বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (২১)


পিতা কালাম’ জন্ম কালো (২১)
আবুলকালামআজাদবাসু
28/2/2013



বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷

বাল্যকালে এ গৃহ আগুনে ধ্বংস প্রাপ্ত
জানি না কে ই বা করে দান এ বুদ্ধত্ব ৷
মোর জীবন বৃত্তান্ত শুনাবার তরে,
অন্তচক্ষু বিশেষজ্ঞ বিশ্ব মানব-রে,
অবিশ্বাস্য মোর বুলি শুভ্র বিলোচনে
তিনিই চিরঞ্জীবী মহা পরম সত্তা ৷
মহা-গ্রন্থে কথিত বিশ্ব মৈত্রী স্থাপনে
নাহি অলৌকিক ক্ষমতা নাহি দক্ষতা,
কহিলাম প্রাণরাম! নহি প্রকাশিত,
ভ্রমে পতিতজন নহি বীর বিরিখ ৷





বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

রাষ্ট্র আমাদের ধর্ম তোমাদের


রাষ্ট্র আমাদের ধর্ম তোমাদের
আবুলকালামআজাদবাসু
27/2/2013

রাষ্ট্র আমাদের ধর্ম তোমাদের
কোরআন বিশ্ব জগতের
ইসলাম ধর্ম সবার ৷
এ ধর্ম নহে কোন এককের
শুরু থেকে শেষ সবাই ইসলামের
যদি হত এককের
বিশ্বে থাকত না অধিকার নাগরিকত্বের ৷
আল্লাহর ইচ্ছা বাস্তবায়নে
মানুষে মানুষে প্রয়োজন সমতার,
ইসলাম দিয়েছে এ অধিকার
প্রত্যেকের ধর্ম প্রত্যেকের,
বিধির বিধান এ নির্দেশ তাঁহার
রাষ্ট্র আমাদের ধর্ম যার যার ৷
আইন প্রয়োগ সমান সবার উপর ৷
ভুল পথে যাত্রা বাড়বে হানাহানি
ভিন রাষ্ট্রে মুসলিমের গ্লানি
সংখ্যায় তারা হাজার হাজার
সেথায় ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার ৷
রাষ্ট্র আমাদের ধর্ম তোমাদের
কোরআন বিশ্ব জগতের
ইসলাম ধর্ম সবার ৷


মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

আমার কথা প্রথম খণ্ড (২১)


 আমার কথা   প্রথম খণ্ড (২১)
আবুলকালামআজাদবাসু
26/2/2013

নাহি তাতে গর্ব মোর ইচ্ছা আল্লাহর,
শুনা-ব অন্য জাতির ধর্মশাস্ত্র তোরে,
প্রথমে গমন কর নিজ ধর্ম গ্রন্থে ৷
আল্লাহ তাঁরে আকাশে উত্তোলন করে,
তুমি তাঁরে সমাধিস্থ করেছ কাশ্মীরে ৷
স্বার্থ চরিতার্থে কাশ্মীরে নিয়েছ তাঁরে!
যা রচনা করা হচ্ছে তাতে মোটেও কোন গর্ব নেই কারণ এ সবই আল্লাহর ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটছে ৷ একদল মনে করতে পারে তারা কি আল্লাহর অভিলাষের বিরুদ্ধে তাদের রচিত কিতাবাদি উপস্থাপন করেছেন? উত্তরে বলব, ‘না’! তারাও আল্লাহর আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন ৷ তারা গর্বিত এ কারণে যে, কোরআনের ‘আহমদ’ নামটা সমভাবে প্রযোজ্য মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর জন্যও ৷ ভুল ব্যাখ্যার কারণে তারা আজ অহংকারী ৷ তাই তাড়াহুড়া করে ঐতিহাসিক প্রমাণের মাধ্যমে হযরত ঈসাকে (আঃ) ১২০ বৎসর বয়সে মৃত্যু দান করে তারা আত্ম তৃপ্তি লাভ করেছে ৷ শয়তানও এজন্য গর্বিত যে, তার প্রসঙ্গ শতাধিক বার কোরআনে আলোচিত হয়েছে ৷ তারা আকাশ অর্থ খালি ছাড়া আর কিছু বুঝে না অথচ খালি বলতে কোন জায়গা এ বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে নেই ৷ আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান ও জমিন ৷ কিন্তু তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যে, ঈসা (আঃ) কোথায়, কোন আকাশে বাস করছেন? যদি প্রশ্ন করা হয় গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কোথায় বাস করছেন? নিশ্চয়ই তারা বলবে বরযখে ৷ সুতরাং উপরে নীচে সর্বস্তরে জীব বসবাস করার উপযোগী স্থানও আল্লাহ সৃষ্টি করে রেখেছেন ৷
“যাহারা কুফরি করিয়াছে আল্লাহ তাহাদিগকে কখনও ক্ষমা করিবেন না এবং তাহাদিগকে কোন পথও দেখাইবেন না ৷ “ ৪(১৬৮) কোরআন ৷
এরূপ কুফরী কারী অবিশ্বাসী, ভিন্নমত পোষণকারী যুগে যুগে আবির্ভাব হয়েছে, হতে থাকবে ৷ তারা এক আয়াতের সাথে অন্য আয়াত সংযুক্ত করে স্বার্থ উদ্ধার করার তৎপরতা অব্যাহত রাখবে ৷ আল্লাহ তাদেরকে কখনো ক্ষমা করবেন না ৷ তাদেরকে সুপথও দেখাবেন না ৷ তারা নিজেরাই মনে করবে কোরআনকে তারা এত বুঝেছে অন্যরা তাদের সমকক্ষ নন ৷ পাঠক সমাজ! আলোচ্য বিষয় ৩(৫৫) আয়াতের প্রতিকূলে রাষ্ট্র গঠন করায় কি কোরআন মিথ্যা হয়ে যাবে? না, কখনও তা নহে বরং সর্ব কৌশলীর কৌশল তাদেরকে পরাস্ত করে দেবে ৷ আর একদল বলবে যে, রোম সাম্রাজ্য পতনের পর, এ অর্থ পূর্ণ হয়ে গেছে ৷
“তাহাদিগের জন্য আছে সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পারলৌকিক জীবনে: আল্লাহর বাণীর
কোন পরিবর্তন নাই; উহাই মহা-সাফল্য ৷ “ ১০(৬৪) কোরআন ৷
যারা আল্লাহ ও আল্লাহর রসুলের অনুসরণ করে তাদের জন্য ইহলোকে ও পরলোকে সুসংবাদ রয়েছে ৷ আর যারা হযরত (সঃ) পর নবী দাবী কারক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তারা তো এরূপ সুসংবাদকে তাদের কৃতিত্ব বলে প্রচার করে ধর্মগুরু নামে অভিহিত হয়ে গেছেন এবং ভবিষ্যতে তারা নবী রসুলদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে তাতে উপবিষ্ট হবেন ৷ কারণ তারা চায় না যে, সাধারণ নাগরিকত্ব, বরং তাদের প্রয়োজনে প্রধান মন্ত্রীর আসন ৷ তারা ঐ সাধকের ন্যায় পানি চক্রের কথায় ভাবেন যার কোন ইতি নেই ৷ তবে তারা স্বীকার করেন যে, শুরু যখন আছে তার শেষও আছে ৷ কিন্তু নবী আগমন ধারার কোন সমাপ্ত নেই ৷
১৯৪৭ সালে ইহুদি রাষ্ট্রর প্রথম জন্ম হয় জাতিসংঘে আইন পাশের মাধ্যমে ৷ পাঠক সমাজ! বার বার কেন এ রাষ্ট্রের কথা প্রসঙ্গে রচিত হচ্ছে? হয়তো অনেকের মনে এ প্রশ্ন জাগরিত হওয়াটা স্বাভাবিক ৷ কিন্তু ইহার উদ্যোক্তা স্বয়ং আল্লাহ ৷ কারণ হাদিসে বর্ণিত আছে এ রাষ্ট্রের মধ্যে বা অন্য কোথাও যদি একজন ইহুদি লুকিয়ে থাকে তাহলে পাথরও চীৎকার করে কথা বলবে বা দেখিয়ে দিবে ৷ তাই এ কথা প্রকৃতির ভাষা ৷ আজ পাক-কোরআনের বিপরীতে কি একটি রাষ্ট্র গঠন হল না? বিরুদ্ধবাদীরা হয়তো আমার কথার বিপরীতে সোচ্চার হতে পারে ৷ এ আয়াতকে কেন্দ্র করে নিজের জীবন বৃত্তান্ত টেনে আনায় অধিক যুক্তি সঙ্গত মনে হয়েছে ৷ এ রাষ্ট্রের গঠন সম্পর্কে তফছীর মারে-ফুল কোরআনে বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে ৷ সুতরাং ইহাতে নতুনত্ব কিছু নেই ৷ সোজা কথায় বলা যায় কুচক্রী মহল যখন ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন সম্পর্কে দৃঢ় আস্থা পোষণ করেছে তখন আল্লাহ সর্ব কৌশলী যে পন্থা অবলম্বন করেছেন তা হল এ যে, ১৯৪৭ সালে আমার জন্ম নির্ধারিত করে দিয়েছেন যাতে এ দৃষ্টান্ত জনসমক্ষে তোলে ধরতে পারি ৷ তবে ইহার মূল জবাব আল্লাহ ভাল জানেন ৷ কেবল উপস্থাপক হিসেবে আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ব্রতী হয়েছি ৷ যদি এ ব্যাপারে আরও প্রশ্ন জাগে তবে তাঁদের প্রকৃতিকেই জিজ্ঞাসা করা সমীচীন হবে বলে মনে করি ৷
মুনাফিক-গন  তো জাহান্নামের নিম্ন স্তরে রহিবে এবং তাহাদের জন্য তুমি কখনও কোন সহায় পাইবে না ৷” ৪(১৪৫) কোরআন ৷
অবিশ্বাসীদের চেয়ে মুনাফিকগণ অত্যধিক জালেম হয়ে থাকে ৷ তারা একদিকে নিজেদেরকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দান করবে অন্যদিকে আল্লাহর আয়াত সমূহে খুঁত বের করে যা সত্য নয় তা নিয়ে মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিবে ৷ তাদের মধ্যে কাদিয়ানী জামাত অন্যতম ৷ কাদিয়ানী সাহেব ক্ষণে ঈসা, ক্ষণে ইমাম মেহেদি, ক্ষণে মাহদী যার অর্থ ওহী প্রাপ্ত, ক্ষণে ঈসা সদৃশ, আবার মুখে বলে ঈসা সদৃশ বলা কি অপরাধ? ক্ষণে বলে যে, ‘ঈসার মৃত্যু ব্যতীত ইসলামকে জিন্দা করা যাবে না’ . তাদের এ সব ভ্রান্ত মতবাদ বিশ্বে বিশেষভাবে মিডিয়ার যুগে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে চলেছে ৷ আর ইহা অবিশ্বাস্য যে যিনি নবীর তালিকায় থেকেও কোন ওহী দাবীদার নহেন সে ক্ষেত্রে মাহদী নাম যুক্ত করে ওহী প্রাপ্ত বলা আল্লাহর কাছে তা কতটুকু গ্রহণযোগ্য তিনিই তা ভাল জানেন ৷ একথা অনস্বীকার্য যে, স্বয়ং ঈসা (আঃ) যদি বলে তিনিই ঈসা (আঃ), তবুও লোকে তাঁকে বিশ্বাস করবে না, তিনি যদি বলেন পাক-কোরআন সত্য বরং আহমদিয়াত জামাত ভ্রমে পতিত হয়েছে ৷ অবশ্যই তারা একথা কিছুতেই মানবে না ৷ কারণ কাল শেষে মসি-সম্রাটের সংখ্যা অত্যধিক বৃদ্ধি পাবে ৷ তবে ভুললে চলবে না তৃতীয় কাল বলেও এককাল রয়েছে যখন কাকেও সময় দেয়া হবে না ৷ (মারে-ফুল কোরআনের ও ইঞ্জিলের আলোকে) ৷


রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

রূহ


রূহ
আবুলকালামআজাদবাসু
24/2/2013

ফুল তুলিতে রসের বৃন্দাবনে যার
হৃদয় যায় ছুটিয়া বারংবার, বনে
বিষাক্ত কাঁটা বিধে সর্বদা তা মনে
ব্যথা বেদনা অনলে জ্বলে সে দংশনে ৷

তার মাঝে অনন্ত সুখ দেখিয়া কলি
ছুঁইতে নাহি পারে কেউ সেই অরূপ ৷
মানবের সর্ব সুখ স্ব রূহ অরূপ,
রূহ আল্লাহর রূপ অবিকল গুণ,
ভাবিয়া দেখ হে বিশ্ব মানব সমাজ ;
সমালোচনা মুখরে করনা নারাজ ৷
জিন পরী মানব ফেরেস্তা যাবে কোথা
প্রত্যাবর্তনে? পরমাণু এই যে আমা
অন্তরে, আমি অরূপ-রূপ নিরাকার ৷
কোথায় যাও ছুটিয়া সৃষ্টির গহ্বরে!
দেখিয়া লও সব তত্ত্ব যদি জানতে
চাও মোঁরে বিশাল সৃষ্টি-মহাসাগরে ৷

শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

বাম গালে চপেটাঘাত করেছে অথচ ব্যথা পায়নি


বাম গালে চপেটাঘাত করেছে অথচ ব্যথা পায়নি
আবুলকালামআজাদবাসু
23/2/2013

বিষয়বস্তু অনুসারে যে কোন লেখক তাঁর লিখা অনুচ্ছেদের নামকরণ করে থাকেন যা অন্যান্যদের তিনি শেয়ার করার নিমিত্তে লিখেন ৷ তাতে দেখা যায় কিছু সমালোচক বের হন যারা ঐ লেখার সমালোচনা করে বলে থাকেন এই বলে প্রবন্ধটির নাম এটা না হয়ে ঐটা হওয়া উচিত ছিল ৷ আর এক ধরণের লোক সরাসরি ঐ প্রবন্ধটির লেখা নিয়ে সমালোচনা করে থাকেন ৷ এখানে এই প্রবন্ধটির নাম দেয়া হয়েছে ‘বাম গালে চপেটাঘাত করা হয়েছে কিন্তু ব্যথা পায় নি’ অর্থাৎ লোকটি বা অন্যান্যরা কোন ব্যথায় পায় নি, যদিও এরূপ অন্য লেখকের যা শুনে আমার উল্লসিত করে ৷ তিনি বর্তমানে বাংলার জনপ্রিয় লেখক ৷ সত্য এটি যে তা লিখা বাস্তবে একটাও পড়িনি টিবিতে নাটক দেখে থাকি ৷ ঐ বাক্য শুনে মনে উল্লাস জাগে ৷
একটি কুকুর ছিল দুর্বল প্রকৃতির যে পথে চলাকালীন সময় যে কোন কুকুর দেখলেই ঝগড়া করত ৷ একদিন ঐ দুর্বল কুকুর একটি সবল কুকুরের পাশ অতিক্রম করার সময় ঝগড়া শুরু করল ৷ সুস্পষ্ট যে দুর্বল কুকুরটি পরাজয় বরণ করে পালিয়ে যাচ্ছিল ৷ কিছুদূর গিয়েই আবার পেছনে দিকে ফিরে আবার হয়তো গালিগালাজ করে এবং তুমি আমায় বাম গাল চপেটাঘাত করেছ ঠিকই কিন্তু ব্যথা পাইনি ৷ সবল কুকুরটি আবার দৌড়ে গিয়ে কামড় দেয় ৷ তখন দুর্বল কুকুরটি আবার বলতে থাকে দেখি আবার কামড় দাও দেখি ৷ তখন সবল কুকুর ঝাঁপিয়ে পড়ে বেদম ভাবে কামড়াতে থাকে ৷ বাম গালে দেখি কিভাবে তুমি আমার ডান গালে কামড় দিতে পার! তখন আবারও কামড়াতে থাকে ৷ দুর্বল কুকুরটি কামড় খেয়ে পলাতে থাকে এবং পলাতে থাকে অন্য এক স্থানে ৷ হযরত ঈসা (আঃ) বলতেন যে, কেহ যদি বাম গালে চপেটাঘাত করে তাহলে ডানটিও পেতে দাও চপেটাঘাত করতে ৷ এটাই সভ্যতা, ইহাতে বিপক্ষ বুঝতে পারবে অন্যজন কতটুকু সংযত ৷ প্রত্যেকেরই হৃদয় রয়েছে হয়তো কেহ বা প্রকৃতিগত-ভাবে নির্মম ৷ হয়তো এই সভ্যতা বা শান্ত স্বভাব মনুষ্যের মনকে পরিবর্তন এনে দিতে পারে ৷ যদি না হয় তাহলে মানুষের উগ্রতা বা উত্তাপ পৃথিবী থেকে নৈরাজ্য দূর করতে পারবে না ৷
অসৎ কর্মীরা অজ্ঞ লোকদের বিপথগামী করার জন্য নিজ-দলের অন্তর্ভুক্ত করে থাকে এই ধর্মান্ধ বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্ম নানা ভুল তথ্য প্রদান করে ৷ তারা এক ধরনের শিক্ষা প্রচার করে অনুশীলন দিয়ে থাকে ৷ আর তাদের মতবিরোধকে কেন্দ্র করে খ্রিষ্টান ঐটাকে ক্রুশ যুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করে থাকে অন্যদিকে মুসলিমেরা উহাকে জিহাদ বা ধর্মযুদ্ধ বলে থাকে ৷ সত্যিকার অর্থে ঐ মতবিরোধ কেবল তাদের নিজ স্বার্থ হাসিল করার অপ-কৌশল মাত্র যাতে পৃথিবীতে খ্যাত হওয়া যায় ৷
যে কেহ ভাল কর্ম করে থাকেন তাদের এ কর্ম মানুষে দেখতে না পেলেও আল্লাহ তা দেখেন ৷ মতবিরোধের কারণে হিটলার লাখের উপর ইহুদিকে হত্যা করে হয়তো কিছু ইহুদির প্রকৃতিগত দোষ ছিল ৷ কিন্তু সব ইহুদিকে পাইকারি হারে মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রদান করা যায় না কিন্তু তিনি তাই করেছেন ৷ ঐরূপ কিছু কোন ধর্মই হতে পারে না যে মতবাদ বিনা কারণে মানুষ হত্যা করে বা সেই মতবাদ যে কাহারও ণ্রহণযোগ্য না হলে সেই কারণে প্রাণনাশ বা বধ করা উহা কোন ধর্মই নহে ৷ মানুষের চিন্তা করা উচিত যে হিটলার কিন্তু ইহুদি জাতিকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি কারণ উহা আল্লাহর ইচ্ছা নয় ৷
যদি কেহ কোন জাতির মেয়ে-জাতিকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে বলে যে তারা স্ফীত, মেদযুক্ত এবং বেহায়াপনা তাহলে এবং রাস্তাঘাটে পাওয়া যায় এটি ধর্মীয় বা সামাজিক আচরণ  নয় ৷ বরং এটা ঐ সমাজের লোকদের উত্তপ্ত করবে এবং হিংসা বিদ্বেষ বৃদ্ধি করবে ৷ কিছু এমন শব্দ একটি সমাজ ব্যবহার করেছে যা ঈসাকে (আঃ) নিয়ে কিছু লোক বা বৃহত্তর সমাজ তারা মুসলিম নন বা তারা অবিশ্বাসী, তারাও মুসলিম সমাজে ছিল ৷ তিনি কি লিখেছেন: ‘ঈসাকে মরতে দাও যাতে ইসলাম জিন্দা হয় ৷’ যত কথাই লিখুক আমার কাছে এ বক্তব্য প্রতিবাদের বিষয় যদিও আমি খ্রিষ্টান নই ৷ হযরত ঈসা (আঃ) এর জীবনী লিখক হিসাবে তো বটেই ৷ এইরূপ মতবাদ ইসলামের বা ইসলামিকও নয় ৷ যে নীচমনা অর্থে এইরূপ বাক্যাদি ব্যবহৃত হয়েছে তা ঘৃণ্য ৷ অনেকেই বলতে শুনি যে প্রকৃত ইসলামের অনুসারীরাই মুসলিম ৷ একথাটি সব বক্তাই লিখেছেন যে বা বলছেন যে, প্রকৃত মুসলিমদের জন্য আর কোন পরীক্ষা নেই ৷ আমার মনে হয় ঐ সব জ্ঞানী ব্যক্তিদের বক্তব্য সত্য বা মিথ্যা কিন্তু শেষ সময়ে পরীক্ষায় পাশও অনিবার্য ৷৷ (না হয় খ্রিষ্টান, ইহুদি, মুসলিমদের মধ্যে তফাৎ কি)? কিছু লোককে আল্লাহ প্রচুর ধন সম্পদ দান করেছেন হয়তো কেবল আরাম আয়েশ করার জন্য ৷ তা যদি নাইই হয় তবে কেন নয় ঐ সমস্ত নারীদের রাস্তাঘাট থেকে তুলে সুন্দর জীবন যাপন করার বন্দোবস্ত করা হবে না! ঐ সবাই কারও মা বা কারও বোন ৷ দেখুন তা কি ফল বয়ে আনে ৷ অন্তর, সহানুভূতি এবং ভালবাসা মানুষকে দিলে তা শেষ হয়ে যায় না বাস্তবে ঐ সব স্থানে যথেষ্ট প্রাচুর্য রয়েছে যেখানে শতাধিক মহিলা একের তত্ত্বাবধানে ধনী ব্যক্তির আশ্রিতা ৷ হতে পারে তারা কারও শত্রু ৷ আমাদের পেছনে বা সামনে কি দেখি ৷ এটা এরূপ যে একসময়  ব্রিটিশরা ভারতীয়দের শত্রু ছিল ৷ পাকিস্তান বাংলার শত্রু ছিল কিন্তু সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে ৷ ঐ সব দেশ কি এখন শত্রু মনে হয় ?
অন্যের ক্ষতি করা চিন্তা না করে বরং ডান গালটা চপেটাঘাত করার জন্য দেওয়া উত্তম ৷ হাদিসে পাওয়া যায় শেষ যামানায় দজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে তার সাথে দু-জাতিও আসবে যারা মানুষকে অধঃপতনে নিয়ে যাবে ৷ তারা ইয়াজুজ ও মাজুজ ৷ মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইয়াজুজ ও মাজুজ দজ্জালকে সহায়তা করবে ৷ তারও পূর্বে মুসলিমদের মাঝে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে লড়াই করবে এবং সেইসাথে অনেক মুসলিম মারা যাবে ৷ এ যুদ্ধের কারণ হবে একই সত্ত্ব ৷ পৃথিবীর যত্র তত্র দেখা যাচ্ছে মুসলিম জাতির মধ্যে মতবিরোধ এবং অকারণে অনেক লোক মারা যাচ্ছে ৷
রও জানতে পারা যায় যে ইয়াজুজ মাজুজ পৃথিবীর জনসংখ্যার চেয়ে দশগুণ বেশী হবে ৷ হয়তো ঐ জাতিরা পৃথিবী-বাসীকে কোন সময় দিবে না ৷ এটা যদি হয় তাহলে একটু চিন্তার প্রয়োজন ৷ যা খৃষ্টধর্মে বর্ণিত অনুরূপ ইসলামেও উহা কি সত্য নয়?

বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

তোমারে চিনলে না


         তোমারে চিনলে না
আবুলকালামআজাদবাসু
21/2/2013

ও-মন মনুরে কি রূপ-গুণে আইলা,
ভুবনে ভবসাগর পাড়ি দিয়ে তীরে!
তুমি যে তোমারে চিনলে না রং-বেরঙে,
কত লীলা দেখিয়াছ জনম জনমে ৷
ও-মন মনুরে কি রূপ-গুণে আইলা,
ভুবনে ভবসাগর পাড়ি দিয়ে তীরে!
হৃদয় হতে রং দিয়ে তোঁমায় পেয়েছি,
রূপের প্রাণে কেন ঘুরছ মন ও রে!
নীচ আকাশের স্তরে স্তরে তোমারও
আছে বহু ষ্টেশন মনে তোমার নাই ৷
তাকাও-রে মন এবার পিছন ফিরে
কত লীলা দেখিয়াছ জনম জনমে ৷
ও-মন মনুরে কি রূপ-গুণে আইলা,
ভুবনে ভবসাগর পাড়ি দিয়ে তীরে!




বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (২০)


পিতা কালাম’ জন্ম কালো (২০)
আবুলকালামআজাদবাসু
20/2/2013


বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷
চিত্রকর অঙ্কনে হয় না চিদানন্দ,
কালামের বাক্য ‘হও’ এ হয় চিদাত্মা
তিনিই চিরঞ্জীবী মহা-পরম সত্তা ৷
উনিশে রাত্রের স্বপ্নে মোর বিমুগ্ধতা,
সত্য সাক্ষী-দাতার সহায়তায় মোর,
উপায়ন বিশ্বব্যাপী কালোকিষ্টি দীপ্ত ৷
কেহ বলে ‘ব’ ও ‘স’ বর্ণ-দ্বয় কৃষ্ণের,
অন্য কেহ বলে যে তা সিদ্ধার্থ বুদ্ধের ৷
জাহেরি কালাম বলে আলফা ওমেগা,
আমার মতন কৃষ্ণ-মসি জানে না তা,
তাই বারে বারে বক্ষে ধরি মহা-গ্রন্থ ৷


মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

একি দশা তব মোর


      একি দশা তব মোর
আবুলকালামআজাদবাসু
19/2/2013
হায়! হায়! হায়! একি দশা তব মোর,
আমি না হয় ছিলাম অন্ধকারে ঘোর ৷
তোমরা তো ছিলে আলোতে দীপ অনড়ে,
আলোতে করে বাস আমায় দেখ সঙ্কটে ৷
জানি এ বিধান নহে তোমার আমার
তরাও মোরে ধৃত করে কৃত অপরাধে ৷
বলিও না আর বার বার কু-কীর্তনে
তুমি আছ ওপারে আমি আছি এপারে ৷
মধ্যখানে সূদুর পথ এ বলিয়াছি
আমি, আজি পড়িয়াছি অঘোর সঙ্কটে ৷
দু জাহান দু কূলে তারা সুখে দুখে
পরস্পর নিত্য থাকে তারা চলমান ৷
জানিয়া শুনিয়া এ কি দশা করলাম!
আমিই তো ছিলাম বলার হিতাহিত ৷
হায়! হায়! হায়! একি দশা তব মোর
আমি না হয় ছিলাম অন্ধকারে ঘোর ৷



সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

আমার কথা প্রথম খণ্ড (২০)


আমার কথা   প্রথম খণ্ড (২০)
আবুলকালামআজাদবাসু
18/2/2013

তোর লাগিয়া কি করেনি তৈরি প্রকৃতি
যাঁর হস্তে ন্যস্ত নিখিল সার্বভৌমত্ব?
যদি হও উদ্যত করতে দ্বন্দ্ব ভবে,
এসো না তবে সত্য পথে মহা-গ্রন্থের
গর্ব করে বলেছিস আনতে দলিল,
কোন শাস্ত্র হলে তোর গর্ব হবে খর্ব
সর্ব প্রমাণ দাখিলায় আছে নজির ৷
রচয়িতার কিতাব রচনার পূর্বেই সর্ব-কৌশলী এমন নজির সৃষ্টর মধ্যে  আনয়ন করেছেন তা সব ধর্মের ব্যক্তিদের নিমিত্তে বড় ধর্ম বলে কালে সব ধর্মাবলম্বীদের কাছে তা  গ্রহণযোগ্য ৷ তিনিই সেই মহান যাঁর কাছে বিশ্ব প্রকৃতির সার্বভৌমত্ব ৷ যদি পার আনয়ন কর অনুরূপ দৃষ্টান্ত যা কোরআন ও হাদিছ সম্মত হয় ৷ সব ধর্মের মূলই হচ্ছে বিশ্বপ্রকৃতির ধর্ম,যে ধর্মের উদাহরণ আল্লাহই সর্বক্ষেত্রে উপদেশ হিসেবে মানুষের কাছে পেশ করেছেন৷

“এবং ইহা আমার যুক্তি প্রমাণ যাহা ইব্রাহীমকে দিয়াছিলাম তাহার সম্প্রদায়ের মুকাবিলায়; যাহাকে ইচ্ছা মর্যাদায় আমি উন্নীত করি; তোমার প্রতিপালক প্রজ্ঞা-ময়, জ্ঞানী ৷” ৬(৮৩) কোরআন ৷

হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর যামানায় সেই সম্প্রদায়কে বুঝানোর জন্য তিনি দান করেছেন তাঁকে যুক্তি ও প্রমাণ ৷ এ কম্পিউটার যুগে কেবল ওহী প্রচার করে যথাযথ প্রমাণ ব্যতীত কোন মতেই তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না ৷ এ আয়াত ৩(৫৫) কোরআন যে যুক্তি ও প্রমাণ অবতারণা করা হয়েছে তা কোনমতেই কারও খণ্ডানোর পথ হয়তো নেই; কারণ প্রকৃতি এবং কাল ইহাতে জড়িত, আরও বাস্তব দৃষ্টান্ত এ যে ইসরাইল রাষ্ট্র ৷ কারণ এ রাষ্ট্রকে পৃথিবীর মানচিত্র হতে মুছে ফেলা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় ৷  একটা আয়াত দ্বারা যা প্রমাণ হল তার বিপরীতে কোন যুক্তি তর্ক খাড়া করা কোন বিজ্ঞ-লোকের পক্ষে সম্ভব নহে ৷ তবে তারা বলবে ঈসার (আঃ) পুনরাগমন প্রকৃতি বিরোধী ৷ হ্যাঁ, তাই ৷ ইহাই সর্ব কৌশলীর কৌশল ৷ ইহুদিদের চক্রান্ত তিনি যে ভাবে নস্যাৎ করেছেন, সে স্থলে ভেড়া না হয়ে একজন মানুষকে শূলে চড়ানো হল কেন? উপযুক্ত স্থানে প্রয়োজনীয় বস্তু আনয়ন করাই হল পরাক্রমশালীর, প্রজ্ঞা-ময়ের কাজ ৷
“সে দোলনায় থাকা অবস্থায় ও প্রবীণ বয়সে মানুষে সহিত কথা বলিবে এবং সে হইবে পুণ্যবানদের একজন ৷” ৩(৪৬) কোরআন ৷
মুসলিমদের এ তথ্য জানা আছে যে, হযরত ঈসা (আঃ) পুনরাগমন করবেন, কেবল মুসলিম নয় খৃষ্টান জাতিও তা অবগত আছে, কিন্তু ভ্রান্ত মতবাদ পন্থীরা এ ব্যাপারে সন্দিহান ৷ তারা নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে হযরত ঈসাকে (আঃ) সমাধিস্থ করেছেন সুদূর কাশ্মীরে ৷ উপরোক্ত আয়াতের ‘প্রবীণ বয়সে মানুষের সহিত কথা বলিবে’ এতটুকু বাক্যাংশ কোন নবীর জন্য নাযিল হয়নি ৷ তারা যদি তা প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারত তাহলে সেই বছরগুলির জীবন কাহিনী উত্থাপন করতে পারত, তাহলে তাদের প্রমাণ অনেকটা যথাযথ বলে প্রতীয়মান হত ৷ তা ছাড়া এ সব প্রলাপ ছাড়া অন্য কিছু নয় ৷ তাই সুধী-জনের কাছে বরণযোগ্য নহে ৷ আর আল্লাহ অনর্থক কেন বাড়তি আয়াত নাযিল করতে যাবেন? কাল পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোন নির্ধারিত ঘটনা ঘটতে পারে না ৷ ঈসাকে (আঃ) তাঁর কাছে তুলে নিয়েছেন কোরআন ও হাদিছ অনুসারে তাঁর আবির্ভাব সব গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যা প্রকৃতির বিপরীত হলেও আল্লাহ তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না ৷ ব্যাকরণেও ব্যতিক্রম ধর্মী নিয়ম রয়েছে এবং কাল-শেষে এরূপ বৈপরীত্য ধর্মী আইন বা বিধানমালা  প্রকটিত হতে থাকবে ৷
“না, আল্লাহ তাহাকে তাঁহার নিকট তুলিয়ে লইয়াছেন এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞা-ময় ৷” ৪(২৫৮) কোরআন ৷
একদল এ আয়াত উদ্ধৃতি দিয়ে বলে যে, পূর্বাপর কোন লোকই (ইহুদি) দেখা যাচ্ছে না যাকে ঈসা সদৃশ করে শূলে লটকানো হয়েছে ৷ তাদের এরূপ উক্তির আপত্তি খণ্ডন পূর্বেই করা হয়েছে ৷ হযরত ঈসাকে (আঃ) শূলে মৃতবৎ করে রাখার মধ্যে কোন কৌশল, পরাক্রমশালীর কিংবা প্রজ্ঞা-ময়ের পরিচয় পাওয়া যায় না ৷ কারণ এরূপ ঘটনা অহরহ ঘটেছে এবং ঘটতে থাকবে ৷ এমনকি মৃত্যুর পর গোসল দেবার প্রাক্কালেও অনেকে জীবিত হয়ে উঠেন ৷ তর্কের খাতিরে উহাকে পরাক্রমশালীর কর্ম বললে চন্দ্র দ্বি-খণ্ডিত করার ঘটনা, মেরাজ গমন, নীল নদীর উপর রাস্তা তৈরি, প্রায় তিনশত বৎসর পর গুহাবাসীদের জীবিত করে জনসমক্ষে আনয়ন ইত্যাদি কোন অর্থই থাকে না ৷ ইহাতে হযরত ঈসা (আঃ) অনুসারীদের পৃথিবীর যত্র তত্র তাদের আধিপত্য বিস্তার রোধ হয়ে যায় ৷ কারণ নকল মসি বা সদৃশ মসির বিবৃতি কোথাও উল্লখ করা হয় নি ৷
“যাহারা সত্য প্রত্যাখ্যান করিয়াছে আমি তাহাদিগকে ইহকাল ও পরকালে কঠোর শাস্তি প্রদান করিব এবং তাহাদের কোন সাহায্যকারী নাই ৷” ৩(৫৬) কোরআন ৷
সত্য যারা প্রত্যাখ্যান করে, তারা হোক সেকালের বা একালের, তাদের কোন রকম রেহাই নেই ৷ তারা যখন ভুল অনুবাদ নিয়ে তর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছে তখন তারা বিশ্ব-প্রকৃতির দৃষ্টান্ত স্বচক্ষে অনুধাবন করে হৃদয়ঙ্গম করতে পারে যে, যথাযোগ্য প্রমাণাদি বর্ণিত হয়ছে কিনা! ঈসা (আঃ) এর প্রকৃত অনুসারী হল মুসলিম জাতি ৷ কারণ তারাই কোরআন পাঠ করে এবং দৈনিক পাঁচবার আল্লাহর স্মরণে ঈসার (আঃ) নাম নিয়ে থাকেন৷

“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছ তাহাতে আমরা ঈমান আনিয়াছি এবং আমরা এই রাসূলের অনুসরণ করিয়াছি ৷ সুতরাং আমাদিগকে সাক্ষ্য বহনকারীদের তালিকাভুক্ত কর ৷” ৩(৫৩) কোরআন ৷
কোরআনের সব আয়াতকে প্রকৃত মুসলিম যারা তারা তো অন্ধে বিশ্বাস করে ৷  সেদিন তারা তারা জানল যে, ১৯২৮ সালে আবিষ্কার হল সূর্য এপেক্সকে কেন্দ্র করে ঘুরছে অথচ মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী তারও পূর্বে অস্থি মজ্জাসহ ভূতলে মিশে গেছেন ৷ সুতরাং ধূম্রজাল বিস্তার করে মানুষকে ঠকানোর পথ পরিহার করা বাঞ্ছনীয় ৷ অত্যধিক জ্ঞান আহরণের ফলে কেউ যদি বিপদগামী হবার আশঙ্কা থাকে তাহলে তাকে আল্লাহর ও রাসুলের অনুসরণ করাই হবে সরল পথ ৷ মানব আল্লাহর গুপ্তভেদ, প্রেম, জ্ঞান ও ভালবাসার পাত্র ৷ মানবসেবাই সব ইবাদতের মূল বিষয় ৷ উল্লেখ্য যে যারা ৩(৫৫) কোরআনের আয়াত ঠিকভাবে অনুধাবন করতে পেরেছেন তারা নিশ্চয়ই চিন্তা ভাবনায় লিপ্ত হবেন যে, মুসলিম ও খৃষ্ট সমাজের বিপরীতে অভিশপ্ত জাতি মাথাচাড়া দিয়ে কোরআনের প্রতিকূলে একটি রাষ্ট্র গঠন করেছে ৷ ইহা কখনও ইসলামের পরাজয় নহে ৷ বরং  পবিত্র বাণী পূর্ণ হলেই নির্ধারিত ঘটনা সঙ্ঘটিত হবে ৷

রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

এটিই সব


এটিই সব
আবুলকালামআজাদবাসু
17/2/2013
এটিই সব
কোন রকম নেই তলব
যখন সবই হয় পতন
এটিই সব ৷

একজনার উঁচু প্রেরণা
সময়ে হয় মরণ,
সত্য কখনও  হয় না অবসান
দাঁড়িয়ে রয় আজীবন ৷

তাকে ফিরার প্রয়োজন
অসত্য পোড়ান
আসে ফিরে আবার উত্তেজনা
সত্য সবার ঊর্ধ্বে আসে তখন ৷

যদি পড় অধঃপতনে
কেউ নেই জাগরণের
কিন্তু সততাই করে সচেতন
হৃদয় হয় সক্রিয় চেতন
কে করে তা যে কোন?

এটিই সব ৷
কোন রকম নেই তলব
যখন সবই হয় পতন
এই সবই যাথার্থ্য সেজন্য ৷


শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

পিতা ও সাত সন্তান


পিতা ও  সাত সন্তান
আবুলকালামআজাদবাসু
16/2/2013

প্রত্যেক গল্পেই বিরাজ করে ভিন্নতা এবং কিছু সত্য কিছু নিজ থেকে তৈরি বানোয়াট ৷ নিজ বানোয়াট গল্পে যদি অর্থবহ উপদেশাবলি থাকে অন্যের কল্যাণার্থে তাহলে তাকে আশাদায়ক শ্রেণীতে গণ্য করা যায় ৷ যে সব গল্প নিকৃষ্টতম উপলব্ধিতে (অসামাজিক) উহা সমাজ এবং জাতির জন্য ক্ষতিকর ৷ কিছু বাস্তব অমর ঘটনাকে অলঙ্কারাদি যোগ করে তার সাথে উদ্ভট কল্পনা মিশিয়ে আরও অতিরঞ্জিত করে উচ্চ মূল্যে বাজারে বিক্রি করা হয় ৷ এরূপ অর্থ-গৃধ্নু লোলুপ লোক সব সমাজেই পাওয়া যায় যারা (অসামাজিক) মানসিক বিশৃঙ্খল বই কিনে শান্তি বা প্রশান্তি ছেড়ে ৷ ঐ সব লোকের কথা চিন্তা করা যায় যে তারা জীবনে ব্যবসায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে আরও ধনী ও নামীদামী ব্যক্তিরূপে প্রকাশ পেতে ৷ তারা কি গুরু বা গির্জার পিতাদের মত সুখী যাদের কোন অর্থ সম্পদ নেই ৷ অবশ্যই দেখা যাবে যার কোন অর্থ সম্পদ নেই তারা ঐ সব ব্যক্তির তুলনায় অনেক বেশী শান্তিতে ঘুমায় ৷ যার ধন সম্পদ বেশী সে সব সময় মনঃকষ্ট অনুভব করে আর লোভী সম্পদশালী মনঃকষ্ট ছাড়াও ভিতু-স্নায়ু চাপে ভুগেন ৷ কোন এক এলাকায় একজন অত্যন্ত লোভী ব্যক্তি ছিল ৷ তার একে একে সাত সন্তান ৷ কাল্পনিক কাহিনী বর্ণনায় নিজেরও অস্বস্তি লাগে ৷ এমন এক ব্যক্তি যিনি ওয়েব এ সত্য কথাই বলেন তিনিও অনেকের চোখে ধার্মিক ব্যক্তি নন ৷ দৃশ্যত যা দেখা যায় তিনি একজন বড় সাধু এবং ধর্মীয় গুরু ৷ যা হোক গল্পটি এই যে তার সাত সন্তান বড় হয়ে যার যার মতে ঘর সংসার করছে ৷ পিতা বৃদ্ধ থেকে হচ্ছে তাই ভাবল যে হজ্ব যাওয়া উচিত ৷ সুতরাং সে তাই করল, হজ্বে গেল এবং বাড়ি ফিরল ৷ সে ছিল সাংঘাতিক ধরণের কৃপণ যে একটি পয়সাও ছেলে-মেয়েদের জন্য খরচ করত না যদিও তার অনেক টাকা পয়সা ছিল ৷ মনের অভিশাপ অত্যন্ত মারাত্মক কারণ মনের কষ্ট থেকে তা হয় বলে ৷ তার কাজ হল টাকা জমা করা এবং জমিকে প্রসার অন্যের জমি থেকে ৷ নিজের জমিতে বাঁশের ঘেরা দিয়ে গাছ রোপণ এবং পরবর্তী বছর ঐ ঘেরা আর একটু বাহিরে দিয়ে গাছের চারাগুলিকে সরিয়ে দেয়া ৷ যদিও তার রয়েছে বিশাল কক্ষ বিশিষ্ট দালান যা বেশ কয়েক-তলা তবুও তার অভ্যাস ছিল টাকা ও জমি প্রসারিত করা ৷ তাতে সে মনে করত তার ছেলেরা সুখে শান্তিতে থাকবে ৷ ঐরূপে সে জমি প্রসারিত করতে করতে মানুষের হাঁটাচলার পথও দখল করে নিলো ৷ কোনমতে একজন লোক চলতে ফিরতে পারত ৷ তার আশেপাশে সবারই অসুবিধা হতে লাগল ৷ ঘৃণ্য কর্মের জন্য প্রত্যেকই তাকে চলার পথে গালি দিত ৷ লোকটি এখনও মৃত্যু বরণ করেনি কিন্তু মৃত্যুর ভাবনা এবং ভয় তাকে পেয়ে বসল ৷ সে অনেককেই বলে বেড়াতে লাগল তার মৃতদেহ কিভাবে বের করা হবে কারণ তার ঘরের ফটকের সামনে তো জায়গাই নেই ৷ এমনকি মৃত-বহনকারী খাটিয়াও ঐ পথ দিয়ে ফিরাতে পারবে না এবং খাটিয়াটি কোনমতে যেতে পারবে না ৷ গল্পে লোকটি মৃত কিন্তু তার সৌভাগ্য এই যে মৃত্যুর পূর্বে তার ছেলে মেয়েরাই অনেকাংশে ঐ ভাবনা জাগ্রত করতে সাহায্য করেছে ৷ তার এই অসৎ কর্মের জন্য তার ছেলেরাই তাকে গালিগালাজ করত ৷ উহার কারণ তিনটি ছেলেই একের পর এক পাগল হয়ে গেল এবং তারাই পিতাকে এই অপ-কর্মের জন্য দোষারোপ করত ৷ এই সবক্ষেত্রে আল্লাহর অভিশাপের চেয়ে তাঁর বান্দার অভিশাপ বেশী কার্যকারী হয়েছে ৷  আল্লাহ তাঁর সব বান্দাদের ধর্মমত নির্বিশেষে ভালবাসেন ৷ একদিন তিনি নবী নূহকে তার নিজের হাতে তৈরি হাঁড়ি-পাতিল ভেঙে ফেলতে বললেন ৷ সেগুলি ভাঙার সময় তিনি মনে মনে ইতস্তত: বোধ করায় আল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন তার কেমন লাগছে ৷ আল্লাহ বললেন যে তোমার কথায় প্লাবনের আঘাতে আমি না আমার কত বান্দাকে মৃত্যু দান করলাম ৷ সত্যিই একদিন লোকটি মারা গেল তার ছেলেরা চারিদিকে বসে দোয়া করার পরিবর্তে গালিগালাজ করতে লাগল কারণ তারা সমস্যায় পড়ে গেছে কিভাবে মৃতদেহ বের করবে? খাটিয়া ঢুকতে না পারলে ক্ষতি কি! মুসলিম হিসেবে ইসলামের প্রথা এই যে খাটিয়ায় মৃত দেহ তোলার পর চল্লিশ    কদম পথ অতিক্রম করার রেওয়াজ রয়েছে ৷ সেটা করা হয়তো অসুবিধায় তারা পড়েছিল ৷ ঐটা কেবল ঘটেছে ঐ ব্যক্তির স্বার্থপরতার কারণে ৷ অন্যের জমি দখলে নিজের কাছেও থাকে দুর্বলতা ৷ এই সব ক্ষেত্র সমাজের গণ্য মান্য ব্যক্তিদের দেখাশুনা করা দরকার যদি আশপাশ লোকেরা দুর্বল হয় ৷ আর না হয় মানসিক অশান্তি তথায় সদা বিরাজ করে ৷ যতই ধনী হউক, যতই চতুর হউক, যতই বিত্তশালী হউক মৃত্যু একদিন তার আসবেই ৷ আর অসৎ কর্ম করে থাকলে যা জনসাধারণের অসুবিধা হয় তাহলে নিজ পুত্র সন্তানেরাও তাকে বদদোয়া বা গালিগালাজ করবে ৷ ইসলামে এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা যদি কেহ অবৈধভাবে দখল করে তা জঘন্য অপরাধ তাছাড়া আশপাশ লোকেরা যদি দুর্বল অথবা এতিমের জায়গা হলে তা আরও জঘন্য অপরাধে গণ্য ৷ স্ব-কল্পিত গল্পটি কেমন লাগছে!

শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

মায়ের ভাষা


মায়ের ভাষা
আবুলকালামআজাদবাসু
15/2/2013

নিজের ভাষাকে দিয়ে বিসর্জন
পর-ভাষাকে করি আলিঙ্গন
মায়ের ভাষা সবার লাগি আপন
অন্য ভাষা মনকে করে না আকর্ষণ ৷

ভিত ছেড়ে যে যতই দূরে যাক
একদিন আসে ফিরে আঙ্গিনায়
মায়ের ডাকে সাড়া না দিলে
সে যে কষ্ট পায়,
হৃদয় তার ভেঙ্গে হয়ে যায় চুরমার ৷

মায়ের ধর্ম সব সন্তান তার সমান
হউক না সে ভিন্ন রীতি নীতির
তবুও তারা মায়েরই সন্তান ৷
হউক তারা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান,
সন্তানের প্রতি অবিচার অন্যায়
মা করে তার প্রতিকার
দাঁড় করায় দোষীকে কাঠগড়ায় ৷
পিতা তার করে বিচার,
দোষীর গলায় পরিয়ে শক্ত মাল্য
ভ্রাতা তারে রুজ্জু-রশিতে লটকায়
বোন তার শোকের মাহতাম গায় ৷
ধর্ম তার আপন দোষে মাটিতে লুটায় ৷

নিজের ভাষাকে দিয়ে বিসর্জন
পর-ভাষাকে করি আলিঙ্গন
মায়ের ভাষা সবার লাগি আপন
অন্য ভাষা মনকে করে না আকর্ষণ ৷

বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (১৯)


পিতা কালামজন্ম কালো (১৯)
আবুলকালামআজাদবাসু
14/2/2013

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷

আঠার শত আলয় আঠার হাজার,
জপ করে প্রতি শ্বাসে নাম আল্লাহর ৷
উনিশ সংখ্যা বিংশ শতাব্দী অতি-পাত,
উনিশ-তম জগতে মনু দৃশ্যপট ৷
উনিশ সংখ্যা আবিষ্কারে মেহেদি কর্ণ,
বিসমিল্লাহ্‌ শব্দের ‘বে’ থেকে ‘ব’ বর্ণ ৷
মূলে বব্ ইজম বাহাই তাদের রত্ন ৷
মির্জা গোলাম আহমদের অপ-কর্ম,
তারা অপ-ব্যাখ্যায় লিপ্ত এ মহা-গ্রন্থ
ধনকুবের অন্তরে সৃষ্ট রূপ-মূর্তি,
অরূপ-রূপ হয় সৃষ্টির কারু-কীর্তি ৷

বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

কপালে এরূপ ছিল


কপালে এরূপ ছিল
আবুলকালামআজাদবাসু
13/2/2013

ভাণ্ডারে ভাণ্ডারে রয় তফাৎ তা বলে
কর না ইনকার নবী রসুলদের,
যদি বলে তাঁরা মানুষ, তা বলে ভাব
না বদকার, সত্য ধরাতে প্রকাশিত
দিও না বাধা, এ ধরায় কেহ নহে যে
অতিমানব, কে বলেছে তোমায় সব
নবী-রসুল আসতে ইচ্ছা করেছিল
তবে শেষ-যুগে? মানুষের মনে থাকে
আক্ষেপ যদি হতাম আমি শাহজাহান!
কপালে এরূপ ছিল লিখা কোটি কোটি
বছর অগ্রে যদা হয়েছিল পয়দা,
স্ব-ইচ্ছায় কেহ আসতে পারে না ভূ-তে
খণ্ডায়ে পূরব্ নির্ধারিত এ বার্-তা 


সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

আমার কথা প্রথম খণ্ড (১৯)



আমার কথা   প্রথম খণ্ড (১৯)
আবুলকালামআজাদবাসু
12/2/2013

নিজ ধর্মে ভণ্ডামি হীন স্বার্থের তরে,
ধন্য ধন্য হে শিবো, নিনু ধন পিপাসী
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছ নিজ ভাবমূর্তি
হতভাগা! জুটেছে প্রদত্ত অপকীর্তি,
বনিয়া ধনকুবের কি বা সাধ্য রুখে
রক্তে রঞ্জিত কৃষ্ণ-ধনু ধনুক তীর ৷
অবশ্যই ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম, কিন্তু এ ধর্মের অন্তরালে নিজেকে লুকিয়ে রেখে যদি বনিয়াদের সহায়তায় কেহ যদি উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হতে চায় তাদের জন্য তা কখনো সম্ভব হবে না ৷ যারা এরূপ আসক্তিতে আগ্রহী হয়ে ধর্ম প্রচারে অগ্রসর হবে তারাও পশ্চাৎপদ হয়ে ফিরে আসবে ৷ হাদিসের বর্ণনা অনুসারে তাদের কপালে অঙ্কিত করা হবে বিশ্ব-প্রকৃতি কর্তৃক কা-ফে-র যা কখনও কেহ মুছতে পারবে না  কারণ তার নিদর্শন কিয়ামত অবধি আল্লাহ সংরক্ষিত রাখবেন ৷ তারাই মসি দজ্জাল বাহিনীর সদস্য ৷ পশ্চাতে পশ্চাতে কৃষ্ণ ধনুক তীর বিদ্ধ করা হবে যাতে গায়ে বিষাক্ত তীরের আঘাতে তা ক্ষত বিক্ষত হয় ৷ কারণ তাদের স্বভাব হবে একগুঁয়েমি, অবাধ্য ও দুর্দমনীয়, কেহই তাদেরকে সৎ-উপদেশ দ্বারা বশীভূত করতে পারবে না ৷ তারা যে জাতে বিধর্মী হবে এমন বর্ণনা কোথাও নেই ৷ বরং এ কথাই বিশ্বপতি বলেছেন যে, তারা কাফের হবে ৷ (বিশেষভাবে গবেষণায় দেখা যায় যারা কাফের তারা কি নতুনভাবে কাফের হবে?) ৷
আর তা সত্য ধর্মের লোক না হলে প্রশ্ন জাগে কি ভাবে তারা কাফের হবে! কারণ কাফের তো কাফের আছেন, তাদেরকে নূতন করে কাফের বলার প্রয়োজন তো নেই ৷
“তুমি কখনও মনে করিও না যে, আল্লাহ তাঁহার রসুলগণের প্রতি প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন ৷ আল্লাহ পরাক্রমশালী, দণ্ড বিধায়ক ৷” ১৪(৪৭) কোরআন ৷
মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী একজন নবী দাবীকারক ব্যক্তি, সেও এরূপ বহু কোরআনের আয়াত উদ্ধৃতি দিতে সংশয় বোধ করেনি, কিছুদিন পর হয়তো আর একজন জালেম আসবেন সেও এরূপ উদাহরণ পেশ করতে দ্বিধা বোধ করবে না ৷ তাহলে সত্য নিরূপণ কে করবে? মনে হয় ইহার ভার আপা-ততঃ কাদিয়ান, বাহাই এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের উপর ন্যস্ত থাক্ যাতে তারা কোনটি সত্য তা বেছে নিতে পারে ৷ তবে মনে থাকে যেন আল্লাহ যাকে শক্তি প্রদান করে থাকেন, তাকে কেহই রুখতে পারে না ৷ এমনই এক ব্যক্তি ধরায় এসে বিশ্ববাসীকে যদি জানিয়ে দেয় যে, কেবল একটি ধর্ম কেন, সব ধর্ম শাস্ত্র মতে দলিল ও যুক্তি এবং দর্শন, সর্বোপরি বিশ্ব-প্রকৃতির বিশেষ সাক্ষ্য, আনয়ন করা হবে ৷
“বনী ইসরাইলের মধ্যে যাহারা কুফরি করিয়াছিল তাহারা দাউদ ও মরয়াম তনয় কর্তৃক অভিশপ্ত হইয়াছিল ইহা এই হেতু যে, তাহারা ছিল অবাধ্য ও সীমালংঘনকারী ৷” ৫(৭৮) কোরআন ৷
এই অভিশপ্ত জাতি ইহুদি সম্পর্কে দীর্ঘ রচনা নিষ্প্রয়োজন ৷তাদের সীমা লঙ্ঘন এতই গুরুতর ছিল যে, প্রকাশ্যে তারা নবী রসুলদের হত্যা করতেন ৷ নবীদের হত্যাকারী এ অভিশপ্ত জাতি দীর্ঘকাল যাযাবরের ন্যায় পৃথিবী-ময় ছড়িয়ে ছিল ৷ অবশেষে তারা বনিয়াদের সাথে আঁতাত করে এক কৌশল অবলম্বন করলো ৷ কোরআন ও ইঞ্জিলের বাণীতে আল্লাহ তাদেরকে অবিশ্বাসী এবং অভিশপ্ত জাতি-রূপে আখ্যায়িত করলেন ৷
“এবং তাহারা চক্রান্ত করিয়াছিল আল্লাহও কৌশল করিয়াছিলেন; আল্লাহ কৌশলীদের শ্রেষ্ঠ ৷ ৩(৫৪) কোরআন ৷
খৃষ্টান, ইহুদি ও মুসলিম জানে যে, ইহুদি সম্প্রদায় একটি চক্রান্ত করেছিল যে তাঁকে (ঈসাকে আঃ) শূলে চড়ানো হবে ৷ কিন্তু আল্লাহর কৌশল এমন যে প্রকৃতির, মানুষের বোধাতীত, যা ধারণা করা যায় না, আর এরূপ অভিমত পোষণকারী যারা অনুমান-লব্ধ জ্ঞানকে সঠিক বলে তারা তারা নিশ্চয়ই অবিশ্বাসী ৷ কারণ যাদুই কেবল মানুষ আয়ত্ত করতে পারে কিন্তু অলৌকিক কিছু নয় ৷ যেমন চন্দ্র কিভাবে দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল তা আয়ত্তে আনা মানুষের জন্য সম্ভব নয় ৷ 
“স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলিলেন, হে ঈসা! আমি তোমার কাল পূর্ণ করিতেছি এবং আমার নিকট তোমাকে তুলিয়া লইতেছি এবং যাহারা সত্য প্রত্যাখ্যান করিয়াছে তাহাদের মধ্য হইতে তোমাকে মুক্ত করিতেছি ৷ আর তোমার অনুসারীগণকে কিয়ামত পর্যন্ত কাফিরদের উপর প্রাধান্য দিতেছি ৷ অতঃপর আমার কাছে তোমাদের প্রত্যাবর্তন ৷ যে বিষয়ে তোমাদের মতান্তর ঘটিতেছে আমি উহা মীমাংসা করিয়া দিব ৷ ৩(৫৫) কোরআন ৷
পাঠক, পাঠিকার কাছে এ আয়াতের গুরুত্ব তুলে ধরার পূর্বে সবিনয় আরজ এই যে, তাঁরা যেন এ আয়াতের মর্মার্থ ভালভাবে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেন ৷ ঈসাকে (আঃ) উত্তোলনের সংবাদ যেমন ইহাতে রয়েছে তেমনি একই আয়াতে পুনঃ-আগমনের সংবাদও রয়েছে ৷ আরও রয়েছে ঘটমান অনুমান-লব্ধ বর্ণনার কাহিনীর জটিল সমস্যার সমাধান ৷
(১)হযরত ঈসাকে (আঃ) এককাল পূর্ণ হবার সাথে সাথে তাঁর দিকে উত্তোলন ৷
(২) তাঁর শত্রু অর্থাৎ ইহুদিদের মধ্য থেকে ৷
(৩) তোমাকে মুক্ত করছি অর্থাৎ সর্বপ্রকার দুঃখ ক্লেশ থেকে ৷
(৪) তোমার অনুসারীদের কিয়ামত অবধি কাফিরদের উপর প্রাধান্য দিতেছি ৷ এবং
(৫) যে বিষয়ে মতভেদ বিরাজমান তা (ঈসা আঃ এর শূলে চড়ানোর ব্যাপার) কিয়ামত দিবসে মীমাংসা করা হবে ৷
(১) এ উত্থাপনকে কেউ কেউ মৃত্যুরূপে আখ্যায়িত করে অপ-ব্যাখ্যার মাধ্যমে নিজেকে ঈসা বলে দাবী করেছেন ৷ তাদের ব্যাখ্যা যদি সত্যও হয়ে থাকে কোরআন প্রকৃতির বিরুদ্ধে কোটি কোটি বৎসর অগ্র এ আইন পাশ করে রেখেছেন যে, তিনি (ঈসা) আবার আসবেন ৷ ইহাতে কারও সাথে সমকক্ষতা বা তুল্যতার বিষয় নেই ৷
(২) তিনি (আঃ) আরও ইহুদি যারা অবিশ্বাসী ছিল তাদের সম্মুখ থেকে উন্নমিত হয়েছেন ৷ অন্য এক আয়াত বর্ণনা করে যদি বলা হয় যে এখানে তো কোন শত্রু দেখতে পাচ্ছি না যাকে রূপান্তর করা হয়েছে, তাহলে তারা ভাল করে দেখুক যে আল্লাহ কাদের মধ্য থেকে তাঁকে মুক্ত করেছেন ৷
(৩) তোমাকে মুক্ত করছি: ইহার অর্থ কি এরূপ যে তাঁকে শূলে চড়ানো? হয়তো এ কর্ম পূর্বেই সংঘটিত হয়ে গেছে যা মানুষের বোধাতীত ৷
(৪) তোমার অনুসারীদের কিয়ামত অবধি কাফিরদের উপর প্রাধান্য দিতেছি: হযরত ঈসা আঃ এর অনুসারী বলতে প্রকৃতপক্ষে মুসলিমগণ, যদি খৃষ্টানদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাহলেও অনুসারীরা কিয়ামত অবধি অবিশ্বাসীদের উপর প্রাধান্য পায় নি, ফলে আর এককাল পূর্ণ হয়ে গেল; এবং ঘটমান যা তা নবরূপে হযরত ঈসা আঃ এর শুভাগমন বার্তা দিচ্ছে ৷ যেথায় উত্তোলন  সেথায় অবতরণ সংবাদ নিহিত ছিল ৷ ইহার কারণ এই যে, ইসরাইল রাষ্ট্র জন্মের ফলে এ আয়াতের কাল পূর্ণ হয়েছে এবং মুসলিম বা খৃষ্টান কাকেও জয়ী রাখা হয় নি ৷ এবং
(৫) যারা হযরত ঈসাকে আঃ শূলে চড়াচ্ছেন এবং মৃতবৎ করে এইরূপ বর্ণনা করছেন: খোদার কৌশল, তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়, হয়তো তারা কোরআন সম্পর্কে সন্দিহান, এই ঘটনা সর্বকালের জন্য সংশয়যুক্ত থাকবে এবং কিয়ামত দিবসে কেবল আল্লাহ নিজেই তা মীমাংসা করে দিবেন ৷ পৃথিবীতে এরূপ ঘটনা বহু সংঘটিত হয়েছে যে মৃতপ্রায় ব্যক্তি জীবিত হয়েছেন, ইহাতে কোন রকম সর্ব-কৌশলীর কৌশল বা সর্বশক্তিমানের কুদরত প্রকাশের বিষয়বস্তু আছে বলে মনে হয় না ৷

রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

খাজা, খাজা ওহে খাজা


খাজা, খাজা ওহে খাজা
আবুলকালামআজাদবাসু
10/2/2013

খাজা, খাজা ও আমার খাজা!
কেহ কেহ বলে মানুষ মরে
কখনও দিতে পারে না আলো
কিন্তু আত্মা মাঝে আলো আমি দেখি ৷

যা অর্জিত তথায় সে আলো
অনন্ত, সেই অন্যের লাগি দেখায় পথ
সেই-ই ধারা যেতে আল্লার কাছে
কে বলে তুমি নেই সেখানে!
ঐটিই হয়েছে এক জনার স্থান
যখনই জপে-ছ আল্লাহর নাম
তখনই হয়ে গেছে তোমার সব সম্বল ৷

একটি লোকের সেইরূপ অনেক স্থান
আত্মা তা জানে তাতেই তার সংযোগ
এক ধরণের লোক বলে মৃত্যুতেই মৃত
সে-ই দেয় না অন্যকে তার আলো ৷

সাময়িক তারা সত্য বটে নেই তাতে বিজ্ঞান
একটি লোককে দৃশ্যে দেখি লাখ লাখ
তবে কেন আলোকিত আত্মা
করবে না ভ্রমণ এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত
বর্তমান বিজ্ঞানে যদি পারে মৃতও ৷

আসা ও যাওয়ায় রয়েছে অনেক স্থান
যেগুলি আত্মার বিরাম স্থান
সেইগুলিই জানো যদি আদান-প্রদানের জন্য বিরাম স্থান
কবরও সেইরূপ যেথায় মৃতদেহ
আত্মাই বিরাম স্থান করে তৈরি ৷

তাইতো আমি দীর্ঘ গান গাই
বিশ্বাস কর আত্মার আছে অনেক বিরাম স্থান
প্রয়োজনে তৈরি করে অনেক বিরাম স্থান
তথায় ভ্রমণ করে পুণ্য আলোকিত আত্মা ৷

খাজা, খাজা ও আমার খাজা!
কেহ কেহ বলে মানুষ মরে
কখনও দিতে পারে না আলো
কিন্তু আত্মা মাঝে আলো আমি দেখি ৷

শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

বিচার দিবসের পূর্বেই বিচার


বিচার দিবসের পূর্বেই বিচার
আবুলকালামআজাদবাসু
9/2/2013

একগ্রামে খ্যাতিমান এবং শারীরিক বলবান এক লোক ঐ এলাকায় বাস করতেন ৷ তিনি যেমনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী তেমনি সমাজের সামাজিক কর্মক্ষম ব্যক্তি ছিলেন ৷ তখনকার দিনে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং বিভিন্ন সংস্থারও সদস্য ছিলেন ৷ সুতরাং ঐ মহল্লার তিনিই শাসনকর্তা বলা চলে ৷ তিনি একজন মুসলিম এবং তাঁর পিতা ঐ মহল্লায় একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন ৷ দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তিনি আদায় করতেন ৷ এছাড়াও তাঁর প্রচুর জায়গা জমি ছিল ৷ সমাজে তিনি নামকরা একজন ব্যক্তি ৷
পাশাপাশি বাস করতেন অন্য এক ধার্মিক ব্যক্তি যিনি ইসলামের পথ অনুসরণ করে চলতেন ৷ ঐ ধার্মিক লোকটির স্ত্রী গৃহ পরিচারিকা ছিলেন উপরন্তু একজন পর্দানশীন মহিলা ৷ কেউ তাকে দেখতে পেত না এমনকি তিনি নিজ দেবরের সামনেও যেতেন না ৷ প্রয়োজনে পর্দার আড়াল থেকেই দেবরের সাথে কথা বলতেন ৷ এই ছিল দুই পরিবারের বর্ণনা মোটামুটি
পাশাপাশি বাড়ীর অবস্থান এবং তার বাড়ীর সীমানা নিয়ে দু-ব্যক্তির মাঝে বিরোধ ছিল ৷ সেই বিরোধ লোক-সম্মুখে তেমন সাংঘাতিক ব্যাপার ছিল না ৷ দুজনের ছেলেমেয়ে ছিল যারা স্কুলে লেখাপড়া করত ৷ একবার যখন বলা হয়েছে যে বিচার দিবসের পূর্বেই বিচার তখন সত্যিই সত্য রয়েছে ৷ লোকে বিশ্বাস করুক আর নাই করুক এই ঘটনা সত্যিকার অর্থে বর্ণিত হয়েছে ৷
এই ঘটনা সম্ভবত: ১৯৬০ সালে ছিল ৷ সেই সময় দেশ এত উন্নত ছিল না ৷ রাস্তাঘাটের অবস্থাও তদ্রূপ ছিল ৷ যোগাযোগ ব্যবস্থাও ছিল শোচনীয় ৷ ঐ দিনটি বুধবার ৷ মনে থাকার কারণ হল সেদিন সাপ্তাহিক বাজার দিন ছিল ৷ ঘটনা বিবরণের পূর্বে দিনটি বলে রাখার অর্থ ঐ দিন কি ঘটতে যাচ্ছে তা বুঝানোর জন্যে ৷  
হঠাৎ এমন একদিন আসল যে ধার্মিক লোকটির সহধর্মিণী জ্বরে ভুগছিল ৷ শুনেছি কোন কারণ বশত: লোকটি তার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলেছে এবং চপেটাঘাত করেছে ঐ অবস্থায় ৷ জ্বরের কারণে হয়তো ভদ্র মহিলা তিনদিন পর মৃত্যু বরণ করেন ৷ মৃত্যুর পর সচরাচর নিয়মে তাকে দফন করা হয় পাহাড়ের পাদদেশে যেখানে কবরস্থান রয়েছে ৷ সেই থেকে দশ পনের দিন গত হয়ে গেল ৷ শুনা গেল তাকে কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য শহরের হাসপাতালে পাঠানোর আদেশ এসেছে ৷
কে উদ্যোগী হয়ে থানায় ঐ ধার্মিক লোকটির বিরুদ্ধে নালিশ করল? গ্রাম অঞ্চলটি এরূপ ছিল যে ওখান থেকে কোন যানবাহন শহরে আসা যাওয়ার রাস্তা ছিল না ৷ কি ভাবে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে শহরে নিয়ে যাবে সেটি যেন সবাইকে ভাবিয়ে তুলল ৷ আর এরূপ ঘটনা গ্রামে হয়তো প্রথম ৷ সবাই আতঙ্কিত ৷ সাহসিকতার সাথে কিছু লোক পুলিশের সাথে গেল লাশ উঠানোর জন্যে ৷ যাকে কেউ দেখেনি জীবিত অবস্থায় আজ সবাই তার লাশ দেখতে পেল ৷ যখনই লাশটি তোলা হল বাতাসের সংস্পর্শে এসে তা আরও বহুগুণে ফেঁপে উঠেছে ৷ সেই দিনটাই ছিল সেই বুধবার ৷ সমস্ত লোক মর্মান্তিক দৃশ্যটি দেখার জন্য এক জায়গায় একত্রিত হয়েছে ৷ লাশটি উত্তোলনের পর বস্তা ছাটাই জড়ায়ে মৃত লাশ বহনকারী খাটে তোলে প্রথমে ঐ বর্ণিত মসজিদের পুকুর পাড়ে রাখা হয়েছিল ৷ সে কি দুর্গন্ধ সবাই নাকে কাপড় মোড়ায়ে লাশ দেখতে গেল ৷ আর নেতা-রূপী লোকটি পুলিশকে সহায়তা করার জন্যে সদা সাথেই ছিল ৷
খাটিয়াটি বহন করতে চারিপাশে চারজন লোক কাঁধে নিয়ে প্রথমে ঐ মসজিদের পুকুরপাড়ে রেখেছিল ৷ ওখান থেকে শহরের উদ্দেশ্যে পায়ে হেটে লাশ নিয়ে যাবার জন্যে বহন করে আনা হল বাজারের সন্নিকটে ৷ সেই সময় প্রায় বিকেল চারটা আছর নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে লাশটি সেখানে রাখা হল ৷ সেই ধার্মিক লোকটি এবং তার ভাই হলেন আসামী এবং তাদেরকেই দীর্ঘ এগার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে তারপর যানবাহনে লাশটি নেওয়া হবে ৷ অন্য দুজনকে তাদের সাথে খাটিয়া বহন করার জন্য আনা হয়েছিল ৷ তারপর আবার তারা খাটিয়াটি লয়ে শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করল আর পিছন থেকে লোক সকল অবাক হয়ে ভারাক্রান্ত ও অশ্রুসিক্ত-জলে তাকিয়ে রইল ৷
সেই দিন রাতে গ্রামের লোকজন ঠিকমত ঘুমাতে পারেনি এই জন্য যে এরূপ ঘটনা ইতিপূর্বে তারা আর কখনও দেখেনি ৷ সবার মন এক রকম নয় ৷ কেহ কেহ সেই চিন্তায় গত তিন দিন ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করতে পারেনি কারণ সেই দৃশ্য চোখের সম্মুখে ভেসে উঠতও ৷ শুনেছি ঐ ক্ষমতাবান লোকটি থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছিল এবং লাশটি উত্তোলন করে শহরে আনার জন্য তদবির করেছিল ৷
এরপর ঠিক এক বছর গত হল ৷ একদিন ঐ নেতাকে ধারাল ছোরার আঘাতে সতের টুকরা করা হল কিন্তু শরীরের কোন অংশ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ল না ৷ সবচেয়ে একটি বড় আঘাত দেখতে পেলাম কাঁধ থেকে পেট পর্যন্ত ৷ উক্ত ঘটনাটি ঘটে ঐ মসজিদ পুকুরপাড়ে যেথায় ভদ্র মহিলার লাশ প্রথম রাখা হয়েছিল ৷ এই অসৎ কর্মের নায়ক ছিলেন তার ভাই ও ভাইপো ৷ লোকটি স্কুলের প্রতিনিধি থাকায় স্কুল ছুটি হয়ে গেল ৷
হয়তো পাঠক বুধবারের কথা স্মরণ রেখেছেন ৷ একই দশা ঘটল এই লোকটির বেলায়ও ৷ ঐ মহিলার ন্যায় তাকেও মুড়ানো হল ৷ সেই স্থান থেকে মৃত-লোক বহনকারী খাটিয়াটি ঐ স্থানে বাজারের সন্নিকটে আনা হল ৷ তথায় বেলা চারটা বাজায় আছর নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে কিছুক্ষণ রাখা হল ঐ বুধবারে যেথায় রাখা হয়েছিল মহিলার লাশটি ৷ সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য যাত্রা শুরু করা হয় ৷ এটাই বিচার দিবসের পূর্বে যেন বিচার ৷
সত্য ঘটনা শুনে আপনার অনুভূতি কি?