আবুলকালামআজাদবাসু
9/12/2012
কোন এক আকাশে আমার জন্ম হয়েছে ৷ এটার অর্থ এই নয় যে আমি
প্রকৃতিগত ভাবে আমার পিতা-মাতার সন্তান নহি ৷ এটা বুঝা যায় যে, যেভাবে হাদিছ ও
পূর্বাভাসে ব্যক্ত করা হয়েছে এবং ‘আমার কথা’ পুস্তকে কিভাবে হযরত ঈসা (আঃ) আবির্ভাব
ঘটবে, সেই সাথে হযরত (সঃ) উক্তি অনুযায়ী সেই ভাবে ‘আকাশ থেকে অবতরণ’, প্রমাণ রাখার
জন্য যে একজন মানুষ কিভাবে আকাশে থেকে আসতে পারে ৷ আল্লাহ ইচ্ছা করলে মসি
কাদিয়ানীকে জবাব দেয়ার লক্ষ্যে সত্যিই আকাশ থেকেও প্রেরণ করতে পরেন ৷ (উহার পূর্বে
আমায় তারা খুশি করুক এ সব যুক্তি গুলো খণ্ডায়ে যথাযথ উত্তর দিয়ে) ৷ তারা
(কাদিয়ানরা) বিশ্বাস করে না যে, একজন লোক আকাশ থেকে সরাসরি আসতে পারে, ইহাও
বিশ্বাস করে না যে, ফেরেশতারা দুনিয়াতে আসবেন হযরত ঈসা (আঃ)কে নিয়ে ৷ মনে হয় সেই
প্রসঙ্গে আমার জবাব যথাবিহিত এবং আল্লাহ যা ইচ্ছা তা করতে পারেন এবং ইহা প্রকৃতির
বিরুদ্ধ হলেও তা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ৷ ইহার পূর্বে প্রবন্ধ গুলি আপনারা মোজেজা
সমূহ পাঠ করেছেন যে একজন লোক দুবার জন্ম নিয়েছে এবং দুবার মৃত্যু বরণ করেছন ৷
(অর্থাৎ হযরত ঈসা আঃ এর মৃত্যু থেকে বা কবর থেকে জিন্দা করা এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে
বাস করে পুনরায় মৃত্যু বরণ করা )৷ মানুষের প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কেন আমি কেবল ঈসা
(আঃ)সম্পর্কে লিখি? একথাটি সম্পূর্ণ ঠিক নয় ৷ আমার মূল ভিত হল কৃষ্ণ, তাঁকে ছাড়া
আমার পক্ষে এ বর্ণনা অসম্ভব ৷ কেবল ঈসা (আঃ) নয় অন্যান্য নবী ও রসুলদের কথাও
সমভাবে ব্যাখ্যায় এসেছে ৷ তবে ধর্মীয় কিছু প্রসঙ্গ অতিরিক্ত থাকতে পারে ৷ এটা কেন
? তখনকার সময় কৃষ্ণ বলেছেন তিনি আবার আসবেন এবং সেইরূপে প্রায় নবী বলেছেন একমাত্র
হযরত (সঃ) ব্যতীত ৷ ঐ প্রসঙ্গে একজন লোক আবার আসবেন গ্রহ-বাসীদের সতর্ক করার জন্য
আল্লাহর দফতর গুটাইয়া নেওয়ার আগে ৷ বেদান্তের মতে কৃষ্ণ আবার আসবেন তিনি অন্য কেহ
নন বরং হযরত (সঃ) ৷ তা সত্ত্বেও হযরত (সঃ) বাণী অনুযায়ী ঈসা (আঃ) পুনরাগমন ব্যতীত
কিয়ামত সংঘটিত হবে না ৷ এই একই দর্শনে খ্রিষ্টান ও মুসলিম উভয় জাতি বিশ্বাসী ৷ উভয়
নবী ও রুসুল হযরত ঈসা (আঃ) এবং হযরত (সঃ) সতর্ক বাণী প্রচার করেছেন যে অনেক মিথ্যা
দাবীদার এ পৃথিবীতে আগমন করবেন এবং অনেক মানুষকে ঠকাবেন ৷ অতীতে এ রূপ ঘটনা ঘটে
গেছে, ভবিষ্যতে যে ঘটবে না তার কোন নিরাপত্তা নেই ৷ মোহাম্মদ (সঃ) জোর দিয়েছেন
কিছু কিছু চিহ্ন-বলীর উপর তার মধ্যে তাঁকে চিনবার উপায় হলও যে হযরত ঈসার (আঃ) পরনে
থাকবে দুটো চাদর (এক প্রশ্নের জবাবে তিনি (সঃ) একথা প্রকাশ করেছেন, যাহা দিয়ে
ঈসাকে (আঃ) সহজে চিনা যাবে ৷ অতীতে উল্লেখযোগ্য যতই মিথ্যা দাবীদার গত হয়েছেন
তাদের মাথায় এ কথা জানা আছে বলেই প্রমাণ ব্যতীত সবাই কৃষ্ণ-বুদ্ধের নাম নিয়ে নিজে
নিজে অথবা শয়তানের কু-বুদ্ধিতে তারা ঈসা সেজেছেন) ৷ হাদিছে আরও উল্লেখ রয়েছে যে,
তিনি (আঃ) ‘আকাশ থেকে অবতরণ’ করবেন ৷ (এ সব প্রমাণ করতে না পারায় সেই হাদিছ তারা
অস্বীকার বানোয়াট বলে অভিহিত করেন) ৷ হযরত
(সঃ) বাণী অনুযায়ী তিনি দামেস্ক মসজিদের পূর্বের পূর্বেকার সাদা মিনারে অবতরণ
করবেন ৷ আমি আকাশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলাম বলে কথার কথায় এ লেখা নয় ৷ আমারও একই
প্রশ্ন একের এক এগুলো কেন ঘটেছে ? সুতরাং আমিও একজন প্রশ্নকারী অন্যান্যদের মত ৷
আমার কাছে কি এ সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কিছু আছে ? তবে তার জবাব পেতে হলে
প্রকৃতিকে ভাল করে বুঝতে হবে,সময়কে বুঝতে হবে আমার কাছে নয় ৷
আমি যত বেশী তত ভুল চলে আসতে পারে, কিন্তু এ ব্যাপারে আমি
মোটেও শঙ্কিত নই কারণ আমার হারাবার কিছুই এতে নেই ৷ তাহলে এত লেখালেখির উদ্দেশ্য
কি ? এই সেটাই আসল উদ্দেশ্য যে, একজন লেখক কেবল তার মনে উদিত যা তা বিভিন্নভাবে
উপস্থাপন করেন অন্যদের সাথে অংশী হবার জন্যে ৷ অবশ্য আমি একজন লেখকের মত
গুণসম্পন্ন ব্যক্তি নই তদুপরিও আমার ব্যাপারে কিছু জানার রয়েছে ৷ উহা কি ? আমার
উত্তম যা তা হলও আমি ভিন্ন ভিন্ন আল্লাহর নবী ও রসুলদেরকে এবং মহৎ ব্যক্তিদেরকে
নিয়ে লিখি, সেটাই আমার পাওনা ৷ নিজের এ লেখা উপস্থাপন যোগ্য কিনা জানি না তবুও আশা
রাখি ৷ যিনি লিখেন তিনি কখনও তাঁর লেখায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারেন না, পাছে কোন
ভুল হচ্ছে কিনা বা কিছু রয়ে গেল কিনা ? তারপরও লেখালেখির ব্যাপারে মনে হবে পেছন
থেকে কেউ ইন্ধন যোগাচ্ছে শত ভুল করেও লেখেন ৷ আমার মাঝেও অবস্থিতচিত্ত-তা রয়েছে
মানুষের কাছে নিজের অনুভূতির জানাতে, এই কারণে যে এ লেখা উত্থাপন ও লক্ষ্য করার মত
নহে ৷ সত্য বলতে কি পাগলের প্রলাপ এই যে, মনে ঐ একই প্রশ্ন বার বার আসে সবার কাছে
জানতে, ‘আমি কে’ ? আল্লাহ পছন্দ করতে পারতেন এমন একজনকে যিনি ভাল বক্তা বা যাঁর
রয়েছে বাগ্মিতা এবং সহজেই যে কোন প্রশ্নের উত্তর ধর্মীয়ভাবে দিতে পারেন ৷ আমার
কাছে বিজ্ঞ লোকদের মত গুণাবলী নেই, আমি আরও অধম প্রকৃত যাহা তাও ভাব উন্মোচন করা
সম্ভব নয়, তবে সরাসরি বলতে যে পারি তাতে সন্দেহ নেই ৷ তাতে কেউ পছন্দ করবে আবার
কেউ কেউ করবে না ৷ এখানেই ইহার ইতি, পরিশেষে হয়তো বৃদ্ধ বয়সে চর্চার মাধ্যমে আরও
ভাল বিষয়ে লিখতে পারব ৷ দুর্বল ভাণ্ডারের অভাবে সহজ সরল ভাষায় অলঙ্কার ব্যতীত এই
লিখা, সেই কারণে লোকেরা তেমন আগ্রহী নয় ভাবী প্রবন্ধ গুলো পাঠ করতে ৷ (কলমের সম্রাট কাদিয়ানী সাহেব খুব সুন্দর ভাষায়
কিছু কিছু ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন যদিও তা শয়তানের দুর্বল ফন্দি তথাপি দামেস্ক
মসজিদে অবতরণের বর্ণনা যেমন তেমন তার রচিত লুদ্দ নামক স্থানে তার মরণ ফাঁদ সে
নিজেই তৈরি করে গেছেন অর্থাৎ লুধিয়ান নামক স্থানে) ৷
কোথায় বাংলাদেশ আর কোথায় সিরিয়ার দামেস্ক মসজিদ সুতরাং যা
কিছু বর্ণিত তা কেবল যুক্তি ও তথ্য গবেষণালব্ধ ফল যাতে মিথ্যা নবী দাবীদারদের এ সব
তথ্য পাঠ করে অস্বীকার করা যায় ৷ ইহাতে শত গুণ ঊর্ধ্বে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে
হাদিছ ও বাইবেল অনুসরণের মাধ্যমে যাহা কাদিয়ানীর তুলনায় অনেক বেশী যুক্তিযুক্ত বলে
আমি মনে করি যে ভাবে একের এক যুক্তি আনা হয়েছে ৷ কেন তাহলে এ পুস্তক পাঠ করব না
যদি পথ অনুসরণ করে লিখা হয়েছে ?
9
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন