আমার কথা প্রথম খণ্ড (১৩)
আবুলকলামআজাদবাসু
11/12/2012
হে আল্লাহ ! কর মোরে ক্ষমা আত্মহারা
কাপুরুষ নরাধম, পাপী দিশেহারা
শাস্ত্রে অনভিজ্ঞ, নিয়মের ব্যতিক্রম,
ক্ষমার অযোগ্য ডগমগি পথ যাত্রী,
যা বলি যত করি বর্ণন বলাবলি
কথায় কে না হারে পরাজয় বরণ!
বিশ্বাস মোর তিনিই সর্ব-শক্তিমান ৷
বাল্য কালে এ গৃহ আগুনে ধ্বংস প্রাপ্ত,
জানি না কে ই বা করে দান এ বুদ্ধত্ব!
মোর জীবন বৃত্তান্ত শুনা-বার তরে ৷
পাঠক সমাজ ! যিঁনি এতক্ষণ অনুশাসন বাণী শুনাইলেন, মনে হয় তিনিই সর্ব-শক্তিমান ৷ নচেৎ এত
কাকুতি-মিনতির পরও তিনি তাঁর নির্দেশ পালনের জন্য হুকুম
প্রদান করলেন এবং আরও বললেন, “তিনি যাঁকে ইচ্ছা তাকেই মনোনীত করেন, তিনি আরও
বললেন, অনুরূপ লোক আনয়ন করা তাঁর পক্ষে খুবই সহজ, তিনি অধিকন্তু বললেন, ‘পরিণতির
কথা ৷’
আমি কে ? কি কিতাব রচনা করবো! তাতো কিছুই বলা হয়
নি ৷ অন্যদিকে শাস্ত্রের তেমন
বিদ্যোপার্জনও
ছিল না ৷ এমন কি কাদিয়ান সম্প্রদায় সম্পর্কে পূর্ববর্তী কোন লব্ধ-জ্ঞান এবং
ইঞ্জিল, কোরআন হাদিছ সম্পর্কেও কোনরূপ ধারণা বা অভিজ্ঞতা ছিল না, যা আজ জনসমক্ষে
তুলে ধরছি ৷ ইহা সহজেই অনুমেয় যে বাল্যকালে এ গৃহ প্রবল তাপে, উত্তাপে ধ্বংস হয়ে
গেছে ৷ তবুও কেন যে এ বুদ্ধত্ব লাভ হয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা আজ প্রতিষ্ঠা করা
সম্ভব নয় ৷ এ কি জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরার নিমিত্তে কিনা তা সুধী-জনের কাছেই
জিজ্ঞাস্য ৷
“পাঠ
কর, আর তোমার প্রতিপালক, মহামহিমান্বিত; যিনি কলমের সাহায্য শিক্ষা দিয়েছেন
মানুষকে যাহা সে জানিত না ৷” ৯৬ (৩-৫) কোরআন ৷
ইচ্ছা,
সদিচ্ছা, পুনর্জীবন সবই মঙ্গল হবে, ধন্য হবে যদি সংগৃহীত জ্ঞান, বিভিন্ন তথ্যাবলী
যথাযথ বর্ণিত ‘মসির’ মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায় ৷ কোরআন এ বর্ণিত আছে যে, হযরত
মরিয়ম (আঃ) লালন পালন এর ভার ‘তীর’ মতান্তরে ‘কলম’ নিক্ষেপের মাধ্যমে হযরত
জাকারিয়া (আঃ) এর উপর অর্পিত হয়েছিল ৷ আর কলম দিয়ে কোরআন হুবহু লেখা হয়েছে যাতে
তার বিকৃতি সাধনে কেহ তৎপর হলেও তা সম্ভব হয়ে না উঠে ৷ তদুপরি কোরআনের রক্ষক স্বয়ং
আল্লাহ ৷
“স্মরণ
কর, যখন তোমার প্রতিপালক মুসাকে ডাকিয়া বলিলেন, ‘তুমি জালিম সম্প্রদায়ের নিকট যাও,
ফির’আওন সম্প্রদায়ের নিকট; উহারা কি ভয় করে না ?’ তখন সে বলিয়াছিল, হে আমার
প্রতিপালক ! আমি আশংকা করি যে উহারা আমাকে অস্বীকার করিবে ৷” ২৬ (১০-১২) কোরআন ৷
এ
আয়াতের অনুরূপ অর্থে শঙ্কিত হয়ে খতিবদের, সুধী-জনের, জ্ঞানীদের এবং পাঠক সমাজের
কাছে শরণাপন্ন হয়েছি ৷ এ কিতাবের প্রথম কাব্যাংশে মিনতি করে বলা হয়েছে যে, মিনতি
করে বলা হয়েছে যে, বিজ্ঞজনদের অভয় প্রদানে কেবল এ জীবন বৃত্তান্ত প্রস্তাবনায়ে
অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারি ৷ তাই সংশয় থাকাটা খুবই স্বাভাবিক ৷ দীর্ঘ আটত্রিশ
বছর পর কোন অজানা শক্তি কিঞ্চিৎ জ্ঞান হৃদয়ে বা সদরে দপ্তরে দিলে মনঃপ্রাণ ব্যাকুল
হয়ে উঠল এবং কথিত ‘মসি’ হাতে নিয়ে বিজ্ঞ লেখকের ভূমিকা পালনে প্রাথমিক অবস্থায়
ব্যর্থ হই ৷
“যখন
মরিয়ম তনয়ের দৃষ্টান্ত উপস্থিত করা হয় তখন তোমার সম্প্রদায় শোরগোল আরম্ভ করিয়া দেয়
৷” ৪৩ (৫৭) কোরআন ৷
হযরত
ঈসা (আঃ) এর প্রসঙ্গ যখন উত্থাপন করা হয় তখন শত প্রচলন যেমন: ইহুদিদের মতবাদ,
খ্রিষ্টানদের মতবাদ, যা হাজারেরও অধিক ৷ অনুমান-লব্ধ ধারণা আজকালও প্রচারিত হয়ে
আসছে তা মানুষের দৃষ্টি-গোচরীভূত হয় ৷ তা এমনটা নয় যে অতীতেও মানুষের মধ্যে অনুমান
করে নতুন নতুন ধারণা উপস্থাপন করা হত না, ‘যে বিষয়ে মতভেদ আছে সে বিষয়ে আল্লাহ কিয়ামত
দিবসে মীমাংসা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন’ কিন্তু যারা তর্কবাগীশ তারা তাদের অনুমান-লব্ধ-বোধকে
সিদ্ধ বলে প্রচার করে আসছেন ৷ তাদের মধ্যে কাদিয়ানী সম্প্রদায় অন্যতম ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন