হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর উপ-নাম আবুল কাসেম
আবুলকালামআজাদবাসু
02/12/2012
অনেকেই জানেন না যে হযরত
মোহাম্মদ (সঃ) এর উপনাম আবুল কাশেম ছিল ৷ এটা সত্যিকার নাম নয় কিন্তু উপনাম বিশেষ
যে, কাশেম ছিল তাঁর ছেলে সুতরাং ছেলের নাম অনুসারে সবাই ডাকতো আবুল কাশেম ৷ তাঁকে
এ নামেই চিনতো ৷ এই প্রথা শুধু আরব এ নয় বরং সবখানেই যখন একজন লোক বয়স্ক হয় তাঁর
প্রকৃত নামের বদলে ছেলেমেয়ের নাম উল্লেখ করে তাদের পিতা বলেই
ডাকে ৷ ছেলের নাম ‘ক’ অথবা ‘খ’ এর পিতা নামে ডাকা হয় ৷
এই ধারণা লোক সম্মুখে
উপস্থাপন করার উদ্দেশ্য কি ? ইতিপূর্বে হয়তো আমার উপস্থাপিত কিছু প্রসঙ্গে
নামটি আবুল কালাম আজাদ বাসু বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেই নামেই কিছু বিষয় রয়েছে যা
তর্কের খাতিরে অংশ বিশেষের অর্থ প্রকাশ করা হয়েছে ৷ এই নামকে ঈসা (আঃ) এবং বিভিন্ন
নবী রসুলদের সাথে তর্কে উপস্থাপন করা হয়েছে ৷ কোন কোন ভাষায়
‘কালাম’ শব্দটি কাকেও উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে ৷ সত্যিকার অর্থে এ গুলি যুক্তি ছাড়া
অন্য কিছু নয় কেবল তাদের জন্যে যারা ঈসা নবী দাবীদার ৷ ‘ইজ্ঞিলে এমন উক্তিও পাওয়া
যায় যে, ‘কালাম আল্লাহর সাথে ছিল এবং কালাম হল খোদা’ ৷ (বাক্যের প্রথম অংশ সবাই
হয়তো মেনে নিবে কিন্তু দ্বিতীয় অংশ ঘোর শিরক বা আল্লাহর সাথে
অংশীদার হওয়া বুঝায় ) ৷ ইঞ্জিলে ইউহোন্না কর্তৃক ঘোষিত বাণী
মুসলিম সমাজের জন্য গ্রহণযোগ্য নহে বরং তারা এক বাক্যে স্বীকার করে যে তিনি ছিলেন
অন্যতম নবী ও রসূল ও একজন মানুষ যেমন আদম (আঃ) ৷ যদি কেহ বলে
যে কালাম আল্লাহর বাক্য এবং আল্লাহর সাথে ছিল তাহলে এ কথা প্রত্যেকে বিশ্বাস করবে,
উপরোক্ত এ সব বাক্য ঈসা (আঃ) এর নয় বরং একজন শিষ্যের যা
মানুষ বা শিষ্য যিনি কালামকে খোদা বলেছেন তা বিশ্বাসযোগ্য নয় ৷
আমার উদ্দেশ্য এ বিষয়ে
আলোচনা করা যে, তখনকার দিনের কালাম যদি
ঈসা (আঃ) হয় বর্তমান যুগের এই কালাম সেই কালাম নয় কিন্তু ‘তর্ক বিষয়’ এটাকে এগিয়ে
নিয়ে গেছে কেবল অন্যদের জবাব দেওয়ার লক্ষ্যে ৷ এ ব্যাপারে এতো গুরুত্ব কেন কারণ
কেউ কেউ এটা অন্যভাবে নিতে পারে, বড় গলায় বলতে পারে কে বা আমি ৷ নামটাই ঐ রূপ যে
আমিই কালামের পিতা এবং কালাম আমার পুত্র, যে-ই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে স্বাধীন কিন্তু
একমাত্র আল্লাহর অধীন (সেটা রূহ ) সে নাম হয় আজাদ ৷ এটা একটি যুক্তি, সত্যি এটা
যে, আল্লাহর বাক্য, আল্লাহর আইন, আল্লাহর ফুঁৎকার, বা
আল্লাহর রূহ কিন্তু আল্লাহ নন ৷ তারা সবাই আল্লাহর সাথে কিন্তু আল্লাহ নন ৷ আমাদের
মাঝে পার্থক্য একেবারেই সামান্য যে আল্লাহ একক এবং এক বরং আল্লাহর সব ৷
লেখক এক উদ্দেশ্য নিয়ে
লিখেন তা সমালোচকেরা ভিন্ন খাতে গড়ায় ৷ ইতিপূর্বে তা ঘটেছে ভবিষ্যতেও তা ঘটবে ৷
অনেকবার বলা হয়েছে যে আবুল মানে আরবি ভাষায় পিতা ৷ তবুও কিছু লোকের
সন্দেহ এ লিখা নিয়ে ৷ যাই হোক বর্তমান কালে এমন লোক এরূপ উদাহরণ উত্তাপন করেছে তাই
সে-ই লোক বলে হঠাৎ তা ঘটেছে (এরূপ আর কত হঠাৎ হয়েছে বলা যায়) ৷ কিছু কিছু সমালোচক
হযরত (সঃ) যা পাঠ করেছেন বা পাক-কোরআন তা হঠাৎ সত্যে পরিণত হয়েছে (বিশেষ করে
বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলি) ৷ বিজ্ঞানীরাও তাই প্রমাণ করেছেন ৷ ইহা একটা বা দুটো কিন্তু
একের পর এক হতে পারে না এবং বহু অজানাই রয়ে গেছে ৷ কোরআন এমন এক গ্রন্থ যে সে-রূপ
একটি সুরাও লিখা দুষ্কর, কোরআন তো দূরের কথা ৷ আল্লাহ স্বয়ং
চ্যালেঞ্জ ছুটে বলেছেন যদি পার!
এই আলোচনায় আমার পিতামাতার নাম এসে
যায় ৷ তাঁরাও অনুরূপ বাসু-র বাপ বা বাসু-র মা হিসেবে পরিচিত ৷ প্রথা অনুযায়ী এরূপ
উপনাম সবখানে থাকতে পারে ৷ প্রশ্ন কেবল আসল নাম নিয়ে নয় বরং ডাকনাম নিয়েও ৷ যদিও
মুসলিম পরিবারে আমার জন্ম, নাম অনুসারে ভিত আমার হিন্দু হিসেবে ৷ আমার এ লেখায় প্রথমে কাগজে কলমে আমি হিন্দু তারপর
বৌদ্ধ, তারপর খৃষ্টান, তারপর ইহুদি তারপর আমি মুসলিম ৷
জগতবাসীর উন্নতির সাথে
সাথে সভ্যতা ও মানসিকতা পরিবর্তন হয়ে সব
ধর্মের লোক আজ রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে একই পরিবারে বসবাস করছে ৷
যেমন এক ভাই যে রাজনৈতিক আদর্শ ও পদ্ধতিতে বিশ্বাসী এবং তারই আপন ভাই অন্য
পদ্ধতিতে বিশ্বাসী অথচ তারা একই পরিবারে বাস করে ৷ এতে কোনরূপ সমস্যা দেখা দিচ্ছে
না ৷ ধর্মের বেলায়ও তদ্রূপ দেখা যাচ্ছে ৷
অবশ্য এ দেশে এমন উদাহরণ বিরল ৷ কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশে বা অন্যান্য দেশে যেমন
আমেরিকা এ দৃষ্টান্ত ভুরি ভূরি ৷ তাদের কাছে কে কোন ধর্মে বিশ্বাসী তা গৌণ কিন্তু
রক্তের বাঁধনটাই মুখ্য ৷ আমি সব ধর্মের পদাঙ্ক অনুসরণ করে
মানুষকে কি দিতে পারি তা হল আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ৷ এটাই আমার একমাত্র কাম্য মানুষ
অন্তত: এই মূল ভিত্তিতে অবস্থান করুক, হিংসা বিদ্বেষ বর্জন
করে ভ্রাতৃত্ব-ভাব গড়ে উঠুক, কেবল একথা ভেবে মানুষ সবার উপরে
৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন