সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১২

মনস্তত্ত্ব ও দর্শন এর সমাপ্তি ধর্মের উৎপত্তি


 মনস্তত্ত্ব ও দর্শন এর সমাপ্তি ধর্মের উৎপত্তি
আবুলকালামআজাদবাসু
17/12/2012
মনস্তত্ত্ব মানুষের মন বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় প্রমাণ বা মানুষের মনের আচরণ সম্পর্কিত, তবে  দর্শন কোন প্রমাণ ব্যতিরেকে সত্য ও মিথ্যার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে ৷ কেহ কেহ মনস্তত্ত্ব কায্যে বা বিদ্যায় সুনিপুণ অন্য কেহ দর্শনে দক্ষ ৷ একজন এর খুব ভাল সুসম্পর্ক জীববিদ্যা এবং দর্শনের সাথে অন্য জনের রয়েছে মনস্তত্ত্ব ও ধর্মীয় চিন্তাধারা নিয়ে ৷ আমার কাছে উভয় বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যদিও কোন বিষয়ে পারদর্শী নই ৷ মনস্তত্ত্ব বিষয় প্রমাণ ব্যতীত যে কোন বিষয় বা ঘটনাকে অস্বীকার করে থাকে এবং বলে এটা কিছুই না ডাক্তারি উপদেশ অনুযায়ী মানসিক অসুস্থতা বা মানসিক রোগ ৷ কিন্তু দর্শন ইতি টানে না বরং আরও এগিয়ে যায় কিভাবে ঐরূপ ঘটেছে ৷ তাহাদের গবেষণা লব্ধ ফল সত্য কিংবা মিথ্যা তবুও একটি সমাধানে পৌঁছায় ৷ তারা ঐ রূপ যাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে জিন ও মহিলা জিন (পরী) সম্বন্ধে, তারা একযোগে ঐ জাতির অস্তিত্ব অস্বীকার অর্থাৎ এ সত্যকে অস্বীকার করে যদিও তারা কোনও না কোন ধর্মের অনুসারী ৷ তখন বলা যার ঐ লোক নিজ ধর্মান্ধ ধর্মত্যাগী ৷ তাদের বলতে হবে কোন ধর্মে ঐ জাতি সম্পর্কে বর্ণিত হয়নি ৷ তারা কি সত্যিই কোন ধর্মের নবীর অনুসারী ? এটি বলা মুস্কিল ৷ বিজ্ঞানীদের কাছে ফিরে বলা যায় তাঁরা কি কোন নবীর অনুসারী ? তাহলে তাঁরা শয়তানকে জানে, সেও একজন জিন সম্প্রদায়ভুক্ত ৷ আমার প্রশ্ন তাঁরা এটম থেকে আরও বহু ধাপ উপরে গিয়ে আলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন কিন্তু কোথায় গেল ধূম্র বিহীন আগুন থেকে তৈরি এ জাতি যারা সহজে বাতাসের সাথে মিশে যেতে পারে ? এ জিন কেবল বাতাসে নয় বরং মানুষের রক্তের সাথে মিশে যেতে পারে ৷ বিজ্ঞানীরা বা মনস্তত্ত্ব বিদরা কি ইহা বিশ্বাস করে কিনা ? যদি বিশ্বাস না করে তাহলে তিনি কোন ধর্মেই বিশ্বাসী নয় ৷ তিনি সঠিক পথে নেই ৷ তার জন্য বলার কিছু নেই ৷
তারা যদি সত্যিই বিজ্ঞানী বা মনস্তত্ত্ব বিদ হয়ে থাকে তাঁদের ব্যাখ্যা করতে হবে যে, যা বর্ণনা করা হয়েছে তা কি প্রকৃতি থেকে আপনাআপনি ঘটেছে! বা হঠাৎ হয়ে গেছে! বা সচরাচর আল্লাহ থেকে ? কেহ কেহ উচ্চ শিক্ষা লাভ করে গর্ব করে বলেছেন তাঁরা স্বপ্নের একটি সঠিক ব্যাখ্যা দান করবেন ৷ দেখা যাক তাঁরা কিভাবে তা ব্যাখ্যা করেন ৷ তাঁরা হয়তো ঐ পর্যন্ত যেতে পারবেন যা তারা অন্যদের কাছে শিখেছেন, উহা যে একজন দার্শনিক আরও অগ্রসর হয়ে অনেক দুর যেতে পারেন তবে এটা সন্দেহের যে, যেথায় ধর্ম শুরু তথায় পৌঁছতে পারে কিনা! তাঁরা প্রথমেই শয়তানের অস্তিত্ব সম্বন্ধে চিন্তা করুক যে সে কে ৷ তারপর আসুক সেই জাতির কাছে জিন ও পরী যারা সম্মুখস্থ হবে সেই বিচার দিবসের ৷ তারপর ব্যাখ্যা করুক এ বলে, ‘এটা কিছুই না কিন্তু একটি স্বপ্ন যা মানুষ দেখে থাকে যা পূর্বে ঘটেছে ৷ আমিও তাদের সাথে একমত তবে অজানা অচেনা জায়গা যদিও মানুষ দেখেনি সেরূপ ঘটনাও সে দেখে থাকে ৷ এই নতুনত্বের ব্যাপারে আপনার কি বক্তব্য!
মানুষের শরীরে এক ধরণের বুদ্ধিমান ব্যাকটেরিয়া রয়েছে ইহা তাদের জানা ৷ এ সব সহজেই মরে না, তারা উপরের দিকে যেতে থাকে যখন মানুষ ঘুমায় কিছু কণা তাদের মধ্যে তথ্য বা তত্ত্ব সংগ্রহ করে অথবা দেখে এমন দৃশ্য যা আগে কখনও দেখেনি ৷ এ কথা কি বিশ্বাসযোগ্য ? এই কণাগুলো মানুষের দেখা বস্তুর তথ্য সংগ্রহ করে ৷ সব স্বপ্ন নয় তবে মানুষের ধরণ অনুসারে স্বপ্নও বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে ৷ একজন মানুষ যদি সত্যিকার কোন নবীর অনুসারী হয়ে থাকে তবে তিনি জানিয়া রাখুক প্রত্যেক নবীই স্বপ্নের মাধ্যমে আদেশ নির্দেশ লাভ করেছেন একমাত্র হযরত (সঃ) ব্যতীত, (উল্লেখ্য প্রাথমিক অবস্থায় তিনিও স্বপ্নের মাধ্যমে জানতে পারতেন) ৷ অন্যান্য নবীদের বেলায় বেশীরভাগ সময় তাঁরা স্বপ্নই দেখছেন এবং মধ্যে মধ্যে ফেরেশতারাও বাণী বয়ে এনেছেন ৷ স্বপ্ন দেখেই হযরত ইব্রাহিম (আঃ) তাঁর প্রিয়পুত্রকে কুরবানি দিতে গিয়েছিলেন ৷ আপনারা কি বিশ্বাস করেন ? কখনও মানুষ এমন হয় যে শব্দ বা প্রতিধ্বনি শুনে যদিও ইহার কোনই ভিত নেই ৷ আমি এই সমস্ত কিছুই অর্থবোধক করি না ৷ যদি প্রতিধ্বনি বা প্রকৃতির-আত্মা যা ধর্মীয় পুস্তকাদিতে বর্ণিত হয়েছে ওটা সত্য হলে ঐ কারণে সেথায় মনস্তত্ত্ব ও দর্শন সাধারণের স্বপ্ন কি ব্যাখ্যা প্রদান করবে ৷
কোন কিছু লেখার আগে চিন্তা করা উচিত যে, যদি কেউ স্বপ্নে দেখেন উহা যদি ধর্মীয় পুস্তক এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তাহলে মনস্তত্ত্ব ও দর্শন যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদানে সক্ষম ৷ যেমন আমি ‘আমার কথা’ কিতাবে বলেছি স্বপ্নে দেখলাম, কিছু লোক আমার বাম হাতে ছিল যাঁদেরকে আল্লাহর আসনের পিছে আল্লাহর ইশারায় পার করায়ে দিয়েছি ৷ ইহাতে মনস্তত্ত্ব ও দর্শন কি বিজ্ঞানের ঐ স্তরে পৌঁছতে পারে ব্যাখ্যা করার নিমিত্তে ? (অবশ্য যিনি স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিবেন বলে বলেছেন তিনি পরে ক্ষমা প্রার্থী হয়েছেন) ৷










কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন