আমার একেবারেই না
আবুলকালামআজাদবাসু
28/11/2012
আমার একেবারেই না,
যা জ্ঞাত করেছি তা অন্যের
সেটাই দান-কৃত ছোট-বড় সবার
এতে আমার কিছুই নেই ৷
আমার আছে একটি বৃত্তান্ত,
সেটা যেন তুলনায় মালবাহী রেলগাড়ী,
চিন্তা কর না
পরিধানে লোমযুক্ত পোশাক,
তোমার কাছে আবৃত্তি করার লাগি ইতি-বৃত্তান্ত ৷
কেবল সেটাই আমার
যেটা আমি তোমায় বলেছি
উহাই তোমার জন্যে সব
এতে আমার কিছুই নেই ৷
উহা পুস্তকে বর্ণিত হয়েছে
পুরাতনের পূনঃরাবৃত্তি;
অপ্রচুর স্বপ্ন আমার
শুরু এবং শেষ অন্যের,
আছে তাতে সবই জড় করা ৷
লও আশ্রয়-অবলম্বন যেদিক তোমার ইচ্ছে
এতে আমার কিছুই নেই ৷
যা লিখা ছিল আগে
আমি সেই স্বভাবের ৷
যদি ইহা তোমার হয় তাহলে সবটা লও ৷
সম্ভবতঃ আমি এসেছি ভ্রমণে
তোমদের বিরক্ত করতে
আমি বন্দী করি পুরানকে বিবরণ দিতে
কিন্তু পুরাটা পুস্প নয় ৷
একটি পুস্তক প্রচার করেছি
লিখা তীর সম্মিলিত
সময়ে ইহা বীর-বন্ধু
কিন্তু ইহা একটি বিষয় ধারণার
জ্ঞানীদের লয়ে
অন্তর থেকে নয়
সেই রকম পেয়েছি পুরাটা ছিড়াফাটা ৷
জ্ঞানীরা ঐ পুরান বই গুদামে ৷
আজকের জ্ঞানীরা ভিন্ন,
তাদের দস্তাবেজ দেখা যায় চোখের পলকে ৷
এটাই সৌভাগ্য জ্ঞানীর কিতাব পড়েনি
সেই সব দোকান-মালিকের হাতে ৷
আমি প্রত্যেক জ্ঞানীর জন্য করি প্রার্থনা
তাঁদের প্রচেষ্টা ও শ্রম শ্রদ্ধা করি ৷
বতর্মানেও তাঁদের জ্ঞান গ্রন্থাগারে
তা পাওয়া যায় সবর্ত্র
যা উচুঁ মানের চিন্তাধারা ৷
উপসংহারে সেরূপ পেয়েছি,
কিন্তু অনুবাদকের নাম অজানা
অত্যন্ত পুরানের কারণে
পারিনি চন্দ্র-মুখ করতে,
আমি ঐরূপ পুরান একটি কিতাবের
জ্ঞান আহরণ করেছি
তিনটি প্রবন্ধ সেই জ্ঞানে লিখেছি ৷
বইটির নাম বাংলায় আল-মোকাদ্দিমা,
বিজ্ঞ অনুবাদকের নাম অজানা ৷
প্রয়াত আত্মার জন্য প্রার্থনা করি সেই সাথে অনুবাদকের
এ লেখা ১৩৭৭ সালের খুব কম পাওয়া যায়,
যদিও তা পেছনে ছুড়ে ফেলা হয়েছে,
তা রাজ্য-সম হিসেবে ধরেছি ,
আত্ম-গর্ব আত্ম-অহংকার
সেই উল্লেখিত জ্ঞানের আলো
অন্যান্য জ্ঞানীর জ্ঞানও
যা রক্তিমভাবে প্রকাশিত হয়েছে ৷
এতে আমার কিছু নেই,
এই লেখাগুলি এত সুন্দর নয়,
ইহা ওলট পালট ছয় ও নয় ৷
বলা যায় উহা বায়ুমণ্ডলে স্পন্দন করছে,
এ সব লেখকের জন্য মদ্য ৷
আমার বইয়ে তারা উজ্জ্বল অভ্রান্ত
আমার নয় কিছুই ৷
পুরাতনকে নতুন করা জ্ঞানীদের একত্রিত করে,
নবীদের জীবন বৃত্তান্ত বর্ণন ৷
থলেতে নিয়েছে সভ্যতা তা ৷
সম্ভবতঃ এইরূপে তা ভ্রম-হীন নিরাপদ ৷
যে কেউ ঘনিষ্ট ভাবে নিজের কিছু যুক্ত করে
তা নিয়ে যাও পরিধান করায়ে লম্বা বস্ত্র ৷
সূর্য পূর্ দিকে উদিত হয় বটে
এটাই সত্য কে কিভাবে উপস্থাপন করে!
ব্যরিষ্টার বিনা তর্কে পরাভূত করার প্রচেষ্টায়
স্ত্রীলোকটি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নি,
কিন্তু সমালোচনায় তীরমার্কা লেখক ঘোষিত,
সে একদিন সর্ব্বোচ্চ আসনে আসীন হয়নি?
চন্দ্র ও গ্রহের পুত্রগণ নহে অকৃতজ্ঞ
তারা সঠিক বলে সূর্য তাদের দেবতা ৷
চন্দ্রের নেই নিজস্ব আলো ৷
এখানে আমার কিছুই নেই ৷
সূর্য কখনো ভাবেনি আগে,
গ্রহবাসী জানতে পারবে
সূর্য নামক রাজ্যেরও নিজস্ব কিরণ নেই ৷
সে তার কক্ষে ঘুরে অন্যকে মূখাপেক্ষী ৷
এখনও সূর্য আমাদের অবিভাবক !
কাকেও বাদ নয় বরং সূর্য ৷
কেই বা কবিতা পাঠ করে?
তাই আমি সম্মান করি রবিকে ৷
শশীকেও তারা দুজনই দেবতা,
দু যেন জ্ঞানী ৷
কবি লিখে কবিতা কয়েক মিনিটে
তা শত গুণে হয় প্রকাশিত ৷
রবি লিখে সে পেয়েছে সরকারী ঘোষণা ৷
কিন্তু সেখানে প্রকৃত সূর্য হয়েছে দেবতা ৷
গ্রহবাসী কর পূজা সূর্যের!
সত্যিকার যদিও নাই তার নিজস্ব কিরণ ৷
অবশেষে একটি মজাক রবির বাল্য জীবনের,
আমার আছে বড় বোন,
তফাৎ তার আর আমার,
আমারটা এই..
তারটা ঐ..
এ সম্বন্ধে আমার নেই জ্ঞান ৷
এখানে এটা অন্যের,
তবুও সে তোমাদেরই ৷
আমি এসেছি ভ্রমণে
তোমাদের বিরক্ত করতে ৷
এতক্ষণ যা বললাম তা সবই মিথ্যে,
সত্য কেবল লেখক কিভাবে উপস্থাপন করে ৷