আমার নাম
আবুলকালামআজাদবাসু কেন?
Akazadbasu
20/11/2012
এখানে এমন কিছু আছে কি যা পূর্বে জ্ঞাত করা হয় নি, যে কেউ কি
তাঁর অবসর সময়ে ইহা জানার লক্ষ্যে এ বিষয় জানতে চেষ্টা করবে ? খুব সম্ভব না,
কিন্তু ইহাতে সবার দৃষ্টি ও আকর্ষণ সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ ইহাতে কেহ কেহ অনুভব করবে
জঘন্যতা এবং অন্য কেউ অত্যুৎকৃষ্ট আনন্দ উপভোগ করতে পারেন তবে ইহা গবেষণালব্ধ ফলের
প্রতিযোগিতা স্বরূপ যাতে একদল অবিশ্বাসীকে এটাই বিশ্বাস করানো যে, এ নামে ঐটি
বিদ্যমান অথবা এতে রয়েছে বিমোহিত করার শক্তি যাকে তারা দেবতা বা খোদা মানে ৷ অথবা
ঐরূপ যা তারা মনে করে (আসলে এটা বাস্তবিক নাম যা প্রকৃতিগত) ৷ ইহা অন্যান্যদের
জন্য নিরূপণ করা হয়েছে যদিও তাদের এ নামের অন্তর্নিহিত অর্থের জন্যই গুণের বিচার
করতে হবে ৷ সুতরাং এ লেখা মুক্ত হস্তে অবলীলায় ইংরেজিতে যে ‘ড্যাডি ওয়ার্ডস বর্ন
ব্ল্যাক’ ৷ হয়তো অনেকই ইহার বা বাক্যের মোটামুটি অর্থ বুঝতে সক্ষম হয় নি যে কাকে
পিতা বলা হয়ে থাকে ৷ সেই পিতার সন্তানই বা কে! পরিষ্কারভাবে জানার জন্য নামের
স্বপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ এবং যুক্তিযুক্ত তিনটি জিনিষ তুলে ধরা হয়েছে যে, কে বলে
একজন লোক খোদা, কিন্তু সে আল্লাহর সাথে ছিল এবং থাকবে ৷ সত্যিকার অর্থে সমস্ত মানব
আল্লাহর সাথে বাস করেন ৷ তারা ছিল, আছে, থাকবে এবং কিছুটা হলেও আল্লাহর সাথে থাকবে
৷ নামের সুবাদে এ লোকটি একটা সুযোগ নিয়েছে (কোরআনে আহমদ নাম যদি অন্য কারও হয় সে
ইমাম মেহেদী বা ঈসা হয় না ) অন্যের বেলায় এত সব হয়তো নাও হতে পারে ৷ এ নামে শত শত
আবুলকালামআজাদ রয়েছে ৷ অনেকে গত হয়ে গেছেন ৷ এই নামে অনেক ধর্ম গুরুও ছিলেন বা
আছেন তারা কেউই এমন চিন্তাধারায় মনোনিবেশ করলেন না কারণ এটা তাঁদের জন্য নয় ৷ আমি
কিছু সাধু বা ধার্মিক ব্যক্তিদের প্রবন্ধ বা বিবরণী পছন্দ করি এ জন্য যে যে সমস্ত
ধর্ম বিদ্যমান তদ অপেক্ষা অন্যকোন ধর্ম যা তাঁদেরকে মুক্তি দেবে এবং সার্বজনীনভাবে
গৃহীত হবে সেটাই তাঁরা গ্রহণ করবেন ৷ সম্ভবত: এ গবেষণা তাঁদের আকৃষ্ট করবে (এ
কারণে যে ইহাতে সব ধর্মের সার সংক্ষেপে এবং তাঁদের ধর্ম প্রচারকদের প্রাধান্য
প্রদান করা হয়েছে) ৷ আমি বিনীতভাবে তাঁদের কাছে ক্ষমার দৃষ্টিতে তাঁদের বলতে চাই
যে জানা মতে আর কোন নতুন আইন ধর্ম পুনর্বার নাযিল হবে না, তবে হাঁ, আমি এ বিষয়ে
একমত যে নতুন চিন্তাধারা ঐ একই ধর্মের উপর ভিত্তি করে ধ্যান ধারণা উন্নত হবে যাতে
সবাই তা গ্রহণ করতে পারে ৷ একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি বলতে পারেন যে সূর্য যদিও উত্তপ্ত
রশ্মি বিকিরণ করছে আসলে সূর্যে কোনরূপ উত্তাপ নেই ৷ তথাপি ইহা দান করছে প্রয়োজনীয়
উপকরণ ৷ কোন জ্ঞানীর পক্ষে প্রমাণ ব্যতীত এ রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব নয় কেবল
যুক্তি আনয়ন করা যায় ৷ সেটা হল কেউ যদি শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র সম্পর্কে ভাবে তবে
দেখা যাবে সে ভেতরে ঠাণ্ডা বিস্তার করছে এবং বাহিরে উষ্ণ হাওয়া ছড়াচ্ছে ৷ সূর্যের
বেলায় অনুরূপ নয় তা কে জানে! কি ভাবে আল্লাহ তাঁর কর্ম সম্পাদন করেছেন তিনিই ভাল
জানেন ৷ তবে তিনি বলেছেন উত্তাপ থেকেও মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে যদিও সে কিছুই ছিল
না ৷ সুতরাং গভীর চিন্তাধারা ও অনুভূতি দ্বারা উপলব্ধি করলে কেহ বুঝতে পারবে
প্রকৃতির সাথে কতটুকু সামঞ্জস্য পূর্ণ তা কারও জন্যে মনে হবে বিশ্বাসযোগ্য আবার
কারও জন্য কাল্পনিক মনে হবে ৷ আমি নিজেকে কেনই বা পিতা বলতে যাব! আসলে এটা কিছুই
না, অন্য ভাষায় এরূপ দাঁড়ায় যে পিতা, কারণ থেকে কারণ হয়ে দেখা যায় কোন এক ধর্মে
পিতা শব্দটি বহুল পরিচিত ৷ মানুষ কখনও আল্লাহ হয় না এবং নামও যে প্রকৃত ব্যক্তি তা
প্রমাণ করে না ৷ বেশী কিছু বললে এ কথা বলা যায় তাঁরা পিতা শব্দটি আল্লাহকে
উদ্দেশ্য করে বলে থাকেন ৷ এ কথাটাই আমাদের বোধ শক্তিতে আসে না কোন অপচ্ছায়া হোক বা
মানুষ হোক যে জিনিষ ক্ষয় হয় বা মৃত্যুমুখে পতিত হয় সে কখনও আল্লাহর অপচ্ছায়া বা
আল্লাহ হতে পারে না ৷ কোন এক সন্ন্যাসী বা সাধু ব্যক্তি কি ভাবে রাজাকে মুগ্ধ
করলেন-তিনি রাজার সম্মুখে রাজার একটি ছবি রেখে সৈন্যদের বললেন তোমরা সবাই এ
ছবিটিতে থুথু নিক্ষেপ কর ৷ কেহই তা করতে পারলেন না ৷ এতে সাধু প্রমাণ করলেন যে
রাজা যেমন সত্য তেমনি ছবিটাও কোন অংশে কম নয়, যদি তা না হত তাহলে সবাই থুথু
নিক্ষেপ করতেন ৷ এ দৃষ্টান্ত রাজাকে বিভোর করলেও প্রকৃত কয়জন এই উপমায় ছবিকে
রাজ্যের রাজা বলে মাথা নত করবে ? রাজার মন আছে, প্রাণ আছে অন্য দিকে প্রাণহীন ছবির
না আছে প্রাণ, না আছে কোন ক্ষমতা, বোবা নির্বাক ছবিটি রাজার হলেও রাজা সেই ছবিটি
নন ৷ বরং একটা পুতুল ৷ আমি যখন জন্ম নিই তখন থেকে পিতা-মাতা ডাক নাম রাখেন বাসু ৷
বাসু যে কৃষ্ণের নাম তা হয়তো জানতেন না ৷ ধরা যাক জেনে শুনে এ নাম রেখেছেন ৷ তাতেই
বা কি ! পরবর্তী পর্যায়ে আসল নামের দ্বারা আমি যে সব যুক্তি উপস্থাপন করছি তাও কি
তাঁরা ধারণা করে এ নামটি পছন্দ করে নিয়েছেন? আশ্চর্যের বিষয় এই যে কালাম নামক
শব্দটি পিতা ও জন্মের মাঝখানে মায়ের কোলে শুয়ে আছে ৷ আল্লাহর বাক্য, আল্লাহর নুর
সবই আল্লাহর কিন্তু আল্লাহ নন ৷ আপনারা যদি ক্ষমার চোখে দেখেন আরও বিশদভাবে বলা
যায় যে এ নামে ত্রি-সমাহার ঘটেছে পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মার অর্থাৎ জন্ম
শব্দটি এতই স্বাধীন যে তাঁর মাঝে আল্লাহর বাক্য বা স্প্রীট বা রূহ উপস্থিত থাকায়
সে স্বাধীন একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত ৷ ফেরেশতার রূহ ফেরেশতা দেখতে পায় না ৷ সুতরাং
রূহ শক্তিশালী, ধরা ছোঁয়ার ঊর্ধ্বে ৷ প্রত্যেক মানুষ এই গুণে গুণান্বিত ৷ ফলে এ
ব্যাখ্যায় সম্ভব হয়েছে যে প্রত্যেককে সরাসরি আল্লাহর কাছে নিয়ে যেতে, ধর্ম বর্ণ
নির্বিশেষে ৷ তাহলে যিশুখ্রিস্টের বক্তব্য হয়তো অনুরূপ ছিল যে তিনি প্রত্যেককে এ
আধ্যাত্মিক চিন্তাধারা অনুযায়ী আল্লাহর কাছে নিয়ে যাবেন ৷ মনে রাখতে হবে যে মানুষ
হল আত্মা বা নফস তাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে কিন্তু ঐ আল্লাহ প্রদত্ত সেই গুণের
নহে কারণ সে ভাল ছাড়া খারাপ জানে না ৷ খুব সম্ভব তাঁর অনুসারীদের ঐ কথাই তিনি
বুঝাতে চেয়েছিলেন ৷ আমার অভিমতে উহা ভালভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে বলে বিশ্বাস ৷
বর্তমানে যা বলা হচ্ছে তিনিই আল্লাহ (নাউযুবিল্লাহ), তিনি হয়তো বলেছেন, “আমি
আল্লাহ হতে” ৷ মানুষ বলতে পারে, আমিই যিশু, কিন্তু না ৷ এমন কিছুই আমার কাছে নাই ৷
তাহলে ড্যাডি ওয়ার্ড বর্ন ব্ল্যাক এর অর্থ কি: আবুল কালাম আজাদ বাসু ৷ আমার নামটা
একরূপ প্রমাণ স্বরূপ যে তখন ঈসা (আঃ) কি বলেছেন ৷ একজন দার্শনিককে অত্র বিষয়ে
চিন্তাভাবনা করতে হবে ৷ কি করে এক লোক সব নবী রসুলদের একত্রিত করে বর্তমান অবস্থায়
প্রকাশ করতে পারে গুঢ় রহস্য ৷ অনেক বিজ্ঞ সমালোচকগণ সেই দিনকে অর্থাৎ যেদিন প্রথম
বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, ১৯১৪ সাল থেকে ১৯৪৫ সালকে শেষ-যুগের আরম্ভ বলে ধারণা করে
আসছেন ৷ এ পৃথিবীতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলে কিছু হবে বলে মনে হয় না, এ কারণে যে, তখন
নিজকেও সে-যুদ্ধে প্রাণ দিতে হবে ৷ এটা কোন বর্তমান ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশৃঙ্খলা
হ্রাস করার সমাধান নয় বরং একে অন্যকে ভালবেসে বারণ করতে পারি সকল সংঘাত, তবেই
শান্তিতে বসবাস করা যাবে ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন