শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১২

ঈশ্বর দেখেছ কভু


ঈশ্বর দেখেছ কভু
আবুলকালামআজাদবাসু
30/11/2012

শত প্রশ্ন জাগে মনে অবুঝ অবোধ
ভাবুকের হায় ! ডাকে ঈশ্বর ! ঈশ্বর !
মন আত্-মা কলব রূহ প্রাণ হার্ট,
সর্বশেষ সবটি করল একাকার ৷

গুরুজনে করে নতশির, সবিনয়ে
করল আরজ, “ঈশ্বর দেখেছ কভু ?”
হে প্রাণেশ্বর ! ধর্মগুরু অতি গোপনে
কহিলেন, “দেখেছি! তবে কি বা সংশয় ?”

ছাড়িয়া নিঃশ্বাস ভাবুক ভাবে যথার্থ,
মনে-প্রাণে বিশ্বাস আনল তার সনে;
গুরুর কথায় ও কাজে দেখে একদা,
মাতা এসে হাজির তার সম্মুখ-পানে ৷
পথিমধ্যে কেবল স্মরি-ল মা-শক্তির ৷




বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১২

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (১১)


পিতা কালামজন্ম কালো (১১)

আবুলকালামআজাদবাসু
29/11/2012

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷

পুষ্প-রূপে প্রেরিত মরু-বাসী বিশ্বস্ত
যদৃচ্ছা যন্ত্রের গুণে হয় মোক্ষপ্রাপ্ত ৷
যেঁ অনাদি অনন্ত প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য,
সব প্রশংসা তাঁর তিনিই প্রশংসিত ৷
তাঁর রাজ্যে নেই কোন বাধ্যবাধকতা,
নামে কেন খ্যাত ক্ষমাকারী শাস্তি-দাতা ?
নেই গো হিংসা বিদ্বেষ আছে প্রেমপ্রীতি,
সাহায্যকারী প্রেমময় এ তাঁর রীতি ৷
তাঁরে ভেবো না কভু তাতে পাবে না কূল,
অন্তঃ-শূন্যের তরে করবার দান,
সৃষ্ট দু-জাহান, মহা-বিজ্ঞানীর জ্ঞান,
মানবের তরে সর্ব আল্লাহর দান ৷


বুধবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১২

আমার একেবারেই না


আমার একেবারেই না
আবুলকালামআজাদবাসু
28/11/2012
আমার একেবারেই না,
যা জ্ঞাত করেছি তা অন্যের
সেটাই দান-কৃত ছোট-বড় সবার
এতে আমার কিছুই নেই ৷
আমার আছে একটি বৃত্তান্ত,
সেটা যেন তুলনায় মালবাহী রেলগাড়ী,
চিন্তা কর না
পরিধানে লোমযুক্ত পোশাক,
তোমার কাছে আবৃত্তি করার লাগি ইতি-বৃত্তান্ত ৷
কেবল সেটাই আমার
যেটা আমি তোমায় বলেছি
উহাই তোমার জন্যে সব
এতে আমার কিছুই নেই ৷
উহা পুস্তকে বর্ণিত হয়েছে
পুরাতনের পূনঃরাবৃত্তি;
অপ্রচুর স্বপ্ন আমার
শুরু এবং শেষ অন্যের,
আছে তাতে সবই জড় করা ৷
লও আশ্রয়-অবলম্বন যেদিক তোমার ইচ্ছে
এতে আমার কিছুই নেই ৷
যা লিখা ছিল আগে
আমি সেই স্বভাবের ৷
যদি ইহা তোমার হয় তাহলে সবটা লও ৷
সম্ভবতঃ আমি এসেছি ভ্রমণে
তোমদের বিরক্ত করতে
আমি বন্দী করি পুরানকে বিবরণ দিতে
কিন্তু পুরাটা পুস্প নয় ৷
একটি পুস্তক প্রচার করেছি
লিখা তীর সম্মিলিত
সময়ে ইহা বীর-বন্ধু
কিন্তু ইহা একটি বিষয় ধারণার
জ্ঞানীদের লয়ে
অন্তর থেকে নয়
সেই রকম পেয়েছি পুরাটা ছিড়াফাটা ৷
জ্ঞানীরা ঐ পুরান বই গুদামে ৷
আজকের জ্ঞানীরা ভিন্ন,
তাদের দস্তাবেজ দেখা যায় চোখের পলকে ৷
এটাই সৌভাগ্য জ্ঞানীর কিতাব পড়েনি
সেই সব দোকান-মালিকের হাতে ৷
আমি প্রত্যেক জ্ঞানীর জন্য করি প্রার্থনা
তাঁদের প্রচেষ্টা ও শ্রম শ্রদ্ধা করি ৷
বতর্মানেও তাঁদের জ্ঞান গ্রন্থাগারে
তা পাওয়া যায় সবর্ত্র
যা উচুঁ মানের চিন্তাধারা ৷
উপসংহারে সেরূপ পেয়েছি,
কিন্তু অনুবাদকের নাম অজানা
অত্যন্ত পুরানের কারণে
পারিনি চন্দ্র-মুখ করতে,
আমি ঐরূপ পুরান একটি কিতাবের
জ্ঞান আহরণ করেছি
তিনটি প্রবন্ধ সেই জ্ঞানে লিখেছি ৷
বইটির নাম বাংলায় আল-মোকাদ্দিমা,
বিজ্ঞ অনুবাদকের নাম অজানা ৷
প্রয়াত আত্মার জন্য প্রার্থনা করি সেই সাথে অনুবাদকের
এ লেখা ১৩৭৭ সালের খুব কম পাওয়া যায়,
যদিও তা পেছনে ছুড়ে ফেলা হয়েছে,
তা রাজ্য-সম হিসেবে ধরেছি ,
আত্ম-গর্ব আত্ম-অহংকার
সেই উল্লেখিত জ্ঞানের আলো
অন্যান্য জ্ঞানীর জ্ঞানও
যা রক্তিমভাবে প্রকাশিত হয়েছে ৷
এতে আমার কিছু নেই,
এই লেখাগুলি এত সুন্দর নয়,
ইহা ওলট পালট ছয় ও নয় ৷

বলা যায় উহা বায়ুমণ্ডলে স্পন্দন করছে,
এ সব লেখকের জন্য মদ্য ৷
আমার বইয়ে তারা উজ্জ্বল অভ্রান্ত
আমার নয় কিছুই ৷
পুরাতনকে নতুন করা জ্ঞানীদের একত্রিত করে,
নবীদের জীবন বৃত্তান্ত বর্ণন ৷
থলেতে নিয়েছে সভ্যতা তা ৷
সম্ভবতঃ এইরূপে তা ভ্রম-হীন নিরাপদ ৷
যে কেউ ঘনিষ্ট ভাবে নিজের কিছু যুক্ত করে
তা নিয়ে যাও পরিধান করায়ে লম্বা বস্ত্র ৷
সূর্য পূর্ দিকে উদিত হয় বটে
এটাই সত্য কে কিভাবে উপস্থাপন করে!
ব্যরিষ্টার বিনা তর্কে পরাভূত করার প্রচেষ্টায়
স্ত্রীলোকটি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নি,
কিন্তু সমালোচনায় তীরমার্কা লেখক ঘোষিত,
সে একদিন সর্ব্বোচ্চ আসনে আসীন হয়নি?
চন্দ্র ও গ্রহের পুত্রগণ নহে অকৃতজ্ঞ
তারা সঠিক বলে সূর্য তাদের দেবতা ৷
চন্দ্রের নেই নিজস্ব আলো ৷
এখানে আমার কিছুই নেই ৷
সূর্য কখনো ভাবেনি আগে,
গ্রহবাসী জানতে পারবে
সূর্য নামক রাজ্যেরও নিজস্ব কিরণ নেই ৷
সে তার কক্ষে ঘুরে অন্যকে মূখাপেক্ষী ৷
এখনও সূর্য আমাদের অবিভাবক !
কাকেও বাদ নয় বরং সূর্য ৷
কেই বা কবিতা পাঠ করে?
তাই আমি সম্মান করি রবিকে ৷
শশীকেও তারা দুজনই দেবতা,
দু যেন জ্ঞানী ৷
কবি লিখে কবিতা কয়েক মিনিটে
তা শত গুণে হয় প্রকাশিত ৷
রবি লিখে সে পেয়েছে সরকারী ঘোষণা ৷

কিন্তু সেখানে প্রকৃত সূর্য হয়েছে দেবতা ৷
গ্রহবাসী কর পূজা সূর্যের!
সত্যিকার যদিও নাই তার নিজস্ব কিরণ ৷
অবশেষে একটি মজাক রবির বাল্য জীবনের,
আমার আছে বড় বোন,
তফাৎ তার আর আমার,
আমারটা এই..
তারটা ঐ..
এ সম্বন্ধে আমার নেই জ্ঞান ৷
এখানে এটা অন্যের,
তবুও সে তোমাদেরই ৷
আমি এসেছি ভ্রমণে
তোমাদের বিরক্ত করতে ৷
এতক্ষণ যা বললাম তা সবই  মিথ্যে,
সত্য কেবল লেখক কিভাবে উপস্থাপন করে ৷









শনিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১২

আমার কথা প্রথম খণ্ড (১১)



আমার কথা   প্রথম খণ্ড (১১)
আবুলকলামআজাদবাসু
24/11/2012

রোগ মুক্তির প্রত্যাশায় ঘুরে ভ্রমর
ঔষধ সেবনে যদি হয় রোগাভাব
বড়ি খেলে মোর গড়ে উঠবে সদ্ভাব
ঈসা দাবীর শঠতা হবে লণ্ডভণ্ড ৷
কৃষ্ণ রক্ত বস্ত্র পরনে কর দর্শন
পূর্বাভাসে ব্যক্ত এ নহে মোর কথন
সিদ্ধার্থ বুদ্ধ জ্ঞান প্রাপ্তে হয় নির্বাণ
তাঁর লাল গোলাপি চাদর হয় দৃষ্ট
জানে কি কেউ কভু এ নামে ঈসা গুপ্ত
কহিলাম নত শিরে নহি, আমি নহি,
সে-ই আগমনকারী, ভুল নাম ডাকা,
বল আমায়, কি নাম রাখিয়াছ তবে?

অনেকে তৃষ্ণা পিপাসা মন নিয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছে, তা নিবারণ করার লক্ষ্যে, তৈরিকৃত এ লাঠ্যৌষধি এবং ডাক্তারের পরামর্শে হয়তো এ বিশ্বে সদ্ভাব, ভ্রাতৃত্ব, মানুষে মানুষে প্রেম প্রীতি ভালবাসা নবরূপে ফিরে আসতে পারে ৷ সে সাথে তাদেরও পরিত্রাণ হবে যারা এতদিন নিজেকে ঈসা মসি বলে দাবী করতো ৷ তাদের এ শঠামি শয়তানের দেয়া প্রতিশ্রুতি ব্যতীত অন্য কিছু নহে ৷ অযথা সময় নষ্ট না করে দেখ- এমন এক কৃষ্ণের আবির্ভাব হয়েছে, যিনি কৃষ্ণ নন, তিনিই বুদ্ধ, তিনিই ঈসা মসি ৷ বাল্যকাল থেকে পরনে গৈরিক বসন, লাল গোলাপি চাদর, রক্তমাখা বস্ত্র এবং ব্যাধ এর রক্ত মাখা বস্ত্র পরিধান করে তিনি বাস্তব আকাশে প্রথম বুদ্ধত্ব লাভ করেন ৷ কাকুতি মিনতি যতই করা হল, যে একজন পাপী কি করে সে-ই আগমনকারী হতে পারে যিনি কিয়ামতের পূবে আগমন করবেন? একান্তই যদি তা হয় তাহলে তার নাম প্রকাশের অনুরোধ মিনতি, যাঞ্চা করেও তেমন কিছুই পাওয়া গেল না ৷
সত্য ও মহাসত্য প্রকাশ হয়ে গেছে পূর্বেই ৷ তবুও অনুসন্ধিৎসু মহলে সত্যের অনুসন্ধিৎসু মহলে সত্যের অনুসন্ধান করা এবং উহা বিজ্ঞান সম্মত কিনা যাচাই করার লোক পৃথিবীতে প্রচুর বিদ্যমান ৷ মনে হয় যেন তারা এখনও মহা-গ্রন্থ পর্যাপ্ত-ভাবে গবেষণা করে নি ৷ ফলে তারা চায় নতুন এক মতবাদ যা আদৌ সম্ভব নয় ৷ তাঁদের মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দও একজন ৷ আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, একমাত্র তাঁর উপাসনা করা হোক, তা মধ্যবর্তী দেওয়াল ব্যতীত ৷ স্বামী বিবেকানন্দ এর কথা বলে তাঁকে খাটো করা উদ্দেশ্য নয়, এ কথা স্বীকার করতে হবে যে প্রত্যেক ধর্মেই সত্য লুক্কায়িত রয়েছে ৷ তাই অন্য ধর্মাবলম্বীদের সম্মানের চোখে দেখা এবং প্রত্যেক কর্মের ভাল দিক বিবেচনা করে জ্ঞান আহরণ করা প্রয়োজন ৷
“যাহারা কুফরি করিয়াছে তুমি তাহাদিগকে সতর্ক কর বা না কর, তাহাদের পক্ষে উভয়ই সমান; তাহারা ঈমান আনিবে না ৷ আল্লাহ তাহাদের হৃদয় ও কর্ণ মোহর করিয়া দিয়াছেন; তাহাদের চক্ষুর উপর আবরণ করিয়াছে এবং তাহাদের জন্য রহিয়াছে মহা-শাস্তি ৷” ২(৬-৭) সুরা বাকারা, কোরআন ৷
আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু ৷ তিনি দয়াময় ৷ যদিও তিনি তাঁর সৃষ্ট জীবদের শাস্তির কথা বলেছেন তবু তিনি যে দয়ার সাগর ৷ মানুষের প্রকৃত সদর দপ্তর হল  তার বুদ্ধিমত্তা বা যাকে প্রধান কার্যালয় বলা হয় ৷ পূর্বে বলা হয়েছে যে, একটা সূরা ব্যতীত সবগুলোতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম’ দিয়ে শুরু করা হয়েছে ৷ মানুষ যদি দোষত্রুটি করে থাকে এ সুরা তওবা বা অনুশোচনার মাধ্যমে তার পাপ লাঘব করতে পারে ৷ আল্লাহই উত্তম হেদায়তকারী ৷ কোরআনের আয়াত উল্লেখ করে পূর্বাপর আয়াত সমূহ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান ব্যতীত উহার যাথার্থ্য প্রকাশ করা সমীচীন নয় ৷ কিন্তু বিশেষ এক গোত্র এ ব্যাপারে গাফিল ৷ তারা নিজেরাই নিজেদের জ্ঞানী রূপে আখ্যায়িত করেছেন ৷
“মহাসত্য কলমের জ্ঞান দ্বারা শিক্ষা দেয়া হয়েছে ৷ কলম জ্ঞানের উৎস, জ্ঞান হল আল্লাহর বা তাঁর নুর, নুর হল সেই জ্ঞান বৃক্ষের সুশীতল ছায়া আর বৃক্ষ সামান্য সরিষার বীজ, বীজের উৎস স্থান বা মাটি, কাল, পানি, রোদ, বাতাস ৷ আবার এদের উৎসও নুর বা জ্ঞান, আর এই জ্ঞানের উৎস সর্বজ্ঞানী ৷”
পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে লাভ নেই ৷ সব কিছুর মূল সর্বজ্ঞানী আল্লাহ ৷ ‘সহজ ও সরল পথ’ নির্দেশক এর মাধ্যম ‘কলম’ বা মসি ৷ মসি পরিচালনার জন্য প্রয়োজন দক্ষ পরিচালক ৷ ভাষাতত্ত্ব জ্ঞান, ধর্মশাস্ত্রে অভিজ্ঞ, বাগ্মিতা এবং অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিই কেবল এ ক্ষেত্রে সদ্ব্যবহার করতে পারে ৷ আল্লাহ কিনা একজন অনভিজ্ঞ লোককে মসি পরিচালনার নিমিত্তে মনোনয়ন করবেন তা কখনো চিন্তা ভাবনাও করা যায় না !
“ভূ-পৃষ্ঠে যাহা কিছু আছে সমস্তই নশ্বর-অবিনশ্বর কেবল তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমময়, মহানুভব ৷ সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদিগের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করিবে ৷” ৫৫(২৬-২৮) কোরআন ৷
ধর্মশাস্ত্র সম্বন্ধে মসি ধরতে হলে প্রত্যেক শাস্ত্রের মূলতত্ত্ব জ্ঞান, বিকাশ শক্তি এবং সুন্দরভাবে পাঠক সমাজে উপস্থাপন করার ক্ষমতা সম্পন্ন হতে হয় ৷ উহার সমস্তই যেন কথিত মসির অভাব রয়েছে ৷ কী হাল অবস্থায় দীর্ঘ জীবন অতিবাহিত হয়ে গেছে তা টেরও পাওয়া যায় নি ৷ কখনও মনে এরূপ আবেগপূর্ণ বারিধারা বর্ষিত হয় নি যে, যা দিয়ে সেরূপ ঘটনাকে জনসমক্ষে উপস্থাপন করা যায় ৷ ধর্ম পালনে গাফলতি এবং ধর্মশাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞাত হবার অনীহা বরাবর ছিল ৷ ফলে দৃষ্টির অগোচরে দীর্ঘকাল কেটে গেল ৷ উপরে বর্ণিত আয়াত গুলোর সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করাও বর্ণিত মসির পক্ষে সম্ভব নয় ৷ তবে সহজ অর্থে যা বুঝা যায় তা এই যে কোন জীব বা প্রাণী, হোক সে মানব জাতি, তার কোন সত্তা নেই ৷ অস্তিত্ব কেবল আল্লাহর ৷ বুঝে হোক না বুঝে হোক মানুষকে এমন আসনে উপস্থিত করা হচ্ছে যেন মানুষও একদা আল্লাহর সমকক্ষ ছিল ৷ ভগবৎ গীতায় বলা হয়েছে যে, আত্মা জন্মেও না, মরেও না ৷ কোরআনে ও হাদিছে নফসের বিভিন্ন হালতের কথা বলা হয়েছে, প্রকৃত অর্থে সেটাই আত্মা ৷ কিন্তু কোরআন মতে এ আত্মাকেও বা নফসকেও একবার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে ৷ আর যা মরে তা কখনও অবিনশ্বর, অক্ষয়, অমর বা শাশ্বত নয় ৷



বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১২

যদি যাও ভিত ছাড়ি


যদি যাও ভিত ছাড়ি
আবুলকালামআজাদবাসু
22/11/2012

কিসের জায়গা জমি কার ঘরবাড়ী!
ভাবিয়া দেখ তোমার প্রাণ যায় যায়,
কার লাগিয়া মত্ত তুমি জীবন-ভর?
যাবি একদিন সুন্দর ভুবন ছাড়ি ৷

যত গর্ব, যত অহংকার দুনিয়ায়
ভাবিস-নি কভু মিশিয়া যাবি কাদায় ৷
সময় থাকতে কর নিরূপণ ভবে,
চিরকাল বিরাজ কর সত্যের-দ্বারে ৷

কিসের জায়গা জমি কার ঘরবাড়ী!
দম্ভ গর্ব সর্ব হবে ধূলিসাৎ মাটি ৷
আপন ভুলিয়া যদি যাও ভিত ছাড়ি,
কোন পথ নেবে বেছে হও আগুয়ান;
সবার উপরে মানুষ সত্য মহান ৷
ভুল পথে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার,
আপন ভুলিয়া যদি যাও ভিত ছাড়ি ৷








মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১২

আমার নাম আবুলকালামআজাদবাসু কেন?


আমার নাম আবুলকালামআজাদবাসু কেন?
Akazadbasu
20/11/2012

এখানে এমন কিছু আছে কি যা পূর্বে জ্ঞাত করা হয় নি, যে কেউ কি তাঁর অবসর সময়ে ইহা জানার লক্ষ্যে এ বিষয় জানতে চেষ্টা করবে ? খুব সম্ভব না, কিন্তু ইহাতে সবার দৃষ্টি ও আকর্ষণ সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ ইহাতে কেহ কেহ অনুভব করবে জঘন্যতা এবং অন্য কেউ অত্যুৎকৃষ্ট আনন্দ উপভোগ করতে পারেন তবে ইহা গবেষণালব্ধ ফলের প্রতিযোগিতা স্বরূপ যাতে একদল অবিশ্বাসীকে এটাই বিশ্বাস করানো যে, এ নামে ঐটি বিদ্যমান অথবা এতে রয়েছে বিমোহিত করার শক্তি যাকে তারা দেবতা বা খোদা মানে ৷ অথবা ঐরূপ যা তারা মনে করে (আসলে এটা বাস্তবিক নাম যা প্রকৃতিগত) ৷ ইহা অন্যান্যদের জন্য নিরূপণ করা হয়েছে যদিও তাদের এ নামের অন্তর্নিহিত অর্থের জন্যই গুণের বিচার করতে হবে ৷ সুতরাং এ লেখা মুক্ত হস্তে অবলীলায় ইংরেজিতে যে ‘ড্যাডি ওয়ার্ডস বর্ন ব্ল্যাক’ ৷ হয়তো অনেকই ইহার বা বাক্যের মোটামুটি অর্থ বুঝতে সক্ষম হয় নি যে কাকে পিতা বলা হয়ে থাকে ৷ সেই পিতার সন্তানই বা কে! পরিষ্কারভাবে জানার জন্য নামের স্বপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ এবং যুক্তিযুক্ত তিনটি জিনিষ তুলে ধরা হয়েছে যে, কে বলে একজন লোক খোদা, কিন্তু সে আল্লাহর সাথে ছিল এবং থাকবে ৷ সত্যিকার অর্থে সমস্ত মানব আল্লাহর সাথে বাস করেন ৷ তারা ছিল, আছে, থাকবে এবং কিছুটা হলেও আল্লাহর সাথে থাকবে ৷ নামের সুবাদে এ লোকটি একটা সুযোগ নিয়েছে (কোরআনে আহমদ নাম যদি অন্য কারও হয় সে ইমাম মেহেদী বা ঈসা হয় না ) অন্যের বেলায় এত সব হয়তো নাও হতে পারে ৷ এ নামে শত শত আবুলকালামআজাদ রয়েছে ৷ অনেকে গত হয়ে গেছেন ৷ এই নামে অনেক ধর্ম গুরুও ছিলেন বা আছেন তারা কেউই এমন চিন্তাধারায় মনোনিবেশ করলেন না কারণ এটা তাঁদের জন্য নয় ৷ আমি কিছু সাধু বা ধার্মিক ব্যক্তিদের প্রবন্ধ বা বিবরণী পছন্দ করি এ জন্য যে যে সমস্ত ধর্ম বিদ্যমান তদ অপেক্ষা অন্যকোন ধর্ম যা তাঁদেরকে মুক্তি দেবে এবং সার্বজনীনভাবে গৃহীত হবে সেটাই তাঁরা গ্রহণ করবেন ৷ সম্ভবত: এ গবেষণা তাঁদের আকৃষ্ট করবে (এ কারণে যে ইহাতে সব ধর্মের সার সংক্ষেপে এবং তাঁদের ধর্ম প্রচারকদের প্রাধান্য প্রদান করা হয়েছে) ৷ আমি বিনীতভাবে তাঁদের কাছে ক্ষমার দৃষ্টিতে তাঁদের বলতে চাই যে জানা মতে আর কোন নতুন আইন ধর্ম পুনর্বার নাযিল হবে না, তবে হাঁ, আমি এ বিষয়ে একমত যে নতুন চিন্তাধারা ঐ একই ধর্মের উপর ভিত্তি করে ধ্যান ধারণা উন্নত হবে যাতে সবাই তা গ্রহণ করতে পারে ৷ একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি বলতে পারেন যে সূর্য যদিও উত্তপ্ত রশ্মি বিকিরণ করছে আসলে সূর্যে কোনরূপ উত্তাপ নেই ৷ তথাপি ইহা দান করছে প্রয়োজনীয় উপকরণ ৷ কোন জ্ঞানীর পক্ষে প্রমাণ ব্যতীত এ রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব নয় কেবল যুক্তি আনয়ন করা যায় ৷ সেটা হল কেউ যদি শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র সম্পর্কে ভাবে তবে দেখা যাবে সে ভেতরে ঠাণ্ডা বিস্তার করছে এবং বাহিরে উষ্ণ হাওয়া ছড়াচ্ছে ৷ সূর্যের বেলায় অনুরূপ নয় তা কে জানে! কি ভাবে আল্লাহ তাঁর কর্ম সম্পাদন করেছেন তিনিই ভাল জানেন ৷ তবে তিনি বলেছেন উত্তাপ থেকেও মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে যদিও সে কিছুই ছিল না ৷ সুতরাং গভীর চিন্তাধারা ও অনুভূতি দ্বারা উপলব্ধি করলে কেহ বুঝতে পারবে প্রকৃতির সাথে কতটুকু সামঞ্জস্য পূর্ণ তা কারও জন্যে মনে হবে বিশ্বাসযোগ্য আবার কারও জন্য কাল্পনিক মনে হবে ৷ আমি নিজেকে কেনই বা পিতা বলতে যাব! আসলে এটা কিছুই না, অন্য ভাষায় এরূপ দাঁড়ায় যে পিতা, কারণ থেকে কারণ হয়ে দেখা যায় কোন এক ধর্মে পিতা শব্দটি বহুল পরিচিত ৷ মানুষ কখনও আল্লাহ হয় না এবং নামও যে প্রকৃত ব্যক্তি তা প্রমাণ করে না ৷ বেশী কিছু বললে এ কথা বলা যায় তাঁরা পিতা শব্দটি আল্লাহকে উদ্দেশ্য করে বলে থাকেন ৷ এ কথাটাই আমাদের বোধ শক্তিতে আসে না কোন অপচ্ছায়া হোক বা মানুষ হোক যে জিনিষ ক্ষয় হয় বা মৃত্যুমুখে পতিত হয় সে কখনও আল্লাহর অপচ্ছায়া বা আল্লাহ হতে পারে না ৷ কোন এক সন্ন্যাসী বা সাধু ব্যক্তি কি ভাবে রাজাকে মুগ্ধ করলেন-তিনি রাজার সম্মুখে রাজার একটি ছবি রেখে সৈন্যদের বললেন তোমরা সবাই এ ছবিটিতে থুথু নিক্ষেপ কর ৷ কেহই তা করতে পারলেন না ৷ এতে সাধু প্রমাণ করলেন যে রাজা যেমন সত্য তেমনি ছবিটাও কোন অংশে কম নয়, যদি তা না হত তাহলে সবাই থুথু নিক্ষেপ করতেন ৷ এ দৃষ্টান্ত রাজাকে বিভোর করলেও প্রকৃত কয়জন এই উপমায় ছবিকে রাজ্যের রাজা বলে মাথা নত করবে ? রাজার মন আছে, প্রাণ আছে অন্য দিকে প্রাণহীন ছবির না আছে প্রাণ, না আছে কোন ক্ষমতা, বোবা নির্বাক ছবিটি রাজার হলেও রাজা সেই ছবিটি নন ৷ বরং একটা পুতুল ৷ আমি যখন জন্ম নিই তখন থেকে পিতা-মাতা ডাক নাম রাখেন বাসু ৷ বাসু যে কৃষ্ণের নাম তা হয়তো জানতেন না ৷ ধরা যাক জেনে শুনে এ নাম রেখেছেন ৷ তাতেই বা কি ! পরবর্তী পর্যায়ে আসল নামের দ্বারা আমি যে সব যুক্তি উপস্থাপন করছি তাও কি তাঁরা ধারণা করে এ নামটি পছন্দ করে নিয়েছেন? আশ্চর্যের বিষয় এই যে কালাম নামক শব্দটি পিতা ও জন্মের মাঝখানে মায়ের কোলে শুয়ে আছে ৷ আল্লাহর বাক্য, আল্লাহর নুর সবই আল্লাহর কিন্তু আল্লাহ নন ৷ আপনারা যদি ক্ষমার চোখে দেখেন আরও বিশদভাবে বলা যায় যে এ নামে ত্রি-সমাহার ঘটেছে পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মার অর্থাৎ জন্ম শব্দটি এতই স্বাধীন যে তাঁর মাঝে আল্লাহর বাক্য বা স্প্রীট বা রূহ উপস্থিত থাকায় সে স্বাধীন একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত ৷ ফেরেশতার রূহ ফেরেশতা দেখতে পায় না ৷ সুতরাং রূহ শক্তিশালী, ধরা ছোঁয়ার ঊর্ধ্বে ৷ প্রত্যেক মানুষ এই গুণে গুণান্বিত ৷ ফলে এ ব্যাখ্যায় সম্ভব হয়েছে যে প্রত্যেককে সরাসরি আল্লাহর কাছে নিয়ে যেতে, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ৷ তাহলে যিশুখ্রিস্টের বক্তব্য হয়তো অনুরূপ ছিল যে তিনি প্রত্যেককে এ আধ্যাত্মিক চিন্তাধারা অনুযায়ী আল্লাহর কাছে নিয়ে যাবেন ৷ মনে রাখতে হবে যে মানুষ হল আত্মা বা নফস তাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে কিন্তু ঐ আল্লাহ প্রদত্ত সেই গুণের নহে কারণ সে ভাল ছাড়া খারাপ জানে না ৷ খুব সম্ভব তাঁর অনুসারীদের ঐ কথাই তিনি বুঝাতে চেয়েছিলেন ৷ আমার অভিমতে উহা ভালভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে বলে বিশ্বাস ৷ বর্তমানে যা বলা হচ্ছে তিনিই আল্লাহ (নাউযুবিল্লাহ), তিনি হয়তো বলেছেন, “আমি আল্লাহ হতে” ৷ মানুষ বলতে পারে, আমিই যিশু, কিন্তু না ৷ এমন কিছুই আমার কাছে নাই ৷ তাহলে ড্যাডি ওয়ার্ড বর্ন ব্ল্যাক এর অর্থ কি: আবুল কালাম আজাদ বাসু ৷ আমার নামটা একরূপ প্রমাণ স্বরূপ যে তখন ঈসা (আঃ) কি বলেছেন ৷ একজন দার্শনিককে অত্র বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে ৷ কি করে এক লোক সব নবী রসুলদের একত্রিত করে বর্তমান অবস্থায় প্রকাশ করতে পারে গুঢ় রহস্য ৷ অনেক বিজ্ঞ সমালোচকগণ সেই দিনকে অর্থাৎ যেদিন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, ১৯১৪ সাল থেকে ১৯৪৫ সালকে শেষ-যুগের আরম্ভ বলে ধারণা করে আসছেন ৷ এ পৃথিবীতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলে কিছু হবে বলে মনে হয় না, এ কারণে যে, তখন নিজকেও সে-যুদ্ধে প্রাণ দিতে হবে ৷ এটা কোন বর্তমান ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশৃঙ্খলা হ্রাস করার সমাধান নয় বরং একে অন্যকে ভালবেসে বারণ করতে পারি সকল সংঘাত, তবেই শান্তিতে বসবাস করা যাবে ৷














সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১২

ভালবেসো সবাইকে ভালবেসো


ভালবেসো সবাইকে ভালবেসো
আবুলকালামআজাদবাসু
19/11/2012

ভালবেসো সবাইকে ভালবেসো
তা নহে অপবিত্র ৷
নহে ভালবাসা মদের মত
এটা সত্য এবং বিশুদ্ধ ৷

যৌন ভালবাসা মদ্যের মত
যদিও তা চলতে পারে জীবন-সঙ্গীর সাথে
অন্যের প্রতি উহা আইন ভঙ্গের অপরাধ-কর্ম ৷
এটা যেন ওলট-পালট ছয় ও নয়
তা তোমার অভ্যাসে পরিণত কর না
যৌন-কামনা অন্যের প্রতি মদ্যের মত ৷
ভালবেসো সবাইকে ভালবেসো
নহে তা অপবিত্র ৷
প্রশংসা কর আল্লাহর
পুষ্প হয়েছে সৃষ্ট করতে জীবন-উজ্জ্বল ৷
কাম বাসনায় তাদের দিও না দৃষ্টি
সদা এ কথা রাখ স্মরণ
তবেই তা হবে আরও সুন্দর ৷
উহাকে বাগানে প্রস্ফুটিত হতে দাও
যৌন-কামনায় ফুল টেনে-আলাদা কর না
সেটাই স্বর্গ দুনিয়ায় ৷
নিষিদ্ধ যা তা ছেড়ে নতুন বাগান বানাও
যা বলা আছে কোরআনে ৷
এ সময় আর পেছনে তাকাও না
আল্লাহর ইচ্ছা পূরণ কর
শুকরের মাংস খেও না
তবেই আল্লাহর সে-ইচ্ছা শান্তির জয় ৷

ভালবাসার নাই কো শেষ কভু
যৌবন কামনা নহে ভালবাসা
একটি লম্বা গল্প নৈতিক গদ্যময়
স্বপ্নে তৈরি চিন্তাধারা কবিতা ভাবময়
অনুপস্থিতে বাড়ে ভালবাসা
ভাব চিন্তায় গান-স্পন্দন যৌবনে
স্থির চিহ্নে-বসে নয় যদি গুঞ্জন
স্বপ্ন ভাবধারার গুণে কবিতা-গান
অর্জন করে জনপ্রিয়তা সর্বত্র
যদি থাকে ভালবাসা বিশুদ্ধ-পবিত্র
অভিজ্ঞ যারা তা কভু ভুলে না
ভালবাসা সবার কাছে প্রিয়
সেই-ই চায় আল্লাহয় ৷

শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১২

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (১০)


পিতা কালামজন্ম কালো (১০)

আবুলকালামআজাদবাসু
17/11/2012

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷

জানে কি কেউ কভু এ নামে ঈসা গুপ্ত!
তো কেন একি-দা কুপাত্রে পূজা অর্চনা?
চরণে চরণে রূহ গৃহ পতি ঘরে
চির বিদ্যমান একাশ্রিত তাঁর তরে ৷
তিনি আল্লাহ একক অংশীদার-হীন,
পরম দয়াময় প্রভু যে শান্তিময় ৷
সব রূহ মানব দানব ফেরেশতার,
অরূপ-রূপ একান্নভুক্ত পরিবার ৷
নাহি তব অন্ত চিরস্থায়ী প্রেমে সৃষ্ট,
আল্লাহর বাক্য এ মানব রূহ শ্রেষ্ঠ




শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১২

সত্য কি


সত্য কি
আবুলকালামআজাদবাসু
16/11/2012

ছোঁয় ছোঁয় তাঁরে তবুও ছোঁয়া যায় না
তাঁরে, যেতে হবে সব ছেড়ে তাঁর দ্বারে ৷
কেবল মনে পড়ে তাঁরে এমন ঝর
ঝর অঘোর বৃষ্টির কালে, বৈশাখীর
ছোবলে ঘোর অন্ধকারে, প্রভা নিমিষে
মিশে গেছে কালো ঘোর ছায়ায়, আকাশ
হারিয়েছে তার নিজ ভাব-মূর্তি, দিন
মিশে গেছে অপ-ছায়ায়, জয় ছিনিয়ে
আনতে পারে নি দুর্দম সাহসী যারা ;
বার বার ঘটেছে পতন, জয় কভু
হবে না তাদের, পরাজয়ের এ গ্লানি
মাথায় নিয়ে, গালে দিয়ে হাত মরতে
হবে একে একে এ ভুবনে একবার 
সবার, তবেই জানা হবে এ সত্যের ৷

বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১২

هتاف يفيد التعجب كلام أولي جزئيا (6)my words


هتاف يفيد التعجب كلام أولي جزئيا (6)my words
[Akazadbasu]
15/11/2012

نبوءة (1)
تقي كتبى مستقى من الكتب [Quran] واو العطف [Hadith]

[Ò] واو العطف (يسوع) سوف يوجد أداة تعريف إنجليزية غير إشارة (لأجل ال قادم من) ال ساعة (من حكم) بناء على تضمن لا أحد شك حوالي ال (ساعة) غير تبع [ye] أنا, هو [is] أداة تعريف إنجليزية غير معتدل [way.”] سورة قرآن كريم 43 آية 61 [Quran.]

أصل! الله مذكور أنفا; [`O’] يسوع! أنا سوف صورة ضمير المخاطب نصبا وجرا  واو العطف مزاد ضمير المخاطب نصبا وجرا إلى أنا  واو العطف بجلاء ضمير المخاطب نصبا وجرا (من ال كذبة )  من هؤلاء من جدف على الله ;  أنا سوف صنع هؤلاء  من تبع ضمير المخاطب نصبا وجرا متفوق  إلى هؤلاء من أبى معتقد ,  إلى ال يوم من بعث :  قائم آنذاك سوف [ye] جميع  متكرر حتى أنا ,  واو العطف أنا سوف قاضي  بين أنت من ال [matters]   [Wherein] [ye] مناظرة  آية 55 سورة قرآن كريم 3 [Quran.]

[“I] سوف صنع هؤلاء من تبع ضمير المخاطب نصبا وجرا متفوق إلى هؤلاء من أبى معتقد, إلى ال يوم من [resurrection.’’]  
داخلي هي اثنان [lines] نبوءة [are] اختباء واو العطف اللاعب المكلف بالقيام بعمل ما سوف ناقش لاحق
[Ò] ذكر من الإنسان سوف ناقش إلى ال جماعة من الناس داخلي طفولة واو العطف داخلي إدراك واو العطف ذكر من الإنسان سوف يوجد (من ال شركي) من ال [righteous.”] آية 46 سورة قرآن كريم 3 [Quran.]

إشارة من بعث:
[Hadith] لا أحد 1058:- [Hazarat] [Abu] [Hurayara] ([R]) مترابط إلى هذا الحد [Hazarat]([SM]) مذكور أنفا,
 [“Son] من [Mary] أي [Isha] (أداة تعريف إنجليزية غير)/يسوع, إلى أن ذكر من الإنسان [arrives] بين أنت حسب ما أداة تعريف إنجليزية غير المنطيق عالم بالمنطق, أداة تعريف إنجليزية غير معروفة معتدل قاضي, لا أحد بعث سوف حصن ذكر من الإنسان هل لك أن عصير فاكهة ال غاضب; موقف إلى خلفي ال خنزير واو العطف نكص ال ضريبة مفروض من طريق مسلم [rulers] فوق عديم- مسلم [pilgrims] واو العطف قائم آنذاك ال جزل هل لك أن كبر كثيرا كثير إلى هذا الحد لا أحب إلأ هي هل لك أن سلم اللاعب المكلف بالقيام بعمل ما ([Bukhari])[.]

أداة تعريف إنجليزية غير معروفة ميمون قادم من [Isha] (أداة تعريف إنجليزية غير)
[Hadith]: 1314:- [Hazarat] [Abu] [Huraya]([R]) معلن إلى هذا الحد [Hazarat] ([sm]) مذكور أنفا, [“In] لمن إشراف خاصته نابض بالحياة ال كيان أو الخالق, قسم داخلي ال اسم من الخالق, بعد قليل ابن من [Merriam]/[Mary] أي [Hazarat] [Isha] (أداة تعريف إنجليزية غير) هل لك أن بر فوق من ال سماء, حسب ما أداة تعريف إنجليزية غير مسيطر من الإسلام, أداة تعريف إنجليزية غير معروفة معتدل قاضي أيضا ذكر من الإنسان سوف مقاومة إلى ضربة غولف جانبا ال غاضب من ال دنيا ذكر من الإنسان سوف موقف إلى خلفي من خنزير [withdrawing] ال [taxes] من عديم- مسلمون ال جزل سوف كبر مماثل ثمل مد و جزر, لا أحب إلأ هي [is] إلى أسس إلى سلم اللاعب المكلف بالقيام بعمل ما, إلى قوس أدنى قبل الخالق سابق هل لك أن يوجد معدود أكثر من جزل من ال اليابسة, هناك سوف يوجد لا أحب إلأ هي من ال تقي كتبى مستقى من الكتب ([Ahle]- [Kitab]) غير نظر [Isha] (أداة تعريف إنجليزية غير) قبل خاصته موت واو العطف ذكر من الإنسان ([Isha]) سوف يوجد ال شاهد فوق ال يوم من حكم

جميع ال نبوءة من نبي رفض
ممتلئ داخلي مدة,
خامد آخرون حادثة داخلي ال دنيا,
هل لك أن اللاعب المكلف بالقيام بعمل ما نشاط داخلي معجب بنفسه,
ال [prophecies] [were] داخلي ال اتجاه من أحداث
داخلي ال أولي [Epics],
[Expressed] أداة تعريف إنجليزية غير نبي صائب مماثل [Moses]
واو العطف ال تميز حصة,
داخلي بين [Moses] واو العطف [Hazarat]([sm])
ال حقيقة [narrated] داخلي [Daniel’s] نبوءة
اختلاف حصة [was] ثلاث عشرة مائة [years],
أولي حقق السلام عصر [started] ال قائم آنذاك خاصته ([SM]);
ثان حقق السلام عصر ربما يوجد ألف [years]
بالإضافة, إلى هذا الحد هل لك أن يوجد عند ال ماض عشرون أولي قرن مئة عام
من بصر ال آت [messages] من رفض,
[‘O’Kadiani]! اكتشاف على الرغم من [ye] داخلي مدة,
بكم جسارة أنت إلى قول أداة تعريف إنجليزية غير نبي, [‘Isha] [Mosi’],
بكم صفيحة أنت كامل,
رائي [messages] مستلم من طريق
واو العطف مزعوم إلى يوجد إمام رجل عالم ديني بالإسلام [Mahdi?]
تال [Hazarat] ([SM]) أداة تعريف إنجليزية غير جديد نبي سوف ظهر,
داخلي أي [epics],
اللاعب المكلف بالقيام بعمل ما [is] كتابي ثلاث عشرة مائة [years?]
على نحو متواصل فوق ال مشروع من ملعون روح,
لأجل طمع, أنت [did] على الرغم من سوغ مسموع [messages],
إلى هذا الحد [is] لماذا عند عرض صيغة الملكية خالق بكم بائس [is]!


আমার কথা প্রথম খণ্ড (১০)


আমার কথা   প্রথম খণ্ড (১০)
আবুলকলামআজাদবাসু
15/11/2012
প্রথম খণ্ড
প্রথম অধ্যায়   
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম” ৷
প্রশ্ন মোর সদাশয় খতিবের তরে
বাহাই কাদিয়ানী কি হালতে রুখিবে?
মুসার লাঠ্যৌষধি বিনা ফণীর ফণা
শুধু গাঁথা কথায় হবে না নিবারণ
কালের বিবর্তনে ঈসার প্রয়োজন ৷
অভয়-দানে করি রচন মোর কথা
ডাক্তার নই, তথাপি এ ব্যবস্থা-পত্র
প্রেসক্রিপশনে হবে না কেউ অমর ৷

আল্লাহর নামে এ কিতাবের প্রারম্ভে কাব্যের কিছু কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে যাতে বোধাতীত এমন কিছু রহস্য রয়েছে যা সহজে উপস্থাপন করা সম্ভব হয় ৷ সবার আগে
এমন কতগুলো প্রশ্ন মনে উত্তাল পাতাল ঢেউ খেলে, তা  বিজ্ঞজনদের কাছে  জানতে সাধ হয় বর্তমান বিশ্বে যে ভাবে মিডিয়ার মাধ্যমে অপ-প্রচার চলছে  তা  প্রতিরোধ  কিভাবে সম্ভব ? সবাই জানে কোরআন হাদিছে হযরত ঈসা (আঃ) সম্পর্কিত অনেক বাণীই প্রচার করা হয়েছে তা সত্ত্বেও অপ-ব্যাখ্যাকারীর দল তাদের স্ব স্ব মতামতের ভিত্তিতে মানুষকে ঠকিয়ে তাদের ভুল ব্যাখ্যা সমূহ প্রাণবন্ত করে তুলতে অপ-চেষ্টায় লিপ্ত আছেন তাই মনে হচ্ছে কালের বিবর্তনের ফলে হযরত ঈসা (আঃ) এর আবির্ভাব প্রয়োজনে শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণীয় কেবল অভয় দান করা হলে বক্তব্য আরও  প্রস্ফুটিত করে লোক সম্মুখে আনা যায় বহুদিন ধরে সমাজের শীর্ষস্থানীয়  বিজ্ঞ জনেরা কতিপয়  অপ-ব্যাখ্যাকারী সম্পর্কে লেখালেখি করলেও তার ফল বিশেষ কিছু হচ্ছে না, কারণ তাঁরা (বিজ্ঞজনেরা) প্রতিপক্ষ একজনকে এ ব্যাপারে দণ্ডায়মান করতে পারছেন না ৷ আজ একজন বিশেষজ্ঞ না হয়েও বিশ্বে এমন এক ব্যবস্থা-পত্র জনগণের হাতে তুলে দিতে চাই যেটার মধ্যে রয়েছে মুসা (আঃ) এর লাঠি এবং এ লাঠি, লাঠ্যৌষধি রূপে কাজ করবে ৷
কোরআনে প্রতিটি সুরার প্রারম্ভে, “বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম” আছে একমাত্র সুরা ‘তওবা’ ব্যতীত ৷ অনেকেই এ আয়াতকে সুরার অংশ বলে গণ্য করে থাকেন ৷ উক্ত আয়াতের বৈশিষ্ট্য এই যে, ১৯ অক্ষর সম্বলিত এ আয়াত, ইহার মোট সংখ্যা দিয়ে কোরআনের যে কোন কিছুর সমষ্টিকে বিভাজন করা যায় ৷ এ সূত্র বাহাই সম্প্রদায়ের বাহা-উল্লাহ নামক ব্যক্তি আবিষ্কার করেন এবং নিজেকে ইমাম মেহেদী বলে দাবী করেন ৷ তার এ সূত্রের ‘বিসমিল্লাহির’ প্রথম অক্ষর ‘ব’ হতে বাহা-উল্লাহ বলে তাদের ধারণা ৷ কেবল ‘বিসমিল্লাহির’ নয় বরং সেই সূত্র থেকে ‘ব’ অক্ষর ‘বাসনা’ জগতেরও কল্পিত করে ‘বা’ দ্বারা প্রাচ্যের সকলকে পাক-কোরআনে স্থান দেয়া হয়েছে কেবল আমার জীবন বৃত্তান্ত অনুসারে ৷
“আলিফ লাম মীম ৷ ইহা সেই কিতাব; ইহাতে কোন সন্দেহ নাই; মুত্তাকীদের জন্য ইহা পথ-নির্দেশ ৷ যাহারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, সালাত কায়েম করে, ও তাহাদিগকে যে জীবনোপকরণ দান করিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে এবং তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে ও তোমার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে যাহারা বিশ্বাস করে ও পরকালে যাহারা নিশ্চিত বিশ্বাসী ৷ তাহারাই তাহাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে রহিয়াছে এবং তাহরাই সফলকাম ৷ ২(১-৫) বাকারা, কোরআন ৷
এই আয়াতগুলো  কাদিয়ানী জামাত ব্যাখ্যা করে যে বক্তব্য পেশ করেছেন, তার জবাব দ্বিতীয় খণ্ডে দেয়া হয়েছে ৷ তবুও সংক্ষেপে এখানে উল্লেখ করা হচ্ছেঃ-
পাক-কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী বলা যায় যে, (১) অদৃশ্যে বিশ্বাস করা (২) সালাত কায়েম করা (৩) জীবনোপকরন হতে ব্যয় করা (৪) পাক-কোরআন এবং তাঁর প্রতি যে সমস্ত হাদিছ বা স্বপ্ন অ-লিখিতভাবে নাযিল হয়েছে তারও ইঙ্গিত রয়েছে (৫) পূর্বে যে সব কিতাব গুলো নাযিল হয়েছে তার উপর বিশ্বাস করা  এবং (৬) পরকালকে বিশ্বাস করা অপরিহার্য; তাঁরাই মোত্তাকি, আল্লাহর নির্দেশিত পথে রয়েছে ৷
কাদিয়ান সম্প্রদায় মতে, (১) অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতে ঐশী-বাণী প্রাপ্তদের স্বীকার করা (২) সকল ঐশী-বাণী প্রাপ্তদের নবী বলে স্বীকার করা (৩) ধারাবাহিক নবুওত-বাদ অস্বীকারকারীরা ‘মুশরিক’ (৫) অতীত এবং বর্তমান ওহী-প্রাপ্তদের নবী এবং নবুওতের
ধারায় বিশ্বাসী ব্যক্তিরা মোত্তাকি ৷
কবি সাহিত্যিক, নাট্যকার, গীতিকার বা যাদের উপন্যাস রচন করার শখ তারাই কেবল সুন্দর রচনাবলী পাঠক সমাজকে উপহার দিতে পারে ৷ কিন্তু এ লেখা ব্যতিক্রমধর্মী ৷ কারণ লেখালেখির ব্যাপারে আদৌ অভ্যস্ত নই ৷ কালের বিবর্তনে দেখা গেল যে, একটি পুস্তক রচনা ব্যতীত জীবনের পূর্ণতা আনয়ন করা অসম্ভব ৷  প্রথমত: ১৯৮৫ সালে স্বপ্নাদিষ্ট যথাযথ রূপ প্রদান করা এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল অন্যের কাছে জ্ঞাত করা না হলে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি গাফিল হবার দোষে এ কর্ম হাতে নিতে হয়েছে ৷ এই বইয়ে অনেক কোরআনের আয়াত লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তৎমধ্যে কিছু কিছু আয়াত প্রাসঙ্গিক আবার কিছু আয়াতও রয়েছে যা অপ্রাসঙ্গিক ৷ গ্রন্থের কলেবর একটু বড় হলেও উহার পেছনে ব্যক্তিগত মহৎ অভিপ্রায় নিহিত রয়েছে ৷ কিতাবের শেষ খণ্ড পাঠক সমাজে উপস্থাপন না করা পর্যন্ত মনে লুক্কায়িত সুপ্ত গুপ্ত কথার সারমর্ম হয়তো অনেকেরই বোধগম্য হবে না, এ প্রসঙ্গে বলতে চাই যে, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী যিনি একাধারে ঈসা মসিহ এবং ইমাম মেহেদীর দাবীদার তিনিও প্রাথমিক অবস্থায় নিজেকে শতাব্দীর মোজাদ্দেদ রূপে আত্ম প্রকাশ করেন ৷ পরে দেখা গেল যে, সে-দাবী ব্যতিরেকে তিনি অন্যান্য নবী-দাবী কারকরূপে স্থান করে নেয় ৷ সে আশঙ্কায় শেষ খণ্ড প্রকাশিত হবার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করেন এ পথ থেকে যে, ঈসা (আঃ) জীবনী নিজের সাথে তুলে ধরতে গিয়ে তার মত ভুল পদক্ষেপ না নিই ৷
ইঞ্জিলে বর্ণিত হয়েছে যে, “তারা মনুষ্য পুত্রকে শক্তি ও মহিমার সংগে মেঘে করে আসতে দেখবে ৷” ২৪(৩০) মথি, ইঞ্জিল ৷ অভিলাষ থাকলে সমস্ত কোরআনের আয়াত সমূহ কথার ফাঁকে ফাঁকে বর্ণনা করা যায় কারণ সব আয়াতের অর্থ অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতকে বুঝায় বিধায় তা করা সম্ভব ৷ এই সুযোগে মির্জা আহমদ আয়াতের কিয়দংশ বর্ণনা করে লোক সম্মুখে উপস্থাপন করেছেন ৷ কেন বেশী বেশী আয়াতের উদ্ধৃতির প্রয়োজন ? কারণ বলতে গেলে বলা যায় যে, হযরত ঈসা (আঃ) এর আগমন মহাশক্তি ও মহিমার সংগে সম্পর্কযুক্ত ৷ কোরআন হচ্ছে মহাশক্তি এবং আল্লাহর মহিমা ৷ যেহেতু তাঁর কাছে ওহী নাযিল হবে না সেহেতু কোরআনই একমাত্র গ্রন্থ যা থেকে তিনি উদ্ধৃতি প্রদান করবেন, ইহাই ধারণা করা যায় ৷






বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১২

বৃষ্টি বর্ষায়


বৃষ্টি বর্ষায়
আবুলকালামআজাদবাসু
14/11/2012

হঠাৎ বৃষ্টি
তখন থেকে বৃষ্টি পড়ছে
দিনের আলোতে
বিদ্যুৎ চমকায়ে গেল বিনা বাক্যে
চক্ষু-স্থির তাকায় ভাব-উন্মাদে
ছটফট করছে অন্তরে
শিরা উচ্চ শিহরণে প্রবাহিত হচ্ছে
আশ্চর্য অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে
তখন বৃষ্টি ঝরছে ৷

হঠাৎ বৃষ্টি পড়ছে
তখন কে যেন কাছে এলো
ঐ-সে আকর্ষণ অনুভব করল বটে
দূরে চলে গেল বাতাসে
(তার) পশ্চাতে তাকায়ে রইল অনায়াসে
তবে মুখ খোলতে পারে নি
ছটফট করছে অন্তরে
চোখ থেকে জল ঝরছে
ভেবেছে ঐ খুব চেনা জন
তাইতো বৃষ্টি ঝরছে ৷

অস্পষ্ট কিছু যেন বলে গেল
বাতাস বহন করে নিয়ে এলো তার কান-ধারে
তাতে ঐ-সে পেছনে ছুটে
আবার শুনতে চায়
ইহা এই খুব কাছে এসেছে
বাতাস বদ্ধ
তা পারছে না প্রবাহিত হতে
অপ্রত্যাশিত সেই শব্দ আবার শুনতে চায় ৷

বৃষ্টি বর্ষায়
কেহ জানাচ্ছে স্নেহ ও ভালবাসা
আবার উহা শুনতে চায়
ছটফট করছে অন্তর
অশ্রুজল বয়ে পড়ছে
তখন থেকে বৃষ্টি ঝরছেই
না, ইহার কোন শেষ নেই ৷