সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১২

আমার নাম কেন ‘বাসু’


আমার নাম কেন ‘বাসু’
Akazaedbasu

একজন লোক পৃথিবীতে হাজারও ‘বাসু’ নামের ব্যক্তিকে দেখতে পাবেন ৷ নামের মধ্যে এমন পার্থক্য বা বৈপরীত্য কি? না, তাঁদের পিতা-মাতার আকাঙ্ক্ষা অনুসারে ইহা পূর্ণতা লাভ করেছে ৷ এ পৃথিবীতে অনেক লোক দেখা যায় বিশেষ করে মুসলিম সমাজে সামান্য পরিচিতি লাভে নামের আগে পিছে অনেক নাম জুড়ে দেন মূল নামের সাথে (অনেকে মনে করেন নামের ফলে তার কর্মের মধ্যে তা প্রতিফলিত হবে যা পূর্বে কোন একব্যক্তি সম্পাদন করেছেন) ৷ অনেক সময় অঞ্চলের নাম অনুসারে লোকটিকে চেনা যায় ফলে আসল নাম সাধারণের কাছে অজানাই থেকে যায় ৷ এটা এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় যে, আমার নাম ‘বাসু’ কেন ! কিন্তু পরিস্থিতি ও কাল অর্থপূর্ণ করে তুলেছে, যখন কোন কারণ বা স্বপ্ন বা অন্য কোন কারণ নিজকে অনুপ্রাণিত করছে যেজন্য নামকেই দরকারি মনে করে উপস্থাপন করা হচ্ছে যে কোন উপায়ে ৷ অত্র অবস্থায় ঘটনাটি এরূপ হয়েছে যে, যত বেশী গবেষণা করা হয়েছে তত বেশী অন্তরে আয়নার মত স্পষ্ট সত্য তত্ত্ব বা তথ্য ফুটে উঠেছে ৷ অন্যান্যদের লেখা এবং বিজ্ঞাপন দেখে যদিও উৎসাহিত হয়েছি লিখতে তবুও নিজের বিবেচ্য বিষয় তুলে ধরতে খুবই কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য পাঠকবৃন্দের কাছে যা জীবনের গোপনীয় বিষয় ৷ যদিও এ বিষয় লিখতে আমি যথেষ্ট সক্ষম নহি তবুও ভিন ব্যক্তিদের তুলনায় ভাল অবস্থান এ আছি ৷ আমার পিতা-মাতা আমার ডাক নাম রাখার ব্যাপারে কোনরূপ খ্যাতি লাভের আশা করে তা রাখেন নি ৷ অথবা তাঁদের ছেলে বড় হয়ে এ নাম নিয়ে ধরণীতে উদাহরণ সৃষ্টি করবে ৷ তদ্রূপ নিজের কাছেও তা অজ্ঞাত অজানা ৷ এমন এক ব্যক্তি ধরায় এসেছিলেন যিনি তার নামকে অত্যধিক গুরুত্ব প্রদান করে নিজেকে ঈসা ও ইমাম মেহেদী দাবী কারক ব্যক্তি রূপে পরিচিত হবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন (কেবল চেষ্টা বললে ভুল হবে অনেক দেশ বিদেশে তাকে বিশ্বাস করে আলাদা ধর্মশালা গড়ে উঠেছে) ৷ আমার এ স্বপ্ন ঐ ব্যক্তির ন্যায় কোনরূপ সম্পর্ক নেই ৷ তার বক্তব্য এবং আমার স্বপ্ন গবেষণা করতে গিয়ে মনে হল সে লোক আজব ধরণের মিথ্যা তথ্য পেশ করেছেন ৷ অন্যদিকে এটিই চিন্তায় আসল যে আল্লাহ মিথ্যা বলতে পারেন না ৷ আমার চিন্তা ভাবনায় কিছুটা সত্য নিশ্চয় অন্তর্নিহিত রয়েছে ৷ নামের মধ্যে কি, তা আবিষ্কার করতে গিয়ে এই ডাক নাম ‘বাসু’ কে খোঁজে পেলাম ৷ এ ব্যাপারে কে কার কথা শুনে! এমন কি হিন্দুরাও কৃষ্ণকে বাসু রূপে তেমন জানে বলে মনে হয় না ৷ তদ্রূপ স্বামী বিবেকানন্দ এবং শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ (নরেন্দ্র বাবু এবং গদা রাম বাবু) ৷ তাঁদের পিতা-মাতার রাখা নাম বা সনদ পত্রের নাম বা আসল নাম খুব কম লোকেই জানে এমন কি পরিচিত ব্যক্তিরাও ৷ আমার বক্তব্যে সামান্য দু অক্ষর বিশিষ্ট নাম মাঝে এমন কি রয়েছে যা পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিদ্যুতের ন্যায় পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, সামাজিক সব রকম মতভেদ ভুলে গিয়ে ভালবাসার বন্ধনে একে অপরকে আবদ্ধ করার জন্যে ৷ সবার উপরে মানুষ তারপর আসে কে কি !

পাঠক! অনেকেই আহত বা মর্মাহত শুনতে শুনতে যে এ লোক কেবল নিজের কথাই বলা ছাড়া অন্য কিছুই বলেন না ৷ আমি নিজেও ভুক্তভোগী আমার অতি কাছের একজন যিনি কেবল নিজ সম্পর্কে বলতেই থাকেন ৷ সে কখনও অন্যকে বলার কোন সুযোগ দেন না ৷ অথচ সব কটি কাজ যা সে করেছে তার সাথে আমিও ওতপ্রোতভাবে জড়িত ৷ (আমি মনে করি পুরাণ কোন কথা বার বার বলা বা উপকারের কথা কাকেও বার বার বলা এক ধরনের খোঁটা বা আঘাত করা ৷ আর সে লোকের কথায় সায় না দেয়া মানে সম্পর্ক নষ্ট করা )৷ সুতরাং হাঁ এবং হাঁ বলে বলে বা মাথা নেটে সায় জোগান ব্যতীত তার মন জয় করা ছাড়া সারবস্তু কিছুই নেই ৷ এমনই বদ অভ্যাস যে অন্যের ভাল কর্ম কখনও সে প্রশংসা করে না ৷ নিজের কর্মকেই শুধু প্রাধান্য দিয়ে থাকে ৷ এরূপ একগুঁয়েমি থেকে মনকে অন্যদিকে প্রবাহ করার লক্ষ্যে অন্য কোন প্রসঙ্গ যোগ করার চেষ্টা করা হবে যাতে গাফলতি অনুভব না আসে ৷ (বস্তুত: আল্লাহ বলেছেন মানুষ দুর্বল প্রকৃতির বলে কোন জিনিষ বার বার স্মরণ করায়ে দিতে হয়, তাই বলে ঐরূপ ব্যক্তির মত নহে ৷) পাঠক! সত্য কিছুটা তিক্ত এবং সুস্বাদু নয় ৷ কোন এক ভদ্রলোক একবার একটি গল্প বলেছিল যে, কোন এক মহিলা তার স্কন্ধের কাপড় বার বার মাথার তোলে এবং আবার রাখে ও কি যেন আকর্ষণীয় কিছু প্রদর্শন করবে ৷ আমার শব্দাবলী শুনে যে কোন দুর্বল প্রকৃতির লোক আনন্দ উপভোগ করতে পারে কিন্তু ভাল একজন চিন্তা করবে ঐ মহিলা অসুস্থতার কারণে বার বার তার লম্বা কাপড় ছুটে ফেলছেন ৷ অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সে ঐ কাজ করছে অসুস্থতার কারণে ৷ নোংরা জিনিষ একবার কারণে অকারণে ভাল লাগলেও দ্বিতীয়বার তার কোন গুরুত্বই মানুষ দেয় না ৷ বরং তা লোকে ঘৃণার চোখে দেখবে ৷ সুতরাং খারাপ চিন্তা পরিহার করার জন্যে তার দুর্গন্ধের কথা মাথায় রাখলে বার বার তাকানো থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে ৷ অনেকেই বগলের নীচে সুগন্ধি ব্যবহার করেন যাতে দুর্গন্ধ না আসে ৷ ইসলাম কোন রূপ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অন্যকে দেখানোর প্রশ্রয় দেয় না ৷ বা গুপ্ত অঙ্গ প্রদর্শন করার অনুমতি দেয় না তবে চিকিৎসার ব্যাপারে ভিন্ন অভিমত থাকতে পারে ৷ যতই পর্দানশীন হবেন ততই যেন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় ৷

কথায় কথায় বহুদূর অন্যত্র চলে গেলেও ‘বাসু’ নামের ব্যাখ্যা আমার কাছে মন্দা লাগছে বটে কিন্তু সবাইকে এক সূত্রে গাঁথার জন্যে কোরআন এ তাদেরকে  আনা হয়েছে দল মত নির্বিশেষে এমন কি অন্যান্য সবাইকে ধর্ম ব্যতিরেকে সরাসরি আল্লাহর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আত্মাকে পেছনে ফেলে (কারণ আত্মাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে) ৷ গবেষণা লব্ধ ফল আমার কাছে আশ্চর্য এই জন্য যে কোরআনের প্রথম অক্ষর ‘ব’ এবং শেষ অক্ষর ‘স’ (যদিও ইহা আমার আবিষ্কৃত নয় ৷ যদিও আমি কোনরূপ দাবীদার নই বরং ভুল কেহ পদক্ষেপ নিলে তা সংশোধন কারী ৷ যারা ঈসা দাবীদার ছিল তাদের কিছু কিছু পুস্তক পাঠ করে আমি কোরআন পাঠ করতে শুরু করি তা থেকে কিছু বের করার জন্যে, যাতে সত্য তোলে ধরতে পারি ৷ স্বপ্ন এর সাথে এমন কিছু মিল পাওয়া যায় কিনা যা তাদের ঘায়েল করবে এবং প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসবে ৷ আমি সত্যিই অজ্ঞ নিজ ধর্ম সম্পর্কে ৷ আমার এ লেখা একজন লোক জাপান থেকে মহাসাগরের তৈরি সেতু দিয়ে অনায়াসে আমেরিকা যেতে পারবে ৷ এটাই শেষ নয় বরং আল্লাহকে ভালবেসে সব মানুষ একত্রিত করার একটা উপায় ৷ মানুষ মানুষকে ভালবাসবে না কেবল আল্লাহকে ভালবাসে তা প্রমাণ হয় না, যদিও সদা মুখে আল্লাহর নাম নামে মাত্র স্মরণ থাকে ৷ আর (বাসু) নামে এ লোকটিকে বাল্যকাল থেকে দুটি রঙিন চাদর পরিয়ে দিয়েছেন ৷ এ লেখায় অনন্য যুক্তি সমূহ জনসমক্ষে উপস্থাপন করেছি (যা প্রায়ই প্রকৃতির দান) ৷ জানি না এ নাম কি সন্দেহ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন