বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১২

বর্তমান মানব-সমাজ এবং লাল গোলাপী চাদর পরিহিত জন


বর্তমান মানব-সমাজ এবং লাল গোলাপী চাদর পরিহিত জন
আবুলকালামআজাদবাসু
26/12/2012

শুরুতেই মানব-সমাজ সম্বন্ধে যে, সত্যের অনুসন্ধানে মানুষ মঙ্গল গ্রহ বা তারও উপরে পৌঁছে গেছেন ৷ আমার মত একজন অজ্ঞই জ্ঞানীদের যাঁরা খুব অত্যন্ত উচ্চ শিক্ষিত তাঁদের বলতে চাই মুখোশ খুলে এই ব্যক্তি, যিনি নিজ সম্পর্কে বলেছেন এবং লিখেছেন, সে জন্য সব দিক ছেড়ে এই লোকটি কথা বলছে ৷ মানুষ কি না আবিষ্কার করেছে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত ৷ আল্লাহ বলেছেন জীবন, মৃত্যু এবং রিযিক এই তিনটি জিনিষের চাবিকাঠি তাঁর হাতে ৷ মানুষ ইচ্ছা করলেও এ সব জয় করতে পারে না আল্লাহর আশীর্বাদ ছাড়া ৷ অধিকাংশ লোকই তেমন কিছু জানতে চায় না ধর্ম বাণী সম্বন্ধে কিন্তু তারা অগ্রসর হয় গন্তব্যের দিকে নাম ও খ্যাতির আশায় ৷ খুব কম লোকই মৃত্যুর কথা চিন্তা করে সেই সাথে ধর্মের বাণীর প্রতিও ৷ মানুষ মৃত্যুকে জয় করতে চায় এবং তারা আবার যৌবনে ফিরে যেতে চায় যেথায় তারা জীবনের সুখ অনুভব করেছিল ৷ বিজ্ঞান বহু উন্নতি লাভ করেছে সত্য তবে একথা মনে রাখা উচিত যে আল্লাহ একজন মহাবিজ্ঞানী না হলে এই বিশাল পৃথিবী সমূহ কিভাবে সৃষ্টি করেছেন ৷ কোনক্রমেই মৃত্যুকে এড়ানো বা জয় করা যেটি আল্লাহ নিজ হাতেই রেখেছেন, মানুষের হাত ঐ পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না ৷ এইরূপ সনদ পত্র বা ক্ষমতা মানুষকে যদি দেওয়া হত তাহলে তারা তখন ডারউইনের সুত্রমতে বলতো যে মানুষের উৎপত্তি বানর প্রাণী থেকে ৷ মানুষ তখনই আল্লাহকে স্মরণ করে যখন সে বিপদে পড়ে ৷ মানুষ সব কিছু ভুলে গিয়ে নিজের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের জন্য কেবল আল্লাহকে ডাকেন ৷ মানুষের যখন দুর্দশা নেমে আসে তখন সম্পূর্ণভাবে অসহায় হয়ে পড়েন ৷ যখন আল্লাহ তাদের দুর্দশা লাঘব করেন তখন তারা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান ৷ তারা অকৃতজ্ঞ আল্লাহ তা কোরআনে বলেছেন ৷
এ লোকটার কি কিছু বলার আছে যা তাদের হৃদয়কে আকর্ষণ করবে যার দ্বারা তারা আল্লাহকে স্মরণ করবে ? ভবিষ্যতে কি ঘটবে সেই সম্পর্কে নতুন কিছু বলার নেই ৷ সমস্ত নবী-রসুলগণ এই সম্পর্কে সব কথাই বলে গেছেন যে ভবিষ্যতে কি ঘটবে এবং সেই ঘটতে থাকবে ৷ তখনকার দিনে ইহুদীদের মধ্যে অনেক বিজ্ঞ পণ্ডিত বা সাধু ব্যক্তি ছিলেন  ৷ তাদের মধ্যে অনেকেই ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা বলতে পারতেন কারণ জিনজাতি তখন বেহেস্তের কাছাকাছি যেতে পারত, বর্তমানে এ পথ রুদ্ধ ৷ সেই দিনে জিনজাতিরা স্বর্গের দৈববাণীর কিয়দংশ শুনতে পেত এবং মানুষকে তা সত্য মিথ্যা জড়ায়ে ব্যক্ত করত ৷ বর্তমানে এপথ সম্পূর্ণ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় নবীদের ভবিষ্যত বাণী সমূহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় বিষয় হয়ে পড়েছে ৷ সন্দেহ নেই যে মানুষ উন্নতি লাভ করছে সেই সাথে দিনও নিকটবর্তী হচ্ছে আল্লাহর দপ্তর গুটিয়ে ফেলার ৷
বর্তমান বিশ্ব উন্নতির সাথে সাথে বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন হচ্ছে এবং সভ্য দেশগুলির উন্নতি লাভ একটি গন্তব্যে পৌঁছতে শুরু করেছে যা নাকি আদি যুগের নবী লুত আঃ এর জামানায় ছিল, হায় কি লজ্জাকর ব্যাপার! এটা কোন দেশের নয়, কিন্তু তারা ডেকে আনছে দুর্ঘটনা বা বিপদ বিশ্ববাসীর জন্য, তারা বিশ্বকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে কিন্তু ইসলামকে নয় ৷ আমার লক্ষ্য হল সেই স্বপ্ন সম্বন্ধে বলা উহা কারও জন্য গুরুত্বপূর্ণ আবার কারও জন্য নয়, এ তেমন তাৎপর্যপূর্ণ নয় ৷
গবেষণায় বলে নতুন বাইবেলে রক্ত চাদর পরিহিত ব্যক্তি, হাদিছ বলে দুটো লাল গোলাপী চাদর পরিহিত ব্যক্তি, এবং সেই বুদ্ধ পরিধান করেছেন রক্তমাখা ঐ শিকারীর বস্ত্র, এই সব মিলেই এই পুস্তক গবেষণামূলক ৷ প্রত্যেক ধর্ম গ্রন্থে এটা বলা হয়েছে যে সব নবীই আবার আসবেন ৷ একমাত্র মোহাম্মদ (সঃ) একথা বলেন নি ৷ একসাথে এত নবীর আগমন সম্ভব নয় এবং তাঁদের পুনরায় প্রেরণ করে আল্লাহর ইচ্ছাও পূর্ণ হবার নহে ৷ গবেষণায় এটিই পাওয়া যায় যে কোরআনই শেষ ধর্ম গ্রন্থ ৷ কোরআন ছাড়া নতুন কোন আল্লাহর বাণী এ ধরায় আসবে না ৷ এ জাতীয় বাণী নতুন বাইবেল এ পাওয়া গিয়াছে যে ঈসা (আঃ) বলেছেন, ঐ জাতি অর্থাৎ ইহুদি জাতি ঐ সময় থাকবে যখন তিনি আবার আসবেন ৷ তদ্রূপ কোরআনের ৩(৫৫) আয়াতে বলা হয়েছে খ্রীষ্টান তথা মুসলিম দিগকে কিয়ামত অবধি জয়ী অথবা প্রাধান্য দেয়া হবে এই ভিত আর বিদ্যমান আছে বলে মনে হয় না যখনই নতুন রাষ্ট্র পয়দা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে মুসলিম বিরোধী রাষ্ট্র সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে আয়াতের সময়কাল নির্ণয়ণ অপরিহার্য ৷ কোরআনে আরও বলা আছে প্রত্যেক আয়াতের একটি কাল রয়েছে ৷
এ গবেষণায় ঈসা আগমনের ইঙ্গিত বহন করে ৷ তখনকার দিনে কোন এক সাহাবী মোহাম্মদ (সঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন কিরূপে লোকেরা হযরত ঈসা (আঃ)কে চিনতে পারবেন ? উত্তরে হযরত (সঃ) বললেন কেন তাঁর (ঈসা) পরণে থাকবে দুটো লাল গোলাপী চাদর ৷ (তবে আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং কিছু লোকের প্রকাশ ভঙ্গি ও কর্ম থেকে উপলব্ধি করেছি যে হোক সে পুরুষ বা নারী প্রত্যেক ধার্মিক ব্যক্তিই নিজেকে মনে মনে ইমাম মেহেদী বা ঈসা (আঃ) বলে ধারণা করবে ঐ সময়কাল যখন প্রকৃত ঈসার আগমন ঘটবে ৷) আমি আগেও বলেছি যে, আমি অন্ধকারে আছি ৷ এই সন্মদ্ধে আমার কোনরূপ ধারণা নেই আমি কেবল ঈসার (আঃ) জীবনী লিখি ৷ কোন এক প্রকারে যুক্তির মাধ্যমে ঐ লাল গোলাপী চাদর পরিধান করেছি যা কৃষ্ণ-বুদ্ধের ৷ ডাক নাম অনুসারে আমি কৃষ্ণ এবং বিপরীতে বুদ্ধ ৷ সুতরাং আমি পরিধান করেছি লাল গোলাপী চাদর গুলো নিজ অঙ্গে ৷ ইহা কারও পছন্দ হোক বা না হোক ইহাই হয়তো অন্তর্নিহিত অর্থ ৷ এটা কি ধর্ম সম্মত উপায়ে বর্ণিত হয়েছে ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন