শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

বাম গালে চপেটাঘাত করেছে অথচ ব্যথা পায়নি


বাম গালে চপেটাঘাত করেছে অথচ ব্যথা পায়নি
আবুলকালামআজাদবাসু
23/2/2013

বিষয়বস্তু অনুসারে যে কোন লেখক তাঁর লিখা অনুচ্ছেদের নামকরণ করে থাকেন যা অন্যান্যদের তিনি শেয়ার করার নিমিত্তে লিখেন ৷ তাতে দেখা যায় কিছু সমালোচক বের হন যারা ঐ লেখার সমালোচনা করে বলে থাকেন এই বলে প্রবন্ধটির নাম এটা না হয়ে ঐটা হওয়া উচিত ছিল ৷ আর এক ধরণের লোক সরাসরি ঐ প্রবন্ধটির লেখা নিয়ে সমালোচনা করে থাকেন ৷ এখানে এই প্রবন্ধটির নাম দেয়া হয়েছে ‘বাম গালে চপেটাঘাত করা হয়েছে কিন্তু ব্যথা পায় নি’ অর্থাৎ লোকটি বা অন্যান্যরা কোন ব্যথায় পায় নি, যদিও এরূপ অন্য লেখকের যা শুনে আমার উল্লসিত করে ৷ তিনি বর্তমানে বাংলার জনপ্রিয় লেখক ৷ সত্য এটি যে তা লিখা বাস্তবে একটাও পড়িনি টিবিতে নাটক দেখে থাকি ৷ ঐ বাক্য শুনে মনে উল্লাস জাগে ৷
একটি কুকুর ছিল দুর্বল প্রকৃতির যে পথে চলাকালীন সময় যে কোন কুকুর দেখলেই ঝগড়া করত ৷ একদিন ঐ দুর্বল কুকুর একটি সবল কুকুরের পাশ অতিক্রম করার সময় ঝগড়া শুরু করল ৷ সুস্পষ্ট যে দুর্বল কুকুরটি পরাজয় বরণ করে পালিয়ে যাচ্ছিল ৷ কিছুদূর গিয়েই আবার পেছনে দিকে ফিরে আবার হয়তো গালিগালাজ করে এবং তুমি আমায় বাম গাল চপেটাঘাত করেছ ঠিকই কিন্তু ব্যথা পাইনি ৷ সবল কুকুরটি আবার দৌড়ে গিয়ে কামড় দেয় ৷ তখন দুর্বল কুকুরটি আবার বলতে থাকে দেখি আবার কামড় দাও দেখি ৷ তখন সবল কুকুর ঝাঁপিয়ে পড়ে বেদম ভাবে কামড়াতে থাকে ৷ বাম গালে দেখি কিভাবে তুমি আমার ডান গালে কামড় দিতে পার! তখন আবারও কামড়াতে থাকে ৷ দুর্বল কুকুরটি কামড় খেয়ে পলাতে থাকে এবং পলাতে থাকে অন্য এক স্থানে ৷ হযরত ঈসা (আঃ) বলতেন যে, কেহ যদি বাম গালে চপেটাঘাত করে তাহলে ডানটিও পেতে দাও চপেটাঘাত করতে ৷ এটাই সভ্যতা, ইহাতে বিপক্ষ বুঝতে পারবে অন্যজন কতটুকু সংযত ৷ প্রত্যেকেরই হৃদয় রয়েছে হয়তো কেহ বা প্রকৃতিগত-ভাবে নির্মম ৷ হয়তো এই সভ্যতা বা শান্ত স্বভাব মনুষ্যের মনকে পরিবর্তন এনে দিতে পারে ৷ যদি না হয় তাহলে মানুষের উগ্রতা বা উত্তাপ পৃথিবী থেকে নৈরাজ্য দূর করতে পারবে না ৷
অসৎ কর্মীরা অজ্ঞ লোকদের বিপথগামী করার জন্য নিজ-দলের অন্তর্ভুক্ত করে থাকে এই ধর্মান্ধ বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্ম নানা ভুল তথ্য প্রদান করে ৷ তারা এক ধরনের শিক্ষা প্রচার করে অনুশীলন দিয়ে থাকে ৷ আর তাদের মতবিরোধকে কেন্দ্র করে খ্রিষ্টান ঐটাকে ক্রুশ যুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করে থাকে অন্যদিকে মুসলিমেরা উহাকে জিহাদ বা ধর্মযুদ্ধ বলে থাকে ৷ সত্যিকার অর্থে ঐ মতবিরোধ কেবল তাদের নিজ স্বার্থ হাসিল করার অপ-কৌশল মাত্র যাতে পৃথিবীতে খ্যাত হওয়া যায় ৷
যে কেহ ভাল কর্ম করে থাকেন তাদের এ কর্ম মানুষে দেখতে না পেলেও আল্লাহ তা দেখেন ৷ মতবিরোধের কারণে হিটলার লাখের উপর ইহুদিকে হত্যা করে হয়তো কিছু ইহুদির প্রকৃতিগত দোষ ছিল ৷ কিন্তু সব ইহুদিকে পাইকারি হারে মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রদান করা যায় না কিন্তু তিনি তাই করেছেন ৷ ঐরূপ কিছু কোন ধর্মই হতে পারে না যে মতবাদ বিনা কারণে মানুষ হত্যা করে বা সেই মতবাদ যে কাহারও ণ্রহণযোগ্য না হলে সেই কারণে প্রাণনাশ বা বধ করা উহা কোন ধর্মই নহে ৷ মানুষের চিন্তা করা উচিত যে হিটলার কিন্তু ইহুদি জাতিকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি কারণ উহা আল্লাহর ইচ্ছা নয় ৷
যদি কেহ কোন জাতির মেয়ে-জাতিকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে বলে যে তারা স্ফীত, মেদযুক্ত এবং বেহায়াপনা তাহলে এবং রাস্তাঘাটে পাওয়া যায় এটি ধর্মীয় বা সামাজিক আচরণ  নয় ৷ বরং এটা ঐ সমাজের লোকদের উত্তপ্ত করবে এবং হিংসা বিদ্বেষ বৃদ্ধি করবে ৷ কিছু এমন শব্দ একটি সমাজ ব্যবহার করেছে যা ঈসাকে (আঃ) নিয়ে কিছু লোক বা বৃহত্তর সমাজ তারা মুসলিম নন বা তারা অবিশ্বাসী, তারাও মুসলিম সমাজে ছিল ৷ তিনি কি লিখেছেন: ‘ঈসাকে মরতে দাও যাতে ইসলাম জিন্দা হয় ৷’ যত কথাই লিখুক আমার কাছে এ বক্তব্য প্রতিবাদের বিষয় যদিও আমি খ্রিষ্টান নই ৷ হযরত ঈসা (আঃ) এর জীবনী লিখক হিসাবে তো বটেই ৷ এইরূপ মতবাদ ইসলামের বা ইসলামিকও নয় ৷ যে নীচমনা অর্থে এইরূপ বাক্যাদি ব্যবহৃত হয়েছে তা ঘৃণ্য ৷ অনেকেই বলতে শুনি যে প্রকৃত ইসলামের অনুসারীরাই মুসলিম ৷ একথাটি সব বক্তাই লিখেছেন যে বা বলছেন যে, প্রকৃত মুসলিমদের জন্য আর কোন পরীক্ষা নেই ৷ আমার মনে হয় ঐ সব জ্ঞানী ব্যক্তিদের বক্তব্য সত্য বা মিথ্যা কিন্তু শেষ সময়ে পরীক্ষায় পাশও অনিবার্য ৷৷ (না হয় খ্রিষ্টান, ইহুদি, মুসলিমদের মধ্যে তফাৎ কি)? কিছু লোককে আল্লাহ প্রচুর ধন সম্পদ দান করেছেন হয়তো কেবল আরাম আয়েশ করার জন্য ৷ তা যদি নাইই হয় তবে কেন নয় ঐ সমস্ত নারীদের রাস্তাঘাট থেকে তুলে সুন্দর জীবন যাপন করার বন্দোবস্ত করা হবে না! ঐ সবাই কারও মা বা কারও বোন ৷ দেখুন তা কি ফল বয়ে আনে ৷ অন্তর, সহানুভূতি এবং ভালবাসা মানুষকে দিলে তা শেষ হয়ে যায় না বাস্তবে ঐ সব স্থানে যথেষ্ট প্রাচুর্য রয়েছে যেখানে শতাধিক মহিলা একের তত্ত্বাবধানে ধনী ব্যক্তির আশ্রিতা ৷ হতে পারে তারা কারও শত্রু ৷ আমাদের পেছনে বা সামনে কি দেখি ৷ এটা এরূপ যে একসময়  ব্রিটিশরা ভারতীয়দের শত্রু ছিল ৷ পাকিস্তান বাংলার শত্রু ছিল কিন্তু সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে ৷ ঐ সব দেশ কি এখন শত্রু মনে হয় ?
অন্যের ক্ষতি করা চিন্তা না করে বরং ডান গালটা চপেটাঘাত করার জন্য দেওয়া উত্তম ৷ হাদিসে পাওয়া যায় শেষ যামানায় দজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে তার সাথে দু-জাতিও আসবে যারা মানুষকে অধঃপতনে নিয়ে যাবে ৷ তারা ইয়াজুজ ও মাজুজ ৷ মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইয়াজুজ ও মাজুজ দজ্জালকে সহায়তা করবে ৷ তারও পূর্বে মুসলিমদের মাঝে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে লড়াই করবে এবং সেইসাথে অনেক মুসলিম মারা যাবে ৷ এ যুদ্ধের কারণ হবে একই সত্ত্ব ৷ পৃথিবীর যত্র তত্র দেখা যাচ্ছে মুসলিম জাতির মধ্যে মতবিরোধ এবং অকারণে অনেক লোক মারা যাচ্ছে ৷
রও জানতে পারা যায় যে ইয়াজুজ মাজুজ পৃথিবীর জনসংখ্যার চেয়ে দশগুণ বেশী হবে ৷ হয়তো ঐ জাতিরা পৃথিবী-বাসীকে কোন সময় দিবে না ৷ এটা যদি হয় তাহলে একটু চিন্তার প্রয়োজন ৷ যা খৃষ্টধর্মে বর্ণিত অনুরূপ ইসলামেও উহা কি সত্য নয়?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন