শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১২


আমার পিতামাতার নাম নূর কেন?
আবুলকালামআজাদবাসু

সর্ব প্রথম নূর কাকে বলে তা সাধারণের বুঝা উচিত ৷ কোরআন থেকে তা উল্লেখ করা যায় যা আল্লাহর বাণী: “আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর জ্যোতি, তাঁহার জ্যোতির উপমা যেন একটি দীপাধার যাহার মধ্যে আছে এক প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচের আবরণের মধ্যে স্থাপিত, কাঁচের আবরণটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ; ইহা প্রজ্বলিত করা হয় পূত পবিত্র জয়তুন বৃক্ষের তৈল দ্বারা যাহা প্রাচ্যের নয়, প্রতীচ্যেরও নয়, অগ্নি উহাকে স্পর্শ না করিলেও যেন উহার তৈল উজ্জ্বল আলো দিতেছে; জ্যোতির উপর জ্যোতি! আল্লাহ যাহাকে ইচ্ছা পথ নির্দেশ করেন তাঁহার জ্যোতির দিকে ৷ আল্লাহ মানুষের জন্য উপমা দিয়ে থাকেন এবং আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ ৷” ২৪(৩৫) কোরআন ৷
(কোরআনের আয়াত ব্যাখ্যা করার মতো ক্ষমতা আমার নাই কেবল বাংলা পাঠ করে যতটুকু বুঝি তা নিয়ে এ গবেষণা) ৷ আল্লাহ নিজেই যেন জ্যোতি, আরবি শব্দ নূর ৷ এ উপমায় বুঝা যায় তাঁর এ নূর দুনিয়া বা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নূর নয় ৷ বরং পরোক্ষভাবে সৃষ্ট জ্যোতি দ্বারা পরিচালিত ৷ (আরবি ভাষার নূর শব্দ অন্য ভাষায় তা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় এ জন্য যে জ্যোতি মানে আলোক, আলো, প্রভা, কিরণ অনেক অর্থ ৷ উপমা থেকে এটিই পরিষ্কার বলা যায় আসল জ্যোতি কোথাও নেই কেবল পরোক্ষ পর পরোক্ষভাবে সবকিছু সৃষ্টিতে আনয়ন করা হয়েছে ৷ এভাবে বলা যায় প্রতিবিম্ব কিরণ বা আলো থেকে সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ অন্যভাবে বলা যায় এ-জ্যোতি এ-আলো তাঁর জ্ঞান যদ্বারা তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন তাতে তিনি নেই ৷ সম্পূর্ণ এ-ধাঁচে তিনি সৃষ্টি করেছেন যার মধ্যে কেবল তাঁর জ্ঞান বর্তমান ৷ আলোচ্য বিষয় কোথা থেকে এ-নূর শব্দ এলো ৷ পরোক্ষ নূর থেকে ফেরেশতা এবং অন্যান্য সব পরোক্ষ পর পরোক্ষভাবে সৃষ্ট ৷ যে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে তা এটা বুঝানোর জন্য যে কিভাবে দুনিয়াবি দুটো নূর নামধারী একত্রে বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ৷ এটা হতে পারে, আশ্চর্য হবার কিছু নেই কিন্তু বিরল ৷ অজানা নয় ফেরেশতা নূরের তৈরি ৷ গবেষণালব্ধ ফল এই যে আত্মাও নুরের তৈরি কিন্তু মাটি থেকে তার জন্ম আল্লাহর ইচ্ছায় ৷ অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে আমার কি অভিপ্রায় মানুষকে অন্যকোন দিকে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করানো যে ভাবে নূর শব্দ যোগ করে পিতামাতার কথা উল্লেখ করা হয় ! প্রথমত: যারা কোরআনে বিশ্বাসী নয় তাদের এ-সত্য তোলে ধরা ৷ সত্যি এ-কিতাব আল্লাহর পক্ষ থেকে কিনা যৎসামান্য ক্ষুদ্র-জ্ঞানে তোলে ধরা ৷ হয়তো বার বার শুনতে শুনতে তা আর ভাল লাগবে না ৷ উম্মী মোহাম্মদ (সঃ) ধরে নিলাম অসাধারণ ধারণা শক্তি দ্বারা বলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞান আবিষ্কার করার পূর্বেই যে সূর্য তার আপন কক্ষপথে অন্যের চতুর্দিকে ঘুরছে ৷ তিনি এও বলতে সক্ষম হয়েছেন যে পৃথিবী কমলালেবু বা ঐ উট পাখীর ডিমের ন্যায় গোল ৷ এও ধরে নিলাম সমুদ্রের স্ত্রোত লবণাক্ত এবং মিষ্টি জল ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রবাহিত যা কিনা গভীর তলদেশে বিদ্যমান ৷ এভাবে একের পর এক সৃষ্টি রহস্যের তথ্য প্রদান অনেকের কাছে আশ্চর্য কিছু নয় ৷ মানুষকে সৃষ্টি করা তেমন কিছু থেকে নয় ৷ সূর্য কিরণ দেয় আর চন্দ্র আলো প্রদান করে একজন লোক যার সত্যতা রয়েছে তা কি বললেন! বিজ্ঞানীরা এমনতর বহু কিছু রয়েছে যা আবিষ্কার সক্ষম হননি ৷ বর্তমানে তারা বুঝতে পেরেছে পাহাড়-পর্বত পেরাগ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ৷ এ-গুলি কি নিজ থেকে গবেষণা করে আবিষ্কার করেছেন তিনি সঃ?
(দ্বিতীয়ত: একদল লোক বিশ্বাস করেন যে প্রকৃতির শক্তি আপনাআপনি তার লীলাখেলা খেলছে এবং বৃষ্টির মত ঘূর্ণায়মান ৷ যার কোন শেষ বলতে কিছু নেই ৷ তাদের নিমিত্তে আমি প্রকৃতির উদাহরণ )৷
 এ প্রবন্ধে এমন কি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা অবতারণা করা হয়েছে প্রকৃতি থেকে আনয়ন  করা হয়েছে ৷ সন্দেহের কোন কারণ নেই মোহাম্মদ (সঃ) স্বর্গীয় কিতাব মহা-গ্রন্থ পাঠ করেছেন ৷ কিন্তু একজন গবেষণা করে, অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ যা তারা গবেষণা-মূলক প্রবন্ধ লিখেছেন, এবং পূর্বে বলে গেছেন সেখান থেকে ধারণা-মূলক তথ্য অবতারণ করছে ৷ সুতরাং আমার পিতামাতা তাঁরা আর কেউ নন কেবল দু জন সাধারণ ব্যক্তি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ৷ (যে কেউ একজন যা লিখেছেন ফেরেশতা কখনো ঈসা আঃ কে নিয়ে এ ধরায় আসবেন না তারই জবাবে বলতে গিয়ে:) ফেরেশতারা অদৃশ্যে মাতৃ-জঠরে রূহ সঞ্চার এবং ভাগ্যলিপি পূর্ব নির্ধারিত যাহা তা তৈরি করে দেন ৷ উহা প্রত্যেকের বেলায় ঘটবে কেবল যদি ঈসা পুনরাগমন করেন তাঁর বেলায়ও তাই ঘটবে ৷ এতে প্রমাণ হয় যে ফেরেশতা প্রতিনিয়ত আগমন করে থাকেন ৷ যদি তা না হত তাহলে মোহাম্মদ সঃ একজন ফেরেশতার কথা বলতেন ঈসার পুনরাগমনের বেলায় যিনি অনায়াসে ক্ষুদ্র প্রাণী বহন করে দুনিয়াতে আনতে পারেন ৷ দু জন ফেরেশতা হাদিছের বর্ণন যথাযথ সম্পূর্ণ ঠিক দৃশ্যে যেমন অদৃশ্যেও তাই ৷ নবী রসুলদের স্বপ্ন ওহী সমতুল্য, তিনি (সঃ) স্বপ্নে দেখলেন দুজন ব্যক্তির কাঁধে ভর দিয়ে কাবা তওয়াফ করছেন অথচ দুজন ফেরেশতার জন্ম ক্ষমতা নেই সেক্ষেত্রে যুক্তিতে আমার পিতামাতা দু-নূর স্থান পেয়েছেন ৷ কেহ পূর্বে বর্ণিত হাদিছগুলো ভালভাবে অনুধাবন করে থাকেন তাহলে দেখবেন ফেরেশতার পিঠ বা কাঁধ বা ডানা যাহা মেরুদণ্ড সম্পর্কিত এবং সে সাথে হাত ও পা-দ্বয় একত্রিত করলে যেরূপ ধারণ করে তা মাতৃ-জঠরে শিশুর অবস্থানের মত ৷ ঈসা (আঃ) আবার দুনিয়ায় আসবেন ঠিকই তবে জটিল হাদিছকে উপেক্ষা করে নয় বরং যথাযথ প্রমাণসাপেক্ষে ৷
আমার এ রচনা কোরআন, হাদিছ এবং বাইবেল মত কিনা তা পাঠক সমাজ বিবেচনা করবেন ৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন