর হুকুমে); এখানে লেখক সম্ভাবনাময় সবকিছু বিবেচনা করে তিনি আকাশ থেকে অবতরণ
অদৃশ্যে এবং হাদিসের সমস্ত শব্দাবলী যথার্থ সেই সঙ্গে প্রকৃতির অনুরূপভাবে স্বীকৃত
৷ এ ছাড়াও হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর উক্তি স্বপ্নাদিষ্ট দু-ব্যক্তির উল্লেখ সত্যি স্বর্গীয়
বাণী ৷ বাইবেল অনুসারে বহু লোকের আগমন ঘটবে তারা সবাই ঈসা হবার দাবীদার হবে ৷ এই
বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে আমার পরিষ্কার অভিমত এই যে, লেখক কোন দাবীদার ব্যক্তি
নন; কিন্তু আমি লিখি হযরত ঈসা (আঃ) সম্পর্কে যেহেতু নিজ জীবনের একের পর এক রহস্যময়
ঘটনা আমার অনুকূলে এসেছে ৷ কেহ যদি একথা অস্বীকার করে বর্ণিত ঘটনা তাতে কিছু
হারাবার নাই, কিন্তু যারা যুক্তিগুলো অস্বীকৃতি জানাবে তাদের নিশ্চয় পুস্তকটি পাঠ
করতে হবে যা আমার ক্ষেত্রে বহুভাবে নিজ জীবনের পক্ষে উপকারী ৷ লোকের কাছে আমার আর
কি বেশী আশা করা যায় ? আমি এত এত প্রমাণ উপস্থাপন করেছি যাতে কেহ প্রতারণা করতে না
পারে ৷ কেবল ইহা ঈসা (আঃ) এর কথা নয় বরং হযরত (সঃ) বাণীতেও তাঁর আগমন উপলক্ষে অনেক
অনেক হাদিস পাওয়া যায়; তাতে তিনি (সঃ) বর্ণনা করেছেন যে প্রায় ত্রিশ জনের মত লোক
ঈসা দাবীদার আসবেন ৷ এ লেখায় বর্ণিত মসিহ নামে বর্ণনাকারী কাদিয়ানী মতে ত্রিশ-জন নবী-দাবীদার
ব্যক্তি গত হয়েছেন এবং কাদিয়ানী নিজেকে ইমাম মেহেদী ও ঈসা বলে দাবী উত্থাপন করেন একত্রিশ-তম
নবী বলে দাবী করেন ৷ এইসব ইতিহাস একজন
লোকের উপস্থাপন করার প্রয়োজন ছিল না কারণ লোকটি তো দাবীদার কেহ নন, তা অন্যান্য গোষ্ঠীর জন্যেও কিন্তু নামটাই আমাকে
যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করেছে কিছু যেন না বললেই চলে না ৷ ঐ লোকটি নিজেকে ঈসা হবার জন্যে দরকারি
মনে করেছেন, ঐ সে-ই মসিহ কাদিয়ানী লোক
সম্মুখে তুলে ধরেছেন একটা তালিকা তারা কারা ছিল, এ পর্যন্ত ঈসা দাবীদার, তার
সম্পর্কে বেশী কিছু বলা প্রয়োজন নেই যে ছিল স্বার্থপর এবং মিথ্যুক জনসমক্ষে, উপরন্তু
কোরআন, হাদিস ও বাইবেলের অপ-ব্যাখ্যাকারী এরূপে যে, “ঈসা বহুদিন জীবিত ছিল ক্রুশবিদ্ধ হবার পরও এবং
দীর্ঘ জীবন অতিবাহিত করার পর স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন ৷” সে-ই অস্বীকার করেন
আকাশ থেকে অবতরণ যা হাদিসের বাণী ৷ যদি সে পারতো এ-রকম উদাহরণ দিতে যে-ভাবে
উপস্থাপন করা হয়েছে তাহলে সে যুগে জগতবাসী তাকে গ্রহণ করে নিত তখনকার দিনে ৷ কি
করে ফেরেশতা দুনিয়ায় আসেন সেটা ব্যাখ্যা করা, তার জন্য প্রমাণ করা কঠিন বিধায় তা সে
অস্বীকার করেন অথচ ফেরেশতা এবং শয়তান সর্বদা মানুষের সাথেই থাকেন ৷ আল্লাহ কেন
বলেছেন মানুষের ভাল বা মন্দ লেখার নিমিত্তে ফেরেশতা সদা নিয়োজিত রয়েছেন (এ যুগে
এসে মানুষ বুঝতে পারছে ফেরেশতা ভালমন্দ লেখার জন্য প্রয়োজন নেই কারণ কম্পিউটার
যুগে এর বিশ্লেষণ নিষ্প্রয়োজন ) ৷ মানুষকে বুঝানোর জন্যে ফেরেশতাদের কথা বলা হয়েছে
৷ প্রকৃতপক্ষে এসবই তিনি পূর্ব থেকে নির্ধারিত করে রেখেছেন যা আপনাআপনি বা
স্বয়ংক্রিয় ৷ যদি কেউ ইহা প্রমাণও করেন দু ফেরেশতার কথা, তার পক্ষে পিঠ বা ডানা
প্রমাণ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার ৷ দাঁড়ায়ে ফেরেশতার পিঠে দু হাত দ্বারা পা স্পষ্ট করা
বাতাসের মধ্যে, বা না বসে ডানায় হাত দ্বারা স্পর্শ করা এইরূপ জটিল হাদিস প্রমাণ
করা সহজ ব্যাপার নয় এবং অবোধ্য ৷ এ বিষয়ে তর্ক অনর্থক ৷ সম্ভবত: দু ফেরেশতা যেভাবে বর্ণিত হয়েছে দু-ব্যক্তির কাঁধও
প্রযোজ্য ৷ অন্যদিকে বাইবেল এ উল্লেখিত শব্দাবলী ‘মেঘ’ তথা “মেঘে করে মহাশক্তি ও
মহিমার সাথে মনুষ্য-পুত্র আবার আসবেন” একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না ৷ তাহলে মুসলিম
এবং খৃষ্টানদের বদ্ধমূল ধারণা আকাশ থেকে অবতরণ মিথ্যে হয়ে যায় ৷ কিন্তু না আমার এ
কিতাব মনোযোগ ও গভীর উপলব্ধি বোধ নিয়ে গবেষণা করলে একের পর এক কিভাবে আমার জীবন বই
এর সাথে মিলে যাচ্ছে ৷ কেবল একটা বিশ্বাস পোষণ করে গবেষণা ব্যতীত আঁকড়ে থাকলে এ
সমস্যার সমাধান পাওয়া দায় ৷ একদল চিন্তা করে যে যেখানে পূণার্ঙ্গ জীবন বিধান
বর্তমান সেক্ষেত্রে ঈসার আগমনের হেতু কি ! মনে করি এটিই বড় ধাঁ ধাঁ তাদের জন্যে তারা
কি আর কোন পরীক্ষা দিতে রাজী নন ! এটাই বিবেচকদের কাছে বা বিজ্ঞ বা আধ্যাত্মিক বা
চিন্তাশীল ব্যক্তিদের চিন্তার বিষয় কিভাবে আল্লাহর প্রেমাস্পদ হওয়া যায় ৷
পূর্ণাঙ্গ আমার কথা প্রথম খণ্ড ওয়ার্ড প্রেস এ প্রকাশ করা হয়েছে ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন