মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩

শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (৫)



শয়তানের ডায়েরী নয়  তবে (৫)
আবুলকালামআজাদবাসু
মৌলানা নেছার একজন পীর এবং জ্বিন পরী ভিন্ন ভিন্ন জাতি তাঁহার ভক্ত ছিল বিধায় শয়তানের ডায়েরী যথাস্থানে নবী রাসুলদের কাহিনী বর্ণনা করে এবং তোমারও তাতে কিছু হয়তো অংশ ছিল কারণ অপবাদ কে নেবে ? আমি এমন একজন লোক সময়ে বাস্তব ছাড়া কিছুই বুঝি না ৷ তাই তুমি শুধু কথা বললে হবে না, তোমাকে আরও অনেক বড় এক ভূমিকায় প্রদর্শন করাতে চাই যদি আল্লাহ সহায় হন ৷
এইতো ভুল বলেছেন আল্লাহর সাথে কি আমার ভাব কোন অংশে কম ৷ আমি যদি তাঁহার পূর্ব পরিকল্পিত সৃষ্টির কথা আন্দাজ করতে না পারতাম তাহলে আদম জাতি ও আমার জাতি ভাইদের কি কষ্ট দিতাম ৷ অবশ্য এটাতে এক ধরনের সুখ রয়েছে, কাজ শেষ হয়ে গেলে হতাশায় জড়িয়ে পড়ার আগেই আমার নিষ্ঠাবান কর্মীরা তাদের খেদমতে উপস্থিত হয় ৷ তখন তারা আর তাদের ভুল বুঝতে পারে না ৷  মানুষ সৃষ্টির ইতিহাস তোমার সামান্য হলেও মনে আছে ৷ তুমি যে মৌলানা সাহেবকে কিছু দরকারী পছন্দসই রেওয়াত শিখতে বলেছ তৎমধ্যে একটি প্রসিদ্ধ রেওয়াত রয়েছে ৷ সেটা কি খুলে না বললে বুঝব কি করে ৷ তুমি তো সবার উপরে সর্দার ছিলে ৷ হ্যাঁ ৷ কেউ কেউ বলেন তবে ঐ মৌলানা সাহেব বলেছেন কিনা জানি না হযরত আজরাঈল (আঃ) পৃথিবীর এমন কোন জায়গা নেই যে স্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করে নাই মানুষ তৈরীর উদ্দেশ্যে ৷ এ সব মানুষকে ধাপে ধাপে বুঝানোর পথ আসলে এতে কি সত্য বা কি মিথ্যা জানি না ৷ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতো এক সাথেই ছিল আর উহাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিলে তো আর রেওয়াত অনুযায়ী মাটি সংগ্রহ করতে হয় না ৷ তোমার বক্তব্যটা কি ৷
আমি জানি আজকাল মানুষের রুচি বদলে গেছে ৷ পুরান ভূত প্রেত জ্বিন পরীদের পাতাল পুরীর দৃশ্য এবং তাদের মনমাতানো নাচ গানে আর বিশ্বাসী নয় ৷ কারণ এ সমস্তই পৃথিবীবাসী সহজে আয়ত্ত করে নিয়েছে ৷ মানুষ সৃষ্টির কথোপকথন এক জঢিল ইতিহাস ৷ সেই ইতিহাস পরে বর্ণনা করার আশা রাখি, তবে আমি শয়তান হলেও মানুষের মতন এতবড় বেঈমান নই ৷ প্রথমে মানুষের স্বভাবের কথা বলি ৷ জীবনে এবাদত বন্দেগী কি কোন অংশে কম করেছি তবুও আমার পরিণতি আগুনের ইন্ধন ৷ তাই মানুষের কথা ভাবি ৷ আমি না হয় দোযখ বা আগুনে অঙ্গার হয়ে যাবো তবুও যেন কিছু মানুষ দোযখ থেকে রেহাই পায় ৷ আমি ভুল বুঝে আদমকে হিংসা এবং অহঙ্কার করে অমান্য করেছি সেই ভুল শোধরাতে না পারলেও মানুষকে আমি প্রথমে ভুল পথে চলার আয়োজন করি বটে কিন্তু তখনি স্মরণ হয় আমারতো রেহাই নেই ৷ আমি জেনে শুনে আল্লাহর হুকুম অমান্য করেছি এবং আমার জন্য ঐ আগুনই বরাদ্দ হয়ে রয়েছে ৷ তাই কিছু করতে না পারলেও অন্ততঃ আফসোস করি কিন্তু মানুষ অকৃতজ্ঞ আফসোস তো দূরের কথা উল্টো তারা  নিজেরাই দোযখ সৃষ্টি করে ৷ দীর্ঘ জীবনে অনেক মানুষের ক্ষতি করতে পারতাম কিন্তু তেমন করিনি কারণ আমার পূর্বের ঘটনা আমাকে পীড়া দেয় ৷ কি জবাব দেব আমার যে ভুল হয়েছে তার জন্য আবার এর উপর নতুন শয়তান বানালে কি জবাব দেব ৷ এই ভেবে আজও আমার মতন কাকেও বানাতে পারি নি ৷ এদিক খেয়াল করলে আমার শিষ্যরাই অধিক খ্যাত ৷ তাদরকে যারা ভক্তি ও শ্রদ্ধা করে দেখা যায় তারা প্রাণও দিতে পারে তাই দেখে মনটা শান্তই থাকে ৷ আজ আসি ৷


সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩

অসূর জ্বিন



     অসূর জ্বিন
আবুলকালামআজাদববাসু
শত প্রাণ প্রকৃতির ধর্মে আত্মারাম
আত্মীয় তারা পরস্পর মানুষ বিবেকবান ৷
রক্ত বংশ জাত সবই  নাম সংকীর্তণ
আসল  বন্ধন আত্মার মিলন      জয়কীর্তণ  ৷৷ 
অঙ্কন দীর্ঘ নিশ্বাস বাস্তবতার নাই ঠাঁই,
কল্পণায় সৃষ্ট কল্পে হবে শেষ ভাব অশেষ;
মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব সূর আর অসূর
অসূর বিবেকহীন  মানুষ পণ্ডিতি পদ্মাসন;
কোরআনে অসূর বংশ মানুষের মিলনে পদার্পণ ৷    



রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

আমার কথা প্রথম খণ্ড (৩৩)



আমার কথা   প্রথম খণ্ড (৩৩)
আবুলকালামআজাদবাসু
‘যিশু তাদের বললেন, কেউ যেন তোমাদের না ঠকায় ৷ অনেকেই আমার নাম নিয়ে এসে বলবে আমিই সে-ই এবং অনেককে ঠকাবে ৷’ (১৩:৫,৬) মার্ক, ইঞ্জিল ৷
ইঞ্জিলের এ আয়াতদ্বয় মার্ক, মথি, লুক ও যোহন কর্তৃক বর্ণিত ৷ হযরত  ঈসা (আঃ) আগমনের পূর্বেই বহু লোক নিজেকে ঈসা মসিহ বলে দাবী করবে এবং বর্তমানে তাই ঘটেছে ৷ তাই সাবধান করা তাদেরকে যারা না বুঝে এ পথে পা রাখবে ৷ হযরত (সঃ) এক হাদীছে বলে গেছেন যে, প্রায় ত্রিশজনের মত লোক হযরত ঈসা মসিহ বলে দাবী করবেন ৷ এ ব্যাপারে খৃষ্ট সমাজের চেয়ে মুসলিম সমাজই বেশী এগিয়ে রয়েছে ৷ যদি কেউ ভুল পথে পা রেখে থাকে তাহলে এ মিডিয়ার যুগে সে নিজেই দায়ী ৷ কারণ এখন সবাই বোধশক্তি সম্পন্ন হয়ে উঠছে কেবল মিডিয়ার কারণে ৷ ইসলামে ইমাম মেহেদী ও হযরত ঈসা দাবী উত্থাপন কারীর সংখ্যা ত্রিশ এর অধিক ৷ ইমাম প্রথা ইসলামের একাধিক গোষ্ঠি মাঝে বহু পূর্ব থেকে চালু হয়েছে যেমনঃ ইসমাঈলী বংশধরগগণ ৷ তাদের ৪০ তম ইমাম বর্তমান ৷ উহা ছাড়াও বাহাই সম্প্রদায়ও পৃথিবী বুকে বর্তমান ৷ তারা বাহাউদ্দীনকে ইমাম মেহেদী বলে থাকেন ৷ তদূপরি ৩১তম ব্যক্তি মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীও ঈসা ও ইমাম মেহেদী দাবীকারক, যার রয়েছে প্রায় ১৩০টি দেশে মিশনারী ৷ তারা তাকে উচ্চ স্থানে উপবিষ্ট করায়েছেন ৷ তবে কতক রাষ্ট্র তার কপালে  কা  ফে  শব্দ অঙ্কিত করে দিয়েছেন  ৷৷
আলল্লাহপপাক এর ৷ নিিদর্শনাবলী ব্যতীত, কেহ যদি যুক্তিবাদীদের খপ্পরে পড়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিতে চায়, দেক ৷
‘যখন তোমরা যুদ্ধের আওয়াজ ও যুদ্ধের খবরা খবর  শুনবে, তখন ভয় পেয়ো না ৷ এসব হবেই কিন্তু তখনও শেষ নয় ৷ এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে, একরাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে ৷ অনেক জায়গায় ভুমিকম্প ও দুর্ভিক্ষ হবে ৷ কিন্তু এ সব কেবল যন্ত্রণার আরম্ভ ৷’ (১৩:৭,৮) মার্ক, ইঞ্জিল ৷
উপরোক্ত আয়াতদ্বয় ইঞ্জিলের সবর্ত্র বর্ণনা করা হয়েছে ৷ ইসলাম ধর্মের বর্ণনায় হাদিছে এ সব তথ্য যা পূর্বাভাসে বর্ণিত প্রকাশ করা হয়েছে ৷ ইঞ্জিল ও হাদিছ অনুসারে, বড় বড় মহাযুদ্ধ সংঘটিত হবে, ভূমিকম্প এবং দুর্ভিক্ষ হবে, বর্তমানে এসব অভিজ্ঞানের আর কিছু বাকী নাই ৷ দেখা যায় যে, এসব পরিচায়কের পূর্বেই এক ব্যক্তি নিজেকে মসিহ সম্রাট বলে পরিচয় প্রদান করতে ভুল করে নি ৷ তিনি অনেক মানুষকে ঠকায়েছেন, বাকপটুতায় তাদের বশীভূত করেছেন ৷ আমার কথা পাঠে তাদের ভুল ভাঙতেও পারে ৷ হযরত ঈসা (আঃ) এর উক্তি অনুযায়ী এ সব চিহ্ন কেবল শুরুর সময় দৃষ্টিগোচরীভূত হবে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে ১৯১৪ সালই হলো তার ইঙ্গিত ৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হয় ১৯১৪ সালে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত হয় ১৯৪৫ সালে ৷ সুতরাং উহার পূর্বে যে এক ব্যক্তি নিজেকে
ঈসা দাবীকারক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন তিনিও কিতাব মতে এক প্রতীক্ষিত ব্যক্তি বলে মনে হয় ৷ কারণ এরূপ হবার বর্ণনা ভাবী বাণীতে রয়েছে ৷ এ রচনায় কি প্রমাণ হয় না যে, কোরআন ব্যতীত অন্য ধর্মের প্রমাণও উত্থাপন করা হচ্ছে, এই উক্তিটি কেবল তাদের নিমিত্তে যারা দম্ভ করে বলেছেন যে, প্রমাণ আনয়ন করতে, যদি (কাদিয়ানীর) মোকাবিলা করতে হয় ! 


মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

কুহকিনীর ডঙ্কা (৫)



কুহকিনীর ডঙ্কা (৫)
আবুলকালামআজাদবাসু

আইন শৃঙ্খলা শান্তি বজায় রেখে সম্ভোগ কামনা বাসনা পূরণ হয়  আর শাস্ত্রনীতি তা ধাপে ধাপে দীর্ঘ সময় ধরিয়া অসৎ  হীন উদ্দেশ্য দূর করে  ৷ মানুষ স্বর্গপুরী অমরা এই উৎকর্ষপ্রাপ্ত বুদ্ধি মানুষের মাঝে সুপ্ত লুপ্ত ছিল, না ধাপে ধাপে বিবেক জাগ্রত হয়েছে তা আজ বলা দায় ৷ সম্ভোগ কামনা বাসনা আজ যে ভাবে লিখা হচ্ছে তা হয়তো একদিন এই বিবেকের কাছে বা বুদ্ধির কাছে জিম্মি ছিল ৷ আর এদের বিরুদ্ধে কিছু বলা হয়তো অপরাধ ছিল ৷ কারণ ঐ সব অত্যাচারী তখন কূলিন বা অভিজাত বংশ ছিল ৷ মানুষ আজকের মত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সমাহার নিয়ে পৃথিবীতে আসে নি ৷ তাই বলি মাটিই মানুষ, মানুষই মাটি ব্যতিক্রম কেবল বিবেক ৷ পুরাণ থেকে প্রমাণিত মানুষ প্রকৃতির কাছে অসহায় হয়ে যুগে যুগে নিজেকে যুগান্তকারী মানুষরূপে গড়ে তোলার সংগ্রাম করেছে ৷ পান পাতা চাষ করার মধ্যে বিবেকের কাছে যে অপরাধ সংঘটিত হয় তা স্বামীর অজানা নয় ৷ বরং এক প্রকার অবৈধ প্রথা বৈধতা লাভ করেছে ৷ শঙ্কা নয়, কেউ শঙ্কিতও হয় নি, না কোন অপরাধ ছিল, সেইদিন যখন  পিতা নিজের অবুঝ মেয়ের জ্ন্য গর্ত খনন করছিল ৷ তখন পিতার চোখে ধূলি ঢুকে পড়লে আদরের স্নেহময়ী মেয়ে নিজের কাপড়ের আঁচল দিয়ে তা পরিষ্কার করে ৷ আর সেই অবুঝ মেয়েটিকে জীবন্ত ঐ গর্তে পুঁতে কবর দেয়া প্রশ্ন জাগরিত হলে বলতে হয় মানুষ ধীর গতিতে বিবেককে জাগ্রত করেছে সময়ের তালে তালে ৷

খুব সুখী কি



খুব সুখী কি
আবুলকালামআজাদবাসু
তুমি কি অতি সানন্দে
তাহলে তুমি আল্লাহর নিকটতম বন্ধনে ৷
তিনিই তোমাকে করেছে ঝঞ্জাট মুক্ত,
কারণ তুমি তাঁর আলোতে আবদ্ধ ৷
তুমি কঠিন বেদনায় সিক্ত
জীবনের মর্মস্পর্শী হেতু সংঘটিত,
না, তিনি তোমায় করেছে পরীক্ষণ ৷
তুমি তো তাঁহার সাথেই আবদ্ধ;
হঠাৎ চকমকি তোমার সান্নিধ্যে
তুমি নিশ্চয় পেয়েছ তাঁর শক্তি ৷
ইচ্ছা দান সবই তাঁর প্রদত্ত,
তুমি কি অতি সানন্দে
আছ তুমি তাঁর বন্ধনে ৷
দূর কারও জন্যে ভাব তারুণ্য,
তুমি নহ কিন্ত কেহ একজনা
তোমার সমস্ত মনদিল আবৃত
স্মরণ করায় তোমার সেই শক্তি,
সে অপর কেহ নয় অসীম দয়া;
আংশিক আল্লাহর শ্বাস বাণী ৷
আনন্দ আহলাদ সাথে ভাব
লীলা কর আপন দেখ৷
অনুভব কর আনন্দ  নিজকে গড়,
সুস্থ  সতেজ সবল সম্পদশালী,
ভাব আল্লাহ আছে তোমায় ঘিরে ৷





শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

১৬ই ডিসম্বরে বিজয় নিশান



 ১৬ই ডিসম্বরে বিজয় নিশান
 আবুলকালামআজজাদবাসু

হে বাংলা মায়ের কোলের সন্তান   
তোমরা পরস্পর সবাই মানব আখ্যান ৷
ঐ সেদিন এক হাঁড়ির রান্না করেছ ভক্ষন ;
ইতিহাস ভুলে আজ তোমরা হয়েছ নন্দন ৷
মানব ভেদাভেদে কেউ যে খৃষ্টান,
কেউ হিন্দু কেউ যে মুসলমান ৷
মায়ের কোল মাতৃস্নেহ প্রবন
নিরাশ কাউকে করে না জ্বলে প্রাণ ৷
তোমরা সবাই এই মাটির সন্তান ৷
দ্বন্দ্ব কলহে কর না মাকে অপমান,
কোল করে খালি কর না মোরে নিঃসন্তান ৷
যতই কর বড়াই তিনি একক মহান,
যেইই করেছে বিশ্বাস, মাটি আমি প্রমাণ 
নেই তার শেষ, ভুলো না সেও তোমার আপন,
হাজার বছর পরে হলেও মা দিবে না বিসর্জন,
তার কোলে গড়া নিজ সন্ততি পুত্র সন্তান ৷
করতে পারে তারা ভিন্ন পথ সন্ধান,
তাতে তুমি হয়ে মহৎ  দেখাও সমীক্ষণ ৷ 
যতই করিবে রব হাম হাম হাম,
ততই দেখিবে মায়ের অশেষ যাতন ৷ 
বল কোমল সুরে তোম তোম তোম,
শীতল কর যত বুলি শক্ত আখ্যান ৷
কেউ হিন্দু কেউ যে মুসলমান,
ইতিহাস জানে মা, তোম আর হাম
আমরা সবাই মানব সন্তান ৷
নাহি তাদের ক্ষয়, নাহি আছে লয়,
পরস্পর হবে দেখা কামার করবে স্পন্দন ৷
সেদিন মাকে বুকে জড়ায়ে বলবে, ‘মা আমার’,
সত্য মা তুমি বলেছ আমরা বাংলা মায়ের সন্তান ৷
এক ঈশ্বর, এক আল্লাহ, এক ভগবান
করবো না দ্বন্দ্ব মিলে মিশে করব  দিনযাপন ৷
মা তুমি ঠিক বলেছ এক ঈশ্বর যিনি তিনি মহান,
ভুলের শাস্তি যত দাও, তবুও কর না পরখ
আমরা সবাই তোমার সন্ততি মানব সন্তান ৷
অন্যায় অবিচারে কেউ পাবে না পার,
তুমি হিন্দু , তুমি খৃষ্টান কি মুসলমান ৷
মহানের সৃষ্টি পৃথিবী, মায়ের জন্মদান,
কেউ যাবে না বিফলে কেবল শয়তান ৷
জন্মদাতা মা ও তার বুলি কে ভুলতে পারে!
শত বছর পর হলেও মা তাদের কোলে দিবে ঠাঁই ৷
তুমি কেন নিষ্ঠুর হয়ে তাদের করবে হনন!
যাদের মাতৃভুমি করে দিবে স্থান ৷
হিটলার দেখায় লক্ষ ইহুদি করে কতল,
পৃথিবী তারে দিয়েছে মানচিত্রে ঠাঁই ৷
তোম আওর হাম হ্যা কোন্ যদি লিখন
তাকে এ বাংলাদেশ তোমার আমার ৷
ধর্মে দিয়ে কভু গড়ে উঠে না স্বাধীন রাষ্ট্র,
তবে জর্ডান এবং ইরান একই রাষ্ট্র হত ৷
মতবিরোধ আর অপরাধ এক নয়
রাষ্ট্র সে কথায় বার বার কয় ৷ 
মতবিরোধ নিয়ে সহ অবস্থান,
মিলে মিশে গাইব  জয়গান
নিজের বর্ণমালাকে দিতে হবে,
সবার ঊর্ধ্বে স্থান,
মহান তাহাই করেছে  প্রমাণ ৷
ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় পবিত্র বিধান ৷
সবাই এক হয়ে গাও বাংলাদেশের জয়গান
একত্রে আজি উড়াও পতাকা বিজয় নিশান ৷







সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

নাহি বাঁধ



           নাহি বাঁধ
আবুলকালামআজাদবাসু

আমি রূহের গান গাইয়ে সাম্য মৈত্রী
বন্ধনে করি আবদ্ধ বৈমাত্রেয় ভাই
বোনদের, তোমরাও মিলে মিশে গাও
এ গান, তবে হিংসা বিদ্বেষ হবে দূর ৷
রূহই একমাত্র সৎপথের পথিক
তোমা আমা মাঝে নাহি আছে বাঁধ ৷
মানুষ যে কেবল নহে যে দোযখের
ইন্ধন, একদিন সত্যিই তরাবে সে,
যখন দেখিবে তুমি রয়েছ বিপদে,
গাও সাম্য মৈত্রীর গান, কর আবাদ,
মানুষে মানুষে নাহি আছে ভেদাভেদ ৷
রূহের দিক দিয়ে ভাব আমরা সব
এক সমান কি হিন্দু কি মুসলমান!
ধরণীতে ঈসা বুদ্ধ গাহিছে এ গান ৷


রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড – (৪)



আমার কথা দ্বিতীয় খণ্ড – (৪)
আবুলকালামআজাদবাসু


রূহ স্বচ্ছ আয়না
লা ইলাহা ইলাললাহু হু আল্লাহ হু
রূহহ পুস্প মাঝে রেখে, চেতনা শক্তি
দিলে ফুৎকারে তাই বলি যে হুআল্লাহু,
হুআল্লাহু , ভাবেতে মজিয়া হইলাম
বিলুপ্ত, রূহ কি ভাবে রয়েছে একাকী ৷
লা ইলাহা  ইল্লাল্লাহু ডাকিয়া ডাকিয়া
তোমারই মাঝে লুকাইছে রূহ; নুর
বলে, আমি আল্লাহর গুণাবলী পুস্প,
আমা মাঝে বাস তোমার, তুমি তো স্বচ্ছ,
আল্লাহু আকবর, আল্লাহ আকবর ৷
আমার মাঝে কর বাস তুমি তো স্বচ্ছ
আয়না, ডাক আল্লাহু আল্লাহ রাব্বানা,
দিল যে কাহার হয়েছে গো দেওয়ানা
ডাকি তোমায় আল্লাহ আল্লাহ রাব্বানা ৷
রূহ এক আয়না স্বরূপ ৷ সদর দপ্তরে অর্জিত ভাল ও মন্দকে পথ দেখায় ৷ রূহে কোন মন্দ নেই ৷ মন্দ দেখতে পাওয়া যায় নিজ জীব আত্মা মাঝে ৷ নুরকেও চেতনাশক্তি প্রদান করা হয়েছে নচেৎ সে সুষম সুঠাম হত না ৷ সেই সাথে চিরদিন বাঁচায়ে রাখার অঙ্গীকারও প্রদান করা হয়েছিল ৷ নুর আল্লাহর গুণরাজী থেকে সৃষ্ট ৷ রূহ নুরের মধ্যমণি ৷ রূহই আল্লাহর নৈকট্য লাভে সাহার্য করে থাকে ৷ চেতনাশক্তি বা চৈতন্যলাভ কি ভাবে সম্ভব হয়েছে ? পাক কোরআন ও হাদিছ বিশারদগণ বলেন, ‘হও’ শব্দ উচ্চারিত হবার সাথে সাথে তাঁর কল্পিত ইচ্ছা অনুযায়ী সব কিছু চৈতন্য প্রাপ্ত হয়েছে ৷ তিনি কে আবার ৷ তিনিই ঈশ্বর ৷ চৈতন্যকে বিশ্বাস করার অর্থই আত্মার জন্ম ৷ সুতরাং অনাত্মবাদই আত্মার কথা বলে ৷ বৌদ্ধ ধর্মে অনাত্মবাদ প্রচলিত কতক নীতি কথায় ৷ আত্মার বিনাশ হয় পরমাত্মায়, আর পরমাত্মা বিনাশ হয় সত্তা মাঝে ৷ একমাত্র সত্তার অধিকারী হলেন ‘আল্লাহ’ ৷


বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

ভবিতব্য



ভবিতব্য
আবুলকালামআজাদবাসু

মানুষ আর জ্বিন দৃশ্য আর অদৃশ্য
মানুষ অসহায় গায় গান খাজা বাবা
কেন যে মানুষে মানুষে এত পরখ
তাঁরা সাধক শয়তানকে করেছে পরাজয় ৷
আমার রক্ত করেছি সম্প্রদান খাজার তরে
মোহছেন আউলিয়া বাস করে বাংলাদেশে ৷
শয়তান বলে আমিও বিশারদ ভাবি
তাইতো সবাই আমারে করে জয় ৷
এ বাণী ঠেকাবে খাপ ছাড়া বুলি
আসলে কবি যিনি লিখেন ভবিতব্য
সত্য মিথ্যা বিজড়িত কতক  নিষেধ
আবার আমার কিছু সূর এমনি ভাবসূচক ৷
কবিতার নাই কিচ্ছা মন মাথানো মর্মান্তিক
জ্ঞান পরিধির বৃত্ত তাতে ঘোরে নিত্য ৷
মহান যদি হয় সহায় বৃত্তের আকার বাড়ায়
শয়তান তখন  দূর দূরে পালায় ৷
মানুষ আর জ্বিন দৃশ্য আর অদৃশ্য
মানুষ অসহায় গায় গান খাজা বাবা
কেন যে মানুষে মানুষে এত পরখ
তাঁরা সাধক শয়তানকে করেছে পরাজয় ৷








বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (৪)



শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (৪)
আবুলকালামআজাদবাসু
তোমার নাম উচ্চারণের আগে আমাকে কি যেন পড়তে বলা হয়ে ছিল  ৷ মনে পড়েছে ‘তা’আউয’ অর্থাৎ আউ’যুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বোয়ানির্ রাজীম  ৷ অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করিতেছি ৷ জনাব, আমার কথা লিখবেন আবার আমাকে দূরে সরাইয়া দিচ্ছেন তাহলে পরশ্পর আলাপ চারিতা কি ভাবে হবে? তোমার কথা শুনে আমাকে হতবাক না হয়ে উপায় কি ৷ আগে বল তুমি কোরাআণের বাণী সমূহ বিশ্বাস কর কিনা ? সেটার জবাব দিব না তবে মিথ্যা নয় ৷ তাহলে বল তুমি আগে বিতাড়িত হয়েছ না আদম ? সেটা তো জানা কথা শয়তান আগে বিতাড়িত হয়েছে তবে আমি পরোপকারী ৷ আমি সব সময়  সত্য প্রকাশ করি ৷ আগে বল দুজন এই তোমরা আদম পরিবার এবং তুমি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে থেকে কিভাবে সখ্যতা গড়ে তোলেছ ৷ এইতো এই সব কথা বলবো না বলেই তো ওয়াদা করেছিলাম ৷ তাইতো মৌলানা সাহবকে কিছু রেওয়াত গল্প কিচ্ছা কাহিনী শিখায়ে বড় করেছিলাম ৷ এই প্রশ্নের জবাব দিলে মানুষকে আর ভুলানো যাবে না ৷ কাকেও বলেছি সর্প হয়ে নিকটে যেতাম, কাউকে বলেছি সীমানায় গিয়ে ডাক দিতাম ৷ আজ আমি এই প্রশ্নের জবাব দিলে মানুষ আমাকে আর বিশ্বাস করবে না ৷ সবচেয়ে বড় কথা আমার এক পত্নী আছে যে সর্প হতে ভালবাসে এমনকি সে সর্প থেকে মানুষের রূপ নিতে পারে ৷ সে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে অবস্থান করে ৷ আদমের সাথে আমার প্রতিনিয়ত কথা হত  ৷ তবে আদমের চেয়ে তাঁ স্ত্রীর প্রতি মোহ কম ছিল না ফলে সখ্যতা মূলতঃ তাঁর সাথে ছিল৷ আগে যদি এই প্রশ্নের জবাব জনে জনে ঠিকভাবে দিতাম তাহলে হত কি? অনেক মানুষ আছে ঐ সর্প এবং আমার বলার কৌশল সবই জেনে যেত ৷ আমি বহু আগে থেকেই চিনি যে আপনি বাস্তব ছাড়া বিশ্বাস করার লোক নন ৷ কারণ একজন এমন রোগী জিরোতে কথা শুনেন এবং মধ্যে মধ্যে লিখেন ৷ কিন্তু মানুষ জিরোতে শুনে না ৷ এই যে কথা বলছি আর কেউ কি শুনছে? আমি একটু আঁচ করতে পেরেছিলাম যখন আল্লাহর আদেশ ফেরেস্তাদের কাছে আসে ৷ পারবো না কেন? আমি কি ফেরেস্তাদের সর্দার বা ইমাম ছিলাম না ৷ তাঁরা পরিষ্কার বুঝে আর আমি অস্পষ্ট শুনতাম তবুও তখন সঠিকই শুনতাম ৷ আমার গর্ব তো ওখানেই কোরআনে আমার কথাই বেশী লেখা হয়েছে আর আপনিই বা আমার ডায়েরী লিখবেন না কেন ? আমিতো মানুষের শিরা উপশিরাই যেতে পারি ৷ কিন্তু যাব কেমনে ? অবশ্য আমাকে ধরার মত লোক নেই তবে আপনার আচার আচরণ  আমার কাছে ভাল ঠেকাচ্ছে না ৷
কেন বুঝেন না? মানুষ জ্বিন এর চেয়ে বুদ্ধিমান হল কেমনে ? বেতার যন্ত্র তো আবিষ্কার করেছেন ৷ আর আমি সেইদিন আল্লাহর কাছে এই বেতার যন্ত্র চেয়ে নিয়েছিলাম ৷ যদি বিশ্বাস না হয় কোরআন ভাল করে পড়েন ৷ আমারও সুর লহরী আছে ৷ জনে জনে গিয়ে এ সুর লহরী শুনাই না ৷ যারা শুনতে চায় কেবল তাদের ৷ আমার অনুরোধ রইলো এমন কিছু পাঠ করবেন না যা আমার সুর লহরী না পৌঁছায় ৷ তখন আদমের বেলায় একটু অসুবিধা ছিল ৷ তথায় আমার প্রতিনিধি পাঠাতে পারতাম না ৷ কেবল এই সুর লহরী দিয়ে আলাপ এবং সৎ উপদেশ দিয়ে সব কিছুকে নীচে নামাইয়া এনেছি ৷ ফলে সব মানুষের মাঝে  কেন পথে ঘাটেও আমার ভক্তের অভাব নাই ৷
কেবল ‘ইয়া হাফীজু’ এই নামটা জপ করবেন না ৷ কারণ এই নাম লিখিয়া সঙ্গে রাখিলে পানিতে ডুবিয়া মরে না, আগুনে পুড়িবে না ৷ বাঘ, ভাল্লুক, জ্বিন, ভূত-প্রেত কোন অনিষ্ট করিতে পারে না ৷ সুতরাং এই নাম আমার এবং আমার জাতির জন্য অনিষ্টকর বিধায় এই নাম জপ্ করবেন না ৷ এখানেই আজ শেষ করি ৷











সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৩

বর্ণমালায় পরিচয়



      বর্ণমালায় পরিচয়
     আবুলকালামআজাদবাসু

সব ভাষাই আপন আপন মাতৃভাষা
আপন মায়ের বুলি ভাষায় আশা
বিশ্বে নিজ ভাষায় প্রকাশ ইচ্ছায়
রচিত মন কল্প বাড়ায় ভাষার
ইতিকথা তেমনি বাংলার বর্ণমালা ৷
লিখন আমার শূণ্য বর্ণ আমার কর্ণ
বিশ্বে বর্মালার ‘ব’ না হলে লেখা অপূর্ণ ৷
হাজারও ইতি কথা বর্ণিত ভরসা
এ লেখায় করিব সম্পুর্ণ ৷
হষতো একদা ছিল মহানের
বাণী তাঁর কথা না হয় হবে কেন
মানব জাতির বর্ণমালা ‘স’
বারে বারে করি প্রচার সেই কথা ৷
বাংলার বর্ণমালা আমার ভাষা
এই ভাষাতেই আমার সব আশা ৷
ইংরেজিতে করি প্রচার প্রসার
বাৎলাকে করি ধন্য
যদিও আমি অতি এক নগন্য ৷
নিজেরে করিব ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় সিদ্ধ
প্রচার প্রসারে বাংলাকে করব প্রসিদ্ধ ৷
ভালবাসিব সবাইকে নিজকে নিয়ে বুকে,
আমার কাছে কেউ নহে গো পর ৷
রচনা রচি কবিতা লিখি ভাবি বিশ্ব
বিশ্ব জুড়ে সব কিছু মহাকাব্যের ছায়াতলে
মহানের বাণী স্ব স্ব বর্ণমালায় বানাব তরী,
সেই তরী যোগে দিব মহাসমুদ্র পাড়ি ৷




শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৩

দেখা দাও না



দেখা দাও না
আবুলকালামআজাদবাসু

একতারার দুতারার সুরের তালে
গহীন অরণ্য ওগো যেও না মূর্ছনা;
সুরের ঝঙ্কারে জেগে উঠ মন মনা,
তালে তালে নাচরে মন দেহের মাঝে ৷
বাজাও ঢুকঢুকি বাজাও ঢোল;
ঢোলকের ঢুকঢুকি মুরালির সূরে
মন নাচে দোলে দোলে সূর মূর্ছনায়
একতারা দুতারা আর বাজাইও না
অমন সূরে; বীণার সুরে মন রাখা
যায় না  মাটির ঘরে; কে গো তুমি দেহ
মন যে নিলে কেড়ে বাদ্য সূর ঝঙ্কারে?
তুমি দেখা দাও না মোরে বিভোর ঘুমে ৷




বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৩

শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (২)



শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (২)
আবুলকালামআজাদবাসু

কি বলতে বলতে কোথায় যে গেলাম, কারণ শয়তান কে? তার কাছে যদি এত শক্তি না থাকে সে কি পারে কথা ভুলাইয়া ফেলতে! আমি বললাম ঐ ভদ্র লোকের মত পথ অনুসরন করছি তার একটা বিবরণ দেয়া ছাড়াই আমাকে (১) লেখা শেষ করতে হল ৷ তা’আউয নামক দোয়াটা মনে পড়ল তখন সে বুঝিয়া বলল আপনি থামুন ৷ যে লোকের কথা বর্ণনায় আনবেন তিনি রীতিমত একজন মৌলানা ৷ হাজারও বক্তৃতা তাঁহার টেপ বন্দী না হলেও বাতাস-বন্দী হয়ে আছে ৷ আর বুঝতেই পারছেন বাতাস ভাসমান যে কোন কিছু আমরা আঁচ করতে পারি ৷ একবার যখন বলছেন ঐ লোকের মত তখন আমার কথায় আপনি শেষ করবেন না ৷ তবে মনে রাখবেন আমি অনুমান করে কাজটা আগে ভাগে করায়ে থাকি সেদিকে আমি একজন সাহয্যকারী ৷
কথাটা বলবেন যখন বলেই ফেলুন ৷ তুমি শয়তান হলেও আমি তোমাকে জানি যে আমার  মতন  ভিন্ন এক জাতি ৷ এই কথাটা আমি সহজে কাকেও বুঝতে দিই না ৷ আমার নাম উল্লেখ করার আগে ফেরেস্তার সর্দার বলতে হতো সাধারণ  মানুষ  কি আর তা  বুঝত যে আমি ফেরেস্তা ছিলাম না    এখনও  যা বুঝে  আমিও ফেরেস্তাদের  মধ্যে একজন ছিলাম, আল্লাহর আদেশ অমান্য করে শয়তান উপাধি প্রাপ্ত  হয়েছি ৷ আমি  ইহাকে শাস্তি মূলক কিছু মনে করি না ৷  মৌলানা  সাহহেব  অতি কষ্টে দিন যাপন  করতে দেখে আমার কষ্ট হয়েছিল ৷  দেখলাম লোকটার গলা কথাবার্তা মনমুগ্ধকর,  ভাবলাম এই বয়সে যদি লেখাপড়া শেষ করাতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমার কাজের ব্যাঘাত ঘটতে  পারে ৷  আমার বিশাল রাজ্য প্রজা ও অন্যান্য মান্য গন্য ব্যক্তিদের কথা পরে বর্ণনা করবো ৷
আপনি আগে ঐ ভদ্র্ লোকের মত কেন ব্যাখ্যা করেন ৷ মাফ করবেন  আপনাকে ঐ ট্রেকে ফেলার দুঃসাহস আমার নাই কারণ প্রথমেই আপনি আমার  পুরান পরিচিত  মৌলনা নেছার সাহেবের নাম উল্লেখ করেছেন ৷ ভদ্র লোককে আমার দূত মারফত বললাম আর লেখাপড়ার  দরকার নাই ৷ মাদ্রাসায় কিছুকাল যাওয়া আসা করলেই সবাই
কিছু না কিছু হয় ৷ ইদানিং অবশ্য একটু কড়া নজরদারী চলছে  ৷ তুমি পাস না করলেও একজন মৌলানা  কারণ তোমার মাঝে সে গুণ আছে ৷ বাকী আমি দেখব ৷ দেখবে তোমার সংসার দিব্বি  ভাল চলছে ৷ এক কাজ কর কিছু সূরা , কিছু  রেওয়াত, কিছু কিছু ভাল কিচ্ছা লোমহর্ষক জাতীয় শিখে নাও ৷ সেইমতে সে অনেক কিছু মূখস্থ করে নিল৷
একদিন কোথাও ছোটখাট অনুষ্ঠানের সংবাদ পেয়ে শয়তানের লোক ছুটে গেল এবং অর্ধ পড়া লোকটিকে দাওয়াত করার অনুরোধ করল ৷ টাকা পয়সা তেমন  লাগবে না শুনে  মালিক রাজী হয়ে গেল ৷
ভাই আমিতো এক পৃষ্ঠার বেশী লিখি না কারণ  এতে পাঠক সমাজের সময়ের ব্যাপার আছে তো  ৷ তবে সত্য এটাই, ‘অসত্যকে দমন করে সত্যকে জয় করতে হয়’৷




শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (১)



শয়তানের ডায়েরী নয় তবে (১)
আবুলকালামআজাদবাসু

এদিক সেদিক কিছু ধর্মীয় পুস্তক পাঠ করে আমি ঐ ভদ্র লোকের পথ অনুসরণ করছি ৷ সাধু ও চলতি ভাষা দোষনীয় একথা শুনেছি কিন্তু এবার নিজেই দেখছি ৷ বাংলা পড়ূয়া এক নওজোয়ান তখন কিছু পান করেন নাই তবে কাল লালচে কি যেন দিয়ে পেট পূর্তি করে নিয়েছে ৷ অবশ্য লেখায় ব্যাকরণ ছিল না দেখে ছেলেটি রেগে বললেন আপনার লেখায় হাজারও ভুল রয়েছে ৷  বাবা আমিতো উপন্যাস বা কোন পাঠ্য পুস্তক লিখছি না ৷ আর সেই যোগ্যতাও নেই ৷ তবে মনে জমা রাখা কিছু স্মৃতি এঁকে যাচ্ছি ৷ যাতে তোমরা ইহাকে ভাল রূপ দিয়ে আরও সুন্দর করতে পার ৷ যেহেতু ইহা শয়তানের ডায়েরী নয় তবে উহাই যে মৌলানা নেছার সাহেবের সাথে শয়তানের ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকায় অনেক ধর্মীয় জ্ঞান তিনি লিপিবদ্ধ করেছন ৷ তাঁহার পুস্তক ছিল শয়তানের ডায়েরী ৷ যথাযথ রূপ দিতে পেরেছেন কারণ  তিনি একদিকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অন্যদিকে ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন ৷  আমার এতসব  লেখার পেছনে শয়তানের যে ভূমিকা একেবারেই নাই  তা বলা  যায় না ৷  আমার প্রথম জীবনে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ছিল ৷ সেই সাথে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে একেবারেই মুক্ত ছিলাম না ৷ শয়তানের সাথে ঘনিষ্ট পরিচয় না থাকলে এবং যথেষ্ট ধর্মীয় কাহিনী জানা না থাকলে শয়তানের ডায়েরী লেখা যায় না ৷ আল্লাহ নিজেই শিখেয়ে দিয়েছেন শয়তানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সদা তা’আউষ নামক দোয়া পাঠ করে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে হয় ৷ তা’আউয নামক দোয়াটি কোরআনের অংশ না হলেও তবে একটি অতিরিক্ত আয়াত যে দোয়া দুজাহানের আনন্দ লাভের ভূমিকা রাখে ৷ মনে মনে শয়তানকে জয় করার আশাই হয়তো ভাল ফল আশা করা যায় এ কারণে আপনার জয় শয়তানের পরাজয় যদিও আমার নিকটবর্তী লোক বিধায় জানি যে সে কখনও পরাজিত হয় না ৷
তবে দোয়াটা সদা তসবিহ্ হিসাবে নিলে শয়তান কোন ক্ষতি করতে পারে না ৷ শয়তান অতি শক্তিশালী না হলে এমন আয়াত যদিও কোরআন নয় হযরত  জিব্রাইল (আঃ) কর্তৃক হযরত (সঃ)কে শিক্ষা দেবার অর্থই হচ্ছে ইহাতে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কিছু গোপন তথ্য বিদ্যমান রয়েছে যা অর্জন করা প্রয়োজন ৷ উচ্চারণঃ আউ’যুবিল্লাহি মিনাশ্ শাইত্বোয়ানির রাজীম ৷
মৌলানা সাহেবের দাওয়াত কবুল করে কয়দিন সফরে বের হয়েছিলাম ৷ শয়তানের সাথে তেমন পরিচয়  ছিল না ৷ শয়তানকে প্রকৃত অবস্থায় দেখতে পাইনি ৷ কারণ শয়তান ও আমার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল সেই হতে তাকে আমি প্রকৃত অবস্থায় দেখতে পাই না ৷ দাওয়াতের বিস্তারিত বিবরণ পেশ করব ইনশ্ আল্লাহ ৷ তবে উক্ত দোয়াটি হামেশা পাঠ করুন ৷ কারণ শয়তানকে বিতাড়িত করার অর্থই আল্লাহকে জয় করা ৷




মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৩

বাস্তব ও অবাস্তব



        বাস্তব ও অবাস্তব
  আবুলকালামআজাদবাসু
বাস্তব যেথায় অনুপস্থিত তথায় অবাস্তব
এইতো শুদ্ধ রীতি হবে দিতি তথায় ৷
যেথায় নাহি আছে জ্ঞান তথায় কি
মূর্খতায় ভরা মানব সমাজ ৷
যেথায় নাহি কোন শব্দ তথায় কি শুনি?
মাতা তথায় কেবল কি দিতি!
দৃশ্যমান যেথায় নাই তথায় অদৃশ্য কি!
লোকে বলে খালি নীল আসমান ৷
পদ্ম দিতির নাচন কথন  বেমানান ৷
যথারীতি আছে মহা জ্ঞান ভাণ্ডার
সেই মানুষের জন্য হল পাঠাগার ৷
চলমান রীতি তিথি সবি বর্তমান ৷
যাহা খুঁজি বুঝি না তার নাই কৌশল
বুঝিতে হবে শূণ্যেরও নীচে সব আছে ৷
ধ্যানে পাবে খুঁজিয়া মিলেছে রত্ন
সকালে উঠিয়া দেখিবে এ ছিল স্বপ্ন ৷



সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৩

কোন সাড়া শব্দ নেই



কোন সাড়া শব্দ নেই
আবুলকালামআজাদবাসু

যেথায় কোন সাড়া শব্দ নেই কিন্তু
আমরা শুনি না তাহা তবে,
তথায় আছে কি তা জব্দ
মনন হয়েছে কল্প উদ্ভট ৷
যেথায় মানুষ শুনে পিঁপড়া গণনায়
ভাবি মনে কল্পনা তা সত্যি কিনা?
সর্ব রয়েছে শব্দ নাম সংঘটন,
কেহ ভাবে কাল্পনিক কেউ দার্শনিক
সবাই পায় তৃপ্তি বর্তমান ৷
মুভি দেখিলাম শুনিলাম
শব্দের পুনঃ পৌনিক সংঘটন
আছে জেনেছি বুঝিলাম না ৷
নীরব নিস্তব্ধ মনন মানসিক
কিসের শব্দ বিবেকের দ্বন্দ্ব
তোমার মাঝে তুমি শব্দ লব্ধ ৷
মৃতকে করে জিন্দা মানুষের স্কন্ধ ৷
তবেই ফিরে পায় নাভী প্রাণশক্তি
ছিলেম একা দেখে প্রেমপ্রীতি
দুজনে মিশে গেছি প্রকৃতির লীলায় ৷
সন্ধ্যাবেলায় মাকে দিবে বিসর্জন
প্রভাতে সে আসিবে ফিরে সেই অল্পক্ষণ ৷
নাভীকে স্কন্দ দ্বারা সতেজ করণ
সাবলীল পদ্ধতিতে মরে নাভী
পদ্ম যদি নাই ফুটে শব্দ নাই,
তেমনি একদিন আমিও ছিলাম না ৷
শব্দ নাই বল না তবে শুনিলাম না;
তোমারে করেছে দান এই পৃথিবী
কর্ম করণে শব্দ বাতাসে মিলায়
খোঁজে দেখ নাইয়ে শব্দের এলান,
কোথায় কি কোথায় সেই স্থান ৷


আমার কথা প্রথম খণ্ড (৩২)



আমার কথা   প্রথম খণ্ড (৩২)
আবুলকালামআজাদবাসু
“মুমিন হইয়া পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেহ সৎকর্ম করিবে তাহাকে আমি নিশ্চয়ই আনন্দময় জীবন দান করিব এবং তাহাদিগকে তাহাদিগের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার দান করিব ৷” ১৬ (৯৭) কোরআন ৷
আল্লাহ নর ও নারীকে সমভাবে আনন্দময় জীবন দান করবেন ৷  প্রশ্ন তোলা হয় নরদের উদ্দেশ্যে কেবল হুর ও গেলমানদের কথা বলা হয়েছে, হয়তো তা ঠিক নহে ৷ যারা মুমিন পুরুষ ও নারী দুজনের নিমিত্তেই এ সব বর্ণনা সমভাবে প্রযোজ্য ৷
পাঠক সমাজ! আলোচ্য বিষয় ৩(৫৫) আয়াতের ব্যাখ্যায় এ পর্যন্ত যত তফসীরকারক দেখা যায়, তাদের মতে ইহুদি রাষ্ট্রকে তারা রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করেন না ৷ তাদের মতে এ হেন একটা রাষ্ট্র কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে গঠন হবার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ সত্য উপলব্ধি তখনি হবে যখনি উহা একটা ইহুদি রাষ্ট্র বলে জনগণ উপলব্ধি করবেন ৷ সে সময় মানুষ ভাববে প্রতীক্ষিত ঈসা মসিহ কই! কারণ পাক কোরআনের আয়াতের কাল পূর্ণ হওয়া মাত্র নির্ধারিত সময়ে যা ঘটার তা ঘটে যায় ৷
“তোমার পূর্বে আমি ওহী সহ মানুষই প্রেরণ করিয়াছিলাম, তোমরা যদি না জান তবে জ্ঞানীগণকে জিজ্ঞাসা কর –প্রেরণ করিয়াছিলাম স্পষ্ট নিদর্শন ও গ্রন্থসহ এবং তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য যাহা তাহাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হইয়াছিল, যাহাতে উহার চিন্তা করে ৷” ১৬ (৪৩ ও ৪৪) কোরআন ৷
আল্লাহ কখনো মানুষ হয়ে জন্মায় না ৷ যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনিই মানুষ সম্পর্কে ভালই জানেন ৷ কোন ইঞ্জিনিয়ার যন্ত্রাংশ তৈরীর পর তা ভালভাবে পরীক্ষা নীরিক্ষা করেই তবে তা মূল যন্ত্রে সংযোজন করে থাকেন ৷ ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কখনো যন্ত্রাংশ হন না ৷ হিন্দুদের মধ্যে এ প্রথা চালু আছে যে ‘বাসুদেব’ যদিও দুনিয়াতে এসেছিলেন প্রতিচ্ছায়া হয়ে তাঁ আসল রূপ নিরাকার ছিল ৷ তিনিই ভগবান বা আল্লাহ (নাউজুবিল্লাহ) ৷ এরূপ ধারণা খৃষ্ট সমাজেও বিদ্যমান ৷ অন্য গোত্র মাঝে এরূপ ধারণা পোষণকারী থাকলেও তাদের সংশোধনের নিমিত্তে উক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে ৷ খৃষ্টানেরা ত্রিত্ববাদ প্রথা চালু রেখেছে ৷ আসলে তা যে ভুল তা প্রমাণ করাও  এ লেখনীর  মূখ্য্ উদ্দেশ্য যেমনঃ আমিই পিতা, আমিই পুত্র, আমিই পবিত্রের ঊর্ধ্বে  এক রূহ ৷ পরবর্তীতে কেন পবিত্রর ঊর্ধ্বে বললাম উহারও বিশদ বর্ণনা পাঠক সমাজ দেখতে পাবেন বলেআশা করি ৷ সে যাই হোক, পূর্ববর্তী আলোচ্য বিষয়ের জের ধরে বলা হচ্ছে যে, জয় ও পরাজয় তাঁর হাতেই ন্যস্ত ৷ কোনটা জয় আর কোনটা পরাজয় তা সময় অতিবাহিত হহলেই বুঝা যায় ৷ যেমন হযরতের (সঃ) এর হুদাবিয়ার সন্ধি চুক্তি ৷ কুচক্রী মহল ক্ষণিকের জন্য এএ রাষ্ট্র জন্ম দিয়ে,  উহা জয় মনে করলেও  পরাজয়টা বুঝা যাবে সময়ের  ব্যবধানে ৷ উহা আল্লাহই  বাস্তবায়িত করবেন ৷ তাদের রয়েছে মানসিক যন্ত্রণা যতক্ষণ না তারা এ সত্য নিরীক্ষা করে ৷


শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৩

আরবী অক্ষরের অজানা ধ্যান (৩)



আরবী অক্ষরের অজানা ধ্যান (৩)
আবুল কালাম আজাদ বাসু

‘হাহ’ অক্ষর আর ‘থোয়া’ অক্ষর এ দুমিলে
পূর্ণ হল ছয় একে একে চৌদ্দ অক্ষর গুলি
আরবী ভাষায় অধম বা উত্তম নয় ৷
কবিতার ছন্দ হলে সব অক্ষরই পেত স্থান ৷
হয়তো যিনি প্রথম করেছেন পাঠ
তিনি কেন বহু বছর গেছে চলে
তবুও হয়নি জানা যত গুণ গুণীর 
প্রথম কে বা জানল অর্ধেক অক্ষরের
হয় না প্রকাশ্য জানা অজানা অর্থ
আরও দুটো অক্ষর পর পর ‘লাম’ আর ‘ইয়া’ ৷
ভাবিলাম দশ অক্ষর পুর্ণ করিব
আরও দুটো অক্ষর যোগ করিয়া,
ভেবেছি লিখায় যোগ করিব কল্পন ৷
পাপে ডুবিয়া আমি নই সব পরীর মরন ৷
কবিতায় পরীদের কথা কেন?
অজানা অন্য  জগত তাপ ছাড়া  মরণ ৷
নফস্ কি  বুঝিলাম না একবারই  মরণ 
তবুও শান্তি পেলাম হায়রে মন বাঁচলাম,
আছি একেবারে মরিনি,
তাই ‘রা’ আর ‘আইন’ আরবী অক্ষর
মোট দশটি অক্ষর করলাম প্রকাশ,
আইন আরবী অক্ষর বাংলার আইন,
আইন ছাড়া অবাধ্যের কোথাও নাই স্থান ৷

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৩

আরবী অক্ষরের অজানা ধ্যান (২)



আরবী অক্ষরের অজানা ধ্যান (২)
আবুল কালাম আজাদ বাসু

বন্ধ হয় না নিজ মন্দ কেবল বাঁধে দ্বন্দ্ব
আরবীর অক্ষর জ্ঞান নাই আঁকি ছন্দ
রহস্য যদি নাই থাকে প্রতি সৃষ্টিতে
সুফল আর কুফল থাকত না ধরাতে ৷
আরবীর তৃতীয় অক্ষর কহিলাম
সবারে ‘কাফ’ ভুল পথে আসে মন্দ ৷
আশ্চায্য হবে কেন কারও কথায়
যদি অক্ষরগুলি কবিতার সৌন্দর্য
হত এলোমেলো সব কেন হবে অর্ধকাংশ?
বিধির বিধান বুঝা দায়
নিজেও আছি লিখন ধাঁধাঁয় ৷
চতুর্থ অক্ষর বলি সবাই ‘হা’
কিন্তু নহে তা পেতাম কেবল সুফল
থাকতাম না এই ধরায় দুর্বল
মানুষ সবল হয় সাধনায়
ধৈর্য কষ্টের অর্জনে কর্মফলে ৷

বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৩

আমার পরিচিতি



                           আমার পরিচিতি
                          আবুলকালামআজাদবাসু
আমার  ভাল নাম আবুল কালাম আজাদ, ডাক নাম বা বাল্যনাম, যে নাম গ্রামে সবাই চিনে ‘বাসু’ ৷ আমার পিতার নাম নুর মোহাম্মদ/নুর আহমদ  ছিল ৷ মাতার নাম নুরজাহান বেগম ৷ দাদা আবদুল হাকিম মুন্সী (দলিল লেখক) ছিলেন ৷ পর দাদা ফজর আলী মুন্সী (দলিল লেখক) ছিলেন ৷ ফজর আলী মুন্সীর পিতার নাম আনু ফকির ছিল ৷ আনু ফকির কোন জায়গা হইতে আগত ভবঘুরে সন্দীপের বাসিন্দা ছিল ৷ আমি তদানীন্তন নাম অনুসারে বাঁশখালী মডেল হাইস্কুল থেকে রোল ১০০ (সাত) ১৯৬৩ ইংরেজীতে ম্যাট্রিক বা এস এস সি পাস করি ৷ সনদ পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ০৫ অক্টোবর ১৯৪৭ইং জন্ম তারিখ ৷ আমার পিতা গ্রামের মান্য গণ্য এবং পেশায় দুই বছর দলিল লেখকের কাজ করেন ৷ তিনি গ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইউনিয়ন পরিষদ সহ প্রায় ছত্রিশ বছর কাল মানুষের খেদমত করেন ৷ তিনি নাটক এবং যাত্রাগান পছন্দ করতেন বলে সেই রকম একদল লোক তাহার ছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় নাটক পরিচালনা করতেন ৷ আমরা ভাই বোন চারজন সবাই প্রতিষ্ঠিত এবং বি এ পাস করি ৷ জন্ম সুত্রে আমাদের বালাম বই অনুসারে আমার জন্ম তারিখ ০৪ এপ্রিল ১৯৪৭ ইং রোজ শুক্রবার ৷ এস এস সি পাস করার পর আমি চট্টগ্রাম সিটি কলেজে লিখাপড়া করি বিজ্ঞান বিভাগে ৷ ফাইন্যাল পরীক্ষায় ১৯৬৫ সালে অকৃতকার্য হই, ইংরেজীতে রেফার্ড পাই ৷ তাই তদানীন্তন পাকিস্তান এয়ার পোর্স এ যোগদান করি ১৯৬৫ সালের ০৫ অক্টোবর ৷ ১৯৬৮ সালে পুনরায় মানবিক বিভাগে এইস এস সি পাস করি করাচী বোর্ড এর অধীনে ৷ সনদ সিরিয়াল নং এইচ এস ০৫৪৮৬৪ রোল নং ১৫৯০৭ ইস্যু তারিখ ৩০শে জুন ১৯৬৯ ইং ৷ আমি করাচী বিশ্বিদ্যালয়ের প্রথম অংশ বিএ পাস করি ১৯৭০ সালে এবং বিএ ফাইন্যাল পরীক্ষার্থী ছিলাম ৷ দেশ বিভক্ত হওয়ার পর  বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এ পাস করি, রোল নং ২০৮৩২ যাহা ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত হয় ৷ 
এই বায়োডাঢা আমার বিশেষ প্রয়োজন না থাকলেও ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে ৷ একদিন ঢাকা যাওয়ার পথে রেলওয়ে স্টেশনে সব ফাইল চুরি হয়ে যায় ৷ তখন  আমার কাছে ডিগ্রি প্রভিশনাল সনদপত্র সহ ছিল ৷ তাই আমি অন্ততঃ দরকারী সনদপত্র যোগাড় করার জন্য দৈনিক ইত্তফাকে ‘হারাইয়াছে’ বিজ্ঞপ্তি দিই ৷ বিজ্ঞপ্তটি নিম্নরূপ:
সোমবার ২৮শে আশ্বিন ১৩৮৬ সম্ভবত ১৫ই অক্টোবর ‘হারাইয়াছে’
আমার এস এস সি সার্টিফিকেট রোল – সাত, নং ১০০ (মানবিক), দ্বিতীয় বিভাগ, সন ১৯৬৩ইং, কুমিল্লা বোর্ড ৷ এইচ এস সি সার্টিফিকেট রোল ১৫৯০৭ মানবিক, দ্বিতীয় বিভাগ, সন ১৯৬৮, করাচী বোর্ড ৷ বি এ (প্রভিশনাল) সার্টিফিকেট রোল ঢাকা নং ২০৮৩২, তৃতীয় ক্লাস, সন ১৯৭১ ইং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৷ আবুল কালাম আজাদ ৷ সি-১২৫৯৭ (খবরের কাগজ) ৷  ১৮ নভেব্মর ১৯৭২ ইং সনদপত্রটি ইস্যু করা হয়েছিল ৷
ইতিমধ্যে আমার এক ঘনিষ্ট কর্মকর্তা এবং একদা সহকর্মী ছিলেন ৷ তিনি অতি কষ্টে আমার মূল সনদপত্র ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যু করান ৷
সেই সনদপত্র সহ আবারও ঢাকা যাত্রাপথে ডাকাতের হাতে হ্যান্ডব্যাগ হস্তান্তর করতে বাধ্য হই ৷ তাই আবারও ‘দৈনিক কর্ণফুলী’ খবরের কাগজে বিজ্ঞপ্তি দিই: কর্ণফুলী পত্রিকা, শক্রুবার ২৬শে ১৪০৩ বাংলা ২৬শে জমাদিউল আউয়াল ১৪১৭ হিজরী ৷ ১১ অক্টোবর ১৯৯৬ইং ৷ ‘পুড়ে গেছে’ আমার এস এস সি দ্বি নকল. এইচ এস সি, বি এ মূল সনদ রোল যথাক্রমে সাত, করাচী বোর্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নং ১০০ সাত কুমিল্লা বোর্ড ১৯৬৩ ইং, ১৫৯০৭ করাচী বোর্ড ১৯৬৮. ২০৮৩২ ঢাকা বিশ্বিদ্যালয় ১৯৭১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সার্ভিস সনদের ক্রমিক নং ০০০২৫২ ৷ আবুল কালাম আজাদ ৷ এল. ১২২৭/৯৬ (খবরের কাগজ), ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪১৭ হিজরী  ১১ অক্টোবর ১৯৯৬ইং ৷
কুমিল্লা বোর্ডের এক সহৃদয় ব্যক্তি আমার কথা শুনে ত্রি নকল এক কপি সনদপত্র ইস্যু করান এবং আমার নিকট পৌঁছান ৷ আমি তাঁর কাছে ঋণী ৷
সার্ভিস জীবনে ১১ই নভেম্ভর ১৯৬৫ সাল পাকিস্তান এয়ার ফোর্স এ যোগদান করি ৷ ১৯৭১ সালে কর্পোরাল পদবী লাভ করি ৷ জুন ১৯৭১ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান সম্পূ্র্ণ পাকিস্তানের আয়ত্তে তা উপলব্ধি করার নিমিত্তে কিছু বিমান সেনাদের দুই মাসের ছুটিতে পাঠান ৷ আমিও একজন ছিলাম তৎমধ্যে ৷ সেপ্টেম্বর মাসে পুনরায় যোগদান করার কথা থাকলেও নিজেকে কতল করে একজন পকিস্তানী সৈন্যের সংখ্যা কমিয়ে দিলাম ৷ বাংলাদেশ হয়েছে সুনির্দিষ্ট সময়ে যেভাবে আমি কিছু অভিভাবকদের বলেছিলাম ৷ ততই বচন আমরা এবং আর যারা পাকিস্তানে বন্দী ছিল তারা সবাই এক পর্যায়ভূক্ত হলাম ৷ এভাবে আল্লাহর রহমতে ১৯৯৩ সালে মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে অবসর  গ্রহন করি ৷ আমার বিশেষ আর কোন পেশা নাই তবে ইন্টারনেটে লিখে মনের সুখে দিন কাটাই ৷