শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২

আমার কথা প্রথম খণ্ড (১৫)


আমার কথা   প্রথম খণ্ড (১৫)
আবুলকালামআজাদবাসু
30/12/2012

 বুঝিলাম বেদের বাণী হবে পূরণ,
 কল্কী অবতার আসিবেন না ধরায়
কঠোর বাক্য বলা নহে সহজতর,
হিন্দু শাস্ত্র মতে শেষ যুগে কৃষ্ণ ভবে ৷
পৃথিবীর জন-জনার কি হবে তাতে!
কট্টর তেলে বেগুনে জ্বলে হবে সিদ্ধ ৷
যদি কৃষ্ণ বা কল্কী অবতার, বুদ্ধ বা মৈত্রেয় বুদ্ধ, পারসিক ধর্মের জরথুস্ত, খৃষ্টানদের খ্রিষ্ট, ইহুদীদের মসিহ এ ধরায় পুনর্বার পদার্পণ করে থাকেন তাহলে দুনিয়ার হাল অবস্থা কিরূপ হবে? প্রকৃতপক্ষে বর্ণিত এ সব ধর্মের সকলের আগমন বার্তা স্ব স্ব ধর্ম গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে ৷ ইসলাম ধর্মে হযরত ঈসা (আঃ) এর আগমন বার্তা কোরআনে যে রূপ বর্ণিত হয়েছে হাদিছে তার দশগুণ বেশী বিবৃত হয়েছে ৷ শেষ-যুগে এতজন ধর্মপ্রচারক একত্রে আবির্ভাব ঘটলে পৃথিবীর কি দশা হবে ?
“ঈসা তো কিয়ামতের নিদর্শন; সুতরাং তোমরা কিয়ামতের সন্দেহ পোষণ করিও না এবং আমাকে অনুসরণ কর ৷ ইহাই সরল পথ ৷” ৪৩(৬১) কোরআন ৷
  খুব সহজ অর্থে বুঝা যায় যে, হযরত ঈসাই (আঃ) কিয়ামতের পূর্বে আগমন করবেন এবং উক্ত আয়াত ও ৩(৪৬) কোরআনের আয়াত এ সাক্ষ্য বহন করে ৷ কিন্তু না, মসিকে  তারা বাধাগ্রস্ত পুনরাগমনে, কেবল তা নহে তারা তাঁকে স্বাভাবিক মৃত্যুও দান করেছেন ৷ ধাপে ধাপে সবিশেষ আলোচনা সুধী সমাজের কাছে উত্থাপিত বিষয় সমূহ, সত্য মিথ্যা নির্ণয়ন করা তাঁদের হাতেই তা ছেড়ে দিয়ে এ কর্তব্য ও দায়িত্ব সম্পন্ন করাই প্রধান উদ্দেশ্য ৷ না, বেশিদূর যেতে হয়নি ৷ ঈসা (আঃ) সম্পর্কিত যত উক্তি যাহা সত্য হোক, মিথ্যা হোক বা অপ-ব্যাখ্যা হোক সবই কাদিয়ানী সাহেবের কাছে তা মৌজুদ ছিল ৷  বলা যায় যে, বাধাগ্রস্ত তো নয়ই বরং  অগ্রযাত্রায় তার গবেষণা আরও সামনে এগিয়ে নিয়েছে ৷ মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর যে ঈসা মসিহ এবং ইমাম মেহেদী হবার সম্পর্কিত পুস্তক পাঠে সদর দপ্তরে এবং হৃদয়ে সৃষ্টি হয় প্রবল স্পৃহা এবং ভাবাবেগ ৷ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি প্রদান করেছে তার এ লেখনী এবং মনে হল হারানো বস্তুটা ফিরে পেয়েছি ৷ উহাই যেন সত্য-মিথ্যা নির্ণয়নের দিক নির্দেশনার এক প্রকার হাতিয়ার হয়ে উঠল কারণ স্বপ্ন এবং এলহাম এই পথের ইঙ্গিত দেয় ৷   
“ঈসা যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ আসিল, সে বলিয়াছিল, ‘আমি তো তোমাদিগের নিকট আসিয়াছি প্রজ্ঞাসহ এবং তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করিতেছ, তাহা স্পষ্ট করিয়া দিবার জন্য ৷ সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুসরণ কর ৷” ৪৩(৬৩) কোরআন ৷ 
হযরত ঈসা (আঃ) এর আগমন ঘটেছিল স্বর্গীয় নিদর্শনসহ এবং তা ইসরাইল বাসীদের  কাছে এমন এক কিতাব নিয়ে যা পূর্বের শরীয়ত রক্ষাকারী এবং তাতে ছিল ইসলামের আধ্যাত্মিক আলো ৷ (ইসলামে কতিপয় লোক সেই আধ্যাত্মিক আলোকে বর্জন করছে আবার খ্রিষ্টানেরা পূর্ণ শরিয়তকে বর্জন করছে) ৷ তিনি (আঃ) কখনো নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবী করেন নি, তবুও তারা তাদের পূর্ববর্তীদের ন্যায় পুরানা রীতি নীতি অনুসারে প্রবাদ বাক্য থেকে তাঁকে (আঃ) ঈশ্বরের পুত্র বলে ধারণা করছে ৷ হযরত ঈসা (আঃ) সম্বন্ধে কাদিয়ান সাহেব অবশ্যই পুরাতন পাগলের ভূমিকায় কোন রূপ কার্পণ্য করে নি ৷ তার বিশেষ গুণ হল যে, তিনি যতটুকু সম্ভব কোরআনের ও হাদিছের জের টেনে বর্ণন   এবং তার সপক্ষে যুক্তি তোলে ধরার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু যেথায় বাধাগ্রস্ত হয়েছেন সেথায় অপ-ব্যাখ্যা করে হলেও নিজের দাবীকে যথার্থ করে তুলে ধরেছেন ৷ প্রয়োজনে কোন অংশকে বাতিল (যেমন হাদিছর এর উক্তি: ‘আকাশ থেকে অবতরণ’) লে ঘোষণা করেছেন ৷  এমতাবস্থায় এই নতুন পাগলের ভাত হবে কি? ইহাই জিজ্ঞাস্য পাঠক সমাজের কাছে ৷ তার বক্তব্য সকল হৃদয়ঙ্গম করে দেখি, যা এ লোকটির বলার ছিল সবই সে প্রকাশ করেছে কেবল দিতে পারে নি আল্লাহ প্রদত্ত দৃষ্টান্ত সমূহ যা প্রকৃতি থেকে এ তথ্য ও তত্ত্ব এ কিতাবে আনা হয়েছে ৷  কাদিয়ানীর এ লেখা স্বস্তি দিয়েছে, অন্তত: গবেষণায় তেমন বেগ পেতে হবে না অনুমান করে ৷
“ইহা সত্য যে, আল্লাহ সত্য এবং তিনিই মৃতকে জীবন দান করেন এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান ৷” ২২(৬) কোরআন ৷
সরল অর্থে ধরণী যখন মৃতবৎ হয়, সুপ্ত শক্তিকে তিনিই আবার জীবিত করেন তদ্রূপ যা মানব হৃদয়ে বা সদর দপ্তরে রক্ষিত ছিল তাও তিনিই জীবিত করেন তিনিই এতই শক্তিমান যে, মৃতকেও জীবিত করে থাকেন তাঁর কুদরত বলে ৷ যাঁরা আল্লাহর বলে বলীয়ান তাঁরা নিজের উপাধি নিজে প্রকাশ করে না ৷ কাদিয়ানীই প্রথম ব্যক্তি যে নিজেকে কলম এর সম্রাট বলে সর্ব সাধারণকে জ্ঞাপন করেছেন ৷ মির্জা কাদিয়ানই দৃঢ়-কণ্ঠে বিশ্ববাসীর কাছে ঘোষণা করেছেন কলমের মাধ্যমে যে, তিনি এলহাম ও ওহী-প্রাপ্ত ব্যক্তি একাধারে ইমাম মেহেদী ও ঈসা মসিহ ৷ এরূপ দাবী ধরণীর বুকে আর দ্বিতীয় কেহ করতে পারলে তাকে সম্মূখে আসার আহ্বান করায়, এ লোকটি বলছে যে, “তোমার দাবী সম্পুর্ণ মিথ্যা ৷” পাঠক সমাজ! সত্য মিথ্যা যাচাই করার নিমিত্তে কষ্টি পাথরে তা যাচাই করা হোক, ‘আমার কথা’ পাঠানতে ৷
“শয়তান যেন তোমাদিগের কিছুতেই নিবৃত্ত না করে সে তো তোমাদিগের প্রকাশ্য শত্রু ৷” ৪৩(৬২) কোরআন ৷
হে আল্লাহ ! তুমি সহায় হও, শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা কর ৷ বিতর্কিত মানুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন, পরিণামে তিরস্কৃত হবার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয় ৷ শয়তানের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দুর্বল, সত্যের দ্বারে তা কখনও টিকে থাকতে পারে না ৷


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন