মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১২

আমার জন্ম কেন ১৯৪৭ সালে ?


আমার জন্ম কেন ১৯৪৭ সালে ?
আবুলকালামআজাদবাসু
6/11/2012
এটা কোনও প্রশ্নই নয়, কিন্তু সময় কাল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ লোকের কাছে তার ধারণাটা সকলের নিকট উপস্থাপন করার জন্যে ৷ এটাই প্রকৃতির নিয়ম মানুষ আসবে এবং কালে বিদায় নেবে ৷ সুতরাং বলা যায় যে প্রকৃতি সবার পিতা যদি মাটি মাতা হয়ে থাকে ৷ তারা মানুষের এবং সব প্রাণীর পিতা-মাতা ৷ আল্লাহ সবকিছুরই প্রতিপালক ৷ এ লোকের কাছে এমন কি গুরুত্ব পেল যে বছর বা সাল উল্লেখ করে সাধারণের কাছে তুলে ধরার ? আমার জীবন কালে কতজন প্রেসিডেন্ট আমেরিকার গত হয়ে গেছেন বা বাংলাদেশর কতজন তা একে একে বর্ণনা করা এ লোকটির পক্ষে হয়তো সম্ভব নয় ৷ মানুষ সাধারণভাবে তার স্মরণ শক্তি মাঝে এ সবই দরকার ছাড়া খুব কম লোকেই তাদের মাথায় ধরে রাখে ৷ কিন্তু ঐ সমস্ত লোক অমর হয়ে বার বার ফিরে আসেন যাঁরা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন ৷ অন্যদিকে যারা ত্রাস সৃষ্টি করে অন্যায়, অবিচার করে জঘন্য-ভাবে সভ্যতা ও কৃষ্টি ধ্বংস করেছেন সে সব রাজা বাদশাই বা হিটলারের নামও সময় সময় ফিরে আসে উপমা হিসেবে ৷ উভয়ই পাশাপাশি বিরাজমান ৷ খারাপ দুর্গন্ধ ছড়ায় সর্বত্র, পরিবেশকে দুষিত করে ৷ ধরা যাক যে ১৯৪৭ সালে তিন কোটির অধিক লোক জন্ম নিয়েছে ৷ কিন্তু কেহই এভাবে সাল উল্লেখ করে নিজেকে বর্ণনা করেছেন বলে মনে হয় না, কোরআনের সূরা ৩(৫৫) উদ্ধৃতি দিয়ে সেই আয়াতের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন ৷ তা ছাড়াও নতুন বাইবেল থেকে মথি এর ২৪(৩০) এবং মথি এর ২৪(২৭-২৮) উল্লেখ করা, তাঁদেরই বা কি দায়িত্ব ছিল এ সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করা ? এ সব আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতে মসি শব্দ ব্যবহার করায় কোন কোন গোষ্ঠী আবেগ প্রবণ বশত: আঘাত পেয়ে থাকলেও তাদের নিমিত্তে কলম বা মসি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে ৷ (এখানে বলা যায় কাদিয়ানী যে শব্দ ব্যবহার করেছেন “কলম” তার সাথে ঈসা মসিহ সামঞ্জস্য পূর্ণ নয় ৷ কিন্তু একজাতি আদিকাল থেকে জানে যে মসিহই তাদের কাছে আসবেন ৷) এ শব্দ একেবারেই ভিন্ন অর্থ ভাষাভেদে হয়তো বানান ভেদেও ৷ ভাষাভেদে এক শব্দ কারও জন্যে গালি আবার কারও নিমিত্তে যথাযথ ৷ সর্বোপরি আমরা মানবজাতি আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরিত ৷ মানুষের মধ্যেও ভিন্নতা রয়েছে ৷ কারও গায়ের রং কালো কারও বা সাদা ৷ মূলে মানব অন্তর একই রকম ৷ যদি ঘটনার বর্ণনা পেশ করি কোনও গোষ্ঠী তাতে মনঃক্ষুণ্ণ হবে উপরন্তু সালও সেই সাথে ৷ কিন্তু আল্লাহ যা বলেছেন এবং শ্রেণী বিন্যাস করেছেন তা মনোমুগ্ধকর এবং যা নবী রসুলগণ বলেছেন তাও ৷ (মোহাম্মদ সঃ ব্যতীত) অন্যান্য নবী রসুলগণ অভিশপ্ত করেছেন এক জাতিকে, আল্লাহ ঠিক তাই করেছেন ৷ (অত্যন্ত চিন্তা করার বিষয়) যাকে যে ভালবাসে সে যদি সামান্য আঘাত দেয় তাও বিরাট হয়ে দাঁড়ায় ৷ তদ্রূপ আল্লাহ ঐ গোষ্ঠীকে অত্যন্ত ভালবাসতেন, আর সেই গোষ্ঠী বা দল যদি অন্য পথ অবলম্বন করে তাহলে তিরস্কার হবে প্রাপ্য ৷ মনস্তাপ বা দুঃখ করার কিছু নেই যদিও তা তাদের আদি পিতাদের কর্ম ছিল ৷ একই পিতা-মাতার সন্তান সবাই প্রকৃতি মাঝে ভাল হয় না বলেই খারাপ জনকে শুনতে হয় কটু বাক্য ৷ কিন্তু সেজন্য সন্তান সেই তিরস্কারকে অপ্রীতিকর হিসেবে নেন না যদিও তা ছিল ভয়-প্রদর্শক শুনতে কেবল ৷ কোরআনের বাক্য আল্লাহর আইন সমূহ এবং নতুন কোনও বিধান পূর্বের সাথে ভিন্ন হতে পারে কারণ প্রতিটি বাক্যের একটা কাল রয়েছে ৷ উহা পূরণ হলেই নতুন এসে তা সম্পূরক হয় যেমন কোরআন ৷ অধমের কোনরূপ লেখালেখিতে দক্ষতা নেই তবুও চিন্তা-ভাবনা ব্যতীত নাক গলাতে হচ্ছে ৷ অন্যদের প্রেরণা এ ক্ষেত্রে অধিক কাজ করছে ৷ কোন রকম লজ্জা ছাড়াই প্রবন্ধ হোক বা না হোক লিখে যাচ্ছি ৷ প্রিয় পাঠক! এটাই কি যথেষ্ট বলা হয়েছে যে, জাতিসংঘ ১৯৪৭ সালে নতুন আইন পাস করে একটা নতুন রাষ্ট্র জন্ম দেয়ার লক্ষ্যে যা কোরআনে বর্ণিত হয়েছে ৷ গবেষণা করলে আরও পরিষ্কার হবে যে, কেবল কোরআন নয় বরং হযরত ঈসা (আঃ) নিজেই বলে গেছেন যে এ পৃথিবীতে তার বিরুদ্ধবাদী জাতি তখন অবস্থান করবে যখন তিনি আবার ফিরে আসবেন ৷ নতুন বাইবেল পাঠ করলেই তা সহজে বোধগম্য হবে ৷ কোরআনের বর্ণিত আয়াত পাঠ করে কেহ যদি চেষ্টা করে তা মিথ্যা ছিল (নচেৎ এ রাষ্ট্র কোথা থেকে এলো ৷) তখনই তা আরও সঠিক বলে প্রমাণিত হবে ৷ (কারণ আল্লাহ সর্ব-কৌশলী ৷) কেহ কেহ সন্দেহ পোষণ করতে পারে এই বলে যে নিজ স্বার্থে তা লিখা হয়েছে ৷ ইহা মোটেও সত্য নয়, কারণ মারে-ফুল কোরআনে এমন রাষ্ট্রের কথা রয়েছে যদিও অনেক বিজ্ঞ সমালোচক ব্যক্তিরা এটাকে রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করেন না ৷ (ইহা বাস্তবকে অস্বীকার করার শামিল ৷) সর্বশেষে এ কথা বলতে হয় একজন লোকের পক্ষে কি সম্ভব সমস্ত পিপীলিকা উচ্ছেদ করা বা পরিবেশ থেকে সমস্ত শুকর নিধন করা তবে বিশ্বাস করি তা কেবল তাঁর পক্ষে সম্ভব ৷ তা এভাবে যেভাবে ডাইনোসরর বিলুপ্ত হয়ে গেছে ৷ প্রকৃতি এ কাজ করে যাচ্ছে যদিও মানুষ তা বুঝতে পারছে না ৷ যদি মানুষের জন্য ক্ষতিকর না হয় তা ভালবাসার স্থান করে নেবে ৷  আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু না বলেই মার্জিত উপায়ে সবার জন্যে এতটুকুতেই ইতি টানলাম ৷












কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন