সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১২

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (১৫)


পিতা কালামজন্ম কালো (১৫)

আবুলকালামআজাদবাসু
1/1/2013



বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷
আল্লাহ ব্যতীত সবকিছু ধ্বংস-শীল,
প্রলয় হবে না কভু আল্লাহর জাত ৷
জাতের কথায় যত দ্বন্দ্বের প্রবৃত্তি,
নিঃস্ব মানব জ্ঞান বিনা পাবে না মুক্তি ৷
তাঁর কুদরত নামীয় রাজ্য বা জ্ঞান
যেথায় সৌরভে জ্ঞান বৃক্ষের উৎপত্তি ৷
প্রলয় হবে না কভু আল্লাহর জ্ঞান,
আজ্ঞা বলে আখ্যা তাঁর অন্তঃ-শূন্য প্রজ্ঞা ৷
পুষ্পের হবে না যে মৃত্যু যদি তা হয়,
তাঁর অন্তঃ-শূন্যের প্রজ্ঞার মধ্যমণি ৷



রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২

গদ্যও নয় পদ্যও নয়


গদ্যও নয় পদ্যও নয়
আবুলকালামআজাদবাসু
31/12/2012

এইটি নহে পদ্য
নহে যে গদ্য
তিনি বলেছেন সত্য
এরূপেই ইহার জন্ম
এইটি নহে পদ্য
নহে যে গদ্য ৷ 
তবে এটি একটি বড় তালগাছ
যেটির শিকড় রয়েছে সর্বত্র
কেন তা দেখ না তথায় ?
এটির নেই শুরু
কিংবা আছে শেষ ৷
এটি নয় কল্পিত
তাঁহার থেকে, যিনি সর্বজ্ঞ,
কেহ নাই বলার রুচিকর
তাঁকে একবার ভালবাস
প্রত্যুত্তরে পাবে দশবার ৷




শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২

আমার কথা প্রথম খণ্ড (১৫)


আমার কথা   প্রথম খণ্ড (১৫)
আবুলকালামআজাদবাসু
30/12/2012

 বুঝিলাম বেদের বাণী হবে পূরণ,
 কল্কী অবতার আসিবেন না ধরায়
কঠোর বাক্য বলা নহে সহজতর,
হিন্দু শাস্ত্র মতে শেষ যুগে কৃষ্ণ ভবে ৷
পৃথিবীর জন-জনার কি হবে তাতে!
কট্টর তেলে বেগুনে জ্বলে হবে সিদ্ধ ৷
যদি কৃষ্ণ বা কল্কী অবতার, বুদ্ধ বা মৈত্রেয় বুদ্ধ, পারসিক ধর্মের জরথুস্ত, খৃষ্টানদের খ্রিষ্ট, ইহুদীদের মসিহ এ ধরায় পুনর্বার পদার্পণ করে থাকেন তাহলে দুনিয়ার হাল অবস্থা কিরূপ হবে? প্রকৃতপক্ষে বর্ণিত এ সব ধর্মের সকলের আগমন বার্তা স্ব স্ব ধর্ম গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে ৷ ইসলাম ধর্মে হযরত ঈসা (আঃ) এর আগমন বার্তা কোরআনে যে রূপ বর্ণিত হয়েছে হাদিছে তার দশগুণ বেশী বিবৃত হয়েছে ৷ শেষ-যুগে এতজন ধর্মপ্রচারক একত্রে আবির্ভাব ঘটলে পৃথিবীর কি দশা হবে ?
“ঈসা তো কিয়ামতের নিদর্শন; সুতরাং তোমরা কিয়ামতের সন্দেহ পোষণ করিও না এবং আমাকে অনুসরণ কর ৷ ইহাই সরল পথ ৷” ৪৩(৬১) কোরআন ৷
  খুব সহজ অর্থে বুঝা যায় যে, হযরত ঈসাই (আঃ) কিয়ামতের পূর্বে আগমন করবেন এবং উক্ত আয়াত ও ৩(৪৬) কোরআনের আয়াত এ সাক্ষ্য বহন করে ৷ কিন্তু না, মসিকে  তারা বাধাগ্রস্ত পুনরাগমনে, কেবল তা নহে তারা তাঁকে স্বাভাবিক মৃত্যুও দান করেছেন ৷ ধাপে ধাপে সবিশেষ আলোচনা সুধী সমাজের কাছে উত্থাপিত বিষয় সমূহ, সত্য মিথ্যা নির্ণয়ন করা তাঁদের হাতেই তা ছেড়ে দিয়ে এ কর্তব্য ও দায়িত্ব সম্পন্ন করাই প্রধান উদ্দেশ্য ৷ না, বেশিদূর যেতে হয়নি ৷ ঈসা (আঃ) সম্পর্কিত যত উক্তি যাহা সত্য হোক, মিথ্যা হোক বা অপ-ব্যাখ্যা হোক সবই কাদিয়ানী সাহেবের কাছে তা মৌজুদ ছিল ৷  বলা যায় যে, বাধাগ্রস্ত তো নয়ই বরং  অগ্রযাত্রায় তার গবেষণা আরও সামনে এগিয়ে নিয়েছে ৷ মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর যে ঈসা মসিহ এবং ইমাম মেহেদী হবার সম্পর্কিত পুস্তক পাঠে সদর দপ্তরে এবং হৃদয়ে সৃষ্টি হয় প্রবল স্পৃহা এবং ভাবাবেগ ৷ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি প্রদান করেছে তার এ লেখনী এবং মনে হল হারানো বস্তুটা ফিরে পেয়েছি ৷ উহাই যেন সত্য-মিথ্যা নির্ণয়নের দিক নির্দেশনার এক প্রকার হাতিয়ার হয়ে উঠল কারণ স্বপ্ন এবং এলহাম এই পথের ইঙ্গিত দেয় ৷   
“ঈসা যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ আসিল, সে বলিয়াছিল, ‘আমি তো তোমাদিগের নিকট আসিয়াছি প্রজ্ঞাসহ এবং তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করিতেছ, তাহা স্পষ্ট করিয়া দিবার জন্য ৷ সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুসরণ কর ৷” ৪৩(৬৩) কোরআন ৷ 
হযরত ঈসা (আঃ) এর আগমন ঘটেছিল স্বর্গীয় নিদর্শনসহ এবং তা ইসরাইল বাসীদের  কাছে এমন এক কিতাব নিয়ে যা পূর্বের শরীয়ত রক্ষাকারী এবং তাতে ছিল ইসলামের আধ্যাত্মিক আলো ৷ (ইসলামে কতিপয় লোক সেই আধ্যাত্মিক আলোকে বর্জন করছে আবার খ্রিষ্টানেরা পূর্ণ শরিয়তকে বর্জন করছে) ৷ তিনি (আঃ) কখনো নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবী করেন নি, তবুও তারা তাদের পূর্ববর্তীদের ন্যায় পুরানা রীতি নীতি অনুসারে প্রবাদ বাক্য থেকে তাঁকে (আঃ) ঈশ্বরের পুত্র বলে ধারণা করছে ৷ হযরত ঈসা (আঃ) সম্বন্ধে কাদিয়ান সাহেব অবশ্যই পুরাতন পাগলের ভূমিকায় কোন রূপ কার্পণ্য করে নি ৷ তার বিশেষ গুণ হল যে, তিনি যতটুকু সম্ভব কোরআনের ও হাদিছের জের টেনে বর্ণন   এবং তার সপক্ষে যুক্তি তোলে ধরার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু যেথায় বাধাগ্রস্ত হয়েছেন সেথায় অপ-ব্যাখ্যা করে হলেও নিজের দাবীকে যথার্থ করে তুলে ধরেছেন ৷ প্রয়োজনে কোন অংশকে বাতিল (যেমন হাদিছর এর উক্তি: ‘আকাশ থেকে অবতরণ’) লে ঘোষণা করেছেন ৷  এমতাবস্থায় এই নতুন পাগলের ভাত হবে কি? ইহাই জিজ্ঞাস্য পাঠক সমাজের কাছে ৷ তার বক্তব্য সকল হৃদয়ঙ্গম করে দেখি, যা এ লোকটির বলার ছিল সবই সে প্রকাশ করেছে কেবল দিতে পারে নি আল্লাহ প্রদত্ত দৃষ্টান্ত সমূহ যা প্রকৃতি থেকে এ তথ্য ও তত্ত্ব এ কিতাবে আনা হয়েছে ৷  কাদিয়ানীর এ লেখা স্বস্তি দিয়েছে, অন্তত: গবেষণায় তেমন বেগ পেতে হবে না অনুমান করে ৷
“ইহা সত্য যে, আল্লাহ সত্য এবং তিনিই মৃতকে জীবন দান করেন এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান ৷” ২২(৬) কোরআন ৷
সরল অর্থে ধরণী যখন মৃতবৎ হয়, সুপ্ত শক্তিকে তিনিই আবার জীবিত করেন তদ্রূপ যা মানব হৃদয়ে বা সদর দপ্তরে রক্ষিত ছিল তাও তিনিই জীবিত করেন তিনিই এতই শক্তিমান যে, মৃতকেও জীবিত করে থাকেন তাঁর কুদরত বলে ৷ যাঁরা আল্লাহর বলে বলীয়ান তাঁরা নিজের উপাধি নিজে প্রকাশ করে না ৷ কাদিয়ানীই প্রথম ব্যক্তি যে নিজেকে কলম এর সম্রাট বলে সর্ব সাধারণকে জ্ঞাপন করেছেন ৷ মির্জা কাদিয়ানই দৃঢ়-কণ্ঠে বিশ্ববাসীর কাছে ঘোষণা করেছেন কলমের মাধ্যমে যে, তিনি এলহাম ও ওহী-প্রাপ্ত ব্যক্তি একাধারে ইমাম মেহেদী ও ঈসা মসিহ ৷ এরূপ দাবী ধরণীর বুকে আর দ্বিতীয় কেহ করতে পারলে তাকে সম্মূখে আসার আহ্বান করায়, এ লোকটি বলছে যে, “তোমার দাবী সম্পুর্ণ মিথ্যা ৷” পাঠক সমাজ! সত্য মিথ্যা যাচাই করার নিমিত্তে কষ্টি পাথরে তা যাচাই করা হোক, ‘আমার কথা’ পাঠানতে ৷
“শয়তান যেন তোমাদিগের কিছুতেই নিবৃত্ত না করে সে তো তোমাদিগের প্রকাশ্য শত্রু ৷” ৪৩(৬২) কোরআন ৷
হে আল্লাহ ! তুমি সহায় হও, শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা কর ৷ বিতর্কিত মানুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন, পরিণামে তিরস্কৃত হবার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয় ৷ শয়তানের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দুর্বল, সত্যের দ্বারে তা কখনও টিকে থাকতে পারে না ৷


বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২

বধূ-রূপ


বধূ-রূপ
আবুলকালামআজাদবাসু
28/12/2012

রূহ বধূ-রূপ সাজে সাজিয়া হৃদর
কোণে রহি-ছে লুকাইয়া, দেখ ঘোমটা
খুলিয়া হে মানব! তোমার হিয়া মাঝে
আছে যে লুকাইয়া বধূ সাজে সাজিয়া ৷
যদি নাহি পাও দেখিতে তারে, কল্পনা
কোথা হতে আসে! রয়েছে সে বধূ সাজে
সাজিয়া তোমারই হৃদয়ের গভীরে ৷
তারে লয়ে বিলাও-রে প্রেম ভালবাসা
মানবের তরে শুধু মানব কল্যাণে ৷
রূহ দেহ পতি, রূহ মোর আলো গতি,
রূহ বিনা নাহি সঙ্গতি, নাহি নিষ্কৃতি ৷
বধূ রূপ সাজে সাজিয়া রহি-ছে মন
কোণে, অপূর্ব আলো, রূপে অরূপ দীপ্তি ৷
দেখ ঘোমটা খুলে তারে বধূর সাজে,
রহি-ছে লুকাইয়া তোমারি হিয়া মাঝে ৷




বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১২

বর্তমান মানব-সমাজ এবং লাল গোলাপী চাদর পরিহিত জন


বর্তমান মানব-সমাজ এবং লাল গোলাপী চাদর পরিহিত জন
আবুলকালামআজাদবাসু
26/12/2012

শুরুতেই মানব-সমাজ সম্বন্ধে যে, সত্যের অনুসন্ধানে মানুষ মঙ্গল গ্রহ বা তারও উপরে পৌঁছে গেছেন ৷ আমার মত একজন অজ্ঞই জ্ঞানীদের যাঁরা খুব অত্যন্ত উচ্চ শিক্ষিত তাঁদের বলতে চাই মুখোশ খুলে এই ব্যক্তি, যিনি নিজ সম্পর্কে বলেছেন এবং লিখেছেন, সে জন্য সব দিক ছেড়ে এই লোকটি কথা বলছে ৷ মানুষ কি না আবিষ্কার করেছে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত ৷ আল্লাহ বলেছেন জীবন, মৃত্যু এবং রিযিক এই তিনটি জিনিষের চাবিকাঠি তাঁর হাতে ৷ মানুষ ইচ্ছা করলেও এ সব জয় করতে পারে না আল্লাহর আশীর্বাদ ছাড়া ৷ অধিকাংশ লোকই তেমন কিছু জানতে চায় না ধর্ম বাণী সম্বন্ধে কিন্তু তারা অগ্রসর হয় গন্তব্যের দিকে নাম ও খ্যাতির আশায় ৷ খুব কম লোকই মৃত্যুর কথা চিন্তা করে সেই সাথে ধর্মের বাণীর প্রতিও ৷ মানুষ মৃত্যুকে জয় করতে চায় এবং তারা আবার যৌবনে ফিরে যেতে চায় যেথায় তারা জীবনের সুখ অনুভব করেছিল ৷ বিজ্ঞান বহু উন্নতি লাভ করেছে সত্য তবে একথা মনে রাখা উচিত যে আল্লাহ একজন মহাবিজ্ঞানী না হলে এই বিশাল পৃথিবী সমূহ কিভাবে সৃষ্টি করেছেন ৷ কোনক্রমেই মৃত্যুকে এড়ানো বা জয় করা যেটি আল্লাহ নিজ হাতেই রেখেছেন, মানুষের হাত ঐ পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না ৷ এইরূপ সনদ পত্র বা ক্ষমতা মানুষকে যদি দেওয়া হত তাহলে তারা তখন ডারউইনের সুত্রমতে বলতো যে মানুষের উৎপত্তি বানর প্রাণী থেকে ৷ মানুষ তখনই আল্লাহকে স্মরণ করে যখন সে বিপদে পড়ে ৷ মানুষ সব কিছু ভুলে গিয়ে নিজের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের জন্য কেবল আল্লাহকে ডাকেন ৷ মানুষের যখন দুর্দশা নেমে আসে তখন সম্পূর্ণভাবে অসহায় হয়ে পড়েন ৷ যখন আল্লাহ তাদের দুর্দশা লাঘব করেন তখন তারা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান ৷ তারা অকৃতজ্ঞ আল্লাহ তা কোরআনে বলেছেন ৷
এ লোকটার কি কিছু বলার আছে যা তাদের হৃদয়কে আকর্ষণ করবে যার দ্বারা তারা আল্লাহকে স্মরণ করবে ? ভবিষ্যতে কি ঘটবে সেই সম্পর্কে নতুন কিছু বলার নেই ৷ সমস্ত নবী-রসুলগণ এই সম্পর্কে সব কথাই বলে গেছেন যে ভবিষ্যতে কি ঘটবে এবং সেই ঘটতে থাকবে ৷ তখনকার দিনে ইহুদীদের মধ্যে অনেক বিজ্ঞ পণ্ডিত বা সাধু ব্যক্তি ছিলেন  ৷ তাদের মধ্যে অনেকেই ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা বলতে পারতেন কারণ জিনজাতি তখন বেহেস্তের কাছাকাছি যেতে পারত, বর্তমানে এ পথ রুদ্ধ ৷ সেই দিনে জিনজাতিরা স্বর্গের দৈববাণীর কিয়দংশ শুনতে পেত এবং মানুষকে তা সত্য মিথ্যা জড়ায়ে ব্যক্ত করত ৷ বর্তমানে এপথ সম্পূর্ণ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় নবীদের ভবিষ্যত বাণী সমূহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় বিষয় হয়ে পড়েছে ৷ সন্দেহ নেই যে মানুষ উন্নতি লাভ করছে সেই সাথে দিনও নিকটবর্তী হচ্ছে আল্লাহর দপ্তর গুটিয়ে ফেলার ৷
বর্তমান বিশ্ব উন্নতির সাথে সাথে বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন হচ্ছে এবং সভ্য দেশগুলির উন্নতি লাভ একটি গন্তব্যে পৌঁছতে শুরু করেছে যা নাকি আদি যুগের নবী লুত আঃ এর জামানায় ছিল, হায় কি লজ্জাকর ব্যাপার! এটা কোন দেশের নয়, কিন্তু তারা ডেকে আনছে দুর্ঘটনা বা বিপদ বিশ্ববাসীর জন্য, তারা বিশ্বকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে কিন্তু ইসলামকে নয় ৷ আমার লক্ষ্য হল সেই স্বপ্ন সম্বন্ধে বলা উহা কারও জন্য গুরুত্বপূর্ণ আবার কারও জন্য নয়, এ তেমন তাৎপর্যপূর্ণ নয় ৷
গবেষণায় বলে নতুন বাইবেলে রক্ত চাদর পরিহিত ব্যক্তি, হাদিছ বলে দুটো লাল গোলাপী চাদর পরিহিত ব্যক্তি, এবং সেই বুদ্ধ পরিধান করেছেন রক্তমাখা ঐ শিকারীর বস্ত্র, এই সব মিলেই এই পুস্তক গবেষণামূলক ৷ প্রত্যেক ধর্ম গ্রন্থে এটা বলা হয়েছে যে সব নবীই আবার আসবেন ৷ একমাত্র মোহাম্মদ (সঃ) একথা বলেন নি ৷ একসাথে এত নবীর আগমন সম্ভব নয় এবং তাঁদের পুনরায় প্রেরণ করে আল্লাহর ইচ্ছাও পূর্ণ হবার নহে ৷ গবেষণায় এটিই পাওয়া যায় যে কোরআনই শেষ ধর্ম গ্রন্থ ৷ কোরআন ছাড়া নতুন কোন আল্লাহর বাণী এ ধরায় আসবে না ৷ এ জাতীয় বাণী নতুন বাইবেল এ পাওয়া গিয়াছে যে ঈসা (আঃ) বলেছেন, ঐ জাতি অর্থাৎ ইহুদি জাতি ঐ সময় থাকবে যখন তিনি আবার আসবেন ৷ তদ্রূপ কোরআনের ৩(৫৫) আয়াতে বলা হয়েছে খ্রীষ্টান তথা মুসলিম দিগকে কিয়ামত অবধি জয়ী অথবা প্রাধান্য দেয়া হবে এই ভিত আর বিদ্যমান আছে বলে মনে হয় না যখনই নতুন রাষ্ট্র পয়দা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে মুসলিম বিরোধী রাষ্ট্র সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে আয়াতের সময়কাল নির্ণয়ণ অপরিহার্য ৷ কোরআনে আরও বলা আছে প্রত্যেক আয়াতের একটি কাল রয়েছে ৷
এ গবেষণায় ঈসা আগমনের ইঙ্গিত বহন করে ৷ তখনকার দিনে কোন এক সাহাবী মোহাম্মদ (সঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন কিরূপে লোকেরা হযরত ঈসা (আঃ)কে চিনতে পারবেন ? উত্তরে হযরত (সঃ) বললেন কেন তাঁর (ঈসা) পরণে থাকবে দুটো লাল গোলাপী চাদর ৷ (তবে আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং কিছু লোকের প্রকাশ ভঙ্গি ও কর্ম থেকে উপলব্ধি করেছি যে হোক সে পুরুষ বা নারী প্রত্যেক ধার্মিক ব্যক্তিই নিজেকে মনে মনে ইমাম মেহেদী বা ঈসা (আঃ) বলে ধারণা করবে ঐ সময়কাল যখন প্রকৃত ঈসার আগমন ঘটবে ৷) আমি আগেও বলেছি যে, আমি অন্ধকারে আছি ৷ এই সন্মদ্ধে আমার কোনরূপ ধারণা নেই আমি কেবল ঈসার (আঃ) জীবনী লিখি ৷ কোন এক প্রকারে যুক্তির মাধ্যমে ঐ লাল গোলাপী চাদর পরিধান করেছি যা কৃষ্ণ-বুদ্ধের ৷ ডাক নাম অনুসারে আমি কৃষ্ণ এবং বিপরীতে বুদ্ধ ৷ সুতরাং আমি পরিধান করেছি লাল গোলাপী চাদর গুলো নিজ অঙ্গে ৷ ইহা কারও পছন্দ হোক বা না হোক ইহাই হয়তো অন্তর্নিহিত অর্থ ৷ এটা কি ধর্ম সম্মত উপায়ে বর্ণিত হয়েছে ?

রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১২

নাই নির্দশন


নাই নির্দশন
আবুলকালামআজাদবাসু
24/12/2012

নাই নির্দশন তবুও আমরা
তোমার আবির্ভাবে সুখী, 
তুমুল আন্দোলিত জীবন করেছ তুমি অতিক্রম, 
সেথায়  খোঁজে পাই আশীর্বাদের নিদর্শন,
অধিকতর মন্দ হয়েছে কারও সেটাই ৷

তোমার শেষ জীবন রহস্যময়,
যেমনটি ছিল তোমার জন্ম ৷
যদি বলি সম্পূর্ণ ধাঁ ধাঁ বিভ্রম,
উহাই দেখেছি একমাত্র ৷

যিনি পারতেন বদলাতে নিজ অস্তিত্ত্ব!
তেমনি পারতেন অন্যেরও,
তাহলে এটা কেন হল যথার্থ ?
কে কাকে বিশ্বাস করে!
তবুও শেষটি রহস্যময় ৷

তোমার আবির্ভাবে সুখী
যে আলো প্রদর্শন করেছ,
চল তাঁর উপদেশ করি অনুসরণ,
করি সুন্দর দিন যাপন ৷

নাই নিদর্শন তবুও আমরা
তোমার আবির্ভাবে হয়েছি সুখী ৷


শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১২

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (১৪)


পিতা কালামজন্ম কালো (১৪)

আবুলকালামআজাদবাসু
23/12/2012


বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷
অবিশ্বাসীরা তালাশে রত ভিন্ন স্থানে,
দৃশ্যমান যা বৃক্ষেরই শাখা প্রশাখা ৷
প্রোথিত হয় নামক রাজ্যের সৌরভে,
কেন তবে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম বুদ্ধদের ?
জান কি হেতু বুদ্ধীন্দ্রিয় সৃষ্টিতত্ত্বের!
সৌরভ হতে পুষ্পের জ্ঞানেন্দ্রিয় বস্ত্র,
জ্ঞান-বৃক্ষে পুষ্প সব প্রস্ফুটিত রয়,
সে রাজ্যের প্রধান রাজেন্দ্র মোহাম্মদ,
মনোনীত নবী রূপে আখ্যায়িত হয় ৷
হেথায় শুরু সাধু রীতি বন্দেগী নীতি,
এ দু জাহানের দুটো সম গতি বিধি ৷

শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১২

ভক্তি


ভক্তি
আবুলকালামআজাদবাসু
22/12/2012

ওহে, আমি ভক্তি করি
ভক্তি আমার এত মধুর বাতাসা,
বন্ধী আমি করি,
অন্তর আলোকিত করতে সূফীতত্ত্ব

ওহে আমি ভালবাসি
আমি ভক্তি করি;
কেবল আল্লাহকে নয় সকল দেবীকেও
যারা সৌন্দর্য দেখিয়ে আমায় খুশী করে ?
তারা পার্থিব স্বাচ্ছন্দ্য আমি মানি ৷

আমি শ্বাস ফেলি তাদের সৌন্দর্যে
যেন হৃদয়ে মধুরতা,
আমি ভক্তি করি ৷
তাদের ভালবাসি অন্তরে,
কিন্তু পূজা করতে নয়,
কেবল তাদের ভালবাসতে,
তারা সুন্দর ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ৷
যেমন পাখিরা আকাশে,
মাছেরা জলে,
ফুল সমষ্টি বাগানে,
আকাশে তারা,
ভাল চিন্তাবিদ সপ্ত আসমান জুড়ে;
তারা তোমার জন্য অপেক্ষমাণ শেষ সময়ে,
তুমি তাদের একজন,
উত্তরকালে আশা করি তাৎক্ষণিক
সমস্ত সৌন্দর্য মহেশী-মহীয়সী ৷
হৃদয়ে ততঃ পোষণ করি ৷
আমি অনুভব করি ব্যাকুলতা ৷

ভক্তি ও মনন এ আমি
কখনও পাইতে চেষ্টা করিনি
আমি কি কখনও আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবো ?






বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১২

আমার কথা প্রথম খণ্ড (১৪)


আমার কথা   প্রথম খণ্ড (১৪)
আবুলকালামআজাদবাসু
20/12/2012

অন্তঃ-চক্ষু বিশেষজ্ঞ বিশ্ব মানব-রে,
অবিশ্বাস্য মোর বুলি শুভ্র বিলোচনে,
মহা-গ্রন্থে কথিত বিশ্বমৈত্রী স্থাপনে ৷
ভুবনে যত ভণ্ড নবীর আগমন
কাদিয়ানী তাদের মধ্যে জঘন্যতম
নিজেই প্রকাশ করে সে-ই কৃষ্ণ রূপী
কল্কি অবতার, যদি হয় আগমন -

যাঁদের অন্তঃকরণ প্রসারিত, ধর্মে যাঁরা কট্টর ও বিশেষিত এবং বিশ্বে সকল বোধ শক্তি সম্পন্ন লোকদিগের প্রতি আকুল আবেদন এ যে, বিশ্বমৈত্রী, ঐক্য, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ইত্যাদি কর্ম সম্পাদনের লক্ষ্যে ইতিপূর্বে যাঁদের ভূ-তে আবির্ভাব ঘটেছিল তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পুনরায় উহাই অবগত করার দায়িত্ব ও কর্তব্য বিশ্বপ্রকৃতি কাকে যেন স্থির দিক নির্দেশনা দিয়েছে ৷
পাঠক সমাজই এ বিবেচনা করবেন কে ভণ্ড নবী এবং ইঞ্জিলের হুঁশিয়ারি মতে কোন এক ব্যক্তি যে ঈসার নাম নিয়ে বলবে, ‘আমিই ঈসা’ ৷ মুখে যে কেউ বলতে পারে যে, ‘সে কৃষ্ণ,’  ‘সে বুদ্ধ’, কিন্তু যখন প্রমাণ হাজির করতে বলা হয়, তখন তারা কেউই সঠিক নিশ্চয়-বোধ, নির্ভুল তথ্য পেশ করতে সক্ষম হয় নাই এবং হয়তো হবেও না ৷ এ ব্যাপারে বলা যায় যে, ‘আল্লাহই সহায়’ ৷ ঘটনার দৈব সঙ্কেত প্রাপ্তির পর মনস্তাপে প্রায় দুটি বৎসর নিজেকে অবরুদ্ধ করে কেবল বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ পাঠে উদ্যোগী হই ৷ দুটি বৎসর গত হল, ‘নির্ণীত মসি’ পরিচালনা করতে গিয়ে ভাবনায় আসে, হঠাৎ লিখবো বা কি ! নির্দেশ পালনের অনুভূতি জাগ্রত থাকা সত্ত্বেও সম্মুখ-পানে অগ্রসর হবার কোন সুযোগ হয়নি ৷ স্মৃত হৃদয় মনঃস্থির বিষয় সম্পর্কে বলে, ‘কর্তব্য পালনে অক্ষমতা প্রকাশ অর্থ অনন্ত জীবন বৃথা ৷’
“এবং বলে, আমাদিগের দেবতাগুলি শ্রেষ্ঠ, না ঈসা? ইহারা কেবল বাক বিতণ্ডের উদ্দেশ্যেই তোমাকে এ কথা বলে ৷ বস্তুত: ইহারা-তো এক বিতণ্ডা-কারী সম্প্রদায় ৷ সে তো ছিল আমারই এক বান্দা, যাহাকে আমি অনুগ্রহ করিয়াছিলাম এবং করিয়াছিলাম বনী ইসরাঈলের জন্য দৃষ্টান্ত ৷ আমি ইচ্ছা করিলে তোমাদিগের মধ্য হইতে ফেরেশতা সৃষ্টি করিতে পারিতাম, যাহারা পৃথিবীতে উত্তরাধিকারী হইত ৷ ৪৩ (৫৮-৬০) কোরআন ৷

হযরত ঈসা (আঃ) একজন মানুষ এবং আল্লাহর বান্দা ছিলেন ৷ তিনি ইসরাঈল জাতির জন্য প্রেরিত সু-সংবাদ দাতা ৷ কিন্তু একদল তাঁর প্রস্থানের পর তাঁকেই খোদা বলে পূজা করতে লাগল ৷ তারা তিন খোদার মধ্যে এক খোদা তাঁর পুত্র বলা শব্দের আসল অর্থ ধরে পুত্র বলে পূজা, অর্চনা করতে লাগল ৷ সৃষ্টির তিন জাতির মধ্য থেকে, ফেরেশতা জাতিকে আনয়ন করা যেত যাঁদেরকে মাতাপিতা ছাড়াই সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তাঁরাই হতেন এ পৃথিবীর উত্তরাধিকারী, কিন্তু মানুষকে দেয়া হয়েছে ফেরেশতার চেয়ে বেশী প্রাধান্য ৷
বর্ণিত মসিকে বার বার সম্মুখে পরিচালনা করবার জন্য মস্তিষ্কের সদর দপ্তরে অর্জিত চেতনাকে উৎসাহিত করা সত্ত্বেও কথিত মসি পথ যাত্রায় পুনঃ পুনঃ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কারণ কিঞ্চিৎ জ্ঞান লাভ এর মাধ্যমে উহার বাস্তব রূপায়ণ কোন মসির পক্ষেই সম্ভব নয় ৷ কাল্পনিক, অজানা, আজগুবি কাহিনী যা এতদিন স্থান পায়নি, তা সমস্তই চতুর্দিকে বেষ্টন করে আছে, বর্ণিত মসির হাতে যে মসি তুলে দিয়েছেন তা বৃথা হয়ে গেল বলে মনে হচ্ছিল ৷ ‘অকৃতকার্যতা দৃঢ় প্রত্যয়ের কাছে হারতে বাধ্য ৷’ প্রেরণা-দাতার উৎসাহ প্রবল বেগ নিয়ে হৃদয় মাঝে উত্তাল ঢেউ সৃষ্টি করেছে ৷
“এবং আমি মরিয়ম তনয় ও তাঁহার জননীকে করিয়াছিলাম এক নিদর্শন, তাহাদিগকে আশ্রয় দিয়াছিলাম এক নিরাপদ ও প্রস্রবণ বিশিষ্ট উচ্চ ভূমিতে ৷ ২৩ (৫০) কোরআন ৷
বর্ণিত জায়গায় হযরত ঈসা (আঃ) এর জন্ম হয়েছিল ৷ জানা যায় জায়গাটা খেজুর বাগান বিশিষ্ট উচ্চভূমি ছিল এবং ঝর্ণাধারা প্রবাহিত ছিল ৷ পুনর্বার তাঁর আগমন এরূপ স্থানে  হবে কিনা আল্লাহ তা ভাল জানেন ৷ প্রত্যেক কিছুর পেছনে গবেষণা প্রয়োজন ৷ তাই শিক্ষা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই ৷ পণ্ডিত, সাহিত্যিক যাঁরা তাঁরা প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করে হৃদয়ের প্রবল ইচ্ছাশক্তি রচনা করে থাকেন ৷ বিজ্ঞানী বাস্তব গবেষণার মাধ্যমে নতুন কিছু আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চালান ৷ সূফী, সাধক, অলি, দরবেশ, নবী রসুলগণ এলহাম, ঐশী বাণী প্রাপ্ত হয়ে এ ধরণীতে নিয়ে এসেছেন মানুষের জন্য কল্যাণ ৷
“সে দোলনায় থাকা অবস্থায় ও পরিণত বয়সে মানুষের সহিত কথা বলিবে এবং সে হইবে পুণ্যবানদের একজন ৷” ৩ (৪৬) কোরআন ৷
উপরোক্ত আয়াতে হযরত ঈসা (আঃ) পুনরাগমনের সংবাদ বহন করে ৷ কারণ তাঁকে কোন রকম শূলে চড়ানো ব্যতীত অবিশ্বাসীদের মধ্য থেকে আল্লাহর দিকে উত্তোলন করা হয়েছে ৷ ইহাই সরল অর্থ কোরআন প্রকাশ করে যে, ‘যদি তিনি উত্থিত না হয়ে থাকেন তবে তাঁর বাকী জীবন কাহিনী কৈ?” আর আল্লাহর কোন প্রয়োজন ছিল না যে, ‘পরিণত বয়সে মানুষের সহিত কথা বলিবে’ এ বাড়তি আয়াত নাযিল করার ৷ কেবল এ টুকু থেকে প্রমাণিত যে তিনি গত হয়েছেন সেকাল পূর্ণ হবার পর আরও এককাল নির্ধারিত করা হয়েছে যে তিনি আবার আসবেন ৷ ইহার বিপরীতে বলার লোক অনেক রয়েছে ৷ তা পাঠক সমাজ ধীর ধীরে উপলব্ধি করতে পারলে উৎসাহী হয়ে আরও সম্মুখে অগ্রসর হবেন ৷ আটত্রিশ বৎসর বয়সে যে দৈব ঘটনা যোজিত হল তা হয়তো অন্য রূপে ধরা দিবে এ আশায় আরও দুটো বছর কেটে গেল ৷ কোন রকম ইঙ্গিত, আভাস বা এলহাম জাতীয় কোন কিছুই শুনা গেল না ৷ সেদিন যিনি মনে প্রবল জাগিয়ে তুলল তাঁকে কি জবাব দেব যদি উচ্চারিত মসি হাতে নিয়ে লিখতে না পারি ?



মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১২

সৎকর্ম


সৎকর্ম
আবুলকালামআজাদবাসু
18/12/2012

সৎকর্ম যায় না কভু বিফলে,হোক না
তা বহু দুর-জনের; সৎকর্ম সবার
যে আপন; তৎ-গুণে তারাও পাবে মুক্তি,
হ্রাস হবে তাদের শাস্তি; বিচারকের
হাত কভু হবে না সঙ্কুচিত, সৎকর্ম
যায় না কভু বিফলে যা হয় মানব
কল্যাণে; শাস্তি হবে তবে হ্রাসেই মুক্তি ৷
মানবের কারও কর্ম কর না ঘৃণা
ভালবেসো মানবকে, প্রেমের কারণে
খোঁজে পাবে আপনজন সেবক মন,
তাঁকে রেখ মনে, সেবাই পরম ধর্ম;
পরের সুখে হোক আত্মার তুষ্টি শান্তি ৷

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১২

মনস্তত্ত্ব ও দর্শন এর সমাপ্তি ধর্মের উৎপত্তি


 মনস্তত্ত্ব ও দর্শন এর সমাপ্তি ধর্মের উৎপত্তি
আবুলকালামআজাদবাসু
17/12/2012
মনস্তত্ত্ব মানুষের মন বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় প্রমাণ বা মানুষের মনের আচরণ সম্পর্কিত, তবে  দর্শন কোন প্রমাণ ব্যতিরেকে সত্য ও মিথ্যার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে ৷ কেহ কেহ মনস্তত্ত্ব কায্যে বা বিদ্যায় সুনিপুণ অন্য কেহ দর্শনে দক্ষ ৷ একজন এর খুব ভাল সুসম্পর্ক জীববিদ্যা এবং দর্শনের সাথে অন্য জনের রয়েছে মনস্তত্ত্ব ও ধর্মীয় চিন্তাধারা নিয়ে ৷ আমার কাছে উভয় বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যদিও কোন বিষয়ে পারদর্শী নই ৷ মনস্তত্ত্ব বিষয় প্রমাণ ব্যতীত যে কোন বিষয় বা ঘটনাকে অস্বীকার করে থাকে এবং বলে এটা কিছুই না ডাক্তারি উপদেশ অনুযায়ী মানসিক অসুস্থতা বা মানসিক রোগ ৷ কিন্তু দর্শন ইতি টানে না বরং আরও এগিয়ে যায় কিভাবে ঐরূপ ঘটেছে ৷ তাহাদের গবেষণা লব্ধ ফল সত্য কিংবা মিথ্যা তবুও একটি সমাধানে পৌঁছায় ৷ তারা ঐ রূপ যাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে জিন ও মহিলা জিন (পরী) সম্বন্ধে, তারা একযোগে ঐ জাতির অস্তিত্ব অস্বীকার অর্থাৎ এ সত্যকে অস্বীকার করে যদিও তারা কোনও না কোন ধর্মের অনুসারী ৷ তখন বলা যার ঐ লোক নিজ ধর্মান্ধ ধর্মত্যাগী ৷ তাদের বলতে হবে কোন ধর্মে ঐ জাতি সম্পর্কে বর্ণিত হয়নি ৷ তারা কি সত্যিই কোন ধর্মের নবীর অনুসারী ? এটি বলা মুস্কিল ৷ বিজ্ঞানীদের কাছে ফিরে বলা যায় তাঁরা কি কোন নবীর অনুসারী ? তাহলে তাঁরা শয়তানকে জানে, সেও একজন জিন সম্প্রদায়ভুক্ত ৷ আমার প্রশ্ন তাঁরা এটম থেকে আরও বহু ধাপ উপরে গিয়ে আলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন কিন্তু কোথায় গেল ধূম্র বিহীন আগুন থেকে তৈরি এ জাতি যারা সহজে বাতাসের সাথে মিশে যেতে পারে ? এ জিন কেবল বাতাসে নয় বরং মানুষের রক্তের সাথে মিশে যেতে পারে ৷ বিজ্ঞানীরা বা মনস্তত্ত্ব বিদরা কি ইহা বিশ্বাস করে কিনা ? যদি বিশ্বাস না করে তাহলে তিনি কোন ধর্মেই বিশ্বাসী নয় ৷ তিনি সঠিক পথে নেই ৷ তার জন্য বলার কিছু নেই ৷
তারা যদি সত্যিই বিজ্ঞানী বা মনস্তত্ত্ব বিদ হয়ে থাকে তাঁদের ব্যাখ্যা করতে হবে যে, যা বর্ণনা করা হয়েছে তা কি প্রকৃতি থেকে আপনাআপনি ঘটেছে! বা হঠাৎ হয়ে গেছে! বা সচরাচর আল্লাহ থেকে ? কেহ কেহ উচ্চ শিক্ষা লাভ করে গর্ব করে বলেছেন তাঁরা স্বপ্নের একটি সঠিক ব্যাখ্যা দান করবেন ৷ দেখা যাক তাঁরা কিভাবে তা ব্যাখ্যা করেন ৷ তাঁরা হয়তো ঐ পর্যন্ত যেতে পারবেন যা তারা অন্যদের কাছে শিখেছেন, উহা যে একজন দার্শনিক আরও অগ্রসর হয়ে অনেক দুর যেতে পারেন তবে এটা সন্দেহের যে, যেথায় ধর্ম শুরু তথায় পৌঁছতে পারে কিনা! তাঁরা প্রথমেই শয়তানের অস্তিত্ব সম্বন্ধে চিন্তা করুক যে সে কে ৷ তারপর আসুক সেই জাতির কাছে জিন ও পরী যারা সম্মুখস্থ হবে সেই বিচার দিবসের ৷ তারপর ব্যাখ্যা করুক এ বলে, ‘এটা কিছুই না কিন্তু একটি স্বপ্ন যা মানুষ দেখে থাকে যা পূর্বে ঘটেছে ৷ আমিও তাদের সাথে একমত তবে অজানা অচেনা জায়গা যদিও মানুষ দেখেনি সেরূপ ঘটনাও সে দেখে থাকে ৷ এই নতুনত্বের ব্যাপারে আপনার কি বক্তব্য!
মানুষের শরীরে এক ধরণের বুদ্ধিমান ব্যাকটেরিয়া রয়েছে ইহা তাদের জানা ৷ এ সব সহজেই মরে না, তারা উপরের দিকে যেতে থাকে যখন মানুষ ঘুমায় কিছু কণা তাদের মধ্যে তথ্য বা তত্ত্ব সংগ্রহ করে অথবা দেখে এমন দৃশ্য যা আগে কখনও দেখেনি ৷ এ কথা কি বিশ্বাসযোগ্য ? এই কণাগুলো মানুষের দেখা বস্তুর তথ্য সংগ্রহ করে ৷ সব স্বপ্ন নয় তবে মানুষের ধরণ অনুসারে স্বপ্নও বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে ৷ একজন মানুষ যদি সত্যিকার কোন নবীর অনুসারী হয়ে থাকে তবে তিনি জানিয়া রাখুক প্রত্যেক নবীই স্বপ্নের মাধ্যমে আদেশ নির্দেশ লাভ করেছেন একমাত্র হযরত (সঃ) ব্যতীত, (উল্লেখ্য প্রাথমিক অবস্থায় তিনিও স্বপ্নের মাধ্যমে জানতে পারতেন) ৷ অন্যান্য নবীদের বেলায় বেশীরভাগ সময় তাঁরা স্বপ্নই দেখছেন এবং মধ্যে মধ্যে ফেরেশতারাও বাণী বয়ে এনেছেন ৷ স্বপ্ন দেখেই হযরত ইব্রাহিম (আঃ) তাঁর প্রিয়পুত্রকে কুরবানি দিতে গিয়েছিলেন ৷ আপনারা কি বিশ্বাস করেন ? কখনও মানুষ এমন হয় যে শব্দ বা প্রতিধ্বনি শুনে যদিও ইহার কোনই ভিত নেই ৷ আমি এই সমস্ত কিছুই অর্থবোধক করি না ৷ যদি প্রতিধ্বনি বা প্রকৃতির-আত্মা যা ধর্মীয় পুস্তকাদিতে বর্ণিত হয়েছে ওটা সত্য হলে ঐ কারণে সেথায় মনস্তত্ত্ব ও দর্শন সাধারণের স্বপ্ন কি ব্যাখ্যা প্রদান করবে ৷
কোন কিছু লেখার আগে চিন্তা করা উচিত যে, যদি কেউ স্বপ্নে দেখেন উহা যদি ধর্মীয় পুস্তক এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তাহলে মনস্তত্ত্ব ও দর্শন যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদানে সক্ষম ৷ যেমন আমি ‘আমার কথা’ কিতাবে বলেছি স্বপ্নে দেখলাম, কিছু লোক আমার বাম হাতে ছিল যাঁদেরকে আল্লাহর আসনের পিছে আল্লাহর ইশারায় পার করায়ে দিয়েছি ৷ ইহাতে মনস্তত্ত্ব ও দর্শন কি বিজ্ঞানের ঐ স্তরে পৌঁছতে পারে ব্যাখ্যা করার নিমিত্তে ? (অবশ্য যিনি স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিবেন বলে বলেছেন তিনি পরে ক্ষমা প্রার্থী হয়েছেন) ৷










শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১২

বর্ণমালা


বর্ণমালা
আবুলকালামআজাদবাসু
15/12/2012

বাংলা বর্ণমালায় বাংলাদেশ
বাংলায় বাঙালী গড়েছে ইতিহাস
চির অম্লান রবে সোনার বাংলা,
আশার আলো প্রদীপ জ্বালায়ে
দিগ্বিজয় করবো মোরা সৈনিক বেশে ৷
বাংলা বর্ণমালায় বাংলাদেশ
কলঙ্ক মুক্ত রাখব সদা এ দেশ
মুক্ত স্বাধীন চেতনায় উদ্বুদ্ধ পরিবেশ
অত্যাচারী সম্প্রদায় হবে নিঃশেষ ৷
যারা করে যাঞ্চা ভিন ভাষা
নিভায়ে প্রদীপ আপন বাস
তারা বাংলা বর্ণমালার অভিশাপ
বাঙালীর বাংলার জয় হোক চিরকাল ৷


The alphabet
Akazadbasu
With Bengali alphabet Bangladesh
Made a history in Bengal the Bengalese
Sonar Bengal would remain ever chaste,
Lighting a lamp of prospect
Win the world like soldiers.
With Bengali alphabet Bangladesh
Would keep the country always spotless
Free independent in knowledge
The environment is enlighten,
Oppressive race would finish.
Those who wish other alphabet
Putting off lamp of own-land
They are curse of Bengal-Alphabets
Bengalese Bengal let be win for ever. 



বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১২

পিতা কালাম’ জন্ম কালো (১৩)


পিতা কালামজন্ম কালো (১৩)

আবুলকালামআজাদবাসু
13/12/2012

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে ৷
শ-কোটি মানব দানবের শ্রেষ্ঠ-মণি,
জ্ঞানী গুণী অক্ষৌহিণী তোলে তাঁর ধ্বনি ৷
সত্যাসত্য নির্ণয় করতে তাঁর বাণী
কি মহামানবের উক্তি এ প্রতিধ্বনি ?
বাস্তবায়ন হবে শক্তি-দাতার পণ
অরূপ-রূপে একদা হবে গো আপন,
সান্নিধ্যের উদ্দেশ্যে এনো পরিভ্রমণে,
মহা-গ্রন্থ প্রদীপ্ত মানবের কল্যাণে ৷
ত্রাণপ্রাপ্ত হয় দিশারী অনুসরণে,
জাতক জ্ঞান বৃক্ষের মূল মৃত্তিকায় ৷

বুধবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১২

স্নিগ্ধ শিখা


স্নিগ্ধ শিখা
আবুলকালামআজাদবাসু
12/12/2012

কত কথা শুনাই-লা, নীল নীলা স্বপ্ন
দেখাই-লা, কথা দি-লা তুমি যে আই-বা ৷
এক মন ধ্যানে তোঁমার অরূপ-রূপ,
ভেবে আনন্দে হলাম আমি আত্মহারা ৷
কথা দিয়ে কথা রাখ না এ যে তোঁমার
ছলনা, তুঁমি যে বহুরূপী এক-জনা ৷
তোঁমার ছল চাতুরী ছন্দ আর নয়,
ভুবনে কত জনা-রে তুঁমি কাঁদাই-লা !
তবুও কেন তোঁমার লাই-গা হৃদয়
আমার ব্যাকুল, নিশ্চয় তুঁমি হিয়ার
মাঝে রাখিয়াছ প্রেম মাখা স্নিগ্ধ শিখা ৷



  

   

মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১২

আমার কথা প্রথম খণ্ড (১৩)


আমার কথা   প্রথম খণ্ড (১৩)
আবুলকলামআজাদবাসু
11/12/2012
হে আল্লাহ ! কর মোরে ক্ষমা আত্মহারা
কাপুরুষ নরাধম, পাপী দিশেহারা
শাস্ত্রে অনভিজ্ঞ, নিয়মের ব্যতিক্রম,
ক্ষমার অযোগ্য ডগমগি পথ যাত্রী,
যা বলি যত করি বর্ণন বলাবলি
কথায় কে না হারে পরাজয় বরণ!
বিশ্বাস মোর তিনিই সর্ব-শক্তিমান ৷
বাল্য কালে এ গৃহ আগুনে ধ্বংস প্রাপ্ত,
জানি না কে ই বা করে দান এ বুদ্ধত্ব!
মোর জীবন বৃত্তান্ত শুনা-বার তরে ৷
পাঠক সমাজ ! যিঁনি এতক্ষণ অনুশাসন বাণী শুনাইলেন, মনে হয় তিনিই সর্ব-শক্তিমান ৷ নচেৎ এত কাকুতি-মিনতির পরও তিনি তাঁর নির্দেশ পালনের জন্য হুকুম প্রদান করলেন এবং আরও বললেন, “তিনি যাঁকে ইচ্ছা তাকেই মনোনীত করেন, তিনি আরও বললেন, অনুরূপ লোক আনয়ন করা তাঁর পক্ষে খুবই সহজ, তিনি অধিকন্তু বললেন, ‘পরিণতির কথা ৷’
আমি কে ? কি কিতাব রচনা করবো! তাতো কিছুই বলা হয় নি ৷ অন্যদিকে শাস্ত্রের তেমন
বিদ্যোপার্জনও ছিল না ৷ এমন কি কাদিয়ান সম্প্রদায় সম্পর্কে পূর্ববর্তী কোন লব্ধ-জ্ঞান এবং ইঞ্জিল, কোরআন হাদিছ সম্পর্কেও কোনরূপ ধারণা বা অভিজ্ঞতা ছিল না, যা আজ জনসমক্ষে তুলে ধরছি ৷ ইহা সহজেই অনুমেয় যে বাল্যকালে এ গৃহ প্রবল তাপে, উত্তাপে ধ্বংস হয়ে গেছে ৷ তবুও কেন যে এ বুদ্ধত্ব লাভ হয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা আজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় ৷ এ কি জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরার নিমিত্তে কিনা তা সুধী-জনের কাছেই জিজ্ঞাস্য ৷
“পাঠ কর, আর তোমার প্রতিপালক, মহামহিমান্বিত; যিনি কলমের সাহায্য শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যাহা সে জানিত না ৷” ৯৬ (৩-৫) কোরআন ৷
ইচ্ছা, সদিচ্ছা, পুনর্জীবন সবই মঙ্গল হবে, ধন্য হবে যদি সংগৃহীত জ্ঞান, বিভিন্ন তথ্যাবলী যথাযথ বর্ণিত ‘মসির’ মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায় ৷ কোরআন এ বর্ণিত আছে যে, হযরত মরিয়ম (আঃ) লালন পালন এর ভার ‘তীর’ মতান্তরে ‘কলম’ নিক্ষেপের মাধ্যমে হযরত জাকারিয়া (আঃ) এর উপর অর্পিত হয়েছিল ৷ আর কলম দিয়ে কোরআন হুবহু লেখা হয়েছে যাতে তার বিকৃতি সাধনে কেহ তৎপর হলেও তা সম্ভব হয়ে না উঠে ৷ তদুপরি কোরআনের রক্ষক স্বয়ং আল্লাহ ৷
“স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক মুসাকে ডাকিয়া বলিলেন, ‘তুমি জালিম সম্প্রদায়ের নিকট যাও, ফির’আওন সম্প্রদায়ের নিকট; উহারা কি ভয় করে না ?’ তখন সে বলিয়াছিল, হে আমার প্রতিপালক ! আমি আশংকা করি যে উহারা আমাকে অস্বীকার করিবে ৷” ২৬ (১০-১২) কোরআন ৷
এ আয়াতের অনুরূপ অর্থে শঙ্কিত হয়ে খতিবদের, সুধী-জনের, জ্ঞানীদের এবং পাঠক সমাজের কাছে শরণাপন্ন হয়েছি ৷ এ কিতাবের প্রথম কাব্যাংশে মিনতি করে বলা হয়েছে যে, মিনতি করে বলা হয়েছে যে, বিজ্ঞজনদের অভয় প্রদানে কেবল এ জীবন বৃত্তান্ত প্রস্তাবনায়ে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারি ৷ তাই সংশয় থাকাটা খুবই স্বাভাবিক ৷ দীর্ঘ আটত্রিশ বছর পর কোন অজানা শক্তি কিঞ্চিৎ জ্ঞান হৃদয়ে বা সদরে দপ্তরে দিলে মনঃপ্রাণ ব্যাকুল হয়ে উঠল এবং কথিত ‘মসি’ হাতে নিয়ে বিজ্ঞ লেখকের ভূমিকা পালনে প্রাথমিক অবস্থায় ব্যর্থ হই ৷
“যখন মরিয়ম তনয়ের দৃষ্টান্ত উপস্থিত করা হয় তখন তোমার সম্প্রদায় শোরগোল আরম্ভ করিয়া দেয় ৷” ৪৩ (৫৭) কোরআন ৷
হযরত ঈসা (আঃ) এর প্রসঙ্গ যখন উত্থাপন করা হয় তখন শত প্রচলন যেমন: ইহুদিদের মতবাদ, খ্রিষ্টানদের মতবাদ, যা হাজারেরও অধিক ৷ অনুমান-লব্ধ ধারণা আজকালও প্রচারিত হয়ে আসছে তা মানুষের দৃষ্টি-গোচরীভূত হয় ৷ তা এমনটা নয় যে অতীতেও মানুষের মধ্যে অনুমান করে নতুন নতুন ধারণা উপস্থাপন করা হত না, ‘যে বিষয়ে মতভেদ আছে সে বিষয়ে আল্লাহ কিয়ামত দিবসে মীমাংসা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন’ কিন্তু যারা তর্কবাগীশ তারা তাদের অনুমান-লব্ধ-বোধকে সিদ্ধ বলে প্রচার করে আসছেন ৷ তাদের মধ্যে কাদিয়ানী সম্প্রদায় অন্যতম ৷







সোমবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১২

দ্বিতীয় বিবাহ সম্পর্কে কোরআন কি বলে?


দ্বিতীয় বিবাহ সম্পর্কে কোরআন কি বলে?
শাহনাজ আক্তার রুমি
চট্টগ্রাম ৷
10/12/2012
১৩টি বিবাহ নবীর জন্যে উম্মতের জন্যে নয় ৷
সবার জীবনে একবার ভালোবাসা আসে ৷ স্বামী, পুত্র-কন্যা নিয়ে বসবাস করে ৷ কিন্তু হঠাৎ করে কোন একজনের কারণে অর্থাৎ তাদের চরিত্রের মধ্যে অপবিত্রতার ছোঁয়ায় নির্দোষ একজনের সংসারে নেমে আসে ঝড় তুফান এমন কি বিচ্ছেদের পালা ৷ অনেকে বিচ্ছেদর কারণে নতুন সংসার গড়ে তোলে ৷ ফলে সন্তান-সন্ততি যদি থাকে তারা মাতা-পিতৃহীন অবস্থায় এসে দাঁড়ায় ৷ বিশেষ করে মহিলা কোনরূপ আশ্রয় বিহীন অবস্থায় এ সমাজে বসবাস করা দায় ৷ দ্বিতীয় বিবাহ বা দ্বিতীয় সংসার প্রায়ই ঝামেলা মুক্ত নয় ৷ ফলে বিবাহের নামে যে আশ্রয়স্থল অনেক ক্ষেত্রে আশ্রিতার রূপ নেয় ৷ সে ঘরেও থাকতে পারে স্ত্রী, কন্যা, বা সন্তান-সন্ততি ৷ তাদের সাথে জীবনকে খাপ খাওয়ায়ে নেয়াও অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায় ৷ অথবা কেহ অবলা নারীকে সমাজে ঠাঁই দিতে গিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করে থাকে ৷ বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে বহু বিবাহ অথবা সন্তানহীন মহিলা বিপাকে পড়ে আশ্রিতা থেকে নরপিশাচদের হাতে পড়ে ৷ এভাবে সৃষ্টি হচ্ছে পতিতালয় ৷ কে রুখে দাঁড়াবে এই জঘন্য হাত থেকে তাদের রক্ষা করতে ?
আল্লাহ বলেন…..
“নিজেদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসীগণ (বর্তমানে দাস প্রথা বিলুপ্ত) ব্যতীত, এতে তারা নিন্দার যোগ্য হবে না ৷ তবে এতদ-ব্যতীত অন্য নারীকে কামনা করিলে তখন তা হবে সীমালঙ্ঘন ৷” (সূরা-মুমিনুন ৬-৭)
আর এই সীমালঙ্ঘন কারী দেশের দশের শত্রু ৷ তারা কখনোই ভালো কিছু বা সংসারে শান্তি বয়ে আনতে পারে না ৷ সতী-সাধ্বী স্ত্রী; সে কি সহজে মেনে নিতে স্বামীর সীমালঙ্ঘন ও কুচরিত্র-কর্মটি ৷ নারীরা সহজে তা মেনে নিতে পারে না এই কারণে:- তারা বলেন, “তারা দু মিলে এক দেহ, এক মন, সেখানে দেহকে দ্বিখণ্ডিত করা হয় ৷” যারা বহু বিবাহ করে থাকে তারা নিষ্পাপ মন-মন্দির ভেঙ্গে চুরমার করে কি পায়! সেখানে দৈনন্দিন জীবনের সংঘাত আর হিংসা, রেষারেষিতে জীবন এক প্রকার অভিশাপে পরিণত হয় ৷

সেই সব নারীরা মনে করে: “আমরা তো কোন দোষ করি নি, বরং এক স্বামীর দিকে দিন অতিবাহিত করেছি দ্বিতীয় কোন পুরুষ দিকে নজর দিই নি, তবে কোন ভাগ্য দোষে এমন অভিশাপ বা বিচ্ছেদের মত অঘটন ঘটল ৷”
যুগে যুগে এ সব ঘটনা ঘটে যাচ্ছে ৷ প্রত্যেক নারীর জীবনে যা সাধারণত: হয় তা হল নারীরা প্রাথমিক অবস্থায় নিজ-জীবন থেকে অধিক ভালবাসে এবং স্বামী সৎ পথে থাকলে জীবন দান করতে কুণ্ঠিত বোধ করে না ৷ কেবল পারে না দিতে স্বামীর ভাগ ৷ এটা এরূপ যে, ‘না পাওয়ার বেদনা তবুও সয়, কিন্তু পেয়ে হারাবার বেদনা বড়ই কষ্টকর ৷’
পবিত্র হাদিছ শরিফে ফরমাইছেন: ‘যদি কাহাকেও সিজদা জন্য আদেশ করিতাম, তাহা হইলে নিশ্চয় স্ত্রীকে হুকুম করিতাম, সে যেন তাহার স্বামীকে সিজদা করে ৷’

স্বামীর মর্যাদা স্ত্রীর নিকট অন্য যে কোন মানুষের ঊর্ধ্বে, সে-ই স্বামীকে কোন স্ত্রী হারাতে চায় না ৷ তবুও নানান কারণের পরিপ্রেক্ষিতে স্বামীদের বিবাহ করতে হয় ৷ কারণ নারী যদি বন্ধ্যা হয়, পাগল বা সাংঘাতিক রোগাক্রান্ত হয় ৷ স্বামী সাথে থাকতে অক্ষম বা স্ত্রী মৃত্যু হলে কেবল ক্ষেত্রে ইচ্ছে করলে দ্বিতীয় বিবাহ করা যায় ৷
কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী, দুশ্চরিত্র, লম্পট এবং কামুক-মনা বিশিষ্ট লোক কোরআনের সুরা নিসার ৩নং আয়াত চার বিবাহের কথ বলে থাকেন কিন্তু এ আয়াত রয়েছে বিশেষ শর্ত ৷ তারা না বুঝে হযরত (সঃ) তেরোটি বিবাহের উদাহরণ পেশ করে থাকেন ৷
এ সব  ব্যাপারে তারা নানাজনে নানানভাবে অতিরঞ্জিত করে বর্ণনা করে থাকেন ৷ আমরা কোরআন কি বলে তা দেখি:
“তোমরা যদি আশংকা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করিতে পারিবে না, তবে এই বিবাহ করিবে নারীদের মধ্যে যাহাকে তোমাদের ভালো লাগে, দুই, তিন অথবা চার ৷”
(দাসী অর্থ ক্রীতদাসী অথবা যুদ্ধ-বন্দিনী উভয়কে বুঝায় ৷ তখন দাস-দাসী ব্যবসা-প্রথা এতো ছিল বলে তাদের উপর এবং বিশেষ করে ইয়াতিম উপর বিবাহ ও মাহর ইত্যাদি ব্যাপারে অবিচার করিত ৷ ইয়াতিমের সম্পর্কে জোর তাগিদ দেওয়ায় সাহাবীয়ে কেরাম তাদের ব্যাপারে বিব্রত বোধ করিলে উক্ত আয়াত নাযিল হয় ৷ তাছাড়া তখন কার দিনে ধনবান সুন্দরী নারীদের অনায়াসে বিবাহ করা কোন ব্যাপার ছিল না ৷ যত নির্যাতন আর অনাচার হতো কেবল ইয়াতিমদের উপর ৷ আমার নবীজী ছাড়া এমন কে আছে যে, বহু বিবাহ সত্ত্বেও স্ত্রীদের মাঝে সমান অধিকার, সুবিচার, সবার প্রতি সম-দৃষ্টি, ভাগ-বাটোয়ারার ক্ষেত্রে সম-বণ্টন ইত্যাদি বজায় রাখার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ? পৃথিবীর বুকে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যা আর কারও পক্ষে সত্যিই অসম্ভব ৷
আল্লাহ যেমন ক্ষেত্র বিশেষে চার স্ত্রী পাণি গ্রহণের অনুমতি প্রদান করেছেন তেমনি উক্ত শর্তাদি পূরণে অক্ষম হলে একজন বিবাহের তাগিদ দিয়েছেন ৷
কোরআনের ঘোষণা:
“কেবল মাত্র একজনকেই বিবাহ কর ৷”
পৃথিবীর বুকে মহা-গ্রন্থ আল-কোরআনই একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যেখানে কেবলমাত্র একটি বিবাহ কথা উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আর কোন ধর্মগ্রন্থ একথা নেই যে, যেথায় পুরুষকে কেবলমাত্র একজন মাত্র স্ত্রী গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছে ৷ পবিত্র কোরআন সূরা নিসায় নিম্ন-লিখিত আয়াতে পরিষ্কার বলা হয়েছে: “তোমরা তোমাদের পছন্দ মত দুই, তিন অথবা চার জন মহিলাকে বিবাহ কর, কিন্তু যদি (তাদের সাথে) সুবিচার করতে পারবে না বলে তোমরা আশংকা কর তাহলে কেবলমাত্র একজনই বিবাহ কর ৷” (সুরা নিসা-৩)
সূরা নিসা-১২৯ নং আয়াত আরও ঘোষণা করা হয়েছে:
“স্ত্রীদের মধ্যে পুরোপুরি ইনসাফ করা তোমাদের পক্ষে কখনই সম্ভব নয় ৷”(নিসা-১২৯)
আল্লাহ-তায়ালা এই আয়াত নাযিল করে বহু বিবাহ অনুৎসাহিত করে হুশিয়ার করে দিয়েছেন ৷ যাই হোক মুসলমান হিসেবে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ চিরাচরিত বিধি নয় বা বাধ্যতামূলকও নয় ৷ ইহুদি, বেদুঈন, খ্রিষ্টান, মুশরিক, কাফের যত বিধর্মী লেখকরা নবীজীর সত্যিকার আদর্শ বুঝতে পারেনি বলেই-কামুক ও ইন্দ্রিয় বশীভূত হয়ে বহু বিবাহ করেছেন, এই অপ-ব্যাখ্যা অবশ্যই দিয়েছেন আসল সত্য ব্যতীত ৷ তারা যদি এতটুকু বিশ্লেষণ করতেন যে কোন সময় কখন তিনি (সঃ) একাধিক বিবাহ করেছেন এবং কেন ? সত্যিকার অর্থে এ লেখা থেকে এতটুকু ভালোবাসা জাগ্রত হয় তাহলে তারা উপলব্ধি করবে কেন নবীজী বহু বিবাহ করেছিলেন ৷
কোরআনে আল্লাহ রসুল সম্পর্কে কি বলেছেন:
“বল, ‘আমি বিভ্রান্ত হইলে বিভ্রান্তির পরিণাম আমারই এবং যদি আমি সৎপথে থাকি তবে তাহা এই জন্য যে, আমার প্রতিপালক ওহী প্রেরণ করেন৷ তিনি সর্বশ্রোতা, সন্নিকট ৷’ (৩৪ সাব আয়াত-৩৫) ৷
“বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, এতে আল্লাহ তোমাদিগকে ভালবাসবেন এবং তোমাদিগের অপরাধ ক্ষমা করবেন ৷” (আল-ইমরানঃ আয়াত-৩১) ৷
“নিশ্চয় তোমাদের জন্যেই রাসূলু ল্লাহ মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে”
আল্লাহ যে নবীকে অনুসরণ করতে বলেছেন; প্রশংসা করেছেন: তাঁর চরিত্রের, তাঁর আদর্শের  তাতে কোন কিছুতেই কোন রেশ থাকতে পারে না ৷ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উচিত মিথ্যে রচনা না করে তাঁর জীবনী  পাঠ করা, সেই সাথে সত্য উপলব্ধি করে বানোয়াট কাহিনী উপস্থাপন না করা ৷ তাঁর জীবনের মূলেই ছিল তাওহীদ ৷ নারীদের সঠিক মর্যাদা দান, বিধবা অসহায় নারীর আশ্রয়; ধর্মপ্রচার ও মানব কল্যাণের খাতিরে নবীজীকে অসময়ে বহু বিবাহ করতে হয়েছিল যেমন:
নবীজীর বয়স যখন ২৫ বৎসর তখন তিনি বিবাহ করলেন ৪০ বৎসর বয়স্কা এক প্রৌঢ়াকে (খাদিজা) ৷ যদি নবীজী সত্যিই লাম্পট্য ও কামুকতা যৌবন আসক্ত হইতেন তাহলে দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে এক স্ত্রীর সঙ্গ-কাল কাটাতেন না ৷ কারণ ৪০ বৎসর বয়স পর্যন্তই মানুষের কাম-প্রবৃত্তি প্রবল থাকে ৷ বস্তুত: লাম্পট্য ও কামুকতা যৌবনের সহচর ৷ নবীজীর প্রথম ৫০ বৎসর কাল অতিবাহিত হবার পর প্রায় ৬৫ বছর বয়সে বিবি খাদেজার মৃত্যু বরণ করেন ৷ ৩৫ বৎসর হইতেই তিনি হেরা গিরি গুহায় কঠোর সাধনায় মগ্ন ৷ ৪০ বৎসর বয়সে তিনি নবুয়ত লাভ করেন ৷ নবীজী গৃহ সুখ শান্তির চেয়ে ধর্ম প্রচারে লিপ্ত হয়ে পড়েন ৷
খাদিজা মৃত্যুর পর নবীজী অন্য সব বাকি ১২টি বিবাহ করেছেন, তাঁদের মধ্যেও সবার ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন বিবি খাদিজাকে ৷ তিনিই প্রথম নারী নবীর প্রচারিত সত্য গ্রহণ করেছেন ৷ নারী জাতির গৌরব মহীয়সী নারী বিবি খাদিজা (রাঃ) ৷ নবীজী যাঁদের বিবাহ করেছেন তাঁদের তালিকা নিম্নরূপ:
১৷ খাদিজা (বিধবা), হযরত (সঃ) বয়স তখন ২৫ বছর ৷
২৷ সওদা (বিধবা), হযরত (সঃ) বয়স তখন ৫১ বছর ৷
৩৷ আয়েশা (কুমারী), হযরত (সঃ) বয়স তখন ৫২ বছর ৷
৪৷ হাফসা (বিধবা), হযরত (সঃ) বয়স তখন ৫৪ বছর ৷
৫৷ জয়নব-বিনতে-খোজাইমা (বিধবা), হযরত (সঃ) বয়স তখন ৫৫ বছর ৷
৬৷ উম্মে সালমা (বিধবা), হযরত (সঃ) বয়স তখন ৫৫ বছর ৷
৭৷ জয়নব (বিধবা, জায়েদের পরিত্যক্ত স্ত্রী, তাঁর (সঃ) বয়স তখন ৫৬ বছর ৷
৮৷ জওয়ায়েদা (বিধবা, বনি-মুন্তালিক গোত্র), তাঁর বয়স তখন ৫৬ বছর ৷
৯৷ রায়হানা (বিধবা, ইহুদি-নী), তাঁর বয়স তখন ৫৭ বছর ৷
১০৷ মেরী (বিধবা, খ্রিষ্টান), তাঁর বয়স তখন ৫৭ বছর ৷
১১৷ সফিয়া (বিধবা, ইহুদি-নী), তাঁর বয়স তখন ৫৮ বছর ৷
১২৷ উম্মে হাবীবা (বিধবা, আবু সুফিয়ানের কন্যা), তাঁর বয়স তখন ৫৮ বছর ৷
১৩৷ মায়মুনা (বিধবা), তাঁর বয়স তখন ৫৯ বছর ৷

প্রায় ৬৩ বছর বয়সে তিনি (সঃ) ইহলোক ত্যাগ করেন ৷ বিজ্ঞ সমাজ যদি তাঁর বয়সের তালিকা এবং প্রাথমিক অবস্থায় বিধবা বিবাহ যাঁর ছিল চার সন্তান-সন্ততি, পরবর্তীতে ১২টি বিবাহ যাঁরা ছিলেন বিধবা একমাত্র আয়েশা ব্যতীত, তাতে কামুকতার বা বিলাসিতার পরিচয় পাওয়া যায় না ৷ বহু বিবাহ করার কারণগুলো ছিল: ধর্ম প্রচার, মৈত্রী-ভাব গড়ে তোলা, আত্মীয়তা গড়ে তোলা, এবং সর্বশেষ আল্লাহর ইচ্ছা বাস্তবায়ন করা উপমার মাধ্যমে অধীনস্থ  নারীদের সম-অধিকার বণ্টন, স্বামীর কর্তব্য স্ত্রীদের প্রতি এবং বিধবাদের স্বাধীন জীবন যাপন করা বিবাহের মাধ্যমে, জীবনাদর্শে এসব প্রতিষ্ঠা করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য ৷












পণ


পণ
আবুলকালামআজাদবাসু
10/12/2012
আজ হোক আমার পণ
মা জননী বড় ধন ৷
তার মত নেই দ্বিতীয় জন
স্নেহময়ী মায়ের কোলে শিখি মা আপনজন ৷

ধাত্রী মাতার বুকে আমার পণ
মাতা আমার সবার চেয়ে আপন ৷
তার বুকে জনম জনম
তার লাগি পারি দিতে প্রাণ বিসর্জন ৷

মার কোলে শিখি ভ্রাতৃ প্রেম
মাতৃ-জঠরে আমি থাকব চিরজীবন ৷
সেই মায়ের যদি না করি যতন
হারাব আমি স্বদেশ মাতা রতন ৷


রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১২

Google+এক আকাশে আমার জন্ম

Google+এক আকাশে আমার জন্ম
আবুলকালামআজাদবাসু
9/12/2012

কোন এক আকাশে আমার জন্ম হয়েছে ৷ এটার অর্থ এই নয় যে আমি প্রকৃতিগত ভাবে আমার পিতা-মাতার সন্তান নহি ৷ এটা বুঝা যায় যে, যেভাবে হাদিছ ও পূর্বাভাসে ব্যক্ত করা হয়েছে এবং ‘আমার কথা’ পুস্তকে কিভাবে হযরত ঈসা (আঃ) আবির্ভাব ঘটবে, সেই সাথে হযরত (সঃ) উক্তি অনুযায়ী সেই ভাবে ‘আকাশ থেকে অবতরণ’, প্রমাণ রাখার জন্য যে একজন মানুষ কিভাবে আকাশে থেকে আসতে পারে ৷ আল্লাহ ইচ্ছা করলে মসি কাদিয়ানীকে জবাব দেয়ার লক্ষ্যে সত্যিই আকাশ থেকেও প্রেরণ করতে পরেন ৷ (উহার পূর্বে আমায় তারা খুশি করুক এ সব যুক্তি গুলো খণ্ডায়ে যথাযথ উত্তর দিয়ে) ৷ তারা (কাদিয়ানরা) বিশ্বাস করে না যে, একজন লোক আকাশ থেকে সরাসরি আসতে পারে, ইহাও বিশ্বাস করে না যে, ফেরেশতারা দুনিয়াতে আসবেন হযরত ঈসা (আঃ)কে নিয়ে ৷ মনে হয় সেই প্রসঙ্গে আমার জবাব যথাবিহিত এবং আল্লাহ যা ইচ্ছা তা করতে পারেন এবং ইহা প্রকৃতির বিরুদ্ধ হলেও তা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ৷ ইহার পূর্বে প্রবন্ধ গুলি আপনারা মোজেজা সমূহ পাঠ করেছেন যে একজন লোক দুবার জন্ম নিয়েছে এবং দুবার মৃত্যু বরণ করেছন ৷ (অর্থাৎ হযরত ঈসা আঃ এর মৃত্যু থেকে বা কবর থেকে জিন্দা করা এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে বাস করে পুনরায় মৃত্যু বরণ করা )৷ মানুষের প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কেন আমি কেবল ঈসা (আঃ)সম্পর্কে লিখি? একথাটি সম্পূর্ণ ঠিক নয় ৷ আমার মূল ভিত হল কৃষ্ণ, তাঁকে ছাড়া আমার পক্ষে এ বর্ণনা অসম্ভব ৷ কেবল ঈসা (আঃ) নয় অন্যান্য নবী ও রসুলদের কথাও সমভাবে ব্যাখ্যায় এসেছে ৷ তবে ধর্মীয় কিছু প্রসঙ্গ অতিরিক্ত থাকতে পারে ৷ এটা কেন ? তখনকার সময় কৃষ্ণ বলেছেন তিনি আবার আসবেন এবং সেইরূপে প্রায় নবী বলেছেন একমাত্র হযরত (সঃ) ব্যতীত ৷ ঐ প্রসঙ্গে একজন লোক আবার আসবেন গ্রহ-বাসীদের সতর্ক করার জন্য আল্লাহর দফতর গুটাইয়া নেওয়ার আগে ৷ বেদান্তের মতে কৃষ্ণ আবার আসবেন তিনি অন্য কেহ নন বরং হযরত (সঃ) ৷ তা সত্ত্বেও হযরত (সঃ) বাণী অনুযায়ী ঈসা (আঃ) পুনরাগমন ব্যতীত কিয়ামত সংঘটিত হবে না ৷ এই একই দর্শনে খ্রিষ্টান ও মুসলিম উভয় জাতি বিশ্বাসী ৷ উভয় নবী ও রুসুল হযরত ঈসা (আঃ) এবং হযরত (সঃ) সতর্ক বাণী প্রচার করেছেন যে অনেক মিথ্যা দাবীদার এ পৃথিবীতে আগমন করবেন এবং অনেক মানুষকে ঠকাবেন ৷ অতীতে এ রূপ ঘটনা ঘটে গেছে, ভবিষ্যতে যে ঘটবে না তার কোন নিরাপত্তা নেই ৷ মোহাম্মদ (সঃ) জোর দিয়েছেন কিছু কিছু চিহ্ন-বলীর উপর তার মধ্যে তাঁকে চিনবার উপায় হলও যে হযরত ঈসার (আঃ) পরনে থাকবে দুটো চাদর (এক প্রশ্নের জবাবে তিনি (সঃ) একথা প্রকাশ করেছেন, যাহা দিয়ে ঈসাকে (আঃ) সহজে চিনা যাবে ৷ অতীতে উল্লেখযোগ্য যতই মিথ্যা দাবীদার গত হয়েছেন তাদের মাথায় এ কথা জানা আছে বলেই প্রমাণ ব্যতীত সবাই কৃষ্ণ-বুদ্ধের নাম নিয়ে নিজে নিজে অথবা শয়তানের কু-বুদ্ধিতে তারা ঈসা সেজেছেন) ৷ হাদিছে আরও উল্লেখ রয়েছে যে, তিনি (আঃ) ‘আকাশ থেকে অবতরণ’ করবেন ৷ (এ সব প্রমাণ করতে না পারায় সেই হাদিছ তারা অস্বীকার বানোয়াট বলে অভিহিত করেন) ৷  হযরত (সঃ) বাণী অনুযায়ী তিনি দামেস্ক মসজিদের পূর্বের পূর্বেকার সাদা মিনারে অবতরণ করবেন ৷ আমি আকাশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলাম বলে কথার কথায় এ লেখা নয় ৷ আমারও একই প্রশ্ন একের এক এগুলো কেন ঘটেছে ? সুতরাং আমিও একজন প্রশ্নকারী অন্যান্যদের মত ৷ আমার কাছে কি এ সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কিছু আছে ? তবে তার জবাব পেতে হলে প্রকৃতিকে ভাল করে বুঝতে হবে,সময়কে বুঝতে হবে আমার কাছে নয় ৷
আমি যত বেশী তত ভুল চলে আসতে পারে, কিন্তু এ ব্যাপারে আমি মোটেও শঙ্কিত নই কারণ আমার হারাবার কিছুই এতে নেই ৷ তাহলে এত লেখালেখির উদ্দেশ্য কি ? এই সেটাই আসল উদ্দেশ্য যে, একজন লেখক কেবল তার মনে উদিত যা তা বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করেন অন্যদের সাথে অংশী হবার জন্যে ৷ অবশ্য আমি একজন লেখকের মত গুণসম্পন্ন ব্যক্তি নই তদুপরিও আমার ব্যাপারে কিছু জানার রয়েছে ৷ উহা কি ? আমার উত্তম যা তা হলও আমি ভিন্ন ভিন্ন আল্লাহর নবী ও রসুলদেরকে এবং মহৎ ব্যক্তিদেরকে নিয়ে লিখি, সেটাই আমার পাওনা ৷ নিজের এ লেখা উপস্থাপন যোগ্য কিনা জানি না তবুও আশা রাখি ৷ যিনি লিখেন তিনি কখনও তাঁর লেখায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারেন না, পাছে কোন ভুল হচ্ছে কিনা বা কিছু রয়ে গেল কিনা ? তারপরও লেখালেখির ব্যাপারে মনে হবে পেছন থেকে কেউ ইন্ধন যোগাচ্ছে শত ভুল করেও লেখেন ৷ আমার মাঝেও অবস্থিতচিত্ত-তা রয়েছে মানুষের কাছে নিজের অনুভূতির জানাতে, এই কারণে যে এ লেখা উত্থাপন ও লক্ষ্য করার মত নহে ৷ সত্য বলতে কি পাগলের প্রলাপ এই যে, মনে ঐ একই প্রশ্ন বার বার আসে সবার কাছে জানতে, ‘আমি কে’ ? আল্লাহ পছন্দ করতে পারতেন এমন একজনকে যিনি ভাল বক্তা বা যাঁর রয়েছে বাগ্মিতা এবং সহজেই যে কোন প্রশ্নের উত্তর ধর্মীয়ভাবে দিতে পারেন ৷ আমার কাছে বিজ্ঞ লোকদের মত গুণাবলী নেই, আমি আরও অধম প্রকৃত যাহা তাও ভাব উন্মোচন করা সম্ভব নয়, তবে সরাসরি বলতে যে পারি তাতে সন্দেহ নেই ৷ তাতে কেউ পছন্দ করবে আবার কেউ কেউ করবে না ৷ এখানেই ইহার ইতি, পরিশেষে হয়তো বৃদ্ধ বয়সে চর্চার মাধ্যমে আরও ভাল বিষয়ে লিখতে পারব ৷ দুর্বল ভাণ্ডারের অভাবে সহজ সরল ভাষায় অলঙ্কার ব্যতীত এই লিখা, সেই কারণে লোকেরা তেমন আগ্রহী নয় ভাবী প্রবন্ধ গুলো পাঠ করতে ৷  (কলমের সম্রাট কাদিয়ানী সাহেব খুব সুন্দর ভাষায় কিছু কিছু ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন যদিও তা শয়তানের দুর্বল ফন্দি তথাপি দামেস্ক মসজিদে অবতরণের বর্ণনা যেমন তেমন তার রচিত লুদ্দ নামক স্থানে তার মরণ ফাঁদ সে নিজেই তৈরি করে গেছেন অর্থাৎ লুধিয়ান নামক স্থানে) ৷
কোথায় বাংলাদেশ আর কোথায় সিরিয়ার দামেস্ক মসজিদ সুতরাং যা কিছু বর্ণিত তা কেবল যুক্তি ও তথ্য গবেষণালব্ধ ফল যাতে মিথ্যা নবী দাবীদারদের এ সব তথ্য পাঠ করে অস্বীকার করা যায় ৷ ইহাতে শত গুণ ঊর্ধ্বে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে হাদিছ ও বাইবেল অনুসরণের মাধ্যমে যাহা কাদিয়ানীর তুলনায় অনেক বেশী যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনে করি যে ভাবে একের এক যুক্তি আনা হয়েছে ৷ কেন তাহলে এ পুস্তক পাঠ করব না যদি পথ অনুসরণ করে লিখা হয়েছে ?












9

শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১২

সূর্য


সূর্য
আবুলকালামআজাদবাসু
7/12/2012
ওহে সূর্য !
করতে চাই তামাশা,
কেহ কেহ বলে তুমি কেউ নও ৷
কিন্তু পুত্র পুত্রবৎ,
কেহ বলে তুমি চাঁদের ভাই ৷

এটা জানি যে তুমি একটি নক্ষত্র ৷
আমার মত লোকের বিশ্বাস যে তুমি বীর-পুরুষ;
এ জামানায় এক সময় ছিল সবাই জানত তুমি নক্ষত্র-রাজ ৷
তবে তুমি কিছুই না, স্ত্রী সম শক্তিও নও ৷

মজাক এই যে তুমি প্রতিদিন উঁকি দাও;
পূবের জানালার ফাঁক দিয়ে,
পরনে তোমার বিভিন্ন বর্ণের জামা,
বদ্ধ চোখ না খোলে কিন্তু করি মুছা-মুছি ৷

কি ভাবি তুমিই সে-ই দেবী-শক্তি ৷
তুমি উচ্চ গুণবতী ৷
বীর-পুরুষের চেয়েও!
জড়ায়ে ধর আমায় রশ্মি-শক্তি দিয়ে ৷

তোমার উষ্ণ পরিধেয় বস্ত্র রাখ জড়ায়ে,
শক্ত করে ধর মোরে,
আমি কি হই নি তত তরল ?
তবে কেনই বা আমি তত উষ্ণতা অনুভব করলাম না !

পানির মত আমি কি তরল হয়েছি !
কিরণমালা যেন এতই উজ্জ্বল
ভয়ে ভীত শঙ্কিত,
আমি অগ্নির মত হয়ে পড়েছি ৷
জ্বলে পুড়ে ঘামে আমি দোলক হয়েছি;
অতঃপর ইহা মধ্যবর্তী স্থানে কিরণ দিচ্ছে,
তুমি সত্যিই স্ত্রী দেবী ৷

আবারও আমি শান্ত ও উদাসীন হয়ে গেছি
এক সময় দেখি তোমাকে পশ্চিমের ফাঁকে
তখন আমি পুনর্জীবনে জল থেকে লৌহ হয়ে গেছি
তোমার সাথে আলিঙ্গন করতে রঙিন কাঁটার-যন্ত্রণা দেখে
তুমি সুন্দর পোশাক পরিধান করেছ সামনে আসার জন্য ৷
আমি তোমার অপেক্ষায় আছি আলিঙ্গনের লাগি ৷
পশ্চিম দিকে উদিত হও;
তোমার সম্পদ দিয়ে আমায় শীতল কর;
ঐ দিন কেহই সহজে নাগাল পাবে না ৷

উজ্জ্বলতা নিয়ে পশ্চিমে আবার উদিত হও,
ক্ষণিক দৃষ্টিতে রঙিন পোষাকে পশ্চিমের জানালায়,
তোমার সর্বাঙ্গে মনোরম পোশাক পরিধান করে,
আমায় জড়ায়ে ধরতে তোমার ভালবাসা দিয়ে প্রবেশ কর ৷

তোমার অলঙ্কার সমূহ নিজ চোখে দেখতে চাই
তুমি যখন অস্ত যাও তখন কি রূপ !
তোমার প্রতিফলন দেখি কিছু সময়ের জন্য
আবারও চিন্তা-ভাবনা দিনশেষে সকাল এসেছে ৷

তুমিও লীলা দেখালে আমিও, লোকেরা চমৎকৃত
পশ্চিমে দেখলাম সৌন্দর্য ও সদ্ গুণ
রঙিন আভা বদলে বক্র হয়ে অতিরিক্ত মিলনস্থল
নিজকে সরাতেই শীঘ্রই বিদ্যুৎ চমকায়ে ঝড় এলো ৷

ভারী বর্ষণ উভয়কে  ধুয়ে-মুছে দিল,
ইহা যেন স্নান প্রবল বাতাসের স্রোতে
শীতল হয়ে গেলাম গ্রহ-বাসীরা কি পেল ?
তবে বল ইহা সবার তরে ৷

গ্রহ-বাসী কি কখনও দেখেছে আমাকে পশ্চিমে উদিত হতে,
রাখলাম সানুনয় জন্মের মত,
আর কখনও আমায় এরূপে দেখবে না,
তুমিও যদি বল প্রকৃতির ব্যতিক্রম মুখভঙ্গি

সূর্য পৃথিবীকে কিরণ দেয়
পশ্চিমে স্ত গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন নেমে আসে ৷
এই প্রথম প্রকৃতি দেখাল তার চিহ্না-বলী
সূর্য পশ্চিম দিকে উদিত হয়েছে কিছুক্ষণের জন্য
আবার যখন অস্ত যাই অন্ধকার গভীর অন্ধকার আসে ৷

গ্রহ-বাসীর বর্ণনায় কত না আনন্দ
কিন্তু প্রকৃতি ইহা গণনায় আনে না,
তোমার লীলায় দেখ অপূর্ব দৃশ্য
 অজ্ঞতাই গ্রহ-বাসীর জন্য দ্রুত আসিয়াছে ৷

প্রকৃতি তার লীলা খেলা দেখাতে প্রস্তুত
কখনও বর্ষাবে ভারী বৃষ্টি
আর এক সময় তোমায় কাঁপিয়ে তুলবে
তবুও তোমার চক্ষু সত্য খোঁজে পাবে না ৷

ওহে সূর্য!
করতে চাই তামাশা,
কেহ কেহ বলে তুমি কেউ নও ৷
কিন্তু পুত্র পুত্রবৎ,
কেহ বলে তুমি চাঁদের ভাই ৷